অনেকেই হয়তো খবরটি বিভিন্ন ওয়েব সাইট এবং পত্রিকায় ইতোমধ্যে পড়ে ফেলেছেন বিভিন্ন জায়গায়। তবুও দিলাম...। কারন, প্রতিদিনের কুৎসিত সব সংবাদের ভীড়ে এরকম কিছু ভালো খবর বার বার শুনতে ভালো লাগে।
---------------------------------
আন্তর্জাতিক রোবকন প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিক সাফল্যের পর বাংলাদেশেও রোবটিক্স চর্চা শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশী ছাত্র ফিরোজ আহমেদ সিদ্দিকী মানবসদৃশ রোবট তৈরি করে সারা বিশ্বে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন। এতোটা আলোচিত হবার পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হচ্ছে, এই রোবটটি তৈরি করা হয়েছে ফেলে দেয়া সম্পূর্ণ বাতিল সব যন্ত্রাংশ থেকে। IRobo নামের এই রোবটটি মেঝে পরিষ্কার, কোন বস্তুকে মাটি থেকে তোলা সহ গৃহস্থালীর বিভিন্ন কাজ করতে সক্ষম। এই রোবটটিকে মৌখিক নির্দেশ বা ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে কাজ করিয়ে নেয়া যাবে। এছাড়া এটি বিপদজনক পরিবেশেও কাজ করতে সক্ষম।
এই রোবটটির আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে, বিশ্বে আর কোথাও এর চেয়ে কম মূল্য মানবসদৃশ রোবট তৈরি করা সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে অষ্ট্রেলিয়ার একটি সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এই রোবটটিকে বানিজ্যিকভাবে বাজারজাত করার ব্যাপারে আগ্রহ জানিয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে প্রায় এক হাজার মার্কিন ডলারের চেয়েও কম মূল্যে এই রোবটটি বাজারজাত করা সম্ভব হবে। আর সেদিন হয়তো জাপানের গর্ব অ্যাসিমোর সাথে পাল্লা দেবে ফিরোজের IRobo
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির তরুন শিক্ষার্থী ফিরোজ প্রায় দুই বছর ধরে রোবটিক্স নিয়ে গবেষনা করছেন। এখন তিনি শেষ বর্ষের ছাত্র।
[লেখাটি আগে আমাদের প্রযুক্তি ফোরামে প্রকাশিত]
মন্তব্য
পড়লাম। খবরটা পড়ে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আরশাদ আপনাকে .....
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
খুব ভাল খবর। দেশ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যাক আপ পেলেই হয় এখন ঠিকঠাক।-
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
হুম... ভয় হয় আমাদের দেশে এ ধরনের কাজ শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন জটিলতা , সমস্যা আর অর্থায়নের অভাবে আলোর মুখ দেখে না।ফলে সাধারন মানুষ কোন ফলই ভোগ করতে পারেন না। তবে গতকাল আরেকটি সংবাদ শুনলাম...কতটুকু কাজ হবে কে জানে...
---------------------------------------
সর্বস্তরে বিজ্ঞান চর্চাকে জনপ্রিয় করতে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহন করেছে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। গত ১০ অক্টোবর, ২০০৭ এক তথ্যবিবরণীতে 'সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রমোশন ট্রাস্ট' গঠনের কথা জানানো হয়েছে । বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গঠিত এই ট্রাস্ট তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন অপেশাদার বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ এবং ছাত্রদের প্রজেক্টে অর্থ সহায়তা ছাড়াও বিভিন্ন দেশের সাথে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের উদ্যোগ নেবে।
বাংলাদেশের আনাচে কানাচে অনেকই আছেন যারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন শাখায় অনেক সম্ভাবনাময় কাজ করেন। কিন্তু অর্থ এবং অভিজ্ঞতার অভাবে সেসব প্রজেক্ট আলোর মুখ দেখে না। আশা করা যায়, এই উদ্যোগটি সেসব ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
----------------------------------------------------------
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
চমৎকার খবর।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
দারুন লাগল! সৃষ্টির কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাগলামীর প্রয়োজন আছে। আমি শিওর এই ছেলে আন্ডারগ্র্যাড পড়ছে এবং তার অন্যান্য কোন বিষয়ে এত আগ্রহ নেই যতটা আছে রোবোটিক্সে। দুবছর ধরে এরকম পাগলামী না থাকলে ভাল কিছু করা সম্ভব নয়।
এ নিয়ে একটা লেখা নামাব কিনা ভাবছি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
গুডনিউজ! লেখককে অনেক ধন্যবাদ ।
আর মাহবুব ভাই,
এইসব ভাবাভবি ছাড়ুন তো! আপনি লেখা নামিয়ে দিন।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
মাহবুব ভাই,
বুয়েটের রোবকন দলে এমন একজন ছিলেন ২০০০ ব্যাচের। তার অন্য বিষয়ে আগ্রহ খুব কম ছিল। তাই একটু দেরিতেই বের হয়েছেন বুয়েট থেকে। গত ২ মাস আগে আমেরিকা গেলেন কোন GRE, TOEFL ছাড়াই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
খুবই খুশি হবার মত খবর। মনটা একটু হালকা হয় এরকম খবরগুলো পড়লে।
বিপ্রদা কি অভি ভাইয়ের কথা বলছেন?
উনি তো একটা জটিল লোক ছিলেন!
আমেরিকা গেছেন ওইখানের একটা ইউনির রোবোকোন রেলেটেড টীমে কাজ করার জন্য।
ওই ইউনির রোবোকোন টিমের দায়িত্বে আছেন এক বাংলাদেশি প্রফেসর।
উনি বাংলাদেশি ছেলে খুজছিলেন কাজ করার জন্য।
তো জহুরুল স্যার অভি ভাইকে রেকমেন্ড করেন। তাই gre , toefl লাগেনি
গ্রেট!
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এই ছেলেটার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত কৃতিত্ত্ব মনে হয় অনেক বেশী। বাংলাদেশে যদি প্রথম দশটা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বলা হয় তাহলে মনে হয় না কোনভাবেই ইসলামিক ইউনিভার্সিটির নাম আসবে। এইরকম একটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রচন্ড রকম ইচ্ছাশক্তি আর প্রতিভা ছাড়া এই ধরনের কাজ করা তো প্রায় অসম্ভব।
অভিনন্দন জানাই।
চমৎকার খবর!! ধন্যবাদ আপনাকে
অতিরিক্ত সতর্কতা মনে হতে পারে, তবে কোম্পানী যখন কিনে নিচ্ছে তখন ফিরোজকে পরামর্শ দেয়া উচিত ভালোমতো ইন্টারন্যাশনাল পেটেন্টশীপ নিয়ে রাখতে ....
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
শাব্বাস বাংলাদেশ।
খুব আনন্দ পেলাম খবর টা পড়ে। সত্যি বিষ্মকর।
আহমেদ ৪১
দেখুন রয়টার্স-এর ভিডিও। এখানে
অস্ট্রেলিয়ার এক সফটওয়্যার কোম্পানির সাথেও নাকি ফিরোজের কথা হয়েছে।
ভাল লেগেছে সত্যি।
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
পুরোনো এই খবরটি জানতাম না, পড়ে ভাল লাগলো ... এটার কি কোন আপডেট খবর আছে?
--শফকত মোর্শেদ
নতুন মন্তব্য করুন