জব্বার সাহেবের 'বিজয়' ও কিছু কথা !

বিপ্রতীপ এর ছবি
লিখেছেন বিপ্রতীপ (তারিখ: শুক্র, ১৯/১০/২০০৭ - ৬:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকাল হইতে বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলাম। আমাদের প্রযুক্তি সাইট সম্পর্কে একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে প্রথম আলো’র প্রজন্ম ডট কম পাতায়। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ফোন আসছে। ১২ টার দিকে একটি কল ধরলাম। ওপাশ থেকে ভারী কন্ঠে একজন নিজের পরিচয় দিলেন, আমি মোস্তফা জব্বার... আপনাদের অভিনন্দন...ভালো কাজ করেছেন...ইত্যাদি ইত্যাদি। একটু আকাশ থেকে পড়লাম। ইউনিকোড প্রযুক্তি দেখলে জব্বার সাহেবের কিঞ্চিত জ্বর আসে (যদিও কিছুদিন আগে অনিচ্ছা সত্বেও বিজয় কি-বোর্ডে ইউনিকোড সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে)। একটু পরে ভুল ভাঙ্গলো। জব্বার সাহেব শীতল কন্ঠে বললেন, আপনারা আপনাদের সাইটে যে ইউনিজয় কি-বোর্ডটি ব্যবহার করছেন তা কপিরাইটের লঙ্ঘন। আমি এই সফটওয়্যারটির পেটেন্ট করেছি। আমি ইচ্ছে করলে আপনাদের আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারি। আমি খুব শীঘ্রই উকিল নোটিশ পাঠাবো।
এবার বুঝলাম, জব্বার সাহেবের ইউনিকোড প্রীতির রহস্য! আমি ঠান্ডা গলায় বললাম, আমরা এই কি-বোর্ডটি ওপেনসোর্স হিসেবে ব্যবহার করছি। এটি হাসিন হায়দারের তৈরি করা। আর এটি ওপেনসোর্স হিসেবে বিনামূল্যে বিতরন করছে একুশে। এছাড়া বিভিন্ন বাংলা সাইটে এটি ব্যবহার হচ্ছে অনেকদিন ধরেই... যারা এটি বিনামূল্যে বিতরন করছেন তাদের সাথে আপনি কথা বলুন...

এতোদিন জব্বার সাহেবের সম্পর্কে যেসব তথ্য জানতাম সেগুলো হচ্ছে-
-জব্বার সাহেব বিজয়ের মালিক! তিনিই নিজের ছবি সফটওয়্যারে ব্যবহার করতে খুব পছন্দ করেন।
-জব্বার সাহেবের দাবি, যেখানেই বাংলা নিয়ে কাজ হয়(প্রশিকা, আল্পনা, অভ্র, অক্ষর ... সেখানেই বিজয়ের হুবুহু কপি করা হয়। সবাই নাকি বিজয় চুরি করে কাজ করেন।

অমি আজাদের ব্লগেও কিছু তথ্য পেলাম।

একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, যখন কিছু ছিল না তখন বিজয় ছিল। কিন্তু বিজয় নিয়ে তার এতোটা লাফঝাঁপ বিরক্তিকর...। যাই হোক, এখানে অনেক সচল আছেন যারা বাংলা কম্পিউটিং নিয়ে কাজ করছেন। মুর্শেদ ভাই এবং অরুপ ভাইয়ের লেখনী পরিবর্তকেও বিজয় আছে। এ ব্যাপারে তাই সবার গঠনমূলক মতামত কামনা করছি। কলম যুদ্ধে কাজে লাগবে...

[সুখের বিষয় আমি যে কম্পিউটার পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক সেখানে জব্বার সাহেব নিয়মিত বিশেষজ্ঞ কলাম(!) লেখেন। তাই তার চোখে পড়বে এ সম্পর্কে কিছু লিখলে। আপনাদের সহায়তা তাই একান্ত কাম্য ]


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বিষেষজ্ঞরা নিশ্চয়ই বিশেষজ্ঞ মতামত দেবেন । আমার অ-বিশেষজ্ঞ মতামত হলো, আমি নিজে বাংলা টাইপিং শিখেছি এই সেদিন মাত্র,ইউনিকোড আসার পর । তার আগের প্রায় একযুগ,বিজয়ের রাজত্বে আমার বাংলা শেখা হয়নি-ওটা বড় ভজঘট লাগতো হাসি

ও হ্যাঁ,তবে যখন কিছুই ছিলোনা তখনো বাংলা নিয়ে জব্বার সাহেবের তোলপাড়,রাজধানী পেরিয়ে মফস্বল শহরগুলোতে কম্পিউটারকে পরিচিত করানো-এসব খুব জরুরী দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ না হওয়ার কোনো সুযোগ নেই ।

-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

Biqnvcrw এর ছবি

nice blog,

নির্ভূজ এর ছবি

কিন্তু এভাবে এতো আত্নপ্রচার করে উনি নিজের ইমেজ নষ্ট করছেন। ওনার নাম ইতিহাসে উঠে গেছে, এসব করে সেটা বরবাদ করছেন উনি।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

জব্বার সাহেব অনেক ভালো কাজ করেছেন নি:সন্দেহে কিন্তু এখন এটি তার মানসিক রোগ হয়ে গেছে ।
সব জায়গায় "বিজয় নিয়া গেল " চিৎকার ভালো লাগে না ।

-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।

হিমু এর ছবি

মোস্তফা জব্বারের ছবিটা দেখলে ভয় লাগে। খুব মারমুখী চেহারা। মনে হয় উনি বলতে চাইছেন, দেহিস সাবধানে টাইপ করিস!


হাঁটুপানির জলদস্যু

আরিফ জেবতিক এর ছবি

হো হো হো

হাসিব এর ছবি

জব্বার সাহেবের অবদান নিয়ে কোন সন্দেহই নেই । তবে দিন দিন এই ব্যক্তি নিজেকে অর্থপিশাচ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন । বিজয় কিবোর্ডের ধারে কাছে কিছু থাকলেই সেটা উনি নিজের বলে দাবি করেন ।
আমি একসময় একটা সফটওয়ার কোম্পানীর সাথে জড়িত ছিলাম । তখন ওয়েফট ব্যবহার করে বাংলা ফন্ট ওয়েবসাইটে এমবেড করাটা নতুন ধারনা । বাজার ২০০০ টাকা দিয়ে আল্পনা পাওয়া যেতো । তবে সেখানে ঝামেলা ছিলো বিজয়ে লেখা ম্যাটার আগে বৈশাখি (ভুল হতে পারে নামটা) ফন্টে নিয়ে সেটা ওয়েবে তোলা যেতো । ঝামেলা কমানোর জন্য আমরা আনন্দ কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করলাম । তো, সেখানে মোস্তফা জব্বার সুতন্বী ফন্টের জন্য ২৫,০০০ টাকা দাবি করলেন । এর পরে বিজয়ের লাইসেন্স অতিরিক্ত পে করতে হবে । তিনি আরোও বললেন বিবিসির ওয়েব সাইটে এমবেডযোগ্য ইউনিকোড ফন্ট ফ্যামিলি ১ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন । সফটওয়ার নির্মাতারা সবসময় ঘরের খেয়ে আমাদের জন্য মহিষ তাড়িয়ে বেড়াবেন এটা আমি দাবি করি না । কিন্তু সব কিছুর একটা লিমিট আছে বলে মনে হয় । এরকম অস্বাভাবিক দাম হেকে তিনি একটা জনপ্রিয় সফটওয়ারকে ধ্বংসের দোরগোড়ায় নিয়ে যাচ্ছেন । ওয়েবে যেখানে ভালো মানের সফটওয়ার ফন্ট পাওয়া যাচ্ছে সেখানে তার বিজয়ের জন্য কে দাম দিতে যাবে ? একমাত্র ডেক্সটপ পাবলিশিঙে আমরা এখনো বিজয়ের কাছে হাত বাঁধা । বাংলা নিয়ে যারা কাজ করেন তারা অচিরেই এই রাহুর গ্রাস থেকে আমাদের মুক্ত করবেন বলেই আমার বিশ্বাস ।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এধরনের মাথামোটা লোকের কবল থেকে আমাদের বাংলা কম্পিউটিংকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। উনি পাইওনিয়ার ছিলেন ঠিকই কিন্তু ইউনিকোড আশার পর বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বাংলা ভাষাকে আরও অনেক পিছিয়ে দিয়েছেন। উনার সেই আর্টিকেলগুলো এখনও চোখে ভাসে - যেখানে ইউনিকোড নিয়ে যাচ্ছে তাই বলেছিলেন তিনি।

থিওরেটিক্যালী ইউনিজয় উনি নিজের কিবোর্ড বলতে পারেন না। পার্থক্য গুলো লিস্ট করি:

১। একাধিক কি ভিন্ন। যেমন ` চাপলে zwnj এবং ~ চাপলে zwj আসে। x চাপলে আসে ো। ইত্যাদী

২। এ-কার, ই-কার, ও-কার এগুলো ভিন্ন। ইউনিজয়ে অক্ষরের পরে চাপতে হয়। এতে করে লেআউট টাই বদলে যায়।

তবে আমাদের মনে হয় নতুন কিবোর্ড নিয়ে প্র্যাকটিস শুরু করা উচিৎ। বানর কে তার কলাটা দিয়ে আমাদের এগিয়ে যাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এব্যাপারে অগ্রজ সাজেদ চৌধুরীর কথা মনে পড়ছে। তিনি অনেক আগে থেকেই আমাকে এ ব্যাপারগুলি নিয়ে সাবধান করে দিয়েছিলেন।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এরপর ফোন করলে বইলেন:
১। অভ্র ইউনিজয় আগে বানাইছে। তাছাড়া একুশেও একটা নেটিভ ইউনিজয় আগে বানাইছে। তাদের বন্ধ করেন আগে। তারপর আমাদের বলতে আইসেন

২। আপনে ইউনিজয় ডেভলপারদের সাথে কথা বলেন। প্রযুক্তি ওয়েবসাইটের লোকদের কথা বলে কি লাভ?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হাসিব এর ছবি

মুহম্মদ জাফর ইকবালের ইমেইল এ্যাড্রেসটা জানতে চাচ্ছি । কেউ কি বলতে পারবেন ? আর তিনি কি অচেনা লোকের মেইল খুলে পড়েন বা উত্তর দেন ?

মেহদী হাসান খান এর ছবি

লিগ্যাল ভেজাল!

কপিরাইটঃ
ইউনিজয়/ইউনিবিজয় এ বিজয়ের কপিরাইট খাটে না। এগুলো পরিবর্তিত এবং সম্পূর্ণ ভিন্ন সলিউশন। বিজয় বাংলা সফটওয়্যার, প্রিন্টেড কীবোর্ড, ওরিজিনাল বিজয় লেআউট কোথাও কপি করা হয়নি, তাই কোন লিগ্যাল ইস্যু এখানে নেই।

পেটেন্টঃ
তবে পেটেন্ট এর ব্যাপারে একটু ভেজাল আছে। বহু বছর চেষ্টা করে জব্বার সাহেব বিজয় এর পেটেন্ট ম্যানেজ করেছেন রিসেন্টলি । কপিটা দেখিনি, কিন্তু নির্ভযোগ্যসূত্রে যেটা জানলাম- সম্পূর্ণ কীবোর্ড লেআউট এর পাশাপাশি কী-কম্বিনেশনও পেটেন্টের আওতায় আনা হয়েছে।
এটা হতে পারে এরকম -
(১) ্‌+া=আ, ক+্‌+ক=ক্ক ... এরকম। দেখুন, বিজয়ে যুক্তাক্ষর লেখার নিয়ম ইউনিকোডে র সাথে হুবহু মিলে যায়। ইউনিকোড একটা রানিং স্ট্যান্ডার্ড, এর কোন খন্ডাংশের পেটেন্ট বাংলাদেশের পেটেন্ট অফিস যদি না জেনে মোস্তফা জব্বারকে দিয়েও দেয়, সেটার বৈধতা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন তোলা যায়।

অথবা এরকম -
(২) g+f = আ, j+g+j = ক্ক। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের জাতীয় কীবোর্ড লেআউটের বিরুদ্ধেই পেটেন্ট না মানার অভিযোগ আসে। জব্বার সাহেবের উচিত আগে সে দিক সামলানো। নয়ত চ্যালেঞ্জের জবাবে কেউ যদি বলে ইউনিজয় বিজয় না, আসলে জাতীয় কীবোর্ড এর মডিফাইড রূপ, টেকনিক্যালি আপনি ভুল ধরতে পারবেন না, কারন জাতীয় আর বিজয়ের মধ্যে বেসিক পার্থক্য মাত্র দুইটা কী (বাকি কী গুলোর পরিবর্তন শুধু শুধু করা হয়েছে।) হাসি

[কোথাও এগুলো উল্লেখ করলে ভেরিফাই করে নিয়েন। নির্ভযোগ্যসূত্রে জানা খবর, কিন্তু কাগজপত্র নিজে দেখিনি বলে দায়িত্ব স্বীকার করতে পারছি না।]

বাংলা কম্পিউটিং এর জন্য উনি যতটা করেছেন, ইনহিবিটও তারচেয়ে কম করেননি। এসব কথায় কান না দিয়ে কাজ করে যান। আমাদের প্রযুক্তি ফোরামের সাফল্য কামনা করছি।

হাসিব এর ছবি

আমাদের শিগ্গিরি খবর নেয়া দরকার যে সচলায়তনের পেটেন্ট জব্বার কাগুর কিনা ।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

একটা নির্দিষ্ঠ বয়েসের পরে সব বুড়োদেরকে ফোর্স রিটায়ারমেন্টে পাঠানো উচিত ।

-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।

হিমু এর ছবি

আমার মনে হয় ওনার একটা ছবিপ্রীতি আছে। ইউনিজয় লেআউটের এক কোণায় ওনার একটা হাস্যোজ্জ্বল অ-মারমুখো ছবি জুড়ে দিলে তিনি হয়তো খাস দিলে ইউনিকোডের জন্য দোয়া করবেন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

হাসিব এর ছবি

হ । আগে যখন বিজয় ব্যবহার করতাম তখন স্টার্টাপে জব্বার ভাইয়ে ফটুক দেইখাই মিজাজ বিলা হৈয়া যাইতো । মিজাজ ঠিকারাখতে ইনস্টল করার পরই স্টার্টাপ ফোল্ডার থিকা বিজয়রে মুছতাম ।

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসিব ভাইয়ের এই বদাভিজ্ঞতা তো আমাদের সবারই আছে, তবে আমার অভিজ্ঞতা আরো খারাপ মন খারাপ
কাগুর কইন্যা আমার সহপাঠী ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ বছর, তেজপাতা কৈরালাইছে খাইছে

অপ্রাসংগিক হলেও শেয়ার কর্লাম, ক্ষমাপ্রার্থী।

"অকুতোভয় বিপ্লবী"

হিমু এর ছবি

বিপ্র, সেন্টু খাবেন না জব্বার কাগুর কথায়। শোককে শক্তিতে পরিণত করুন। তবে মারপিট না করাই ভালো। বরং একটা অ্যাসাইনমেন্ট নিন মনে মনে। গবেষণা করুন ইতিহাস নিয়ে। বিষয় হতে পারে "কম্পিউটারে বাংলা বর্ণ"। প্রয়োজনে সচলায়তনের সাহায্য নিন, যেখানে একাধিক অংশগ্রহণকারী তথ্য, ধারণা ও পরামর্শ দিয়ে একটা "পূর্ণাঙ্গ" থিসিস দাঁড় করাতে পারেন। প্রযুক্তি ফোরাম আর বাংলা উইকিপিডিয়াও এ প্রকল্পে প্রচুর সাহায্য করতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস। আমরা দেখি, কে কতদূর কী করেছেন।

কী বলেন?


হাঁটুপানির জলদস্যু

অয়ন এর ছবি

বিটিভি দেইখা একসময় আমার মাথায় ঢুকছিলো যে বাংলাদেশে কম্পিউটার চালাইতে পারে খালি দুইজন, এক মোস্তফা জব্বার আর তার ছেলে বিজয় জব্বার।

হাসিব এর ছবি

আরো আছে । জাকারিয়া স্বপন, জামিলুর রেজা চৌধুরী ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার মনে হয় শেষের দুইজন একে অপরকে দেখতে পারেনা।

হাসিব এর ছবি

পিচ্চি পিচ্চি পুলাপাইনের এই বুইড়াগুলা থিকা ভালো ভালো কাজ আছে । এরা সভাসেমিনারে আইটি নিয়া লেকচার পাড়া (যেগুলা আবার সবগুলাই ঘুইরা ফিরা একই কথা) ছাড়া আর কোন কাজ নাই ।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বাদ থাকলো না তো কেউই। বাকি সবার ব্যাপারেও জানার আগ্রহ আছে।

বিপ্রতীপ এর ছবি

রাগিব ভাই একটা কথা বারবার বলেন, আমাদের কাজ আমাদেরই করতে হবে। রাগিব ভাই, বেলায়েত ভাই সহ বেশ কয়েকজন জনমানুষের বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার বাংলা সংষ্করণকে সমৃদ্ধ করেছেন। মাহবুব ভাই, অরুপ কামাল ভাই ইন্টারনেটের সবচেয়ে শক্তিশালী লেখনী পরিবর্তক তৈরি করেছেন। মেহেদী হাসান নামক এক তরূন অভ্র নামের এ সময়ের সবচেয়ে ব্যবহার বান্ধব জনপ্রিয় সফটওয়্যারটি তৈরি করেছেন যা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। হাসিন হায়দার ওয়ার্ডপ্রেসের বিভিন্ন বাংলা প্লাগইন সহ বিভিন্ন কাজ করেছেন যা আমরা বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারছি।এছাড়াও একুশে সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ওপেনসোর্স ও বাংলা কম্পিউটিং নিয়ে কাজ করছেন। এসব তরুন ভাষাসৈনিকরা এসব কাজ করছেন কেবল একটি কারনেই আর তা হচ্ছে বাংলাকে তারা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে চান।তারা ইচ্ছে করলেই এরকম কাজ না করে নিজের ক্যারিয়ারের দিকে বেশি মনযোগ দিতে পারতেন। এসব অসাধারন কিছু কাজ দেখে উদ্ভুদ্ধ হয়েই আমরা বুয়েটের চারজন মিলে আমাদের প্রযুক্তির জন্ম দিয়েছিলাম এবং ফোরাম ইঞ্জিনটি উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা বলেছি। সাথে ছিলেন আমাদের সচল শামীম ভাই।
আগের পোস্টটি অনেকেই পড়েছেন...মোস্তফা জব্বার সাহেব আমাদের (আমাদের প্রযুক্তি টিম) উকিল নোটিশের হুমকি নিয়েছিলেন। তার দাবী ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটে ইউনিজয় লে-আউটটি নাকি তার প্যাটেন্ট করা বিজয়ের নকল। এবং সেটির ব্যবহারে আমরা অন্যায় করেছি। এর আগেরবার তিনি মোবাইল ফোনে আমাদের উকিল নোটিশের ভয় দেখিয়েছিলেন। সর্বশেষ গতকাল সন্ধ্যায় তিনি আমাদের সাইটে ঢুকে পোস্টের মাধ্যমে র্যাবে ভয় দেখিয়ে সাইটটি বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেছেন।পোস্টটি আমরা সরিয়ে নিয়েছি যা আপনারা ছবিতে দেখছেন। [img=http://thumbnails.imajr.com/bijoy.bmp_361982.jpg]আমরা মনে করি জব্বার সাহেবের এই অন্যায় হুমকি শুধু আমাদের বিরুদ্ধে নয় এটি ওপেন সোর্স ও বাংলা কম্পিউটিং নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের সবার বিরুদ্ধে হুমকি। একটি কি-বোর্ড লে-আউট কিভাবে একজন প্যাটেন্ট করা হয় তা আমার বোধগম্য নয়। কদিন পর জব্বার সাহেবের মতো লোকজন বলবেন কি-বোর্ডে A চাপলে A আসবে সেটিও তার প্যাটেন্ট করা লে-আউট!

আরিফ জেবতিক এর ছবি

চ্যালেঞ্জ নেন ।ঐ ছাগলটারে বলেন ঢ়্যাব এ খবর দিতে ।

-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এখানে একটি কাজ করা যায় :

বিদেশে যারা আছেন,তারা কেউ দয়াকরে পুরো বিজয় আপনার দেশে প্যাটেন্ট করে ফেলুন অন্য একটা নাম দিয়ে ।পুরো কীবোর্ড লেআউট সহ প্যাটেন্ট নিন ।তারপর যখনই কেউ দেশে এটি ব্যবহার করবে,কোন আইনগত ঝামেলা হলে সে বলবে যে আমি তো বিজয় ব্যবহার করি না,আমি অমুক দেশের প্যাটেন্ট করা ঐটা ব্যবহার করি ।
তখন জব্বারকে ঐ দেশে গিয়ে মামলা করতে হবে,নিজের দেশে কিছুই করতে পারবে না ।

-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।

বিপ্রতীপ এর ছবি

@ সুশান্ত
আমি নিজের ঢোল নিজে পিটাতে চাইনি...।লেখার প্রয়োজনে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততোটুকুই বলেছি।

জেবতিক ভাই অনেক সময় বলেন তিনি একটি পত্রিকায় সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন...এর মানে এই নয় তিনি নিজের ঢাক নিজে পিটাচ্ছেন।
আশা করি বুঝতে পারছেন...

আরিফ জেবতিক এর ছবি

নিজের ঢাক নিজে পেটাতে অসুবিধা কোথায় ?মুক্তবাজার অর্থনীতি ।
ঠিক মতো ঢোল পিটিয়ে কতো অগাবগা লোক নাম করে ফেল্লো,আমরা তো কোন ছার । চোখ টিপি

-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।

বিপ্রতীপ এর ছবি

জেবতিক ভাই,
চ্যালেঞ্জ নিতে রাজী আছি...তবে আপনি একটি জ্বালাময়ী কিছু লেখুন...যেভাবে সবসময় লিখেন।
আর সর্বশেষ খবর হলো আমারা কি-বোর্ড না সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
একটু আগে জাফর ইকবাল স্যারের সাথে মোবাইলে কথা হয়েছে। তিনিও আমাদের না সরানোর বিষয়টিকে সমর্থন করেছেন। আশা করি সবাই এগিয়ে আসবেন আমাদের সমর্থনে ...।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

হা:হা:হা:! আমি বুঝি সবসময় জ্বালাময়ী লিখি ?
যাক,ফরমায়েশ দিয়ে তো জ্বালামুখী লেখা বের হয় না রে ভাই ।
তবে এ সংক্রান্ত যে কোন উদ্যোগের সাথে সমর্থণ থাকবে,অংশগ্রহনের চেষ্টাও করবো যথাসাধ্য ।

-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।

সাজেদ চৌধুরী এর ছবি

"সবার বিরুদ্ধে হুমকি" -- জিনিসটাকে সেভাবে নিতে রাজি নই। "ওপেন সোর্স ও বাংলা কম্পিউটিং" এর মূল ধারা হল অঙ্কুর। আর অঙ্কুর-এর অফিসিয়াল লেআউট হল প্রভাত।

জাফর ইকবাল স্যার সমর্থন দিচ্ছেন ভাল কথা, তবে আমার প্রশ্ন হল উনি নিজে কোন লেআউট ব্যবহার করেন?

নজমুল আলবাব এর ছবি

আমি একবার আসল বিজয় কিনতে চাইলাম। নানা ঝামেলা হয় সেইটা থেকে বাঁচতে। তো যোগাযোগ করলাম। সে কম্পিউটার প্রতি পাঁচ হাজার টাকা করে দাবী করে বসল! আমি দেখি আমার সাকুল্যে ৫৫ হাজার টাকা যায়! কি আর করি। আমাদের আইটিওয়ালা (তুলির পিচ্চিভাইটা, সেতু। আরিফ ভাইতো মনে হয় দেখছ ওরে) শুনে হেভি ক্ষেপা।
সে তার মত এগুল। আমরা এখন সুখেই আছি!!!
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

হাসিব এর ছবি

এই লোকের ব্যবসাবুদ্ধি আমার এক যুগের ব্যবসা পড়ালেখা দিয়েও ধরতে পারি না । বাজারে ঐ একই জিনিস আপনি দেড় হাজার টাকায় কিনতে পারবেন যদি আপনি আনন্দ কম্পিউটারসের বাংলা কিবোর্ড কেনেন । ঐ কি-বোর্ডের সাথে একটা করে বিজয় ফ্রি দেয় ।

বিপ্রতীপ এর ছবি

আরিফ জেবতিক লিখেছেন:
নিজের ঢাক নিজে পেটাতে অসুবিধা কোথায় ?মুক্তবাজার অর্থনীতি ।
ঠিক মতো ঢোল পিটিয়ে কতো অগাবগা লোক নাম করে ফেল্লো,আমরা তো কোন ছার । চোখ টিপি

-----------------------------

হো হো হো

বিপ্রতীপ এর ছবি

@হাসিব ভাই
শুধুমাত্র বিড়ি , জর্দা -এরকম পণ্যে ই এ ধরনের ছবি দেখা যায়...

অমিত আহমেদ এর ছবি

এত কাহিনী তো জানা ছিল না!


ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়!
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি সোজা সাপ্টা একটা কথা বলি-

জব্বার বাংলা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে। এখানে বিজয়/ইউনিজয় কোনো বিষয় না। আজকে একুশে বা অভ্র আছে বলে সারা বিশ্বের মানুষ বাংলা ব্যবহারে সক্ষম হয়েছে। বাংলাকে বিশ্বায়ন করেছে একুশে, এই কথার কোনো বিকল্প নেই।

অভ্র/একুশে কেউই আমাদের ভাষা নিয়ে ব্যবসা করেনি আর আমি আশা করি তারা কোনোদিন করবেও না। কিন্তু জব্বার চায় পৃথিবীতে যারা বাংলা ব্যবহার করবে, তারা সবাই উনাকে টাকা দেবে।

আমাদের চিন্তু করা উচিৎ যে আমরা কি এটা হতে দেবো? বাংলাকে ইংরেজদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলাম আমরা, রক্ষা করেছিলাম পাকিস্তানীদের হাত থেকে। এখন কি সময় আসেনি জব্বারের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করার? জব্বারের উচিৎ হবে এখনি আমাদের স্বাগতম জানিয়ে সরে যাওয়া, বাংলাদেশের কম্পিউটারে উনি বাংলার ব্যবহার প্রণয়ন করেছেন একথা আমরা যেমন অস্বীকার করিনা, সেরকম উনি এই ফালতু কথা বাদ দিলে আমরা উনার সন্মান সবসময়ই রক্ষা করবো।

তবে ভাষা নিয়ে আমরা ব্যবসা করতে দিতে পারিনা। বিষয়টা কিন্তু ভেবে দেখার।

অমি আজাদ

মেহদী হাসান খান এর ছবি

হাসিব লিখেছেন:
ঠিক একই স্টাইলে বিড়ির গায়ে বিড়ি কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা/ মালিকের ছবি থাকে ।

হা হা হা। হাসিব ভাই, আকিজ বিড়ি কোম্পানী থেকে আকিজ ব্রান্ড কম্পিউটার বের হয় এখন, আকিজ আইটি ট্রেনিং সেন্টারও আছে। জব্বার সাহেবের বিজয়ও আপগ্রেডেড হচ্ছে। "বিজয় বায়ান্ন" (রিলিজ হয়নি এখনও, বেটা দেখার বিরল ভাগ্য হয়েছে) এর স্পল্যাশ স্ক্রিনে জব্বার সাহেব বা তার ছেলের কোন ছবি পাওয়া যায় নাই। মাটির কিছু ভাস্কর্যের ছবি আছে শুধু।

মেহদী হাসান খান এর ছবি

হাসিব লিখেছেন:
এই লোকের ব্যবসাবুদ্ধি আমার এক যুগের ব্যবসা পড়ালেখা দিয়েও ধরতে পারি না । বাজারে ঐ একই জিনিস আপনি দেড় হাজার টাকায় কিনতে পারবেন যদি আপনি আনন্দ কম্পিউটারসের বাংলা কিবোর্ড কেনেন । ঐ কি-বোর্ডের সাথে একটা করে বিজয় ফ্রি দেয় ।

আরও আছে। বিজয় স্ট্যান্ডার্ড ভার্শনের দাম ১০০০৳, প্রোফেশনাল ভার্শনের দাম ৫০০০৳, স্টান্ডার্ড থেকে প্রোফেশনালে আপগ্রেডেশনের ফি ৫০০৳। বুঝেন অবস্থা, ১০০০৳+৫০০৳=১৫০০৳ খরচ করলেই ৫০০০৳ টাকার সফটওয়্যার পাওয়া যায়। ভাগ্যিস, উনি বাংলাদেশে ব্যবসা করেন হাসি

মেহদী হাসান খান এর ছবি

বিপ্রতীপ লিখেছেন:
জেবতিক ভাই,
চ্যালেঞ্জ নিতে রাজী আছি...তবে আপনি একটি জ্বালাময়ী কিছু লেখুন...যেভাবে সবসময় লিখেন।
আর সর্বশেষ খবর হলো আমারা কি-বোর্ড না সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
একটু আগে জাফর ইকবাল স্যারের সাথে মোবাইলে কথা হয়েছে। তিনিও আমাদের না সরানোর বিষয়টিকে সমর্থন করেছেন। আশা করি সবাই এগিয়ে আসবেন আমাদের সমর্থনে ...।

আপনাকে একটা ঘটনা বলি। ২৬ মার্চ ২০০৭ সৌম্য নামক একজন ভারতীয় বাঙালী মেইল পাঠান এরকম :
Dear sir,
I had contact you before for my free bengali website. It is now ready (only galary page is not available). Please check that and send me your riviews at

http://www.banglalovers.4t.com/

Soumya Mukherjee

অভিজ্ঞরা সাইটটা দেখলেই বুঝবেন, সেই সৌম্য ভদ্রলোক নতুন কাজ শিখছিলেন, সাইটটি বানানো হয়েছে বেশ তাড়া নিয়ে। কিন্তু যত যাই হোক, বাংলা নিয়ে কিছু করতে হবে এই টান থেকেই করেছেন। এটা নির্দ্বিধায় আপ্রিশিয়েবল। মেইলের জবাবে আমি অকৃত্রিমভাবে তাই উৎসাহই দিয়েছিলাম।

দূর্ভাগ্যবশতঃ সেই মেইলটা তিনি জব্বার সাহেবকেও পাঠিয়েছিলেন। জব্বার সাহেবের জবাব পেয়ে ভারত থেকে সেই বেচারা ভয় পেয়ে আবার আরজেন্টলি আমার সাথে কন্টাক্ট করেন। পাবলিকলি জব্বার সাহেবের সেই মেইল তুলে দেয়া ঠিক এথিকস এর মধ্যে পরে না। কিন্তু বাধ্য হয়ে শেয়ার করছি, ভবিষ্যতে কেউ ভুক্তভোগী হবার আগেই ঘটনাগুলো জেনে রাখা উচিত। রিপ্লাইটা দেখুনঃ
From: Mustafa Jabbar
To: soumya
Sent: Monday, March 26, 2007 2:25 PM
Subject: Re: Link

Dear Mr. Soumya,
Please note that Avro is a carbon copy of Bijoy. Your font is also carbon copy of Sutonny.
I wish you will stop piracy. You can use these two technologies only if you have licensed Bijoy Software.
Thanks and regards
Mustafa Jabbar

সেলুকাস! কি বিচিত্র এই দেশ!! (হিমু ভাইয়ের রিসেন্ট রচনা দ্রষ্টব্য!)
বাংলাদেশে যারা আইটি নিয়ে কাজ করেন তাদের উদারমনস্কতা সম্পর্কে নিশ্চয়ই সৌম্যের বেশ চমৎকার একটা ভুল ধারণা হয়ে গেছে। জব্বার সাহেব ইন্ডিয়ায় কতদূর কি করতে পারতেন জানি না, কিন্তু ভয় দেখিয়ে এরকম ক্ষুদ্র একটা উদ্যোগ থামিয়ে দিতে পেরেছেন, তার রুচিতে বাধেনি, এটাতে কোন সন্দেহ নাই, (সাইটের পেজগুলো মুছে ফেলা হয়েছে)।

এই লোকটা এখনও কেন বুঝে না, উইন্ডোজে এখন কোন সফটওয়্যার ছাড়াই বাংলা লেখা যায়। পাবলিক এখন এর নেটে বিজয়ের ক্র্যাক খুঁজে না, হয় উইন্ডোজের বিল্টইন সিস্টেমে বাংলা লেখে, নাইলে অভ্র বা একুশে দিয়ে কাজ করে। ভবিষ্যতের মানুষ যদি বিজয় কীবোর্ড এর নাম জানে তো হাজার টাকার বিজয় বাংলা সরটওয়্যার ব্যবহার করে জানবে না, এসব ফ্রি থার্ড পার্টি সফটওয়্যার বা হাসিন ভাইয়ের কাজের মত কিছুর জন্যই জানবে। তারতো কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।

সেই http://www.banglalovers.4t.com/ থেকে আমাদের প্রযুক্তি আরও বড় উদ্যোগ, এটা বলে দিতে হয় না। জব্বার সাহেব যে এটাও থামিয়ে দিতে চাইবেন, এ আর নতুন কি! প্রথমদিকে জনকন্ঠে জব্বার সাহেবের স্পেশাল কলামে অভ্র বানানোর "অপরাধে" "চোরের" লিস্টে নিজের নাম দেখলাম। তখন কাউকে চিনি না জানি না, একটা প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছিলাম, ছাপা হয়নি, হবার কথাও না। সেই অভ্র এখন জব্বার সাহেবের ৫ কোটি টাকার লাইসেন্স বেচার সুযোগ নষ্ট করে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে (অবশ্যই ফ্রি), সেটা নিয়ে জনকন্ঠে এবার তিনি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেই চুরির কথা লিখলেন। ওনার কাজ উনি করেন, বাকিদের কাজ বাকিরা করে, এভাবেই চলছে। পিছিয়ে যাবেন না অবশ্যই। জাফর স্যার সাপোর্ট দিচ্ছেন, এটা আরও আশার কথা।

মেহদী হাসান খান এর ছবি

আরিফ জেবতিক লিখেছেন:
এখানে একটি কাজ করা যায় :

বিদেশে যারা আছেন,তারা কেউ দয়াকরে পুরো বিজয় আপনার দেশে প্যাটেন্ট করে ফেলুন অন্য একটা নাম দিয়ে ।পুরো কীবোর্ড লেআউট সহ প্যাটেন্ট নিন ।তারপর যখনই কেউ দেশে এটি ব্যবহার করবে,কোন আইনগত ঝামেলা হলে সে বলবে যে আমি তো বিজয় ব্যবহার করি না,আমি অমুক দেশের প্যাটেন্ট করা ঐটা ব্যবহার করি ।
তখন জব্বারকে ঐ দেশে গিয়ে মামলা করতে হবে,নিজের দেশে কিছুই করতে পারবে না ।

হা হা হা হা! আরিফ ভাই, আরেকটা আইডিয়া আছে, সাপ মরে লাঠি ভাঙে না টাইপ আইডিয়া। কোন উকিলের দরকার নাই।

একটা কীবোর্ড লেআউট বানানো হবে, নাম হবে বিজয়ের উলটো - "অজবি"! কীবোর্ডটা হুবহু বিজয়ের মত, শুধু শিফট পজিশনেরগুলো বর্ণগুলো নর্মাল পজিশনে আর নর্মালেরগুলো শিফটে। অর্থাৎ, J চাপলে খ হবে, কিন্তু Shift+J চাপলে ক হবে। পুরো কীবোর্ডটা একসাথে চিন্তা করুন, অদ্ভুত আর নতুন, বিজয়ের পুরো উলটো, কোন কপিরাইট আর পেটেন্ট ভাঙে না। এই আজব জিনিসে পাবলিক লিখবে কিভাবে? Caps Lock অন করলেই তো শিফটের লেখার নর্মালে আর নর্মালের লেখা শিফটে চলে আসে। Caps Lock অন করলে এটা হবে হুবহু বিজয়, অফ থাকলে "অজবি"!

চিন্তা করতেছি জব্বার সাহেবকে একটা বানায় গিফট পাঠাবো নাকি! ওনার বার্থডে কেউ জানেন?

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

এই আইডিয়াটা দুর্দান্ত হইছে ... জনসাধারণ এইটা ব্যবহার করুক আর নাই করুক শুধু জব্বার কাকার মুখের চেহারাটা কেমন হয় সেইটা জানার জন্য আমি এইটা বানাইতে রাজি আছি (স্টার্টআপে জব্বার কাকার একটা ফটু উল্টা কইরা ইউজ করা যাইতে পারে, মাথা নিচে আর গলা উপরে এই টাইপ দেঁতো হাসি )...

তবে এইসব আইডিয়াতে কাজ আদায় হবে ঠিকই কিন্তু তাতে নীতিগতভাবে জয় হবে জব্বার সাহেবেরই ... আমি যেটুকু বুঝি একটা লেআউট কারও বাপের সম্পত্তি হইতে পারে না ... এই জিনিসটা যদি আইনগতভাবে প্রতিষ্ঠা করা যাইত টাহলে বোধহয় সবচে ভাল হইত ...

এইটা কেমনে করা যায় কারও কোন আইডিয়া আছে?

হিমু এর ছবি

খুবই উমদা আইডিয়া। এটার আশু বাস্তবায়ন কামনা করি।

আর চলেন বদনার লেআউট পেটেন্ট করি। তারপর বাড়ি বাড়ি ড়্যাব নিয়ে হামলা করি। বাথরুম থেকে টেনে হিঁচড়ে বার করি নিরীহ হাগারুদের। লেটস পেটেন্ট সামথিং অ্যান্ড টেক দ্য শেল্টার অব ল।


হাঁটুপানির জলদস্যু

মেহদী হাসান খান এর ছবি

এই কমেন্টে ৫ দেয়ার সিস্টেম কি?!? দেঁতো হাসি

হিমু এর ছবি

মেহদী ভাই, খুব সিরিয়াসলি বলছি, অজবি বানায় ফেলেন। যত তাড়াতাড়ি পারেন। বানাইয়া রেজিস্টার করেন ল্যাংটা সম্পদ (ওপেন সোর্স) হিসাবে। ল্যাংটার নাই বাটপারের ভয়।


হাঁটুপানির জলদস্যু

হাসিন এর ছবি

জব্বার সাহেব আমাকে সেইদিনই একটা মেইল করেছেন - যার বিষয় বস্তু হল "স্টপ ডিস্ট্রিবিউটিং ইওর স্ক্রিপ্ট অর আই উইল টেক শেলটার অব ল" - আজিব - চিনি না জানি না - আজাইরা একটা মেইল আইসা ইনবক্সে বইসা আছে। কোনোদিন কথা পর্যন্ত হয় নাই এনার সাথে আমার। প্রথম মেইলেই দেখি হুমকি ধামকি। মাশাল্লাহ

এরপর কিছুক্ষন পরে আমার বস (ট্রিপার্টের) আমারে একটা মেইল ফরওয়ার্ড করল যাতে মোস্তফা জব্বার সাহেব লিখছে "আ বাংলাদেশি জেন্টলম্যান নেমড হাসিন হায়দার ক্লেইমস দ্যাট হি ওয়র্কস ইন ইওর অর্গানাইজেশন - ইফ সো, গিভ মি হিস ইমেইল অ্যাড্রেস"

মাশাল্লাহ - আমার ফরেনার বস ভাবছিল বোধহয় পিএইচপি জানা কেউ যে জবের কারনে আমারে খুজতাছে। হি হি

তো যাউকগা - আমি জব্বার সাহেবরে ফোন দিলাম কি ব্যাপার জানার কারনে। উনি প্রথমেই কইলেন আপনি কি করতাছেন আমার জানার দরকার নাই - আপনার ওখান থেকে বিজয় বাদ দেন। আমি ওনারে বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে আমি বিজয়ের উপর কোনো কাজ করি নাই, ইউনিজয়ের উপরে কাজ করছি। নাহ উনি বোঝেন না। ওনার এক কথা বিজয় বাদ দেও। ইউনিজয় নাকি ১০০% ক্লোন বিজয়ের। আরে বাবা, ইউনিজয় কয় পার্সেন্ট ক্লোন জাইনা আমি কি করুম। আগি তো জানি ইউনিজয় লেআউটেই প্রথম এক্স কি তে ওকার লাগাইসে যেইটা জব্বার সাহেবের বিজয়ে ছিল না। ওনার এক্স দিলে ও আসত। শিফ্ট এক্স দিলে ওকার হইত। সো উনি ওনার ইউনিকোড সংস্করনে ইউনিজয় থেইকাই এই কীয়ের বিহেভিয়র টা নকল করছেন।

তারপর আমি কইলাম দেখেন জব্বার সাহেব আমি তো আপনার বিজয়ের ক্লোন করি নাই, ইউনিজয়ের ক্লোন করছি। জব্বার সাহেব আমারে বলেন ইউনিজয় হইল বিজয়ের নকল। আমি কইলাম সেইটা জাইনা আমার লাভ কি - আমি একটা পপুলার লেয়াউটের অনলাইন ভার্সন বানাইছি ২০০২ সাল (আসকি ভার্সন) এই জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়া। আপনার নিজেরই তো তখন ইউনিকোড বা অনলাইন ভার্সন ছিল না। পাবলিকে লিনাক্সে বিজয়ে লিখতে পারত না। পরে আমার এই স্ক্রিপ্ট দিয়া কিছুটা হলেও লিখতে পারছে, সো আলটিমেটলি আপনার বিজয়েরই কিছুটা প্রচার হইছে। উনি কন - আমার বিজয়ের আর কোনো পপুলারিটির দরকার নাই, অনেক পাইছি। আমি ভাবসিলাম কইয়া ফালাই তাহলে পত্রিকায় আর বিজ্ঞাপন দেন কেন বা সফট এক্সপোতেই বা স্টল ভাড়া নেন কেন।

উনি সবশেষে কইলেন স্ক্রিপ্টগুলা আপনার সাইট থেইকা সরায় নেন। আমি কইলাম সরামু কেমনে, আমার সাইটেই তো নাই - আর ২০০২ সাল থেইকা ডিস্ট্রিবিউট হয় - যাদের যাদের দরকার তারা ওয়েবেই পায়। আর একুশে থেইকা এইটা হোস্ট করা হইছে। উনি জিগাইলেন তাহলে আপনি এইটা কইরা অমি আজাদরে দিছেন? আমি কইলাম "নাহ আমি অমি আজাদরে দিমু কেন, একুশে কে দিছি। আমি অমি নামের ঐ পোলারে একদমই নাপছ্ন্দ করি (অমি তুমি আবার পইড় না এই লাইন টা, ফোনে পরে কথা কমু নে), শুধু ওর সাথে গত পাঁচ বছর ধইরা ওপেন সোর্স প্রজেক্টে কাজ করি। উনি কন আপনাদের ওপেন সোর্সে বিজয় সরান।

যাউকগা - লম্বা কথা শর্ট করি - আমারে উনি ফাইনালি কইলেন বিজয় এর স্ক্রিপ্ট বাদ দিতে - আমি কইলাম আগি আপনি আবারভুইলা যাইতাছেন আমি বিজয় ইউজ করি না বা ক্লোন ও করি না, করি ইউনিজয়। আর আপনি যে সময় সল্যুশন দিতে পারেন নাই বা যেইটা পারেন নাই সেইটা আমি দিছি, বাংলা কম্পিউটিং এর জন্যই দিছি। ব্লাহ ব্লাহ ব্লাহ

আজিব -

আমি বিজয় ইউজ ও করি না , ফোনেটিক এ লিখি। আমরা যারা ওপেন সোর্স ডেভেলপার, বা বাংলা কম্পিউটিং সত্যিকার ভালবাসি আমরা সবার জন্যই এই কষ্ট করছি। আর সত্যিকারের বাংলা প্রেমিক কখনো বাংলা একটা সাইটের অ্যাডমিনরে লিখতে পারে না "স্টপ অর আই উইল ইনফর্ম রাব" - নাহ কথাটা সত্যিই কিমুন জানি লাগে।

কি হইব জব্বার সাবের বিজয় বাদ দিলে? জে চাপলে ক আসব এইটার আবার কিসের প্যাটেন্ট হয় বা কেমনে প্যাটেন্ট হয় আমি বুঝি না। আর প্রশিকা, প্রবর্তন, লেখনি, শাব্দিক , একুশে, সৃষ্টি, আরো যত আছে, বিএন ওয়েবটুলস (অরুপ আর মাহবুব, তোমরা ডাউনলোড বন্ধ করছ কেন? থ্রেট খাইছনি? ) সবাই তো লেয়াউট দিছে বিজয়ের - আসলে কি লেয়াউটের প্যাটেন্ট হয়?? আজিব দুনিয়া - আজিব বাংলাদেশ।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হুমম... চিন্তিত

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মেহদী হাসান খান এর ছবি

এই লোকটা হঠাৎ এত খেপলো ক্যান! অদ্ভুত ব্যাপার!! আইনের মারপ্যাচ বুঝি না। রাগিব ভাই কি বলেন, ইন্টারন্যাশনালি কোন কীবোর্ড লেআউট আগে পেটেন্ট হয়েছে? এই ঘটনার বিহিত কি?

হাসিন এর ছবি

ওহ - অভ্রর কথা তো ভুইলাই গেছিলাম। অভ্র হইল আমার ফেভারিট স্ক্রিপ্ট ইন্টারফেস।

মেহদী হাসান খান এর ছবি

থ্যাংকস রাগিব ভাই।

মেজাজ ভয়াবহ খারাপ হচ্ছে। mp3 এর পেটেন্ট এর জন্য বেশ কিছু লিনাক্স সংস্করণে এর সাপোর্ট বাদ দেয়া হয়েছে (মানে বাই ডিফল্ট কোডেক ইন্সটল হয় না, তবে কেউ চাইলে করে নিতে পারে)। mp3 ফরমেটের পপুলারিটির কাছে বিজয় কিচ্ছুই না। আমাদের মনে হয় উচিত এমন কিছু করা। লেআউট এডিটর দেয়া থাকবে, যার দরকার সে নেট থেকে সংগ্রহ করে নেবে বা নিজে বানিয়ে নেবে। এছাড়া ভদ্রভাবে বাঁচার আর কোন অপশন দেখছি না।

মেহদী হাসান খান এর ছবি

সমস্যাটা অন্য জায়গায় রাগিব ভাই, মোস্তফা জব্বার রুট লেভেলের এন্ড ইউজারদের কখনই ঘাটায়নি, ঘাটাবেও না। RAB আসলে আসবে শুধু ডেভেলপারদের কাছে, যাতে বিজয় ছাড়া আর কিছু টিকে না থাকে।

বিজয় বর্জন (অথবা লাইসেন্স কিনন!) পদ্ধতিতে যাবার আগে কয়েকটা পয়েন্ট চিন্তা করে নেয়া ভাল। বিষয়টা একটু জটিল হয়ে যেতে পারে।

(১)
সরাসরি আসকি বেসড বাংলা টাইপিং এর কিছু ঝামেলা আছে, জব্বার সাহেব সেটা অনেক আগেই টের পেয়েছেন (রিচ টেক্সট ছাড়া প্লেইন টেক্সটে অনেক যুক্তাক্ষর লেখাই যায় না, ওয়েবে ব্যবহার করা যায় না ইত্যাদি)। ইউনিকোডকেও স্বাগত জানাতে পারছেন না কারণ এখানে তার মনোপলির চেষ্টা খাটবে না। তাই আলপনা যে কাজ করেছিল "বিজয় বায়ান্ন"তে জব্বার সাহেবও সেই কাজ করছেন, প্রাইভেট ইউনিকোড রেঞ্জে নিজের মত বর্ণ বসাচ্ছেন, যাতে ইউনিকোড এর কিছু সুবিধাও পান, আবার ফন্ট ইত্যাদির জন্য মানুষ আনন্দ মালটিমিডিয়ার মুখাপেক্ষিও থাকে। টার্গেটঃ প্রেস থেকে শুরু করে ওয়েব। যেহেতু ওপেন টাইপ ফন্ট তার বানানো লাগছে না তাই চলতি সব পেজ মেকিং সফটওয়্যার এ এই "প্রাইভেট ইউনিকোড" কাজ করবে।

(২)
আনন্দ মালটিমিডিয়া ব্যবসা করবে এই পদ্ধতি দিয়েই। ট্রেডিশনাল আসকি বিজয় কে নন-কমার্শিয়াল কাজের জন্য ফ্রি করে দেয়া হতে পারে। এটা আমার কল্পনা প্রসূত না। যেভাবেই হোক ওনার হাড়ির খবর কিছু কানে আসে। তবে এটা ফাইনাল করা হয়নি।

(৩)
"বিজয় বায়ান্ন" এর মার্কেটিং করা হবে কনজিউমারদের কাছ থেকে গলাকাটা দাম নিয়ে। আলটিমেটলি বিজ্ঞাপন আর ফ্রি বিজয় (যদি থাকে) এবং বিজয় সফটওয়্যার এর লজ্জাজনক প্রটেকশন (যা গণ পাইরেসীতে ইন্ধন যোগায়) এর জোরে বিজয় লেআউট টিকে থাকবে। পাবলিক ডিমান্ডও থাকবে। শেষ পর্যন্ত দেখুন, ফল সেই এক। অল্টারনেটিভ সলিউশন প্রোভাইডাররা বিজয়ের সাপোর্ট দিবেন কি দিবেন না সেই একই কনফিউশনে থেকে যাচ্ছেন। সাপোর্ট দিলে লাইসেন্স কিনতে হবে (যেটা ফ্রিওয়্যারে সম্ভব নাও হতে পারে), সাপোর্ট না দিলে বড় একটা ইউজারবেস হারাতে হবে। ইউজার না থাকলে কেউই তাদের সফটওয়্যার ডেভেলপ চালিয়ে যাবে না, বিশেষ করে যেখানে এইসব সফটওয়্যার ডেভেলপারদের অলাভজনক প্রজেক্ট। অতীতেও বহু বাংলা সফটওয়্যার এইভাবে বিজয়ের এই মনোপলির জন্য হারিয়ে গেছে।

তাই "বিজয় লেআউট" (বা এর মডিফায়েড ভার্শনগুলো, জাতীয় লেআউট বাদে) বাদ দেয়ার সাথে সাথে অল্টারনেটিভ সলিউশনগুলোর মার্কেটিং এর দিকে আরেকটু বেশি মন দেয়া দরকার বলে মনে হয়। তবে অবশ্যই আগে বিজয় বাদ দিয়ে, এক ফিচার দেখেই জব্বার সাহেব যা করছেন, বিজ্ঞাপন প্রচারিত হলে যে থ্রেট না দিয়েই সরাসরি RAB পাঠিয়ে দেবেন তাতে কোন সন্দেহ নাই।

আশার কথা এই যে গভঃ লেভেলে এমনকি সরকারি সব অফিসে এখন ইউনিকোড প্রচলনের কথা ভাবা হচ্ছে। আশা করি কাজও শুরু হয়ে যাবে খুব শিঘ্রই। ফলো করার জন্য শুধু জাতীয় কোন নির্দেশনা আমাদের দরকার, খুব জলদি দরকার।

অয়ন এর ছবি

এই পোস্ট এবং সংশ্লিষ্ট সকল মন্তব্য জব্বার সাহেবকে মেইল করার অনুরোধ রইলো।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

খাল কাইট্যা কুমীর আনার দরকার আছে?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অয়ন এর ছবি

আমি আসলে জব্বার সাহেবকে ব্লগিং ব্যাপারটাতে উত্ সাহী করতে চাচ্ছি। আমাদের প্রযুক্তি ফোরামে তার হুমকিমূলক পোস্টটি দেখে আশা করা যায় কিংবদন্তি হাবীব মহাজনের চেয়ে তিনি কম বিনোদনদায়ক হবেন না । এছাড়া বাংলাদেশের প্রথম পাচজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একজন হওয়ার তার সমূহ সম্ভাবনা।

হিমু এর ছবি

হেবোএমজে বা হেবোজয়।


হাঁটুপানির জলদস্যু

বজলুর রহমান এর ছবি

আমি কখনো বিজয় দেখি নি।
আগে বংলা সফটওয়েয়ার বলতে ফন্ট তৈরি আর টাইপ করাই একমাত্র কাজ ছিল। এক সভাতে বহুদিন আগে বলেছিলাম, আমরা কি শুধু ফন্টেই আঁটকে থাকব? বাংলাতে OCR বা Voice recognition এর সফটওয়েয়ার কবে হবে? শুনে খুশি হলাম যে কোথাও কোথাও সেই কাজ শুরু হয়েছে।

আমার নিজের বা অফিসের ব্যক্তিগত কম্পিউটারে বিজয় দেখলেই আমি সব সময় মুছে দিয়েছি। বড় বেশি আগ্রাসী মনে হত আমার কাছে, বিচ্ছুর মত লেগে থাকত, সব কাজে ব্যাঘাত হতো।

বহুদিন আগে এক ভারতীয় ভদ্রলোক প্রথম একটা ফোনেটিক সফট ওয়েয়ার বিনামূল্যে ওয়েব-এ দিয়েছিলেন, নামটা এখন মনে নেই। সেটাতে ইচ্ছামত ক্যারেক্টার ম্যাপ বসিয়ে যে কোন ভাষার যে কোন ফন্টে টাইপ করা যেত। সেটাই ব্যবহার করতাম। তারপরে আসে IWrite নামে আরেকটি একই রকম জিনিস।
অভ্র এদের চাইতে ভালো ,তবে খন্ড ত এর বিষয়টা আমার কাছে খোলাসা হয় নি।

বিপ্রতীপ এর ছবি

বাংলা কম্পিউটিং নিয়ে যারা কাজ করছেন এবং সমমনা সম্পন্ন সবাইকে নিয়ে কি কোন জাতীয় দৈনিকে যৌথ বিবৃতি দেয়া যায় এ ব্যাপারে? তাহলে মনে হয় ভালো হয়...
আমি তাহলে এ ব্যাপারে কোন পত্রিকার সাথে যোগাযোগ করবো। আমরা মুনির হাসানের সাথেও যোগযোগ করছি...। মনে হয়
তিনি সাহায্য করলে প্রথম আলো-তে একটি বিবৃতি দেয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সবাইকে নিয়ে একটা গ্রুপ করি চলেন। তারপর একটা ভাল ইনিসিয়েটিভ নেই। আলোচনায় বসলে আমারে খবর দিয়েন। সাহায্য লাগলে জানাবেন।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হিমু এর ছবি

ভাই বিপ্র,

হাতে সময় থাকলে কম্পিউটারে বাংলা বর্ণমালার ইতিহাস নিয়ে একটা ভালো প্রবন্ধ লিখে সচল-প্রযুক্তি-বাংলাউইকিতে এক সাথে ছাড়ো।

ভাই মেহদী,

অজবি নামায় ফেলেন। তবে পেটেন্ট করে তকলিফ দিয়েন না। হেবোজয় হওয়ার দরকার নাই।


হাঁটুপানির জলদস্যু

রাজু এর ছবি

আমার মতে এ বিষয়টা বিজ্ঞ(?)(!) সরকারী লোকদের (যারা ওই মহাজ্ঞানী লোকটাকে প্যাটেন্ট দিয়েছেন) দৃষ্টিতে আনা দরকার। এ জন্য সবচেয়ে বড় দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে সাংবাদিকদের। আমার মনে হয় এখানে এরকম অনেকেই আছেন।

তার প্রতি কৃতজ্ঞতা ছিল এতদিন। ধীরে ধীরে সেটা তিক্ততায় ভরে যাচ্ছে।

হাঙ্গরিকোডার

বিপ্রতীপ এর ছবি

@মাহবুব ভাই,
এ ব্যাপারে অমি আজাদ, হাসিন ভাই এবং আপনারা আগে উদ্যোগ নিলে ভালো হয়। আর আমরা আগামী ২/৩ দিনের মাঝে BOSN-এর মুনির হাসান সাহেবের সাথে দেখা করবো। উনার সাথে এ ব্যাপারে আলাপ করবো।
@ হিমু ভাই,
১ তারিখ থেকে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা তাই ইচ্ছে স্বত্বেও অনেক কিছু করতে পারছি না। তবে টার্ম ফাইনালের পর বাংলা কম্পিউটিংয়ের ইতিহাস নিয়ে অবশ্যই কিছু লেখার চেষ্টা করবো।

@কোডার ভাই
আপনিও নিশ্চয়ই ভুক্তভোগী। খুলনার জ্ঞান মেলায় আপনাদের মোস্তফা জব্বার প্রেজেন্টেশন করতে দেয়নি।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

যতটুকু জানি, ১৯৮৮ সাল থেকে বিজয় ব্যবহার শুরু হলে আজ ১৯ বছর পর পেটেন্টশীপ নিয়ে কোন ক্যাচাল জব্বার সাহেব করতে পারবেননা ...পেটেন্টশীপ সাধারনত এত লম্বা সময় কার্যকর থাকেনা ... এইটারে কাজ করাইতে হলে জব্বার সাহেবকে বহুত আইনি ঝামেলা দিয়া যাইতে হবে চোখ টিপি ... কেউ ভালমতো খোঁজ নিতে পারেন বাংলাদেশে মার্কেটাইজড হবার কতদিন পর পর্যন্ত পেটেন্টশীপ কার্যকর থাকে ....
তবে, কী বোর্ডের লেআউটের পেটেন্টশীপ জিনিসটাই তো হাস্যকর ...হো হো হো

আয়রনিটা হইল, এক জব্বার ভাষার জন্য প্রাণ দিছিলেন, আরেক জব্বার ভাষার বিস্তারে বাঁধা দেন ,,,পেটেন্ট কইরা ব্যাটার নামটা বদলাইয়া দেওয়া গেলে ভাল হইত চোখ টিপি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

আলমগীর এর ছবি

জব্বার সাহেব প্রতিনিয়ত একে ওকে ধমক দিয়ে যাবেন এবং অনেক ডেভেলপার ঝামেলা এড়ানোর জন্য কাজ করা বাদ দিবে।
রাব পাঠানো মনে হয় না বিশেষ কঠিন কিছু কাজ- দেশের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে।

আমার বিশ্বাস:- তার পেটেন্ট বৈধ না। লেআউট কপিরাট আইনের মধ্যে পড়ে না। তবে তার সফটওয়ার অবশ্যই কপিরাইটের মধ্যে পড়ে।

আমার প্রস্তাব:- একটা ফান্ড গঠন করা, আর তার বিরুদ্ধে মামলা করা। পেটেন্ট অফিসও বিবাদী হবে। আর পেটেন্ট মামলার যদি কোন কারনে হার হয়, তবে, তার পেটেন্ট ব্যবহারের অধিকারের জন্য মামলা করা। আমরা রয়্যালিটি দিয়ে তার লেআউটযুক্ত সফটওয়ার বানাবো। জনস্বার্থের মামলা।

আলমগীর

বিপ্রতীপ এর ছবি

এই লে-আউটটি নিয়ে তিনি নিজেই বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন
। তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, নির্বাচন কমিশন সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এসব বিতর্কের নিস্পত্তি না করে লে-আউটটিকে কিভাবে শিল্প মন্ত্রণালয় প্যাটেন্ট করলো তা প্রশ্নবোধক...

@ আলমগীর ভাই
এই প্যাটেন্টকে চ্যালেঞ্জ করে যে কেউ মামলা করতে পারেন।তবে আমি হার হলে তাকে রয়্যালিটি দিয়ে সফটওয়্যার বানানোর পক্ষপাতী নাই। কারন, বিজয় লে-আউটটি আমার মতে ব্যবহার বান্ধব নয়।
বিজয় না হলে চলবে না এমন কিছু মানতেও আমি রাজী নই। তবে বিজয় প্রচলণ উঠে গেলে অনেক পেশাদার কম্পিউটার টাইপিস্ট চাকরি হারাবেন। কারন, তারা বিজয়েই বেশি অভ্যস্থ।

বিপ্রতীপ এর ছবি

BDOSN এর মুনির হাসান সাহেবের সাথে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের পরীক্ষার কারনে সাময়িকভাবে জটিলতা এড়াতে কি-বোর্ডটি সাময়িক প্রত্যাহারের পরামর্শ দিয়েছেন। তাই আজ আমরা সাইট থেকে আজ সাময়িকভাবে কি-বোর্ড প্রত্যাহার করছি। তবে এ ব্যাপারে আমরা পরে ব্যবস্থা নেব।

এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেয়া হয়েছে ফোরামে। সেটা পরবর্তীতে কোন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।এ ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে, দেখা যাক কি হয়। এ ব্যাপারে এখানের সাংবাদিক ভাইয়েরাও ভূমিকা রাখতে পারেন।
একুশে ইউনিজয় লে-আউট এবং মোস্তফা জব্বারের অভিযোগ প্রসঙ্গে
গত ১৯ অক্টোবর, ২০০৭ দৈনিক প্রথম আলো-তে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রথম অনলাইন ফোরাম আমাদের প্রযুক্তি সংক্রান্ত রিপোর্ট ‘আমাদের ভাষায় আমাদের প্রযুক্তি’ প্রকাশ হবার পর আনন্দ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার জনাব মোস্তফা জব্বার আমাদের প্রযুক্তি টিমের সদস্যদের ফোন করে জানান, আমাদের সাইটে ওয়েবভিত্তিক ইউনিজয় কি-বোর্ডটি আনন্দ মাল্টিমিডিয়ার বানিজ্যিক সফটওয়্যার বিজয়ের লে-আউটের হুবুহু নকল এবং কি-বোর্ডটি সরিয়ে নেয়ার জন্য আহবান জানান এবং নাহলে উকিল নোটিশ পাঠানোর কথা বলেন। এর উত্তরে আমরা তাকে জানিয়েছিলাম, ২০০২ সাল থেকেই এই উন্মুক্ত ওয়েব ভিত্তিক কি-বোর্ডটি বিনামূল্যে বিতরন করছে ওপেন সোর্স প্রতিষ্ঠান একুশে এবং এরপরেও যদি তা বিজয়ের নকল হয় তবে তা আমরা দেখবো এবং এ দাবি সত্য হলে তা সরিয়ে নেয়া হবে। তবে পুজার ছূটিতে সাইটের ডেভোলাপার টিমের সদস্যগণ ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় এক সপ্তাহ সময় লাগবে এ কাজে। তিনি এ ব্যাপারে সম্মত হন। কিন্তু এর পরদিনই (২০ অক্টোবর, ২০০৭) আমরা দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করলাম, জনাব মোস্তফা জব্বার ফোরামে সদস্য হিসেবে নিবন্ধন করে একটি পোস্টের মাধ্যমে দাবি জানান, আমরা নাকি বিজয় সফটওয়্যারের পাইরেসির সাথে যুক্ত এবং আমরা আমাদের প্রযুক্তি সাইট বন্ধ না করলে বিষয়টি র‌্যাবকে জানাবেন।

ছবিঃ মোস্তফা জব্বারের হুমকি সম্বলিত পোস্ট যা এখন মডারেশন জোন থেকে সরিয়ে পুনরায় অভ্যর্থনা বিভাগে আনা হয়েছে।

ইতোমধ্যে দেশ এবং দেশের বাইরে অনেক বাংলা ভাষাভাষী মানুষ এই উদ্যোগটিকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এই কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত হবার ইচ্ছে ব্যক্ত করেছেন। মোস্তফা জব্বারের মতো একজন প্রবীণ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে আমাদের প্রযুক্তি-র মতো একটি কর্মকান্ডের প্রতি এ ধরনের অসহনশীল আচরণ বা হুমকি আমাদের ব্যাতীত ও হতাশ করেছে। তাছাড়া তিনি কি-বোর্ডটি সরিয়ে নেয়ার দাবি না জানিয়ে সরাসরি সাইট বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন যা আপত্তিকর এবং অশোভন। তার মতো একজন প্রবীন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কোনভাবেই কাম্য নয়।

উল্লেখ্য, মাসিক টেকনোলজি টুডে অক্টোবর ২০০৭ সংখ্যায় একটি কলামে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও তিনি অভিযোগ এনেছেন, তারা ভোটার তালিকার কাজে বিজয় কি-বোর্ড লে-আউটের নকল কি-বোর্ড ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের বিরুদ্ধেও এ ধরনের অভিযোগ এনেছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে তিনি কোন ধরনের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেননি, কিন্তু আমাদের তিনি বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির ইতিহাসে এর আগে এ ধরনের অশোভন হুমকি আগে কোথাও দেয়া হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। যেখানেই বাংলা কম্পিউটিং বা কি-বোর্ড সংক্রান্ত কাজ হয়েছে সেখানেই জনাব মোস্তফা জব্বার অভিযোগ জানান তা বিজয়ের নকল এবং সেই কাজের ডেভোলপারকে হয়রানি করার চেষ্টা করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় তিনি বিশেষজ্ঞ কলামের নামে বিভিন্ন আইটি পত্রিকায় রাজনৈতিক কলাম লেখেন। এসব কলামে অনেক সময় দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতিও তার অশোভন উক্তি থেকে রক্ষা পান না। অর্থ্যাৎ এক বিজয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে তিনি ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলেছেন যা দুঃখজনক। এ ব্যাপারে যথাযথ কতৃর্পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মোস্তফা জব্বার আমাদের বিরুদ্ধে পাইরেসির অভিযোগ করেছেন যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারন, আমরা কোন লাইসেন্সবিহীন বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করিনি, ব্যবহার করেছি একুশের ইউনিজয় ওপেনওয়্যার। যদি একুশের ইউনিজয়ে বিজয়ের লে-আউট ব্যবহার করা হয় তবে এর সকল দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণ বিতরনকারী হিসেবে একুশে বহন করবে, ব্যবহারকারীরা নয়। ইউনিজয়/ইউনিবিজয় এ বিজয়ের কপিরাইট প্রযোজ্য নয়। আমরা মনে করি আমাদের সাইটে বিজয় বাংলা সফটওয়্যার, প্রিন্টেড কী-বোর্ড, বিজয় লে-আউট কোথাও কপি করা হয়নি। কারন, একুশে বাংলার অফিসিয়াল সাইটে স্পষ্ট লেখা রয়েছে-এই স্ক্রিপ্টের সাথে মোস্তফা জব্বার বা আনন্দ মাল্টিমিডিয়ার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এছাড়া সুপরিচিত বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার অভ্রতেও ইউনিবিজয় নামে একটি কি-বোর্ড রয়েছে। তাছাড়া আমরা একুশের ইউনিজয় লে-আউটের সাথে বিজয়ের বেশ কিছু পার্থক্যও দেখেছি। যেমনঃ
১। একাধিক কি ভিন্ন। যেমন x চাপলে আসে ো।
২। এ-কার, ই-কার, ও-কার এগুলো ভিন্ন। ইউনিজয়ে অক্ষরের পরে চাপতে হয়। এতে করে প্রায় সমগ্র লে-আউট টাই বদলে যায়।
এসব পার্থ্যকের কারনে আমাদের প্রযুক্তি টিম মনে করে না ইউনিজয় কি-বোর্ডটি কোনভাবেই অবৈধ। তাই আমরা এ ব্যাপারে একুশের প্রতি নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছি।


ছবিঃ ইউনিজয়ের সাথে মোস্তফা জব্বারের কোন সম্পৃক্ততা নেই (সূত্রঃ একুশে)

জনাব মোস্তফা জব্বার প্যাটেন্ট ভঙ্গের কথা বলেছেন। তবে এ ব্যাপারে আমরা কিছু কথা বলতে চাই-
১. ্‌+া=আ, ক+্‌+ক=ক্ক । বিজয়ে যুক্তাক্ষর লেখার নিয়ম ইউনিকোডে র সাথে হুবহু মিলে যায়। ইউনিকোড একটা চলমান স্ট্যান্ডার্ড, এর কোন খন্ডাংশের পেটেন্ট বাংলাদেশের পেটেন্ট অফিস যদি না জেনে তাকে দিয়েও দেয়, সেটার বৈধতা নিয়ে অবশ্যই যে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন।
২. বিজয় লে-আউটঃ g+f = আ, j+g+j = ক্ক। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের জাতীয় কীবোর্ড লেআউটের বিরুদ্ধেই পেটেন্ট না মানার অভিযোগ আসে। এখন পর্যন্ত এই কি-বোর্ডটিও বৈধ হিসেবে বিবেচিত।
৩. যেহেতু, মোস্তফা জব্বার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে তার কি-বোর্ড লে-আউট ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন(অভিযোগের তালিকায় নির্বাচন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানও আছে) সেহেতু বিষয়টি কিছুটা হলেও বিতর্কিত। এ বিতর্কের অবসান না করে প্যাটেন্ট কেন দেয়া হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়।
৪. আমরা মনে করি, কি-বোর্ডের লে-আউট প্যাটেন্ট করার প্রবণতা দেশের সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশ এবং ওপেন সোর্স ও বাংলা কম্পিউটিং –এর অগ্রযাত্রাকে স্থিমিত করে দেবে। এ ধরনের প্যাটেন্ট করায় আমাদের মতো দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী কয়েকজন মুনাফাখোর ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে। সারা বিশ্ব যখন সফটওয়্যার প্যাটেন্টের বিরুদ্ধে সোচ্চার তখন আমাদের দেশে একটি কি-বোর্ড লে-আউটকে এভাবে প্যাটেন্ট করে এমন একটি অসুস্থ প্রবণতাকে উৎসাহিত করার বিষয়টি দুঃখজনক।

তিনি জানিয়েছেন, আমরাই নাকি তার চোখে এই লে-আউটের প্রথম ব্যবহারকারী যা সম্পূর্ণ ভূল। এখন পর্যন্ত স্যামহোয়ারইনব্লগ, সচলায়তন, প্রজন্ম ফোরাম সহ বাংলা ভাষার বেশ কিছু জনপ্রিয় ইউনিকোডভিত্তিক বাংলা ওয়েব সাইটে বেশ কিছুদিন ধরেই এই লে-আউট ব্যবহার হয়ে আসছে। একজন প্রবীণ আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে তার তা দৃষ্টিগোচর হবার কথা। তাছাড়া একুশে নামক ওপেন সোর্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেও তার না জানার কথা নয়। এরপরেও তিনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে সে সম্পর্কে আমরা তাকে খোঁজ খবর নেয়ার জন্য এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিনীত অনুরোধ করবো।

আজ পর্যন্ত একুশে সাইটে ইউনিজয়ের বিনামূল্যে বিতরন সম্পর্কে জনাব মোস্তফা জব্বার কোন ধরনের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেননি বা প্যাটেন্ট ভঙ্গ হয়েছে এ অভিযোগে কোন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাও কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। আর যতক্ষণ পর্যন্ত বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযোগ আনা হয়নি ততোক্ষণ পর্যন্ত ইউনিজয়ের বিতরণ ও ব্যবহার বৈধ। তাই ইউনিজয় কি-বোর্ডের ব্যবহারকারী হিসেবে আমরা মনে করি, এতোদিন বৈধভাবেই আমরা ইউনিজয় লে-আউটটি ব্যবহার করে আসছি এবং ওপেন সোর্স হিসেবে এটি ব্যবহারে আমাদের নৈতিক অধিকার আছে। তবে আমাদের প্রযুক্তি সবসময়ই দেশের প্রচলিত কপিরাইট এবং মেধাস্বত্ত্ব আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ইউনিজয় কি-বোর্ড সম্পর্কে কোন চূড়ান্ত ফয়সালা না হওয়া আমরা এই লে-আউটটি আমাদের প্রযুক্তি সাইট থেকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করছি। জনাব মোস্তফা জব্বার যদি একুশে –এর বিরুদ্ধে কোন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ না করেন বা তিনি যদি প্রমান করতে না পারেন যে /৭ইউনিজয় কি-বোর্ডের মাধ্যমে বিজয় কি-বোর্ডের লে-আউট প্যাটেন্ট ভঙ্গ হয়েছে (বিষয়টি কিভাবে নিস্পত্তি হবে তা নির্ভর করছে একুশে এবং আনন্দ মাল্টিমিডিয়ার উপর) তবে আগামী ১ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখ থেকে এই কি-বোর্ডটি পুনরায় এই সাইটে ব্যবহার করা হবে।

আমরা আশা করি, আমাদের প্রযুক্তি’র মতো একটি উদ্যোগের সাথে একজন প্রবীণ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে জনাব মোস্তফা জব্বার এর সাথে একাত্মতা ঘোষনা করবেন এবং এর প্রতি সহনশীলতা বজায় রেখে যেকোন ধরনের হুমকি প্রদান থেকে বিরত থাকবেন এবং এর অগ্রযাত্রায় পূর্নাঙ্গ সহায়তা করবেন।

ইউনিজয় কি-বোর্ডটি সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করায় আমরা ফোরামের সদস্যদের প্রতি আমরা আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। সাময়িক সমস্যা হলেও আমরা আশা করবো আমাদের প্রযুক্তি পরিবারের সদস্য হিসেবে আপনারা ধৈর্যের সাথে বিষয়টি বিবেচনা করবেন এবং যেকোন ধরনের আপত্তিকর বা অশোভন মন্তব্য থেকে বিরত থেকে আমাদের প্রযুক্তি ফোরামের সুনাম অক্ষুন্ন রাখবেন।

ধন্যবাদান্তে,
আমাদের প্রযুক্তি টিম
www.amaderprojukti.com

নুভান এর ছবি

দেশ স্বাধিন হইয়াছে, বিজাতীয় পরাধিনতার শৃংখল হইতে মুক্তি পাইলেও সাম্রাজ্যবাদীদের হাত হইতে এখনো জাতী মুক্ত হয় নাই। যাহারা তরুনদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে চান তাহাদেরকেই কিছু মুনাফাখোর নব্য দাঁদন ব্যবসায়ী তাহার মনোপলিকে অক্ষুন্য রাখিবার জন্য ঘৃন্য ভাবে অপদস্থ ও হুমকি প্রদান করিতেছে। এহেন ঘৃণ্য মনোঃবৃত্তি সম্বলিত লোক দেখিলে বোধকরি ব্রিটিশরাজ-ও চমকাইয়া উঠিত।

মানচুমাহারা এর ছবি

হাসিন ভাই আপনাকে জানিয়েছিলাম বিষয়টা। মোস্তফা জব্বার প্রথমে বিপ্রকে ফোন করার পর আমাকেও একই বিষয় নিয়ে ফোন করলে আমি প্রথমেই নাকচ করে দিয়েছিলাম যে বিজয়ের সাথে ইউনিজয়ের কোন সম্পর্ক নাই। ইউনিজয় অবৈধ নয় এবং কোন ভাবেই বিজয়ের প্যাটেন্ট ভংগ করে না। এর পর আমাদের প্রযুক্তি ফোরামে উনার হুমকিই প্রকাশ করে কতো খানি ছোট মন মানসিকতা তার, আর এটা কে না জানে আগে থেকেই !

ধন্যবাদ সবাইকে যারা এই পোস্টে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করেছেন। আশা করি যারা বাংলা ভাষাকে ভালোবাসেন , বাংলা কম্পিউটিং নিয়ে কাজ করেন সবাই মিলে বাংলা কম্পিউটিং এর উপর হুমকিকে মোকাবলা করবেন। ভাষা হোক উন্মুক্ত। কিবোর্ড লেওয়াটের প্যান্টেন্ট বন্ধ করা হোক।

ধন্যবাদ
সবুজ কুন্ডু aka মানচুমাহারা

বিপ্রতীপ এর ছবি

লে-আউট প্যাটেন্টের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা প্রয়োজন।

------------------------------------------
মুনাফাখোর নিপাত যাক
বাংলা কম্পিউটিং মুক্তি পাক

ওমর ওসমান এর ছবি

"আকাশ ভেঙ্গে মাথায় পড়বে" -- এমন যাদের ভীতি, ঘরে বসে থাকুন। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে ছাতি নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

বিজয় নিয়ে অন্ধভক্তি কিংবা অ্যান্টি-বিজয়-গিরি হলো নেই কাজ তো খই ভাজ...

যার যার মতো কাজ করে যাই, ছাতি সঙ্গেই আছে, জব্বার নোংরা পানি ছিটালে দেখা যাবে...ওঁর কথায় কান দিলে সময় নষ্ট...

সৌম্য মুখার্জ্জী এর ছবি

আমি এখানে একেবারেই নতুন। গুগুলে আমার সাইট নিয়ে সার্চ করতে গিয়ে আমি এই ব্লগের খোঁজ পাই। মেহেদি হাসান খান আমার বাংলায় ওয়েবসাইট তৈরী নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন সেটি আমার খুবই উৎসাহবর্ধক বলেই মনে হয়েছে। এটা সত্যি যে আমি www.banglalovers.4t.com- ওয়েবসাইটটি বানিয়েছিলাম এবং সেটি চেকিং করার জন্য মেহেদি হাসান খান এবং মোস্তাফা জব্বার দুজনকেই মেল করি। উত্তরে মোস্তাফা জব্বার যখন আমায় বলেন যে আমি অভ্র এবং 'বাংলা ফন্ট' ব্যবহার করে পেটেন্ট রাইট ভেঙ্গেছি তখন আমি একটু হলেও অবাক হয়েছিলাম। তাই আমি মোস্তাফা জব্বারের মেলটি মেহেদি হাসান খানকে ফরোয়ার্ড করে দিই। পরে তার উত্তর পাবার পর এবং অমিক্রন ল্যাব ফোরাম আরও অনেকের মন্তব্য শোনার পর আমি বুঝতে পারি যে মোস্তাফা জব্বার আমায় যে ভয়টি দেখিয়েছিলেন সেটি অমলূক। আমি আবার একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরী করেছি।
http://www.banglalovers.110mb.com
যেখানে আমি আবার অভ্র এবং সোলাইমানলীপি ফন্ট ব্যবহার করেছি। এবার যদিও বা যানিনা এটা বিজয়ের কপিরাইট ভাঙছে কিনা। তবে আমি আমার চেষ্টা চালিয়ে যাব।

আর অসংখ্য ধন্যবাদ অভ্র-র স্রষ্টাদের যারা আমাদের মত শিক্ষানবিশ-দের বাংলায় কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন নিজের ইচ্ছেমতন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।