আজ ৩১শে মে, ২০১৩।
না, এমনিতে কোন বিশেষ দিন নয়। কিন্তু একজন মানুষের কাছে আজকের দিনটা খুব মন খারাপ করা, ভারি হয়ে ওঠা একটা দিন। তিনি একজন সাধারন মানুষ, খাটো উচ্চতার একজন মধ্যবিত্ত স্কুলশিক্ষক। আজ তাঁর অবসরগ্রহণের দিন।
আজকাল মাঝে মাঝেই নিজেকে খুব অসহায় লাগে। জাপটে ধরে নিরাপত্তাহীনতা। মনে হয় দিন দিন যেন বেঁচে থাকাটা আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন শুনতে হয় এদিক-ওদিক, খুচরো-বড়, চেনা-অল্প চেনা- অচেনা মৃত্যুর অথবা জীবনের বিপন্নতার খবর। ছোটবেলায় গাছপালা, পশুপাখি, দাদু-দিদা মিলিয়ে মিশিয়ে প্রাণের যে বি-শা-ল বৃত্ত ছিল, তা যেন ছোট হতে হতে আমাকে ফাঁস হয়ে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলছে। কি জানি হয়তো তখনও চারপাশটা এরকমই ছিল, শুধু আমার চোখে ছিল রঙ-চশমা।
বিল্টুকে আপনারা সকলেই চেনেন। ও শহরের বড় রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে লিফলেট বিলি করে। আমাদের ব্যস্ততার সময়ে অপ্রয়োজনীয় লিফলেট বাড়িয়ে দিয়ে বিরক্ত করে। ওর নাম হয়ত শহর থেকে শহরে পালটে যায় কিন্তু ব্যাপারটা একই থাকে। আমরা অনেকেই এইসব উটকো ঝামেলা পাত্তা দিই না, অনেকে হাতে নিয়ে একটু সামনে গিয়ে ফেলে দিই আবার কেউ কেউ মাঝে মধ্যে দু-একটা লিফলেট পকেটেও পুরে ফেলি। যাই হোক, কথা হচ্ছিল বিল্টুকে নিয়ে।
এতগুলো পর্ব ধরে যাঁরা সাথে থেকেছেন, পড়েছেন, মন্তব্য করেছেন তাঁদের প্রত্যেককে আমার আর নাসিরের তরফ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে শুরু করছি শেষ পর্ব। রোজকার জীবনে হারিয়ে থাকা একটা ছেলের জীবনের গল্পকে আপনারা যে ভালোবাসা দিয়েছেন তা সত্যিই তুলনাহীন।
পর্ব ১ ।। পর্ব ২ ।। পর্ব ৩ ।। পর্ব ৪ ।। পর্ব ৫
মনে হচ্ছিল সচলায়তনের আরও অনেক সিরিজের মত আমারটারও অপমৃত্যু ঘটবে। তবে আমাকে আশ্চর্য করে আই,সি,ইউ থেকে ফিরে এল সেই কলার উঁচু ছেলেটা। এবারে পর্ব ছয়।
পর্ব ১ ।। পর্ব ২
(আপনাদের দাবিতে এবারের পর্বটাকে একটু বড় করে পোষ্ট করলাম। আশা রাখি আপনাদের প্রশ্রয় থেকে বঞ্চিত হব না।)