চুমু - ২
---------------------
কসমেটিক্স প্লাবনে হারিয়ে গেছে লাবন্য
আমাদের চেনা প্রিয় অবসরের দিনে
জাকিয়ে বসেছে শীত; যেন দুর্দান্ত ঘুমোনোর দুপুরে
দরজায় কড়া নাড়ে অনাকাঙ্খিত অতিথি!
মাংসের উপমা নিয়ে মেধার মাঝে
ঢুকে গেলে জোড়া পাপ
গভীর স্থলনে আমার খুব ক্লান্ত লাগে।
স্তব্ধতার ঋজু গাছে থোকা থোকা
অবিশ্বাস; আলিঙ্গনের কেন্দ্র বরাবর দূরত্বের
মর্মভেদী জ্যা,
চুমু
---------------
গোলাপি ঠোঁট ঘুমুচ্ছে।
প্রজাপতি ছুঁয়ে যাচ্ছে ছায়া-শরীর;
আয়নায় সব প্রাপ্তি স্পর্শহীন।
জানালায় জোড়া চোখে আজ শুধুই
অভিমান থাকবে;
ছাদে নব্য শালিক জুটি এক হয়ে
শরীর মেলায় আড়ালে।
শৈল্পিক সংজ্ঞা নেহায়াৎই অনুপস্থিত।
ডমিনাস শপে একদিন
__________________
চৌকোনা টেবিলের মুখোমুখি একলা
ডমিনাস শপে, নীচে
মোজাইক আকাশ, ঝকঝকে কৈশরের মতো
কাঁটা চামচের সঙ্গীত ও
অনুরোধের গানের সুর য্যানো অবিরাম মেনুর
আমি একটি কাঁচপোকা ভালোবেসেছিলাম
__________________________________
রঙিন শিকলে আমার শৈশব বাঁধা পড়ে আছে
দামাল উড়ন্ত ঘুড়িতে বাঁধা পড়ে আছে স্নিগ্ধ সুসময়
একদিন আমি খুব আয়োজন করে প্রেমে পড়েছিলাম
একটি কাঁচপোকার;
স্বচ্ছ জলছাপের মতো অথবা চিবুকে জমা আর্দ্র
ঘামের মতো; এই কবিতার প্রতিটি বিচ্ছিন্ন শব্দের মতো
একটি কাঁচপোকা ঢুকে গিয়েছিল আমার ভালোবাসার ঘরে -
তখনো জানতামনা নারী বা নারী-দেহ ভালোবাসায়
আরো সুখ। আমাকে নির্দ্বিধায় বোকা বলতে পারো
সত্যিই আমি ব্যপক ফলনের মতো
ভালোবেসেছিলাম একটি ছোট্ট কাঁচপোকা।
এক মুঠো সোনালি জরি
_____________________
মেঘের কাছে চিঠি দিও
অম্লভাব চোখের জমিনের কোমল ছোঁয়ায়
লবন শুষে নাও অমল রুমাল
হাওয়ায় উড়িয়ে দাও মলিন মখমল। মল বাজাও । মল জড়ানো
ভেজা পায়ে গোলাপের ঘ্রান জড়িয়ে নাও
যে চুড়ি বাজে না, শুধু কাঁচ হোক
ছড়িয়ে দাও শস্য ক্ষেতে
কিছু দানা হোক, কিছু দেনা হোক
অসময়ের খামে।
মেঘের কাছে চিঠি দিও
আজ সারাদিন পাখিদের স্নান -
আমরা দুজন শুধু বারান্দা!
লেখক: ক্রেসিডা