প্রবাস জীবনের কাটানো এটা আমার দ্বিতীয় শীতকাল। গত বছর এসে প্রচন্ড শীতে হাত, পা, মাথা, কল্লা সব লক হয়ে গেছিল। কি করব ভেবে না পেয়ে দুইবেলা স্যুপ খেতাম আর বাকি সময়ে চুপচাপ বসে পিঁপড়া হলাম না কেন, মনের দুঃখে তাই ভাবতাম। প্রথম প্রথম আসার পর ঠান্ডা সহ্য করতে বেশ কষ্ট হয়েছিল, তখন ডাক্তার বলেছিল, যত ঠান্ডাই থাকুক না কেন প্রতিদিন অন্তত পনের মিনিট বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে। কি যন্ত্রনার কথা!
পার্টনার’স ইন ক্রাইম বলতে যা বোঝায় মৌলী আমার জীবনে তাই। সেই স্কুলে থাকতে লালমাটিয়ার ভাঙা বাড়ির কালো বিড়ালের রহস্য উদ্ঘাটন থেকে শুরু করে হিল্লিদিল্লী হয়ে রাজস্থান ঘুরাঘুরি সব তার সাথে। কোন এক ঝুম বৃষ্টির সন্ধ্যায় ভিজে ভিজে গেলাম তার অফিসের সামনে চা আর সিঙ্গারা খেতে। চা খেয়ে গল্প করতে করতে বাসায় ফিরব দুইজনে এই রকমই প্ল্যান ছিল।
বই পড়তে আমার বেশ সময় লাগে, কিংবা বলা যায় বেশ সময় নিয়ে আমি একেকটা বই পড়ি। অনেক সময় একেকটা বই তিন মাস চার মাস ধরেও পড়তে থাকি। আবার এক সাথে তিন চারটা বই পড়তে থাকি। বেশিরভাগ বই পড়ুয়াদের দেখেছি একটা বই এক নিঃশ্বাসে শেষ করে ফেলে। আমি এভাবে পড়তে পারি না সব সময়। একখান বই অর্ধেক পড়ে আবার আরেকটা পড়তে শুরু করি। আবার আরেকটা, আবার আরেকটা, আবার হয়ত প্রথমটাতে ফিরে গেলাম, এরপর আবার তৃতীয়টা, তা থেকে দ্বিতীয়টা।
রন্টুকে নিয়ে লিখতে গিয়ে হঠাৎ আবিষ্কার করলাম সচলের সাথে আমার সম্পর্ক প্রায় দুইবছরের বেশি সময় পাড় হয়ে গেছে। কারন রন্টুকে নিয়ে যখন প্রথম লেখা শুরু করেছিলাম তখন তার বয়স ছিল ছয়, এখন সে আট প্লাস।
আজকালকার ডিজিটাল বাচ্চাকাচ্চার একজন রিপ্রেসেন্টেটিভ রন্টুর সাথে যাদের আগে পরিচয় হয়নি তারা জেনে রাখুন আমাদের বিশাল যৌথ পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্য রন্টু সব সময়েই আমাদের সবার থেকে একধাপ এগিয়ে।
ঢাকা শহরে আমার মত হতদরিদ্র মানুষদের নিত্যদিনের চলাফেরায় বাসের বিকল্প নেই। সিএনজি চালকদের ভাবসাব দেখে কিছুটা আঁচ করা যায় আগেকারদিনের রাজাবাদশাদের আচরণ কেমন ছিল। আর রিকশা দ্বারা সব দূরত্ব অতিক্রম্য নয়। অফিস বাসা আসা যাওয়ায় আজকাল অন্য বিকল্প ব্যবস্থা পাচ্ছি না দেখে নতুন করে লাল রঙের বি আর টি সি বাসের শরণাপন্ন হলাম।