সেই সব দিনের কথা বলছি,যখন লাক্কাতুরা কুলি পাড়ায় হাড়িয়া গিলি,রুপালি কাচাঁ ছোলা আর ধবল জোৎস্না সহযোগে...।
একটা সারারাত পাহাড়ে কাটাবো বলে,দরগা থেকে আঠাশ টাকার গাজাঁ আর তিনটি কেরু নিয়ে
আমরা অনেকেই গলফ ক্লাবের পেছনের পাহাড়ে চড়েছিলাম।ধূ ধূ প্রান্তর,আকাশ ফাটিয়ে দেয়া জোৎস্না আর মাইল খানেক জুড়ে জনমানুষ শুন্যতা...
রাত ঘনায়,আমাদের কান্না চাপে,আমাদের কন্ঠে আসে গান।রাধা রাসেল তখন বুদঁ হয়ে পড়েছিল ঢাকার বিহারি পট্টির ইমপোর্টেড জিনিষে।
এভাবেই সময় কেটে যায়,রাত্রি দ্বিপ্রহর বিদায় জানাতে উদগ্রীব হয়।হঠাৎ আমাদের মাঝে কেউ একজন খেয়াল করে রাসেল আমাদের মাঝে নেই।খোজঁ,খোজঁ,খোজঁ....
তাকে প্ওায়া যায় বেশ দূরে,এক পাহাড়ের কোনে। এক পথভুলা নেড়ি সারমেয়কে
কী করলে কী হইত,সেই প্যাচাল আর না টানি।ব্লগেন বেটা ভার্সন নিয়ে বহুত চিল্লাচিল্লি করেছি।সমালোচনা যখন করেছি,প্রশংসা করাটাও দায়িত্বের মধ্য পড়ে।
নতুন ব্লগের কিছু জিনিষ সুপার্ব।
১.ইজি লগইন করা যায়। (আমার পোস্ট এর সংখ্যা বেড়ে যাওয়াই এর প্রমান।)
২.সাম্প্রতিক কারা ব্লগ দেখেছেন,তাদের তালিকাটা চমৎকার একটা সংযোজন।
৩.নিজস্ব ব্লগের জন্য একটা আলাদা সাম্প্রতিক মন্তব্যের কলামটা জোশ।অনেক সময় পুরানো পোস্টে অনেকেই কমেন্ট করে থাকেন।আগে সেগুলো দেখা হতো না,হলেও দেরিতে হতো,তখন জবাব দেয়াটা অপ্রয়োজনী
প্রস্তাবনা:
কথায় বলে ,নামে নামে যমে টানে।প্রায়ই সংবাদ পত্রের ভেতরের পাতায় খবর দেখা যায়,আসল আসামী বাইরে ঘুরছে আর একই নামের আরেক নির্দোষ লোক জেলের ঘানি টানছে !
বাংলাদেশে নামের সংকট আছে,প্রায়ই এক নামের একাধিক লোকের সাথে আমাদের পরিচয় থাকে। ঘরে ঘরে খালেদা,হাসিনা,মাসুদ,মইন এই নামগুলো আছে।
তো আমার নাম রাখার সময়ই দেখা গেল বিরাট সমস্যা।শুধু মা বাবার নয়,মামা বাড়ি,বাবার বাড়ি ..দুপক্ষেই আমি প্রথম সন্তান।বিরাট উত্তেজনা। কী নাম রাখা যায়,তা নিয়ে হুলুস্থুল।
এ বলে এটা রাখো,ও বলে ওটা রাখো।
শেষ পর্যন্ত প্রাথমিক ভাবে আমার নাম রাখা হলো ‘আবু হেনা মোহাম্মদ জেবতিক আরিফুল হক’। (নামটি সম্ভবত: আরো বড় ছিল,এই মুহুর্তে পুরোটা মনে পড়ছে না,আম্মাকে
খুশি হবার কিছু নেই স্যার
ভালবেসে নয়;তুমি ফ্রি আছ বলেই তারা তোমাকে ডাকে
অথবা ডাকলেই তুমি যাও বলে ডাকে
নিজেদের এক সময়ে তোমাকে কথা শোনার মানুষ বানাতে
ডাকে
নি:সঙ্গ পথের সহযাত্রী বানাতে ডাকে
তাদের মন খারাপে তারা তোমাকে ওষুধ বানাতে ডাকে।
তারা তোমাকে ডাকে ,কারন ডাকলেই সম্মানিত বোধ করো তুমি
আর প্রাণপণ চেষ্টা করো আর সম্মানীত হয়ে উঠার আর
তোমার মতো এমন বহুমুখী সার্ভিস এজেন্সী অন্য কোথাও নেই
তাই
তারা ডাকে আর
চব্বিশ ঘন্টা বেয়াল্লিশ কিসিমের কাজের জন্য তোমাকে পাওয়া যায়
তাই সারাক্ষন তারা তোমাকে ডাকে
এবং ডাক না শিখেও কেউ কেউ ডাকে।
আপ্লুত হবার কিছু নেই স্যার।নিজেকে মুল্যবান ভাবারো কিছু নেই
যদি বিশ্বাস না হয় তবে তো
ঝোকের মাথায় সিরিজটি শুরু করে পরে আর লিখে উঠতে পারি নি।স্যরি।
তো,আজ আমরা আলোচনা করব ,কিভাবে প্রদায়ক হবো। প্রদায়করা লিখে থাকেন ফিচার পাতায়,এ জন্য মোটামুটি নিয়মিত লেখালেখির অভ্যাস দরকার।আমি তাই সাজেস্ট করবো,ছাত্র কিংবা বেকার ছাড়া কেউ নিয়মিত প্রদায়ক হওয়ার চেষ্টা না করাই ভালো,অন্যদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা আলাদা আলোচনা করব।
ওয়েল ,এখন আপনি একজন প্রানচ্ছোল কিশোর কিংবা তরুণ।আপনি প্রদায়ক হওয়ার জন্য রেডি। এখন আপনার জন্য নিচের ধাপগুলো।
পত্রিকা নির্বাচন করুন:
কোন পত্রিকায় লিখবেন ,সেটা আগে ঠিক করুন। মনে রাখবেন,যে পত্রিকার সাথে আপনার মানসিক মিল আছে,সে পত্রিকায় লিখতে চেষ্টা করাই মঙ্গল। প্রগতিশীল মানুষ হলে ইনকিলাবে না যাওয়াই ভালো।তবে এটাও
..যদিও কয়েকটি পোস্ট মুছে দিতে পারছি না বলেই এতো সংখ্যা।
তা-ও একটু জানান দিলাম আর কি!
পোস্ট মুছা হয়ে গেলে সঠিক সংখ্যাটা জানা যাবে।
তারপর আবার একশ পুরিয়ে একটা একশ লাইনের লেকচার ঝাড়বো।হুশিয়ার,ব্লগ বাসী হুশিয়ার!!!
আসলেই মেজাজ মুজাজ খারাপ।
শালার কিছু বল্লেই সব শালা বুঝাইতে আসে `প্রোগ্রামিং কেমন জিনিষ আপনি বুঝবেন না,আপনি তও বাটন টিপেই খালাস।'
রসিকতা যা করি,আশাকরি হাসিন বুঝতে পারেন।
আর বাকি তালেবররা দয়াকরে আমার ব্লগ থেকে দূরে থাকুন।
নয়তো খেপে গিয়ে কবে হাবিব মহাজনের মতো আমাকেও বলতে হবে,` আমি যখন ডস মুডে কম্পিউটার টিপি বাসায় তখন তোমাদের বহুত বেটাই স্লেট পেন্সিলে আকঁ কষতে পাঠশালায় যাও।'
ঘন্টা খানেক আগেো ব্লগিং করেছি।
এখন আবার নেটে এসে দেখি আমার প্রোফাইলে ছবির পাশে `কাঙাল'শব্দটি লেখা!! খেয়াল করে দেখলাম,সবার প্রোফাইলেরই একই অবস্থা।
ভাইরে আমার কর্তৃপক্ষ,ব্লগিং করতে গিয়ে কাঙাল উপাধি পাইলাম।
`লুচ্চা' বলেন নাই, এ জন্য আপনাদের লালসালাম রে ভাই।
নয়তো বড়ো বিপদে পড়তাম ইজ্জত নিয়ে...
তুমুল আড্ডা এক সময় প্রায়শ:ই যুদ্ধের রুপ নিচ্ছিল।
টেবিল চাপড়ে ,সিগারেটের ধোয়াঁয় ঘর অন্ধকার করে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলছিলাম।
প্রসঙ্গক্রমে একজন জোর গলায় বললেন,`রাজাকারদের কপাল ভালো,বঙ্গবন্ধু তাদেরকে ক্ষমা করেদিয়েছিলেন।'আমরা সবাই তার সাথে একমত হলাম।সত্যিই বঙ্গবন্ধু বিরাট উদারতার উদাহরন দিয়ে গেছেন।
সেই সময় বেশ দূরের টেবিল থেকে উঠে দাড়ালেন এক বৃদ্ধ। বিল মিটিয়ে আমাদের টেবিলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় একটু থামলেন।তারপর মুচকি হেসে বললেন`মুজিব আমাদের ক্ষমা করে মহান হয়ে ছিলেন মানে?আমরা কি তার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলাম ?'
ভদ্রলোক আমাদের কথা শোনার জন্য আর দাড়ালেন না।মাথা উচুঁ করে গট গট করে রেস্টুরন্ট থেকে বেরিয়ে গেলেন।
আমরা সবাই চুপ করে
ওয়ান ইলেভেন এর পরে টিভি দেখার ব্যাপারে আমার আগ্রহ কমে গিয়েছিল। বিভিন্ন চ্যানেলের সাংবাদিকরা কোন হট আইটেম দিতে পারে না। সব কেমন যেন ম্যান্দা ম্যান্দা মনে হয়। যুব মহিলা লীগের একশন নাই,মওদুদের সুললিত বাণী নাই ..ধ্যাত্তেরি।
তো,গতকাল থেকে হঠাৎই আমার অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে।নতুন পর্ণোগ্রাফী খুজে পেলাম টকশো গুলোতে। দেখে ফেললাম তৃতীয় মাত্রা,অন্য দৃষ্টি আর পাবলিক ফোরাম নামের তিনটি টক শো।
আমি আগে আশ্চর্য হতাম যে বাঙালির মাঝে কেন মেরুদন্ড অলা মানুষের এতো অভাব।ইদানিং আশ্চর্য হই না,বিনোদিত হই।
তৃতীয় মাত্রায় কালকের আলোচক ছিলেন শফিকুল গনি স্বপন আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কলিমুল্লাহ ।আরে ভাই,তাদের গদগদ অবস্থা যদি দেখতেন!!!! দুজনেই গলায়