একটা বিরাট অঘটন ঘটে গেছে। বাংলাদেশ কেমনে কেমনে যেন ক্রিকেটের বিশ্বকাপ জয় করে ফেলেছে। এখন পুরা জাতির গেছে মাথা আউলাইয়া।
তো ,এই মাথা আউলানো অবস্থায় সামহোয়্যার কর্তর্ৃপক্ষ আমাকে বললেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দলনেতা মি:হাবিবুল বাশারের একটি তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জনিত সাক্ষাৎকার নিতে। আসলে কর্তৃপক্ষ একজন ভালো ক্রীড়া সাংবাদিক পাঠাতে চেয়েছিলেন কিন্তু সবাই তখন ফুর্তি ফার্তা করতে ব্যস্ত। (শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এদের অধিকাংশকেই সাকুরাতে পাওয়া গেছে।তবে অ
উৎসর্গ: এই লেখাটি অ্যালনকে।অ্যালন হঠাৎ করে আমার ই-মেইল এড্রেস জানতে চাওয়ায় এই গল্পটি মনে পড়ল।
--------------------------------------------
রাসেল ও'নীল এর গল্প গত পর্বে করেছিলাম,নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে।
এবার তার আরেকটা ছোট্ট গল্প বলি।
তখন কম্পিউটার জিনিষটা মধ্যবিত্তের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে মাত্র। সবার বাসায় বাসায় কম্পিউটার নেই,তবে ভোরের কাগজের চার তলায় কয়েকটি পিসি লাগানো হয়েছে।সঞ্জীব দা (দলছুট গায়ক) আর ফারুক ভাই (গোলাম ফা
সামহোয়্যার এর কিছু কিছু ব্লগারের লেখা দেখে মনে মনে খুব লজ্জা পাই। এক সময় এর চেয়ে কতো বাজে লিখে যে আমরা পত্রিকার পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা নষ্ট করেছি তার হদিস নেই।
শুধু মাত্র এই সাইটে লেখালেখি করে প্রতিভার কী নিদারুন অপচয় যে কিছু ব্লগার করছেন,তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই । এদের মাঝে কেউ কেউ আছেন অনর্্তমুখি লেখক,নিজের আনন্দের জন্য লিখে থাকেন আবার কেউ হয়তো এখানে বাংলা লিখে নিজেকে ঝালাই করছেন কিন্তু উপযুক্ত সুযোগের অভাবে আরো বড়ো পরিসরে যেতে পারছেন না।
আমার আজকের লেখা এই দ্বিতীয় দলটিকে নিয়ে। যারা বাংলা পত্রিকায় লিখতে চান,অথচ নিয়ম কানুন জানেন না ,তাদের জন্য এই কয়েক কিস্তির লেখা। আসুন শুরু করা যাক:
1. পত্রিকায় কারা লিখেন :
সাংবাদিক
আমার পাশে বসেছে কামরুল আহবাব (ইনি নজমুল আলবাব সাহেবের বড়ো ভাই।) আর তার মিসেস। বেচারা নাটক দেখে আরাম পাচ্ছে না। উসখুশ করছে।উহু,নাটকের দোষ নয়।দোষটা তার।
আমি আর আমার বউ বসেছি 50 টাকা দামের গ্যালারিতে।কিন্তু কামরুল কেটেছে 2টি 200 টাকা দামের টিকেট। অথচ,হলে ঢুকে আমাকে পিছনের দিকে দেখে পিছনে চলে এসেছে। এখন পাকা ব্যবসায়ী কামরুল চিন্তা করে দেখেছে,তার পাক্কা লস 300 টাকা।মিনমিন করে বলল,'শালারে কইলাম 50টাকা দামের টিকেট দে,শালায় কয় টিকেট নাই।এখন তো দেখি
আজকাল মৃতু্য সংবাদ খুব একটা স্পর্শ করে না আমাকে। টিভির খবর খুললে মৃতু্য,সংবাদপত্রের পাতা খুললে মৃতু্য,মোবাইল ফোনের এস.এম.এস এ মৃতু্য...এতো মৃতু্য সংবাদ দেখতে দেখতে,জানতে জানতে একে যাপিত জীবনের অংশ হিসেবেই মেনে নিয়েছি ।
তবু স্বপন মাহালির মৃতু্য সংবাদ জেনে আমার মন খারাপ হচ্ছে খুব।
স্বপন কোন মহামানব ছিল না। বক্তৃতায় বিবৃতিতে,সভা কিংবা শোভাযাত্রায় তার উজ্জল উপস্থিতি ছিল না। সে ছিল শুধুই স্বপন,আমাদের প্রান্তিক চত্বরের এক ছোট্ট চায়ের দোকানের মালিক।
তবু সেই স্বপন কিভাবে যেন,আমাদের মনের অজান্তেই,এই ছোট্ট শহরের অজস্্র সংস্কৃতি কর্মীর বড়ো আপন হয়ে গিয়েছিলে।
একটা সময় ছিল এই শহরের। আমাদের নাটক,আমাদের গান আমাদের সাহিত্য তখন সবগুলো জেলা শ
প্রিয় হরিশ চন্দ্র ,
আজ আমি কোন শোকগাথাঁ লিখব না ।
আপনার মৃতু্য এই দেশের বিচারে এতোই তুচ্ছ যে ,নেহায়েৎ সার সংকটের কথা বলে সরকারকে বিব্রত করতে না পারলে,দৈনিকের শেষ পাতার চার হাজার টাকা ইঞ্চির দামী স্পেসে আপনার প্রয়ানের কথা ছাপা হতো না কখনো।
আপনার বড়ো মান অপমানের ভয় ছিল। তার চেয়েও বড়ো ছিল পেটের দায়। মাঠের সোনালি ধানের ঝিলিকের প্রতি আপনার ছিল আশৈশব ভালোবাসা। আর সেই লোভে পড়ে আপনি এক বস্তা সার বেশি দিতে গিয়েছিলেন ক্ষেতে।
প্রিয় হরিশচন্দ্র,
বন্ধুকে না বলে নেয়া সেই সারই আপনার জন্য কাল হলো। আপনি সেই সারের দামটিও পরিশোধ করেছিলেন বটে।
তবু ,আপনার বন্ধু যোগেনেরও সেই সারের যে বড্ড প্রয়োজন ছিল। তার জমিও তো আপনারই মতো,মাঠের বুকে নুয়ে পড়
আমি এই ব্লগের সবার কাছে বিশেষ করে সাংবাদিক বন্ধুদের কাছে একটি সাহায্য চাচ্ছি।
গত বছর (সম্ভবত: ডিসেম্বরের দিকে) একজন বাংলাদেশি ,গুয়েন্তানামা বে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশে আসেন।
তার সাথে যোগাযোগের কোন ঠিকানা/ফোন নাম্বার কি কেউ দিতে পারবেন ?
এটলিস্ট তার নাম,কবে এসেছেন বা এসংক্রান্ত কোন খবরের তারিখ ইত্যাদি....।
কৃতঞ্জ থাকব।
একটি বিচ্ছিন্ন ঘঠনা
1999 সালের কথা।
ভোরের কাগজের এক কাজে চট্টগ্রাম গেছি। সেখানে গিয়ে দেখা হয়েছে ছোটবেলার বন্ধু সুমন এর সাথে। দীর্ঘদিন পরে দেখা,আবেগ আর বাধ মানতে চায় না।দুজনে সারাদিন একসাথে গলাগলি করে ঘুরি। আমি আমার কাজ করে যাই,কিন্তু সুমন আমার সাথে সাথে থাকে।
তো ,এক সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের এক বুদ্ধিজীবির বাসায় গেছি।সারাদিন ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত।ক্ষিধাও লেগেছে বেশ। তো সেই বুদ্ধিজীবির কন্যা চমৎকার ম্যাকারনি রেধেছেন। গন্ধে আশপাশ ম
এক.
ব্যাপারটা প্যাচ খেয়ে গেল গোড়াতেই।
কন্যার বড়বোনের অনেকগুলো বন্ধু আবার আমারও সহপাঠি। তারা কান ভারি করল শুরুতেই।'এই ছেলে একসময় বিরাট ক্যাডার ছিল রে।'কেউ বলল,'এই ছেলে হইলো এখন ভোরের কাগজের সাংবাদিক,নিজেই খাইতে পায় না,বউ পালব কেমনে?'।আরেকদল আবার বাড়িয়ে বলল,'এ হইলো নাটক ফাটক করা লোক। এদের বিশ্বাস নাই।'
মন্তব্যগুলো যারা করলেন,তারা সকলেই আবার নারী। সুতরাং যা জানেন,তার থেকে বেশি মেশালেন কল্পনার রং। ব্যস,মামলা কোর্টে উঠার আগেই রায় ঘোষিত হলো,'এই ছেলে বাতিল।'
এদিকে মিডিলম্যান ছিলেন যে ভদ্রলোক,তার জুতার শুকতলি ক্ষয়ে ছেড়া মোজা দেখা যেতে লাগলো। তালতলা আর আম্বরখানায় ঘুরে ঘুরে যে টাকা রিঙ্াভাড়া দিলেন তা দিয়ে গোটা দশেক রিঙ্াই কিন
এক.
1500 বছর আগের কথা বলছি।
রুক্ষ আফগানিস্তানের সুউচ্চ পাহাড়ে তিল তিল করে গড়ে তোলা হলো নিরেট পাথরের বৌদ্ধ মুর্তি। 175 ফিট উচু একটি ,আরেকটি 120 ফিট। পাহাড়ের নিচ থেকে দেখলে মনে হতো মহাপুরুষ গৌতম বুদ্ধ আকাশ আর মাটিকে একসাথে ছুয়ে দাড়িয়ে আছেন।
তারপর বহু কাল গত হয়েছে। আফগানের অন্ধকার গিরিপথ পেরিয়ে তৈমুর লং,নাদির শাহ এসে বারংবার লুন্ঠন করে নিয়ে গেছেন ভারত ভুমি।এসেছে মাৎস্যনায় যুগ,পাল বংশ থেকে মোগল রাজবংশ।
রুক্ষ র্ববর আফগানে ইসল