প্রথমে গল্পটি বলে নেই :
সাঁই সাঁই করে আটলান্টার হাইওয়ে ধরে ছুটে চলছে একটি গাড়ি। গাড়ি চালাচ্ছেন এক হাল ফ্যাশনের তরুন। গাড়ির স্পিড মিটারের কাটা 110-130-140-180 পেরিয়ে 200 মাইলের ঘর ছুঁই ছুঁই করছে।
টহল পুলিশের টনক নড়ল গাড়িটির এই বেদম ছুটে চলা দেখে। এই রাস্তায় সবের্াচ্চ স্পিড লিমিট 130 মাইল,অথচ গাড়িটি চলছে 200 মাইল গতিতে!! নির্ঘাত চালক বেটা মাতাল হয়ে গাড়ি চালাচ্ছে। যে কোন মুহুর্তে একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ব্যস,টহল পুলিশ সাইরেন ব
এক.
তখন ভোরের কাগজের একটি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন 'অবসর'।প্রতি শনিবারে বের হয় ম্যাগাজিনটি। সেখানে একটা বিভাগের নাম 'মুখোমুখি'। এই বিভাগে বিভিন্ন সেলিব্রিটিদের মজাদার সাক্ষাতকার নেয়া হয়।
তো একদিন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম,' উন্মাদ ' এর ' উন্মাদক', আহসান হাবীব ভাইয়ের একটি সাক্ষাতকার নেব। হাবীব ভাই খুবই মজাদার একজন মানুষ,তার মাথা গিজগিজ করে আইডিয়ায়।যে কোন বিষয়ে চটজলদি মন্তব্য করে সবাইকে গড়াগড়ি খাওয়াতে ওস্তাদ।
এরকম একজন মানুষের মজাদার সাক্ষাতকার নেব নাতো কার সাক্ষাতকার নেব!
টেলিফোনে এপয়েন্টমেন্ট নেয়া হলো। দুইদিন পর ধানমন্ডির
'উন্মাদ' অফিসে সাক্ষাতকার নেয়া হবে। এপয়েন্টমেন্ট নিল রাসেল ও'নীল,আমাদের এক ফিচকে কলিগ।
সেই মতো আমি আর রাসেলের
কিছুক্ষন আগে একটি পোস্ট করেছি পোস্টের শিরোনাম,গতকাল আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে.. এবার একটু পিছু ফিরে চাওয়ার জন্য এই দ্বিতীয় পোস্টের অবতারনা।
এক.
পাঠক,আপনারা যারা ওপরের পোস্টটি পড়েছেন,তাদের অনেকেই আমাকে পুলিশ,র্যাব এবং বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে যেতে বলেছেন।তাদের পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।অনেকেই আমার এই দূর্গতির জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।তাদের কাছেও কৃতজ্ঞতা।
আমাকে পরামর্শ দেয়ার জন্য বন্ধুরা আছেন।
আমার দূর্দশা তুলে ধরার জন্য ব্লগে ও ব্লগের বাইরে সাংবাদিক বন্ধুরা আছেন।
আমার পরিবারকে দীর্ঘদিন আশ্রয় দেয়ার জন্য
এক.
গতকাল আমার জীবনে এক ভয়ংকর দূর্ঘটনা ঘটে গেছে।বলা নেই কওয়া নেই,বাড়িওয়ালা হঠাৎই ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই কপাল ভালো যাচ্ছে না। ছোট একটা কারখানা করেছিলাম মিরপুরে,সেটি গুড়িয়ে দিয়েছে বুলডোজার দিয়ে। না না জায়গায় পাওনা টাকা কড়ি যে ফিরত পাবো তার আশা তেমন একটা নেই।
মাসের শেষ,হাত একেবারেই খালি।
এর মাঝেই বাড়িওয়ালা কাল দুপুরে এসে বাসায় আম্মাকে বলল,আপনাদের কে ঘর খালি করে দিতে হবে।এক্ষুনি।
আমার বউ কাজে গেছে,আমিও ধান্দা টান্দা খুজতে বেরিয়েছি--এ সময় এমন ধারা কথায় আমার বৃদ্ধ মায়ের হার্ট এটাকের মতো অবস্থা!
ঘরে টেলিফোন নেই,আমাদের কে যে খবর দিবেন তার কেন উপায় জানা নেই এই বৃদ্ধা মহিলার। ঢাকার রাস্
আমার সুবন্ধু সহব্লগার পথিক সাহেব আমার এই [লিংক=যঃঃঢ়://িি.িংড়সবযিবৎবরহনষড়ম.হবঃ/অৎরভ-ঔবনঃরশনষড়ম/ঢ়ড়ংঃ/28700257]লেখাটির[/লিংক] জবাবে একটি [
ি[লিংক=যঃঃঢ়://িি.িংড়সবযিবৎবরহনষড়ম.হবঃ/ঢ়ড়ঃযবথঢ়ড়ঃযবনষড়ম/ঢ়ড়ংঃ/28700279#পড়সসবহঃ]সুন্দর পোস্ট[/লিংক] দিয়েছেন।
তিনি কবি -গল্পকার মানুষ,সুন্দর করে লিখেছেন,আমরা পাঠকরা সহজে এবং আরামে তা পড়তে পারলাম।তাকে ধন্যবাদ।
তবে কী কারনে আমার লেখাটিকে তার 'বিচি' মনে হলো ,তা আমি বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে কোন ব্যাখ্যা যদি তিনি দিয়েও থাকেন,তা আমার মাথার ওপর দিয়েই গেছে।
তবু তার লেখা থেকে আমি নিচের বিষয়গুলো শিখতে পেরেছি বলে তাকে ধন্যবাদ দেই।
প্রথম শিক্ষা
আমার তো এতোদিন ধারনা ছিল যে ,যে কোন লেখারই প্রত
ব্লগের কিছু পোস্ট নিয়ে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে সমপ্রতি।
বইটির নাম 'অপর বাস্তব'।
ব্লগারদের অনেকেই বইটি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে খোজখবর করেছেন,খুনসুটি করেছেন,বইয়ের দেরি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এখন পর্যন্ত এর বিপনন নিয়ে চিন্তিত হয়েছেন,বিভিন্ন মারফতে বইটি সংগ্রহ ও প্রচারে সাহায্য ও পরামর্শ দিয়েছেন।
এদের এই ভালোবাসাটুকু বইটির উদ্যোক্তারা অনুভব করবেন,সম্মান করবেন এইটুকু বাকি বিল্লাহ,রাহা আর কৌশিকের কাছে আমাদের সকলের প্রত্যাশা।
বইটি প্রকাশিত হওয়ার আগে আগে এবং প্রকাশিত হওয়ার পর এ বিষয়ে ব্লগে বিভিন্ন সময় আলোচনা হয়েছে। প্রকাশক 'ছাপাকল' কর্তর্ৃপক্ষের প্রথম বই এটি। বইয়ের প্রকাশকের প্রথম বই,সম্পাদকদের অনেকেরই জন্য এ রকম একটি প্রজেক্টে কাজ ক
এক.
অফিসে ঢুকেই এক ধরনের অস্থিরতা টের পাই। সবগুলো ডেস্ক কেমন যেন ফাকা ফাকা।সবাই টিভি রুমে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। কারওয়ান বাজারে ফালু ভবনে আগুন লেগেছে। এই ভবনে রয়েছে ফালু সাহেবের দুইটি টিভি স্টেশন,একটি পত্রিকা,যুবরাজ তারেক রহমানের ডান্ডি ডাইংয়ের অফিস....আরো কতো জানা অজানা ব্যবসায়ীদের অফিস আদালত।
টিভি চ্যানেলগুলোয় লাইভ দেখাচ্ছে...মাথার ওপর টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার...সারা ঢাকা শহর হুমড়ি খেয়ে পড়েছে সেখানে...
দুই.
এই পোড়ার দেশে বস্তি নামের এক লাইভ নরকে আমার কিছু ভাই বোন বাস করে। নিজেদের জন্মের ওপরে তাদের হাত নেই বলেই কোন রাষ্ট্রনায়কের ঘরে জন্ম না নিয়ে তাদের জন্মাতে হয়েছে কুলি মজুর,রিঙ্াওয়ালা,নাপিত
বেশ কিছুদিন গ্রামে কাটিয়ে ফিরে এলাম। শুনেছিলাম 21 থেকে 28 ফেব্রুয়ারি 'ব্লগ সপ্তাহ' বলে ঘোষিত হয়েছে।
কিন্তু আজ ব্লগে ফিরে এর কোন লক্ষন তো দেখলাম না ! কী হচ্ছে এই সপ্তাহে ?কিছু কি মিস করছি? নাকি বরাবরের মতোই গর্জানো শেষে ,বর্ষানো বন্ধ আছে ?
যতোদূর মনে পড়ে আজ বিকেলে সামহোয়্যার এর অফিসে মাসিক আড্ডা শুরু হওয়ার কথা। ঠিক আছে নাকি জন্মের আগেই....
কেউ কি আপডেট জানাবেন ?
ড.ইউনূস সাহেব একটি রাজনৈতিক দল করার সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন। যারা তার রাজনীতিতে আসাকে সমর্থন করবেন কিংবা করবেন না তারা তাকে নিজস্ব মতামত জানাবেন।
একটি ইন্টারেস্টিং বিষয় খেয়াল করলাম।যারা তার রাজনীতিতে আসাকে সমর্থন করছেন না,তারা কেউই কিন্তু বর্তমান সংকট থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে আলাদা কোন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন না। ড.ইউনুস রাজনীতিতে এলে আমাদের লাভ আর তি কী ?
ধরে নিলাম তিনি রাজনীতিতে এসে কোন উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখতে পারবেন না,বিতর্কিত হবেন..ইত্যাদি..ইত্যাদি..। কিন্তু তিনি তো বর্তমান দলগুলোর চেয়ে বেশি তি করতে পারবেন না,তাই না ?
আমার পরিচিত যারা ড.ইউনূসের বিরোধিতা করছেন,তাদের কিছু চিঠিপত্রের কপি আমি পেয়েছি
যারা কালকে 'অপরবাস্তব' বইটির মোড়ক উম্মোচনে আসবেন,তাদের অবগতির জন্য :
1.চেষ্টা করুন বেলা 3টার মধ্যে মেলায় প্রবেশ করতে।এতে করে দীর্ঘ লাইন এড়াতে পারবেন।ভালো হয় 2.30 মিনিটের মধ্যে পৌছাতে পারলে।
2. বাংলা একাডেমির নতুন ভাষ্কর্য 'মোদের গরব'-এর সামনে সবার অবস্থান াকবে।তবে প্রচন্ড ভিড়ের কারনে সেখানে াকতে না পারলে,মসজিদের সামনের বাধাই চত্বরেও ব্লগাররা অবস্থান নিতে পারেন। সুতরাং ওখানে খুঁেজ আসতে ভুলবেন না।মসজিদের সামনের ঐ বড়ো স্থাপনাটিকে শহীদ মি