ড.কামাল হোসেন আমাদের বিরাট গর্ব। তিনি দেশের মানুষের জন্য কবে কোন উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন তা অবশ্য আমার জানা নেই।
কিন্তু তাকে নিয়ে যে ভাবে মাতামাতি হয় তাতে করে বুঝতে পারি, তিনি অত্যন্ত সজ্জন একজন ভদ্রলোক।
রাজনীতির দুবৃত্তায়ন নিয়ে তিনি এবং তার মতো আরো অনেকেই বড়ো চিন্তিত।'কালোটাকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চাই ' বলে তার সযত্নে লালিত গলার রগ প্রায় ছিড়ে ফেলছেন।
ইন্টরেস্টিং বিষয় হলো সেই ড.কামাল হোসেন গত বছর এন.বি.আর-এর চাপে পড়ে 40 ল কালো টাকাকে সাদা করেছেন। এতে করে দেশের কতো টাকা ট্যাক্স এরা প্রতিবছর মেরে দিচ্ছেন তার একটা ুদ্র ধারনা পাওয়া যায়।
মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর এক কোটী কালো টাকা সাদা করেছেন। তালিকায় আছেন ড.এ
14 ফেব্রুয়ারি,1983
আমাদের রক্তে তখন অন্তর্গত এক বিপন্ন বিষ্ময়।
দ্রোহ আর ক্ষোভে আমাদের নিওরনের অলিতে গলিতে মিছিলের তুমুল উৎসব।
ধুলিময় রাজপথ শিঙা ফুকিয়ে বলে' এখন যৌবন যার ,যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।'।
আমরা রাজপথে নেমে আসি সেদিন। দিনবদলের চিরায়ত সংগ্রামের বীজ আমাদের রক্তে বুনে দিয়েছিলেন যে পূর্বপুরুষেরা,সেই রক্তের কসম খেয়ে প্রেমিকার কোমল হাত ছাড়িয়ে আমরাও নেমে আসি মিছিলে।
জলপাই ট্রাক পথ রুখে বলে-'থামো।'। আমরা পথচলি।
খাকি পোষাক হুইসেল বাজায়-'থামো'। আমরা পথচলি।
মাসলম্যনরা চাপাতির ঝিলিক দেখায়-'থামো। আমরা পথচলি।
অত:পর হঠাৎ!
শান্ত মিছিলের পিছন দিকে নীল দানব তার ট্রাক তুলে দেয় দ্রুত গতিতে।
সহযোদ্ধাদের ছু
আমাদের দেশে ফালতু তর্কের কোন শেষ নেই।মধ্যবিত্ত মানুষের কাজ কাম কম,বিনোদনেরও অভাব। আর তাই ফালতু তর্ক,পরচর্চা,পলিটিক্স ইত্যাদি হচ্ছে আমাদের বেঁচে থাকার আবশ্যকীয় উপকরণ।
এথন নতুন একটি তর্ক শুরু করার চেষ্টা হচ্ছে সাপ্তাহিক ছুটি নিয়ে। শুক্রবার নাকি রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি হবে এটা নিয়ে আঁতেলরা মাথা ঘামাচ্ছেন।
আমার মাঝেও কিছু আঁতলামি দোষ আছে ,তাই আমার প্রস্তাবগুলো নিজের ব্লগে লিখে রাখছি।
1. শুক্রবার কিংবা রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি নয়,আমাদের দেশ থেকে সাপ্তাহিক ছুটি তুলে দিতে হবে। গরীব দেশে যতো বেশি কাজ করা যায়,ততো মঙ্গল। সারা দুনিয়া এগিয়ে যাচ্ছে আর আমরা 2 দিন ছুটি কাটাচ্ছি তাতো হয় না।সুতরাং পুরা দেশ সপ্তাহে 7 দিন খোলা থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটি
আজ আমাদের গার্মেন্টসের কর্মীদের বেতন বাড়ানো হলো।এবার এক নতুন কমর্ীর বেতন 1650 টাকা।
1.আগে তারা 300 টাকা ডিপিএস করতো মাসে। এবার করবে 500 টাকা।অর্থাৎ বছরে 5000 টাকার বেশি।
2.তারা পাকা লেট্টিন ব্যবহার করে।
3.তাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারে। যদিও চাকরি যাওয়ার ভয়ে তারা প্রেগনেন্ট হতে চায় না।
4.তারা বাগিতে একটা জুৎসই ঘর বানাতে পারবে..
তো,
আমি যতোই গাড়ির মডেল বদলাই,গুলশানে ফ্ল্যাট কিনি,এক লক্ষটাকা মাসিক বেতনে বাচ্চা পড়াই,আপানাদের কী?
আমি তো অনেকগুলো দরিদ্রকে উপরে তুলে আনলাম। এবার আমারে একটা নোবেল দেন।
ঘঠনাসমূহ
এক
চট্টগ্রামের ফরমান রেজা লিটন আমার বয়েসী এক যুবকের নাম।
সংবাদপত্র পাঠকরা সবাই তাকে একনামে চিনে ।
লিটন এর পরিচিতি এসেছে বড়ো করুণ ভাবে।তার বাবা জামালউদ্দিনকে খুন করেছে বি.এন.পির এম পি সারওয়ার জামাল।তারপর লাশ গেড়ে রেখেছে এক দুর্গম পাহাড়ে।
আজীবন বি.এন.পি করেও মরহুম জামালউদ্দিনের কোন লাভ হয়নি। তার পেয়ারের ম্যাডাম, আচলতলে আশ্রয় দিয়েছিলেন খুনিকে।
এবার এসেছে নতুন সরকার। সেই নতুন সরকারের সময় এধরনের কেস নিয়ে একটু বিচার পাওয়ার আশা থাকে।
কেসের আপডেট জানতে গিয়ে দেখা গেল,হাইকোর্ট এই মামলা স্থগিত করে রেখেছে....
আমি মানসপটে দেখি এক অসহায় যুবকের করুণ মুখ.....রাস্ট্র যার পিতৃহত্যার বিচার করছ
অবতরণ পবর্
অত:পর একরাতে হুট করেই তারা নামলেন। সেই গভীর রাতে আমরা ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখি আধো আলো,আধো ছায়ায় কয়েকজন দেব দূত আমাদের বিছানার পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের সবার পরনে সাদা কাপড় ,তাদের মুখ,বাহু,গলা সব কিছুই সাদা সাদা।তাদের মাঝে কোন মলিনতা নেই।
আমার ছোট ভাই ভয়ে কেঁদে ফেলল। আমি ভয়ে ভয়ে গুনে দেখলাম তারা এগারো জন। একজন একটু বড়ো সড়ো,তিনি হয়তো প্রধান দেবদূত,বাকি দশজন একটু ছোট ছোট।
তারা এসেছেন আমাদের শুদ্ধ করতে। আমরা কেউ তাদের ডাকিনি,তবু তারা এসেছেন। আমরা দুই ভাই আজ সকালে একটা আম নিয়ে ঝগড়া করেছিলাম। আমি গোপনে এক টুকরো আম বেশি খেয়েছি,আর তাই দেবদূতরা এসেছেন আমারে কালিমামুক্ত করতে।
শান্তি পবর্
মন্নান মিয়ার দিনকাল
গত পাচঁ বছরে মন্নান মিয়ার ভালোই উন্নতি হয়েছিল। যদিও পাঁচ পেরিয়ে যাওয়া জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারে মন্নান মিয়ার অবদান নেই কিছুই,তবুও সেটা উন্নতিই বটে। মন্নান মিয়া খাম্বা বিক্রী করেন নি,টিভি চ্যানেল কিনেননি, টেন্ডার ভাগজোকের জটিল হিসাবও তিনি আত্মস্থ করেন নি। তিনি করেছিলেন একটি টঙ ঘরের চায়ের দোকান। মহাখালির ফ্লাইওভারের কাছে,রেল লাইনের ধারে তিনি এসে যে বস্তিতে ডেরা বেধেছিলেন, তার পাশেই একটি টঙ ঘর ভাড়া নিয়ে মন্নান মিয়া বেচতেন চা,পান সিগারেট।
সুনামগঞ্জের ফুলপুর নামের যে গ্রাম থেকে তিনি এসেছিলেন সেখানে ভাতের বড়ো কষ্ট ছিল রে ভাই। এক ফসলি ধান ওঠে বৈশাখ মাসে। দিনমজুরি করে যে ধান ভাগে পড়ে তাতে একমাস কুলানোটাই মুসিবত।
এক. গত বছর পর্যন্ত সাংবাদিক কার্ড দেখিয়ে ধুম করে মেলায় ঢুকেছি,লাইন ধরতে হয় নি। এবার প্রথম বার লাইন ধরতে হলো। লাইনে দাড়িয়ে মেজাজ খারাপ লাগছে। পাওয়ার লেস লাগছে।
------আহারে আরিফ,সামান্য গেটে ঢুকার ক্ষমতা হারিয়েই তোমার মন খারাপ!!!একবার জোট সরকারের মন্ত্রীগুলোর মনের ভাব চিন্তা করো তাইলে!!!!
দুই. বইমেলার মসজিদের কোনায় কয়েকটি খাবার দোকান। সারা এলাকায় ঘাস দেখার জো নেই,শুধু ই আবর্জনা।
--------আচ্ছা বই নাকি মননকে উন্নত করে। একটি ছোট বিন বসানোর মতো মনন তৈরী করতে বাংলা একাডেমির লোকজনকে কয়টি বই পড়াতে হবে! আর আবর্জনা ছুড়ে ফেলার অভ্যাস মুক্ত হতে একজন বাংগালিকে কতোবার বইমেলায় আনতে হবে ?
তিন.সারিয়া তাসনিম ,ব্রাত্য আর সাদিককে দেখলাম দাড়িয়ে
সুইসদের স্প্যাগেটি চাষ
হঠাৎ করে যদি টিভি নিউজে দেখেন সিলেটের এক ভদ্রলোক বাসার টবে নুডুলস চাষ করেছেন আর উঠোনে সিঙারা; আর সেই গাছগুলোয় দিব্যি থোকে থোকে ঝুলে আছে নুডুলস কিংবা সিঙারা,তাহলে কেমন লাগবে আপনার ?
ঠিক এধরনেরই এক অবাক কান্ড খুজে পেয়েছিল বিবিসি। জি্ব,লন্ডনের বিবিসির কথাই বলছি। 1957 সালে তাদের সংবাদ ভিত্তিক শো 'প্যানারোমা'তে দেখা গেল সেই সাড়া জাগানো সংবাদ। বিবিসি দাবী করলো সে বছর সুইজারল্যান্ডে শীত পড়েছে কম আর তাই বাম্পার ফলন হয়েছে স্প্যাগেটির ! (স্প্যাগেটি হচ্ছে নুডুলস জাতীয় খাবার,যেটি বেকারিতে তৈরী হয়)
এ নিয়ে এক বিষদ প্রতিবেদন প্রচার করল 'প্যানারোমা'। সুইজারল্যান্ডের গাছে গাছে থোক থোক স্প্যাগেটি ঝুলে থাকার দৃ
এক.
রেস্তোরাটার নাম 'অন্তরে'।আজিজ মার্কেটে কয়েক বছর পরে এসেছি তাই নাম বদলেছে না আগেরটা আছে খেয়াল করতে পারছি না।টেবিল ঘিরে অনেক কজন ব্লগার।আমার বাম পাশে বাকি বিল্লাহ,জামাল ভাস্কর ,মৌসুম,ঠুনকো।
ডানপাশে অমি রহমান পিয়াল,কালপুরুষ,কৌশিক,অন্যমনস্ক শরৎ।
উল্টোদিকে ব্রাত্য রাইসু আর শোহেইল মোতাহির চৌধুরী।
কার সৌজন্যে যেন আসে গরম গরম লুচি আর তরকারি। আর কেউ অর্ডার দেন পায়েস,আসে লাল চা,দুধ চা।
চায়ের কাপে ঝড় ওঠে।শোহেইল মোতাহির চৌধুরী উস্কে দেন স্বাধীনতা আর পাকিস্তানিদের প্রতি জাতীয় ঘৃণা প্রসঙ্গ।রাইসুর ভিন্নমত আর তার সাথে আবার ভিন্নমত পিয়াল ভাইয়ের।আসে একের পর এক জমাট প্রসঙ্গ। এমন কি রিফাত রহমানের জামর্ান ভাষা শেখানোর প্রানান্ত প্র