একটা জীবন অন্যের ইচ্ছায় কাটিয়ে দিলাম।
কেউ হাত ধরে নিয়ে গিয়ে
উদ্যানে দেখালো ফুল;
কেউ তুলে দিল ভুল ট্রেনে।
কারো আকাঙ্খার অগি্ন পোড়ালো সমূলে,
তুমুল বৃষ্টিতে কেউ ফেলে দিলো ঠেলে।
একটা জীবন অন্যের ইচ্ছায় কাটিয়ে দিলাম।
কারো ঘৃণায় কখনো
প্রতিশোধে বে'চে থাকলাম।
কেউ ধার করে এনে দিলো চা'দ,
কারো নখে ছিন্ন ভিন্ন ঘুম,
সারথীর হাতে তুলে দিয়ে জীবনের মানে
রথের চাকায় পিষ্ট হলো অনিচ্ছুক দাসের শরীর।
কেউ হাত ধরেছিলো
কেউ কেড়ে নিয়েছি
এক.
(মাপ করবেন, এটা কোন আলাদা পোস্ট নয়;সাদিক মোহাম্মদের আজকের পোস্টিংয়ের একটা মন্তব্য মাত্র।কিন্তু যদি কিছু বলতে গিয়ে গালাগালি খাই,তাই আলাদা পোস্ট দিতে হচ্ছে।এটলিস্ট নিজের ব্লগের মন্তব্য তো আমি নিজে মুছতে পারবো।)
দুই.
নেট ঘাটছিলাম কয়েকদিন আগে আর হঠাৎই বাংলা ব্লগ লিখে সার্চ দিয়ে এখানে এসেছি।হাসান মোরশেদের নাম দেখেই এই সাইটে থাকা দীর্ঘক্ষন এবং একসময় রেজিষ্ট্রেশন করা সারা।
আমি ভেবেছিলাম যে এখানে যারা আছেন তাদের অধিকাংশই বোধ হয় নিজের চ
ঠোটের কোনে হাসির রেখা,
বুকের ভেতর কষ্ট;
কষ্ট গুলো ঢাকতে গিয়ে
সুখগুলো আজ নষ্ট!!
কার কাছে বলবো বলো,
আমার সর্বনাশ!
আমার কোন বন্ধু নেই,
আছে বন্ধু নামের লাশ!!
এক.লা শ্যাপেল স্টেশনের বাইরে কনকনে ঠান্ডায় শিশু পুত্রকে বুকে জড়িয়ে তুই অপেক্ষায় দাড়িয়ে ছিলি ঘন্টা দুয়েক।রওনা দিয়েছিলি খুউব ভোরে,সেই কোন এক লিওন শহর থেকে।(আর আমি বেকুবটা জানতাম যে ফ্রান্স মানেই প্যারিস শহর,এর বাইরে আস্ত একটা দেশ আছে সেটা কি আর জানা ছিল!)হু হু ঠান্ডা বাতাসের তোড় ঠেলে যখন এগিয়ে এলি, বুঝিনি মাঝখানে কেটে গেছে দ--শ টি বছর। যে নগর ছেড়ে আসি আগের দিন,সেটা যে অনেকখানি বদলে যায় পরদিন ভোরে; তা কি আর জানা নেই আমার,বেশ জানি তবু মেনে নিতে পারি
এক.বেশ কামাচ্ছি বটে আজকাল!এক সময় অর্ধেক মাস গড়িয়ে গেলে আগের মাসের যা পেতুম ,মানসাংক না করেই বুঝি আজকাল দিন গড়ালেই একাউন্টে জমা হয় তার থেকে বেশি! গাড়িটা হয়েই গেল,বাড়িটাও হবো হবো করছে..বাবা বেচে থাকলে যতোটা না খুশি হতেন,তার থেকে বেশি হতেন অবাক!কেউ বলে ,'শালা দেখালো বটে',কারো আবার সরল মূল্যায়ন-'বৌ ভাগ্য একেই বলে!'দুই.ঘুম ভাঙলেই হলুদ সকাল।চার্জার থেকে মোবাইলটা খুলতেই ক্রিং ক্রিং..'হ্যালো' বললেই কানভরে যাবে সমস্যা বিবরণীতে।দুই কানে দুইটা রিসিভার ঝুল
এক. রেজাউলের কোন নর্িিদষ্ঠ দল ছিল না ।সে ছিল ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কমর্ী।ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ছিল অনেক গুলো দলের সমষ্ঠি।কেউ ছিল আওয়ামী ছাত্রলীগ,কেউ জাসদ,কেউ আবার ছাত্র ইউনিয়ন অথবা ছাত্রফ্রন্ট। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে দলটলের তেমন একটা বালাই ছিল না। বিশেষ করে সিলেটের মতো মফস্বল শহরে আমরা যারা বয়সে কিশোর ছিলাম, তারা ছাত্রদল কিংবা ছাত্রলীগের তফাত খুব একটা বুঝতামও না।তবু আমাদের প্রত্যেকেরই ইচ্ছা ছিল রেজাউল আমাদের সংগঠনে আসুক।ছাত্রদলের কমর্ীরা রেজাউলকে টানতো নিজেদের দিকে,আবার ছাত্রলীগ আর জাসদ ছাত্রলীগের সমর্থকরাও আশা করতো রেজাউল তাদের সংগঠনে ভিড়ে যাবে।কিন্তু রেজাউল শুধু হাসতো আর বলতো,আরে দূর...,একদিকে থাকলেই হলো।মিছিলে তো রোজ আসি,আসি