এক.
সি.আর.পি বলে একটি প্রতিষ্ঠান আছে সাভারে।এর খবর আমি প্রথম পাই দেশের বাইরে এক ডাক্তারের কাছে। পরিচিত এক পঙ্গু লোকের চিকিৎসার ব্যাপারে তার সাথে আলাপ করছিলাম,তিনি খুব অবাক হয়ে বললেন, তোমার দেশে সি.আর.পি থাকতে তুমি রোগীকে এখানে নিয়ে আসতে চাও কেন?
বিদেশী ডাক্তারের কাছে প্রথম শুনলেও পরে বেশ কয়েকবার এই প্রতিষ্ঠানটির কথা আমি জেনেছি।
মূলত:পক্ষাঘাতগ্রস্থ লোকদেরকে সেখানে খুবই যত্ন সহকারে চিকিতসা দেয়া হয়।চিকিতসা প্রায় সব সময়ই আন্তর্জাতিক মানের বলে শুনেছি ।
ভেলরি টেলর নামের এক ইংরেজ মহিলা ,যিনি নিজেই ফিজিও থেরাপিস্ট তিনি এই প্রতিষ্ঠানটি চালু করেছিলেন ১৯৭৯ সালে।
খুবই ছোট্ট আকারে এর শুরু।সেই থেকে ভেলরি প্রচন্ড পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠান
মেয়ে পক্ষের আত্মীয় স্বজন বলে যে আলাদা কিছু নেই,সেটা কাজীকে বুঝানো যায় না।মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই,সে হিসেবে চিপকের আব্বা যে আমার ভাই এই যুক্তিতেও কাজীর মন টললো না।তিনি আমাকে বললেন,সেক্ষেত্রে আপনি কষ্ট না করে আপনার ভাইকে খবর দিয়ে নিয়ে আসুন।আমি বললাম,চিপকের আব্বা একজন সাবেক এম.পি,এ মুহূর্তে ত্রানের টিন সংক্রান্ত একটু জটিলতায় আছেন,
তবে মেয়ের চাচা বিয়ের আসরে হাজির আছেন।কাজী কাগজকলম বের করে বললেন,তার নাম বলেন।কৌশিক তখন পাশের রুমে ছিলেন,তিনি বেরিয়ে কাজীর সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন,ইশারায় কৌশিককে দেখিয়ে দিলাম।আমি কৌশিক আহমেদ নামটি বলে দিলাম।
কিন্তু গোল বাধালেন,চিপকের এই চাচা নিজেই।তাকে যে চাচা হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে,সেটি তো আর জানেন না।চ
এক.
আমি যেমন কম্পুকানা ,জামাল ভাষ্কর তেমনি নুনকানা।তার জ্বিহবার টেস্ট বোর্ডে নিশ্চয়ই মারাত্মক কোন সমস্যা আছে,তার নুনের আন্দাজ জ্ঞান কম।বাসায় ঢুকে দেখলাম,মৌসুম অলরেডি বিয়ের আসন পেতে রেখেছেন,আর জামাল ভাষ্কর বিপুল উদ্যমে মাংস রান্না করে চলছেন।পোলাও রান্না নাকি অলরেডি শেষ।আগেই বলেছি,জামাল ভাষ্করের স্বাদজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন আছে,তাই সারিয়াকে দায়িত্ব দেয়া হলো রান্নার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে তদন্ত চালাতে।
সারিয়া একবাটি চাল নিয়ে আসলেন,সেগুল
৩য় কিস্তিতে লিখতে চেয়েছিলাম কিভাবে ফুল-শাড়ী-গয়না-বাসরঘর জোগাঢ় হলো।এলো অডিও আর ভিডিও ক্যামেরা।ম্যানেজ হলেন জামাল ভাষ্কর।
কিন্তু পাবলিক বিরক্ত হচ্ছেন দেখে এই পর্ব বাদ দিয়ে গেলাম।
২য় পর্ব:
আমার প্রশ্ন শুনে পিয়াল ভাই সেন্টু খেলেন। অভিমানী গলায় বললেন,’’দূর ভাই,আপনি কি মনে করেন,অন্যের বউ না ভাগাইলে আমার বিয়া করা হবে না?আপনার অভিজ্ঞতা আছে এ লাইনে ,এইটা শুইনা একটু হেল্প চাইলাম,আপনে লাগাইলেন পেজগি।’’
(একটা অবাক ব্যাপার দেখলাম।সারাজীবনে বিচিত্র বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে, কিন্তু কামের বেলা লোকজন শুধু আমার কু-অভিজ্ঞতা গুলো স্মরণ করে।)
এই বার আমি সর্বশক্তি নিয়োগ করলাম বিবাহ অনুষ্ঠান সংগঠনে। জনশ্র“তি আছে কয়টা বিয়া করাইলে যেন হজ্বের সোয়াব পাওয়া যায়। হজ্ব করার এমন
সুবন্দোবস্ত থাকা স্বত্তেও আমি কি না আরবের মরুভূমি
ঘুমাতে গেছি ভোর ৫টায়।আকাশ তখন পরিষ্কার,পাশের রাস্তায় পথচারী মানুষের আনাগোনা শুরু হয়েছে ।রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বসে বসে কাজ করছিলাম,কিছুক্ষন ব্লগেও গেজিঁয়ে গেলাম,তারপর ডিভিডিতে একটা চমৎকার মুভি দেখলাম,তারপর ঘুমাতে গেলাম।শনিবার আমার ডে অফ,দুপুর বেলা ঘুম থেকে উঠলে কোন অসুবিধা নেই।
কিন্তু কাচাঁ ঘুম ভাঙলো মোবাইলের অসহ্য চিৎকারে। আমার মোবাইলে যে রিংটোন লাগানো আছে,সেটা বেজে গেলে ফোন না ধরে বসে থাকবে এমন বুকের পাটা কোন মানুষ্য সন্তানের নেই।
ঘুম ঘুম চোখে ফোন ধরলাম,কানে এলো সুমধুর কিন্নরি কন্ঠের এক কন্যার আওয়াজ।
:এটা কি ০১৭১......?আরিফ ভাইয়ের নাস্বার?
:হুম।
ঘুমের ঘোরে আমার ছোট্ট জবাব। মোবাইলে মিষ্ঠি কন্ঠ নিয়ে আমি খুব উদ্দীপ্ত হতে পা
এই মাত্র পাওয়া খবরে জানা গেল ব্লগার অমি রহমান পিয়াল তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তে আজ বিয়ে করছেন।নিরাপত্তার স্বার্থে পাত্রীর নাম এবং বিয়ের স্থান বলা যাচ্ছে না।
নব দম্পতি সকল ব্লগারের দোয়া চেয়েছেন।
আমার মনটা পুনরায় বিষন্ন হয়ে উঠে।রক্তের ভেতরে খেলা করে ক্রোধ,হতাশার কুয়াশা ছিড়ে আবার আমার নিওরোনের অলিতে গলিতে আসে সেই প্লাবন,আর সেই প্লাবনের জোয়ারে আমি আবার অসহায় হয়ে পড়ি ।হে প্রভু,আমাদের কি মুক্তি নেই?আমাদের কি শান্তি নেই?
আবার রাজপথ আমাকে ডাক দিয়ে যায়,আমার কোন গত্যন্তর নেই।
আমাদের নামতে হবে রাজপথে,খালেদা বা হাসিনার জন্য নয়;নামতে হবে একজন আহমেদ নূর আর একজন তাসনিম খলিলের জন্য।কাফকার সেই বিষন্ন শহর এখন আমাদের জনপদ।
মাঝরাতে তুলে নিয়ে যাচ্ছে সন্তানের কোল ঘেষে শুয়ে থাকা পিতা,পড়ায় মগ্ন অবোধ তরুন ভাই,দরজায় সেই একই বুটের লাথি ;৭১ থেকে ৮২,৮২ থেকে ৯০,আর এখন এই দুইহাজার সাতে।আমাকে ঘর ছেড়ে বের হতে হবে কারন ঘর আর আমার জন্য নিরাপদ নয়,আমার
এক.
ছোট্ট একটা শহর।পাশাপাশি দুইটি বাড়ি। রাত ১০টা ।পাড়াগায়ের জণ্য বেশ রাত।মেয়েটি জানালায় দাড়িয়ে চুল আচড়ায়।ছেলেটি ও এসে দাড়ায়।ত্রস্ত চলাচল।দুজনের মাঝখানে লোহার গরাদ।
ইতি উতি উকিঁ।মেয়েটি জানতে চায়,`কেমন আছো?' ছেলেটি তাকিয়ে থাকে চুলের দিকে। আনমনা হয়ে বলে `এতো লম্বা চুল!' হাত বাড়িয়ে চুলে ডুবাতে চায় আঙুল,হাত আটকে যায়।মাঝখানে লোহার গরাদ।
মেয়েটি হেসে বলে,নেবে?
দাও।
মেয়েটি এক গোছা
অত:পর বিনিয়োগ আসছে। বিনিয়োগের মিটারে মাপা হচ্ছে সরকারের সাফল্য,অর্থসচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ,অর্থমন্ত্রীর মেয়াদ।বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান মনের সুখে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেশ থেকে দেশে,প্রথম আলোর পিচ্চি সাংবাদিকরা টাটা নগর দেখে এসে যে বর্ণনা দিচ্ছে, বেহেশত ঘুরে এসেও সাঈদী সেই বর্ণনা দিতে পারবেন না তার রসনায়,সেমিনারে দেবব্রত বাবু গ্রাফ একে আমাদের চোখ ঝলসে দিচ্ছেন; আর আমরা ভেবে যাচ্ছি,আর মাত্র কয়েকটা দিন,একটু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা,একটু অবকাঠামোকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা,তারপরই শুরু হবে দুধে ভাতে পেটপুরে রাম ঢেকুর।
আমাদের কেউ বলছে না,বা আমরাই শুনতে আগ্রহী নই,আমরা চাইও না ইতিহাস পড়তে ,(অন্যদের তো পরের কথা,আমাদের নিজেদের ইতিহাস পড়লেও পরষ্পরকে গালি