কিছুদিন হলো কিছু লিখতে পারছিনা। হুড়মুড় করে অনেক গুলো কথা আসে মনে আবার সাথে সাথে না লিখলে মিনিট কয়েক বাদেই সব হাপিশ! কী মুশকিলরে বাবা! ভাব দেখে মনে হয় কী যেন এক লেখক হয়েছি যে আমার মহাসমারোহে রাইটার্স ব্লক হচ্ছে! আজ ভাবলাম কী আছে জীবনে একখান আব্জাব আজ লিখেই ছাড়বো! মিনিট বিশেক কিবোর্ড ধরে ধস্তাধস্তির পর আর পারছিনা বাবা! নিজেকে আজকের মতো ক্ষান্তই দিলাম!
[justify]
রুমার মনটা আজ বেশ ভালো। গুনগুনিয়ে যখন গান গাচ্ছিলো তখন পেটের বাবুটাও খানিক নেচেছে ওর সাথে। নাচবেই না বা কেন? ও ভালো গায় না নাকি? বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন তখন হুট করে গেয়ে ফেলতো দু চার লাইন, তারপরে সবার মাঝে হুড়োহুড়ি পরে গেলেও আর একটুও গাওয়ানো যেতো না ওকে দিয়ে! জামশেদও ওর প্রেমে পরে টিএসসিতে এক অনুষ্ঠানে ওর গান শুনেই। ওর এক বন্ধুর সাথে এসেছিলো অনুষ্ঠানে, পরে খুঁজেপেতে বের করে রুমার বাসায় একেবারে বিয়ের প্রস্তাব। ভালো পাত্র পেয়ে ওর বাবা মাও না করেনি।
সেই বিয়ের আজ দুবছর হলো, আর রুমার পেটে এখন ওদের সন্তান। আর মাত্র কয়েকটা মাস, তারপরে তুলতুলে একটা জ্যান্ত পুতুল ওর সমস্ত একাকীত্ব ভুলিয়ে দেবেই দেবে, রুমা সেটা খুব করে জানে!
আম্মুর স্টিলের আলমারির এক কোনে দুনিয়ার জিনিস পত্রের সেরকম বিশাল এক গাঁট্টি ছিলো। তাতে উলের নকশার প্যাটার্ন থেকে শুরু করে পোকায় খাওয়া আশুতোষের বই, হাফ প্যান্ট-ল্যাঙট পরা মামাদের পিচ্চিবেলার ছবি, সৌমি ভাইয়ার উলের হাতমোজা, নানা ভাইয়ের হোমিও প্যাথেটিক ওষুধের ফাইল, কিচ্ছু বাদ ছিলোনা। সেসবের ভিড়ে আম্মুর একটা সার্টিফিকেট খুঁজে পেয়েছিলাম।
[justify] দুষ্টুর অনেক আফসোসের মাঝে একটা বড় আফসোস তার নানাভাই। নানু মারা গেছেন সেই ছোট্টবেলায়, আবছা একটা ফটোগ্রাফ ছাড়া নানুর আর কোনও স্মৃতি নেই দুষ্টুর। তার আছে শুধু নানাভাই। ওর অনেক বন্ধুর নানুকেও দেখেছে ও, কিন্তু কেউই ওর নিজের নানাভাই এর মতো না। পাড়ার বন্ধুদের কথাই ধরি, মারুফের নানা থাকেন দেশের বাড়ি, প্রতিবার মেয়ের বাড়ি আসার সময় শুধু মারুফ না, দুষ্টুদের সকলের জন্যেই কতশত মজার জিনিস নিয়ে আসেন! রুপার নানা মারা গেছেন, ওর আছে নানী, নানীমনি কী সুন্দর গল্প বলেন! দুষ্টুর মাথায় বিলি কেটে কেটে কতদিন ওদের সবাইকে ঘুমকুমারির গল্প শুনিয়েছেন। দিনার নানাভাই এর মাথাভরা টাক আর গালভরা দাড়ি, ইংরেজি ছবি সান্তা ক্লজের মতো, দুষ্টুকে দেখলেই ছড়া কেটে বলেন, ‘দুষ্টের শিরোমণি, নামটাও তাই/ সারাদিন হেসে খেলে তাই তাই তাই! রিফাতের নানু একটু রাগী রাগী চেহারার, দেখলেই বানান জিজ্ঞেস করবেন, আর উৎরে গেলেই লজেন্স বা বাবলগাম দুষ্টু পাবেই!
[justify] আজকাল ঘুমাতে পারিনা একেবারেই। ঠিক সময়ে ঘুম না আসার এই রোগটা অবশ্য পরিবারের সবারই কম বেশী আছে। প্রচণ্ড ক্লান্ত থাকা স্বত্বেও ঘুমাতে পারি না এতটুকুও। মনের কোন এক সঙ্কীর্ণ এলাকা থেকে দাঁত আর নখ নিয়ে আলতো পায়ে হানা দেয় একটা আজব ভয় তখন। ঘুম হীন রাত গুলো চোখের নিচে কাকের পা বসিয়ে গেলেও করার কিছুই থাকে না। এভাবে রাতের পর রাত না ঘুমানোর ভোতা একটা যন্ত্রণা নিয়ে কাটাতে হয় দিনের সবটুকুই। রাত আসলেই শুরু হয় আবার সেই ছটফটানি।
এ-ঘর থেকে সে-ঘর,
কোণার ঐ বারান্দাটা!
নাহ, এবারও না!
মার ঘর, বাবারটাও, রান্নাঘর, বারান্দা, বসার ঘর -
এমনকি খাবার টেবিলের তলাটাও দেখে ফেলে টুপুর।
ধুসস!
মাঝে মাঝেই উদ্ভট উদ্ভট সময়ে নানারকম অদ্ভুত কথা লিখি। কখনও খাতার পাতায়, কখনও নোটপ্যাডে, কখনও বা খোমাখাতার পাতায়! সচলায়তনে লগিন করা হয়ে উঠেনা আলসেমীর কারণে, তাই বাঁচোয়া, নাহলে সেইসব উদ্ভুট্টি আব্জাবে আমার ব্লগবাড়ি ভেসে যেত কবেই! তবে শেষরক্ষা হলোনা। আজকে লগিন করা হয়েই গেলো! কে জানে, পরীক্ষার পূর্বরাত্রি বলেই হয়তো!
রাত জাগার বিশ্রী অভ্যাস আমার আছে।
পুরো রাত হাঁটুর মধ্যে মাথা ...
আমার তিনবছরের মেয়েটা সফেদা খেতে খুব পছন্দ করে। এক্কেবারে মায়ের বেটি। ল্যাবএইড থেকে বেরোবার ঠিক আগে আগে আম্মা জোর করে তাই হাতে গুঁজে দিলেন সফেদার একটা থলে, তার নানুভাইয়ের জন্যে। অরণীটার মাথায় তার মায়ের মতোই ক্যারাব্যারা আছে, দুষ্টের শিরোমণি। এই বয়েসেই এমন সব কথা বলে বসে মাঝে মাঝে, মাহফুজ আর আমি হা করে তাকিয়ে ছাড়া কিছু করতে পারি না!
ইসলামপুরের ছোট্ট বাসাটার মতোই আমাদের সংসারটা ...
প্রথম পর্ব - মূলত পাঠক
দ্বিতীয় পর্ব - আনন্দী কল্যাণ
তৃতীয় পর্ব - বুনোহাঁস
চতুর্থ পর্ব - নজরুল ইসলাম
এই যে, আমার বান্দিপোতার গামছা!
|| পঞ্চম পর্ব ||
মীরা! বুঝতে চেষ্টা করলাম এতদিনের অনুচ্চারিত এই নামখানা উচ্চারণে ঠিক কতোটুকু বিস্ময় আর কতোটুকু প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব করা হয়ে গেলো মনে মনে! মী ...
বোকারা আসলে সাহসী হয়। কোথায় ভয় পেতে হবে না বুঝলে সাহস দেখানোটা অবশ্য বাহাদুরির পর্যায়ে পড়ে না। তবুও, এ হিসেবে আমি বেশ সাহসীই ছিলাম! মৌচাকে ঢিল মেরে দুদ্দাড় ছুটে বেড়ানোদের দলের একজন। লাল ঝুঁটি কাকাতুয়ার কাছে লাল ফিতে আর আয়না চাইবার সময় কোথায়, মারুফের রোলার স্কেট জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে দুবাহু মেরে মাঝরাস্তা ধরে উড়ে বেড়ানোটা যে অনেক জরুরী ছিলো সে সময় গুলোয়! এরপরে সেই রাস্তায় কতো নতুন ...