মুদ্রণপ্রমাদ জীবন পাণ্ডুলিপির স্বত্ত্ব গ্রহণ করছো সহাস্যে
ফড়িঙের জীবন, অমরত্ব ভেবে নেচে যাচ্ছো তা থৈ থৈ
তৈরি করে যাচ্ছো নতুন নতুন চিত্রলিপি!
আমি তার বুঝি না কিছুই
না বুঝেই হাওয়ার শরীরে নির্জনে চুমু ভাসিয়ে দেই!
হলুদ পাতার দল উড়ে গেছে কোন সে কালে
জীবন বিভ্রাটে কেটেছে কতো না শতাব্দী,
আজ যা দেখি সব ধূসর,
স্বপ্নের মিছিলে ক্লান্তির জলস্রোত
স্মৃতি দর্শনে হারিয়ে যায় গোধূলি পাঠ্য বিস্তার
কিছু কথা আছে যা বাথরুমের আয়না আর ডায়েরি ছাড়া আর কাউকে বলা যায় না।
আয়নার মধ্যে লেগে থাকুক কথার পালক, ডায়েরির পাতায় দীর্ঘজীবি হোক কথাগুলো।
আমাদের অনেক কথা থাকে। কিছু কথা বলা হয়, কিছু কথা গান হয়, কিছু কথা কবিতা হয়
আর কিছু কিছু কথা দীর্ঘশ্বাস হয়ে মিশে যায় রাতের বাতাসে,
সে বাতাস গল্প বলে নদীর জলের কাছে, সে নদী মনু হতে পারে, হতে পারে ইছামতী।
আমার কথাোগুলো আত্মহত্যা করেছে
মৃত কথাগুলোও ফাঁসিতে ঝুলাবে,
অমানিশা কেটে গেলে!
বোবা চোখ অনেক জানে
চোখের দৃষ্টি যে কতটুকু ধারালো হতে পারে
ধূসর কুহেলি দূর হলে প্রকাশ পাবে!
এই নখের ভেতর জমে আছে পুরাতন রোদ
সেই রোদের তীব্রতা, স্নেহ, ভালোবাসার থেকেও মূর্ত
এই নখও সময়ে হতে জানে ঘোড়ার খুর!
আজ যে ছেলেটি অরব ধাবমান রোদ্দুরে
বুকে মায়া, মৌনতা চেপে, গোপন বিন্যাস লুকিয়ে
শেষ বলে কিছু নেই
তাই বারবার দৃশ্য ভাঙি।
কখনো যদি ডাকে
ডুবে যাওয়া শহরতলি।
-যাবো,
ডাকলেই যাবো।
কোন কারণ ছাড়াই
হবো তাদের কথার সঙ্গী ।
প্রকাশ্যে লুকিয়ে থাকবো
মেঘশিমুলের গল্পগুলো
চেপে রেখে,
আঁকবো নৈঃশব্দের দৃশ্য-
হৃদয় নৈদাঘে!
সময় থমকে থাকে
এমন করে কাটে না দিন,
নিদ্রাহীনতার গানে
ভারি হতে থাকে রাত্রি।
পুষ্পের আড়াল থেকে
ফিরে গেছে সকাল
যাচ্ছে ফিরে আগামীকাল!
কোন পরিকল্পনা নাই
বলি, চলো! মাভৈ।
ঘুমোচ্ছে বড় ছোট দালানকোঠা সব
ছায়াও ঝিমাচ্ছে রাস্তায়!
শুধু দুই মহল্লার মধ্যেখানে
জেগে আছে পুকুর;
আমি সাঁতার জানি কন্যা।
এতোটা পথ
পথের কোলাহল সরিয়ে
একা একা, একলা দুপুরে
এসেছি আজ মাতবো
তোমার নেশায়, নেশার উৎসবে!
আমার দুপুর কাটে তোমার আলোয়
বিকেল ও কাটে তার রেশে,
দুপুর রাত্রে যখন
উৎসব ফের ডাকে- আয় আয়!
আমি অসহায়!
নিরুপায় রাত্রি
একবার তাকে বলেছিলো পাহাড় দেখাবে। সে ও বিশ্বাস করেছিলো ঠিক কিন্তু তাকে রেখেই সেইবার পাহাড়ে গেলো তারই দূর সম্পর্কের এক মামাতো ভাই! তারপর আর কোন কিছু ‘তার’ হয়ে তাকে আঁকড়ে ধরে না, সে ও ধরার চেষ্টা করেনি। আকাশ আর সবুজ হয়ে ভাসে না তার চোখে। হারিয়ে যায় তার রঙ পেন্সিল। ছিঁড়ে যায় রাত জেগে জেগে বুনে যাওয়া স্বপ্নের জাল। বদলে যায় জীবনের মানে, বদলে যায় বিশ্বাস!
উন্মোচিত গল্পের রাত পার হয়ে যায়
পেছনে রেখে আসি ঝিঁঝিঁর ঘুঙুর।
নরম-শান্ত এক টুকরো আলো আসন পাতে
চোখের ভেতর আর পাখির পরশে
মগ্নতা ভাঙে বেকার আকাশ-
বিছিন্ন জীবনের ওপর ধূলো ছিটিয়ে দূরের পথে
চলে গেলো একজোড়া পা।
বিসর্জনের পৃষ্ঠা ওল্টাতে গেলে বুক ফেটে যায়
অথৈ পিপাসায়। তবু প্রার্থনা; বৃষ্টি নামুক এ-শহরে,
আরো একবার কাঁদুক একলা পাথর!
তারপরও রোদ, টুকরানো চিঠির মতোন
জয় এলো বাংলাদেশের। বিশ্বকাপে ২য় জয়। অনেক নাটক করে জয়টি ধরা দিলো। বিশ্বকাপটি ঘরে তুলতে হবে এমন কোন আবদার করেনি বাংলাদেশের মানুষ। শুধু একটু ভালো খেলুক এটাই চেয়েছে। প্রথম খেলায় ভারতের সাথে হারার পরও মানুষ খুশী। ২য় খেলায় আয়ারল্যাণ্ড এর সাথে জয়ে কে কতটুকু খুশী আমি জানি না। তবে আমি একটুও খুশী না। আয়ারল্যাণ্ড এই সেদিন ক্রিকেট খেলতে এসেছে, এখনও টেষ্টে সুযোগ পায়নি, কিন্তু এখন পর্যন্ত আয়ারল্যাণ্ডই চমক দেখিয়
বিকেলবেলা মেঘ দেখে তুমি পথ হারিয়ে
চলে গেলে সন্ধ্যার দাইড়ে
ভ্রাম্যমান দৃশ্যে তুমি রাখতে পারোনি দৃষ্টি
স্তব্ধতা ভেঙে বেড়িয়ে গেলো জোছনারঙা ঘোড়া!
অন্ধকারেই আমি খুলে রাখি আমার এক একটি দিন,
পাঠ করি; দেখি জীবনে যথেষ্ট মুদ্রণপ্রমাদ!
তারপর...
যাই ডান থেকে বামে
বাম থেকে ডানে আসতে গেলেই দেখি
তুমি মাথার উপর অন্ধকার নিয়ে
ভুল ঘাটের জল ঠেলে দিচ্ছো আমার দিকে।
সে জল ভাসাতে পারেনা স্মৃতির নাও!
এতো সাজ জীবনেও সাজেনি নীলা। আজ এতো সেজেছে যে তার কান্না পাচ্ছে। কান্নাটা সেজেছে বলে যে পাচ্ছে তা নয়। কান্না পাচ্ছে তাকে আজ পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায়। সাজিয়ে-গুজিয়ে মানুষের সামনে নিয়ে যাওটাকে নীলা সহজ করে নিতে পারছে না। দুঃস্বপ্নেও এমটা ভাবেনি নীলা। অথচ আর তার মা-বাবা এই কাজটা করলেন। নিথর হয়ে বসে আছে নীলা। কি করবে, কিছু কি পারবে করতে; ভেবে যাচ্ছে, ভেবেই যাচ্ছে!