স্বপ্নে নয়, কবিতায় নয় সত্যি সত্যি আমার একটি পাহাড় ছিলো। তার উপরে উঠে মেঘ ধরা যেতো। আমি ধরতাম ও, হাতের তালুতে পুষতাম একটা সময় মেঘ প্রজাপতি হয়ে উড়ে যেতো; উড়ে যাওয়া দেখতে ভালো লাগলেও মনটা জানি কেমন হয়ে যেতো! কেমন হতো সেটা আমি বুঝিনি কখনও! আজও না...
আজ পাহাড় নেই আর, মেঘ আছে ঠিকই কিন্তু ধরার মিথ্যে চেষ্টা করিনা, করতে উচ্ছে করেনা কোনো। মনটাও কেমন কেমন করে না আর; এই "কেমন" "কেমন" করেনা বলে আমি ভালো নেই!
বহুবার ভেবেছি যে কোন বিনিময়ে আমি ভালো থাকবোই আর এই জিদটার জন্যে আমি আরো বেশি করে বুঝতে পারি আমি আসলে ভালো নেই! ভালো থাকা হচ্ছে না আমার।
অনেক রাতের গল্প আছে ক্ষয়ে যাওয়া চটি ও পথের
সরকারি কোয়ার্টারে হলুদ বাড়ির জানালার নীল পর্দার কাছে;
সেই সকল গল্প নতুন পোশাকে
আমাকে আবার মুখের দিকে দেখায়
কিছুদিন নীরবতা ভালো
নৈঃশব্দ্যের পাঠশালায় মূর্তি হয়ে থাকুক অন্ধ অক্ষর
আর চুমুর দুপুর অষ্পষ্ট থাকুক মৌলিক আয়নায়!
চলন্ত ট্রেনের ক্রন্দনে ভুলে থাকা যাক
চটি ও পথের বৃত্তান্ত...
ধ্বংসের নগরে বেঁচে থাকুক কিছু কঠিন অনুভব
তুমুল বৃ ...
সকল প্রস্তুতি শেষ। দিনটাও প্রায় শেষ। একটু পরে সূর্যটা ও থাকবে না। ছায়া দখল করে রেখেছে পথ। পথের মাঝখানের সোডিয়াম বাতিগুলোও জ্বলে ওঠছে। সন্ধ্যা এখনও হয় নি তবু বাতিগুলো জ্বালিয়ে দিলো বলে একটা প্রশ্ন মাথায় আসতেই দেখি রিকশা থেকে নামছে অঞ্জন। হাতে ব্যাগ, লম্বা চুল, কেউ আচানক দেখলে কবি ভাবতে ভুল করবে না। আসলে সে কবি না। সে শখের ফটোগ্রায়ার। আর আমার বন্ধু বা আমি থাকে বন্ধু ভাবি সে আমাকে ...
তার বুকে ঢেউ ওঠে, তার চুলে রাত্রি নামাই, তার ঠোঁটে গোলাপ ফোটাই। অনুভবে...বন্ধু অনুভবে।
তাকে নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে। তাকে নিয়ে ভাবি। ভাবনার ডানা উড়ে যায়, কতদূরে যায় সব আর মনে থাকে না বা মনে করি না। আকাশে তার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা। মেঘ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সে আকাশের নীল বারান্দায়। তাকে আমি দ্যাখি, দ্যাখে দ্যাখে চোখ পুড়াই, পরাণ জুড়াই।
সে এমনই ইচ্ছে করলেই ছুঁয়ে দেয়া যায় না অথচ অনিচ্ছায় সে আমার ...
আমি এখন আকাশে, মেঘের সাথে পৃথিবী দেখি
দুপুরের মেঘেরা জানে, জানে পাড়ার শেষ বাড়িটা
কিছু সর্বনাশ আর স্মৃতির বিপন্নতা
তোমাকে আতকা গিলে খায়!
একটি গল্প ছিলো
সর্ষে ঢাকা ছিলো তার মলাট,
এখন ক্যাকটাস বারো মাস!
মানুষ তুমি ক্যাকটাস নও
তবু আঙুলে রক্ত ঝরে।
আহত আঙুল কার কাছে রাখি
কে বলবে অমানিশা গেছে কেটে!
একটি গল্প ছিলো পাতার আড়ালে
যা আসন্ন সন্ধ্যার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে!
কতো আর হয়েছে সময়
এইটুকুতেই পেরেছো তুমি ঢের
অন্যরা পারেনি যা করেছো তুমি তাহা!
আচানক ঝড়ে উড়ে এসে
আলোয় ভরিয়ে দিলে পৃথিবীর প্রাচীন অন্ধকার!
পথে পথে জন্ম নিলো অচিন যতো ফুল
পরস্পরকে চিনে নিলো তারা।
তাকিয়ে আছি নিজের দিকে
নিজের দিকে তাকিয়ে দেখি,
যখন এসেছিলে নির্জনতায়
দেখিয়েছিলো কেমন তোমার মাঝে আমায়।
ভুলে গেছি মনে করতে পারছি না;
ভুলে যাওয়াটাই ভালো না হলে
একটু পরে একলা থাকবো কেমন কর ...
দূরে একলা পাহাড়চূড়া শিস কাটে
সময় নির্জনতামুখি, ডানা পোড়া পাখি
হঠাৎ হঠাৎ উড়ে আসে নীল পৃষ্ঠায়।
হারিয়ে যাওয়া কলরব ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে
পৃথিবীর হাট-বাজারে।
এক ফোঁটা আনন্দ, তাকে ঘিরে যতো উল্লাস,
সব ম্লান করে দিয়ে পাখি উড়ে যায়!
শূন্যে তালি বাজিয়ে হয় না ত্রিতাল
বরং উড়ে যাও পাখির খোঁজে
আমার নীল পৃষ্ঠা।
এক
এই গ্রামে যা ঘটছে, যা ঘটে যায় তার সকল কারণ হয়ে দাঁড়ায় জামালের পাগল বউ সাবিনা। সেটা সে করুক আর না করুক দোষ তার উপরই পরে! সবাই বলে বেড়ায় : "আর কে করছে, জামালের পাগল বউ ছাড়া?"
গতকাল সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে সুলেমান যখন বাজারের পথ ধরে তখন দ্যাখে সমস্ত রাস্তায় পায়খানা করে রেখেছে কে। কিন্তু সেটা সাবিনা যে করেনি তার প্রমান জামাল। গতকাল রাতে সাবিনাকে জামাল ঘরে বন্দী করে রাখে। কিন্তু কে শুনে...
রং মাখা শব্দ উড়ছে মহাকাব্যে
স্বপ্নে পড়ছে ছায়া
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে নিদ্রাসমগ্র-
বালিশ জানে সে সত্য
স্বপ্নের সাক্ষী বালিশ- মাথার সঙ্গী বালিশ।
নক্ষত্র যাক নিভে
শার্টের কলারে জমা হোক
কষ্টের ময়লা-; বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে
আসো যদি, শরীরের চামড়া খুলে
পাঁজরের নষ্টামী দ্যাখাতে আপত্তি নাই আজ।
উৎসর্গ
সে এক পাথর আছে শুধুই লাবণ্য ধরে
পৃথিবীর সকল নিয়মকে পাপোষ করে আয় শুধু ভালোবাসার কাছে করি আপোষ। অন্তত একবার আয় হারিয়ে যাই বিজন সান্দ্রে। পাতায় পাতায় মুদ্রিত হোক আরো এক গল্পের মহিমা। সবুজে সমাহিত হয়ে যাক পুরান কেচ্ছাগুলো...
কেউ উড়াক নক্ষত্রের ফানুস। ছায়া হয়ে যাক দুনিয়ার হায়হুতাশ! আমরা শুধু তাকিয়ে দেখবো নিখিলের চূড়ায় কে সাজিয়েছে মায়ার বিলবোর্ড। যেখানে আমরা শুধু দর্শকের ...