কিছুদিন ধরে কেমন জানি হয়ে গেছি! নিজের পরিবর্তন নিজেই বুঝতে পারছি। কোনো ইচ্ছা নাই, আড্ডাও মারছি না বন্ধুদের সাথে। ঘরের ভেতর অন্ধকার করে বসে থাকি। ফেসবুকেও বসি না। সময় তার মতো করেই হাঁটে, আমি শুধু দেখি আরেকটা দিন গেছে। সব কিছু কেমন এলোমেলো লাগে। না এলোমেলো আমি নিজে : জানি না। জানার চেষ্টাও করি না। তবু একটা জিনিস চাইলেও সারাতে পারি না, চোখের সামনে থেকেও না, ভাবনা থেকেও না! অন্ধকার ঘরে...
নির্বাচিত দীর্ঘশ্বাস পাখি হয়ে যায়
গাছে গাছে রেখে যায় ক্লান্তির ছায়া ।
আকাশের প্রাচীর জুড়ে মেঘের আঁচড়
তবু রাঙিয়ে উঠে চাঁদ;
আমি বলি সম্ভাবনা তুমি বলো সম্ভব না!
বালিশে কান পেতে শুনছি রাতের বেহালা,
সুরে সুরে ঘুমগুলো ভাবনা হয়ে যায়,
শরীরে আমার ক্লান্তি চাষ করে ঘুম চলে যায়।
সম্ভাবনা পায়চারি করে হৃৎপিণ্ডের বারান্দায়
ঠিক তখন ঘাতকের ছুরি ঘড়ির কাঁটা হয়ে যায় ...
কুয়াশায় ঘিরে রাখে আমার সমস্ত সকাল, ভোর কোনো ফাঁকে চলে যায় টের পাই না, আমার তো দুপুর বেলা সকাল শুরু আর মধ্য রাতে সন্ধ্যা, তখন বাহির পানে তাকিয়ে দেখি কি গাঢ় কুয়াশায় ঢেকে রেখেছে আমার গ্রাম ঠিক তখন মনে হয় শীত তো চলে এলো কনক, তোমার কার্ডিগানটা পড়েছতো?
চারদিকে যখন নীরবতা, চাঁদের চোখেও ঘুমের ছায়া, আমি বিহ্বল চোখে দেখি আমার চার প্রাচীর জুড়ে স্বপ্ন পোড়া ছাইয়ে আস্তরণ করা; তার মাঝে ঘাতক এক মুখ, ...
সময়ের গোপনে
অদৃশ্য আগুনে,
পুড়ে যাচ্ছে তোমার দৃশ্যগুলি।
বাড়ি ফিরে যাচ্ছে নদী
সন্ধ্যা নেমে এলো বুক অবধি,
ঘোড়ার পিঠে বসে চলে গেলো গোধূলি।
আকাশের ঐ নীড়ে
তারাদের ভীড়ে,
ইচ্ছে হলো দু'জনে কথা বলি।
তোমায় দেখি না, তুমি কিসে ঢাকা?
মহাকাশে বিরহের অবয়ব আঁকা,
তুমি নাই-তুমি নাই, নির্জন অলি-গলি!
পড়ে আছে রাত্রির খালি পাতা
সন্ধ্যাভাষায় লিখে রাখি বিগত স্মৃতিকথা।
পুড়ছে দৃশ্য, আমিও জ্বলি!
ভালো...
তখন কতো আর বয়স। হাঁটতে পারি, কথা বলতে পারি, এই। স্কুলে পড়ি কি না মনে করতে পারি না। একমাত্র বড় ভাই পড়ালেখা করতেন দূর নগর সিলেটে। শীতে বাড়িতে আসতেন। ভাই বাড়ি আসা মানেই গ্রাম ভরে উঠবে খেলাধূলার ঢেউয়ে।
হয়তো কিছুটা শীত নেমেছে বা অনেকটাই। অনেক সকাল ডুবে থাকে কুহেলিকায়। মন চাইতো আরেকটু ঘুমাই, মা'কে জড়িয়ে থাকি। কিন্তু ঘুমাতে পারি না। ভাই এসে নিঃশব্দে ডাকছে, যাতে মা- সে শব্দ শুনতে না পারে। ...
আমার কোনো শব্দ নেই
আমার কোনো আমি নেই। তবু
আমার শরীর ঘিরে মেঘেদের মিছিল,
আমার কোনো নদী নেই
তবু আমি মাঝিদের দুঃখ বুঝি।
আমার দুঃখগুলো পিঁপড়ে টেনে নিয়ে যায়...
যে যার মতো করে আমার শরীরে
বৃষ্টি ঝরায়। আমি কাঁপন টের পাই,
তবু আমি জল খুঁজে পাই না।
যে যার মতো আমাকে নিয়ে খেলা করলো
তবু আশ্চর্য, আমি আমাকে কোথাও খুঁজে পেলাম না।
অপেক্ষার কৌশল আগে কখনও শিখিনি
তবে, শেখা হয়ে গেছে অপেক্ষা করতে গিয়ে।
অপেক্ষার শরাব পান করে লাটিমের মতো
ঘুরতে থাকি, ঘুরে ঘুরে জানা হয়;
অপেক্ষা সেও এক পরীক্ষা।
আমি অপেক্ষার খুব কাছে যেতে চাই,
যতো কাছে গেলে ফেরার পথ অচেনা হয়ে উঠে।
অথচ অপেক্ষা দূরে রমণীর হাতের চুড়ি হয়ে
কেবল আমার লোভ-ই বাড়ায়! সেই লোভের
ওপর হরপ্পার চাঁদের ছায়া পড়ে...
অন্ধকার- অভ্র হয়ে জাগবে কেউ অপেক্ষায় আছি,
যে জাগবে তা...
দেখো কি এক দাগ লেগে আছে দেহের প্রাচীরে
মুছা যাচ্ছেনা কিছুতেই, তবু
বারেবার মুছার চেষ্টা করছো তো করছোই।
আর এসত্য জানাতে না চাইলেও জেনে গেলো অনেকে!
আশ্চর্য হলেও সত্য যে, দাগ আছে বলেই
তুমি সময়ে অসময়ে তাকাও প্রাচীরপানে,
আবার ইচ্ছে হলেও পারছো না তার ভেতর থেকে
বের হতে।
কিন্তু তুমি এ জানতে না, দাগ'টা তুলে পেললে
তার ভেতর থেকে রক্ত বের হতো...তারপর
থেকে তুমি জীবনের ছুরি'টা আমার কাছে বন্ধক ...
তুমি বড় হয়ে যাচ্ছো
পোশাকের ভেতর নিজেকে লীন করে রাখছো,
তোমার ভেতর তো সেই কবেই অর্ধেক লীন হয়ে আছি;
আমিও কি পূর্ণ রূপে বেড়ে উঠছি?
জানিও তো। আমার বেড়ে ওঠা তোমার সমস্যা না হলে
জানাতে হবে না! মনে রেখো। দেখো ভুল করে
আবার জানিয়ে দিও না...
তুমি তো অনেক ভুল করো
অথবা আমার শুদ্ধ-কে ভুল ভেবে বসো।
অভিমানের মেঘ দিয়ে ঢেকে রাখো সম্পর্কের সূর্য!
তোমার ভেতর তো সূর্য নেই তবে এতো আলো আসে
কোথায় হতে? আমি ...
একটি পাখি প্রতি ভোরে
আতাফল গাছের নিচে ছায়া রেখে যায়,
আমি ছায়ার নিচে রাখি আমার বিষন্নতা।
মধ্য দুপুরে আমার বিষন্নতাগুলোও
কখন ছায়া হযে যায় ...
আতাফল গাছটির পাতা যখন ঝরে
ছায়াটির উপর। আকাশ নিচু হয়ে আসে।
আমি দ্বিধায় বাড়িয়েছিলাম হাত,
ছুঁয়ছিলাম আকাশ নখের ভেতর আটকে গেছে মেঘ!
অন্য এক ভোরে ছায়ার মাঝে বিষন্নতা না রেখে
রেখেছিলাম সুখ শান্তি-
মুহূর্তে আকাশ উঁচু হয়ে গেলো।
ছায়া'টি পাখি হয়ে উ...