আশ্চর্য! এই অসময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি! সারাদিন ঝিরঝির বৃষ্টি হেমন্তের হীম যেন আরও বাড়িয়ে দিল। বৃষ্টি ভেজা মেটে গন্ধ বাতাসে। রমা বুক ভোরে নিঃশ্বাস নিল। সেই দিনটাও তো আজকের মত ছিল। ধূসর কালো মেঘের ছড়াছড়ি ছিল সারা আকাশ জুরে। যদিও মন খারাপ করে দেয়ার মত পরিবেশ, তবুও সেদিন রমা ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মেয়ে।
২০০৫-০৬ ঘটনা। আমি তখন আরামবাগে বড় মামার বাসায় আরামেই থাকি আর ওমেকাতে কোচিং করি। কাজিন ভিকারুন্নিছা’র (নাম ভুল করলাম কি?) ধানমন্ডি শাখার ছাত্রী। ক্লাস সিক্স-সেভেনে পড়ে হয়ত। মাঝে মধ্যেই ওকে আনতে যেত হতো ধানমন্ডিতে। রাস্তায় জ্যামের কথা মাথায় রেখে হাতে বাড়তি সময় নিয়েই বেরিয়ে পড়তাম। কোন কোনদিন কাটায় কাটায় ছুটির ঘন্টা পড়ার মুহুর্তে পৌছতাম। আবার কোন কোনদিন রাস্তা ফাঁকা থাকলে বেশ আগেই পৌছে যেতাম।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনি সব খেয়ে ফেলল। দেশের মানুষের ট্যক্সের টাকায় উনারা ফুর্তি করে বেড়াচ্ছেন। জাতিসংঘ মিশনে গিয়ে টাকা আর টাকা। এই দেশে সেনাবাহিনি দিয়ে কি হবে? বাংলাদেশ সেনাবাহিনি নিয়ে অনেক কথা প্রচলিত আছে। যার মধ্যে অনেক কিছু কিছু আমরা জেনে বলি আবার অনেক কিছু না জেনে বলি। আজকের আমার লেখাটির উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের প্রচলিত ভুল ধারনা গুলো নিয়ে একটু আলোচনা করা:
১।
আমার ধারনা ছিল আমার পক্ষে ভয় পাওয়া সম্ভব না। এমনকি কোন খারাপ পরিস্থিতিতেই ভয় না পেয়ে নিজেকে মাঝে মাঝে অনেক কুল মনে হত। ভুল ভাঙল কালকে টিভিতে বাসে পোড়া মানুষদেরকে দেখে। আমি নিয়মিত লোকাল বাসে চলাচল করা পাবলিক। টিভিতে যখন দেখছিলাম বিহঙ্গ পরিবহনের যাত্রীদের পেট্রল বোমাতে ঝলসানো শরীর, তখন ভাবলাম আপাতত কিছুদিন আর বাসে চলাফেরা করবনা। সম্ভবত এটাই ভয়ের সবচাইতে কাছাকাছি অনুভূতি যা আমি পেতে পারি।
মারসায়াসের সাথে সুরের প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে এপোলো তাকে কঠোর শাস্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু দেবতা প্যানের সাথে ভিন্ন আচরণ করলেন। হয়তো দেবতা বলেই প্যানকে মারসায়াসের ভাগ্য বরণ করতে হয়নি!
১৯১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জগৎবিখ্যাত মানসিক রোগচিকিৎসক এবং মনস্তাত্ত্বিক সিগমুন্ড ফ্রয়েড তাঁর বন্ধু এবং সহকর্মী কার্ল গুস্তাভকে চিঠি লিখল ‘…… আসছে গ্রীষ্মের ছুটিতে আমার প্রয়োজন এমন এক লোকালয় যেখানে একটু একা থাকতে পারব শুধু ধারেকাছে অরণ্য থাকলেই চলবে’।
আগস্ট মাসে বন্ধুকে আবার চিঠি লিখে ফ্রয়েড জানিয়ে দেয় ‘...... রেননের এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশে আমরা চমৎকার আছি, নিষ্কর্মা হয়ে বসে থাকার অপার আনন্দ আমি নিজের মাঝে খুঁজে পেয়েছি’।
এপোলো প্রথম দিকে সুরস্রষ্টা হিসেবে পরিচিত ছিলেন না। ছিলো না তার কাছে লায়ার বা বীণা। সঙ্গীতের দেবতা হিসেবে এপোলোর গল্পের আগে ঘুরে আসতে হবে অলিম্পিয়ান দেবতাদের মধ্যে সবচেয়ে চতুর হার্মিসের এক কাহিনীতে।
হার্মিস ছিলেন জিউস এবং মাইয়ার (সবচেয়ে বড় প্লেয়াডেস) সন্তান। হার্মিস মায়ের সাথেই পাহাড়ের গুহায় বাস করতেন। একদিন, হার্মিস সবে হাঁটতে শিখেছেন, সূর্যের আলোয় গুহার সামনে খেলা করছিলেন, হঠাৎ করেই দেখতে পেলেন ঘাসের উপর পড়ে আছে একটি কচ্ছপের শক্ত খোলস। তিনি জিনিসটি দেখে খুব মজা পেলেন এবং গুহায় নিয়ে আসলেন। এরপর খোলসটির প্রান্ত ধরে ফুটো করতে লাগলেন, ভিতরের দিকে ফাঁপা নলখাগড়ার মতো বানিয়ে ফেললেন, চামড়া ও রজ্জু দিয়ে তৈরী করলেন লায়ার, এক বীণা। এভাবেই তৈরী হলো বিশ্বের প্রথম বীণা, যার ভিতর লুকিয়ে আছে অসাধারণ এক সুর।
হাসনাত সাহেব দরজা ঠেলে ঘরটায় প্রবেশ করলেন। ঘরটা প্রকান্ড। আশেপাশের যে দশটা বাসায় ঘরগুলো দেখতে পাওয়া যায় তার সাথে এর কোনভাবেই মিল করা চলে না। ঘরটা প্রশস্ত, বিশাল। অনেকটা ক্লাসরুমের মত। হাসনাত সাহেব এ ঘরটায় প্রাণ খুলে শ্বাস নিতে পারেন। আজকাল যে ফ্ল্যাট-রুমগুলো তৈরী হয় সেখানে বেশিক্ষণ থাকা যায় না, দম বন্ধ হয়ে আসে।
শীত করছে আসি আসি... মৃদু কনকনে বাতাস শীতের আগমনের বার্তা বয়ে আনছে যেন। খুবই প্রিয় এই সময়টা হেঁটে হেঁটে এগিয়ে আসছে আমার কাছেই, পাতা পোড়ার গন্ধ আমায় মাতাল করে দেয় এই সময়টাতে। কুয়াশার চাদরে ভিজিয়ে দিয়ে যায় আমার সকল ইচ্ছেগুলোকে। আর দুঃখগুলোকে বন্দী করে শিশিরের কণায়। ঠিক এভাবেই...
আমাদের সেই বাড়িটা আর নেই। পুরনো ঢাকার কলতাবাজারের জরাজীর্ণ এলাকায় আরও জরাজীর্ণ শেওলা ধরা মাঝারি মাপের একটা বাড়ি। আমাদের শৈশব কৈশোর তারুন্নের সাক্ষী একটা বাড়ি। বাড়িটার ঘরগুলো খুব সাজানো গোছান প্রকৌশলীর হাতে বানানো ছিল না প্রথমে। বিশাল বিশাল সেগুন কাঠের বিম কড়িবর্গা। প্রথমেই ছিল বাবার কাজের ঘর তারপর বসার ঘর আমরা বলতাম মাঝখানের ঘর, মাঝে বারান্দা আসলে প্রতিটা ঘরের সাথেই বড় বারান্দা ছিল তারপরে আমাদের