চাকরিটা যখন পাই তখন চাকরিটা নিব কি নিব না সেটা নিয়ে বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে ছিলাম। কাছের সবাই বলছিল ভালো কোম্পানি, ভালো সেলারি, সুতরাং কোন রকম ভাবা-ভাবি না করে যেন চাকরিটা নিয়া নেই। সব কিছু বিবেচনা করে অবশেষে চাকরিটা নিয়েই নিলাম। চাকরিটা নেয়ার পেছনে ভালো কোম্পানি, ভালো সেলারি ব্যতীত আরেকটা অন্যতম কারণ ছিল, সেটা হল- চাকরির পারপাসে প্রায়ই আমাকে বিভিন্ন জায়গায় ট্র্যাভেল করতে হবে।
(তোমার)
তোমার চেয়ে শত্রু বড়ো বিষন্নতা
তোমার চেয়ে শত্রু বড়ো ডায়েরি খাতা
তোমার চেয়ে স্বপ্ন স্মৃতি শত্রু বেশি
তোমার চেয়ে তোমার চুলই সর্বনাশী!
তোমার চেয়ে নীরব রাতই শক্তিশালী
অর্থবিহীন খামখেয়ালি খামখেয়ালি !
(আমার)
আমি অতি আলসে এবং ঘরকুনো
আমার চুলে ঘর ছাড়ে না উকুনও
আমার কিছু দুঃখ আছে, অ্যাতো সুক্ষ্ন যে
সন্ধ্যা হলে চা’য়ের কাপে সুখ খোঁজে
রুটি-রুজির তাগিদে প্রায় প্রত্যেকদিন মোতালিব প্লাজা আর এর আশপাশের এলাকায় যাওন লাগে। আতকা মনে হইল এই এলাকার এত আসি, যেই রাস্তার খাড়ায়া চা-পান খাই তার নামটা কী? জিগাইলাম যাগো লগে কথা হয়, তো প্রায় বেবাক মানুষের উত্তর হইল রাস্তার আবার নাম কী? হাতিরপুল! কেউ কেউ কয় সোনারগাঁ রোড। কিন্তু একটা মানুষও পাইলামনা যে আমারে কইল বীরউত্তম সি আর দত্ত সড়ক!!
“দেবতাদের মধ্যে সবচেয়ে গ্রীক”- বলা হয়ে থাকে যে দেবতাকে, গ্রীকরা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি এবং অকৃত্রিমভাবে ভক্তি শ্রদ্ধা করতো সেই দেবতাকেই- ফিবাস এপোলো, যিনি এক সুদর্শন দেবতা, মহান সুরস্রষ্টা – সোনালী বীণা বাজিয়ে মাতিয়ে তুলতেন অলিম্পাস পর্বত। তিনি ছিলেন রূপালী ধনুকের প্রভু, ধনুর্বিদ্যার দেবতা, সুনিপুণ তীরন্দাজ, নিরাময়ের দেবতা – মানুষকে যিনি শিখিয়েছিলেন নিরাময়বিদ্যা। এইসব চমৎকার বিদ্যার অধিকারী হওয়া ছাড়াও তিনি ছিলেন আলোর দেবতা, সত্যের দেবতা।
আমি রোবট টাইপের মানুষ। না পড়ে পরীক্ষা দিতে যেতে ভয় করে না কিংবা পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হলে মন খারাপ লাগেনা। বয়ফ্রেন্ডের রোড একসিডেন্ট হলে উতলা লাগেনা। ক্রিকেট খেলায় আমার কোন প্রিয় দল নেই। রাজাকারদের ফাঁসি না হলে আমার কিছুই যায় আসে না।
সকল যুদ্ধপরাধের বিচারই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমুলক, তবে প্রচলিত অর্থে নয় । স্বৈরশাসন, ধর্মান্ধতা, বর্নবাদের রাজনৈতিক আদর্শকে আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলে নতুন আদর্শ গ্রহন করে নেয়ার অর্থে । যুদ্ধপরাধ/মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বৈরশাসক কিংবা কোন মৌলবাদী/বর্ণবাদী রাজনৈতিক আদর্শের অনুসারী । ভ্রষ্ট রাজনৈতিক আদর্শ বাস্তবায়নে জঘন্যতম কাজ করতেও তাদের বাধে না । তাদের পতনের সাথে সাথে পতন হয় তাদের রাজনৈতিক আদর্শেরও । ব্যক্তির সাথে সাথে বিচারের মুখোমুখি হয় ব্যক্তির রাজনৈতিক আদর্শও । আর তাই বিচার প্রক্রিয়াটাও হতে হয় দৃষ্টান্তমুলক ।
প্রাক-কথনঃ লেখার ঘটনাকাল অক্টোবর ১১ থেকে অক্টোবর ১৮। দেশের অস্থির এক সময়ে লিখছি এই লেখা। সামনের দিনগুলো যে আরও অস্থির যাবে তা বলার জন্য খুব একটা মাথা খাটাতে হয় না।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সবকিছুর শুরু একটা ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানব, শক্তিশালী শিকারী ছিলেন অরিয়ন। অরিয়নকে নারীরা যেমন ভালোবাসতো, ঠিক তেমনি তার সুন্দর ব্যবহার এবং মনের জন্য পুরুষরাও ভালোবাসতো। অরিয়নকে নারীরা ভালোবাসতো, যেমন তারা ভালোবাসে তাদের ভাইকে। পুরুষরা ভালোবাসতো, যেমন ভালোবাসে তাদের প্রেমিকাকে। এমনকি দেব-দেবীরাও তাকে লক্ষ্য করেছিলেন, এবং তার সাহচর্য উপভোগ করতেন। কিন্তু এই সৌভাগ্যই তাকে দ্রুত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়, ঠেলে দেয় কিংবদন্তীতুল্য নিয়তির দিকে, ঠিক যেভাবে বীরদের পরিণতি ঘটে।