[justify]সীমার সাথে আমার দেখা হয়েছিল প্রায় পনেরো বছর আগে, আমার মত করে। এর পরে যে দেখাটা হয়েছিল সেটাকে আমি কখনও মনে করি না, করতে চাইও না।
পনেরো বছর অনেক লম্বা সময়,অন্তত আমার কাছে। এই পনেরো বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে। আমি হয়ত বদলে যাই নি। আমি হয়ত আমিই আছি, আর আমার এই আমি থাকাটাই আজকে আমার সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি দেবতা থেকে শুরু করে মরণশীল মানব, এমনকি পশুপাখি- সকলের মনেই ভালোবাসার ফোয়ারা বইয়ে দিতে পেরেছেন, শুধুমাত্র তিনজন দেবী ছাড়া। দেবী এথেনা, দেবী আর্টেমিস এবং দেবী হেস্টিয়া। আফ্রোদিতির কারণেই অনেক দেবতা ভালোবেসেছেন মরণশীলকে, আবার অনেক মরণশীল হয়েছেন দেবীদের ভালোবাসার অলংকার। আফ্রোদিতি যাতে এই ব্যাপারটি নিয়ে অন্যান্য দেবতা বা দেবীকে ঠাট্টা না করতে পারেন, সেজন্য দেবরাজ জিউস এক কাজ করলেন। দেবী আফ্রোদিতিকে এক মরণশীলের প্রেমে মশগুল করে দিলেন- আর সেই মরণশীল হলেন এনকেসিস।
[justify]মায়িশা তার সামনে বসা মানুষটার দিকে তাকাল।
লোকটা ফোনে কথা বলছে আর দাঁড়িতে হাত বুলাচ্ছে। লোকটার মুখভর্তি দাঁড়ি। মায়িশা দাঁড়িওয়ালা মানুষদের এমনিতেই পছন্দ করে না। তাদের ম্যাথ টিচার, দবিরউদ্দিন, ওই লোকটারও এরকম দাঁড়ি; অবশ্য খুবই কাটছাঁট করা। তার বন্ধুরা বলে, দবিরউদ্দিন চুলের থেকে দাঁড়ির পিছনে সময় বেশি খরচ করে।
রাধাকৃষ্ণের নৌকাবিলাসে
জলের চোখের জলে
ভেসে যায় ঘর-ফেরা পাখিদের মিছিল।
আকাশের নিশ্চুপ মুখমণ্ডল দ্যাখে
সুহাসিনী সন্ধ্যারাত মিটিমিটি হাসে
এবং আমাকে বলে দ্যাখো দ্যাখো
মাটি ও মানুষের প্রেম দ্যাখো।
তোমাকে একবার বলেছিলাম
তুমি আমাকে দ্যাখাও -
পাথর আর আগুনের সঙ্গম
কুয়াশা জন্ম নেয়ার ঝাপসা দৃশ্য
এবং শরীরের অচেনা গতিপথ।
সুহাসিনী সন্ধ্যারাত আমায়
মাটি ও মানুষের প্রেম দ্যাখায়,
পঞ্জিকার হিসেব মত শরতকাল আসতে আরও তিন হপ্তা বাকি। বাগানে ঘাসের উপর শিশিরকণায় ভোরের আলোর বিচ্ছুরণ কিন্তু জানিয়ে দিচ্ছে কোথাও হিসেবে গোলমাল হচ্ছে, শরতকালটা বুঝি এবার চুপি চুপি বেশ আগেই এসে পড়ছে। আকাশে সাদা ধবধবে মেঘের খেলাও জমেছে বেশ আজকাল। বারান্দায় বসে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখি কার্পাস তুলোর মত মেঘের দলের ছুটোছুটি নীল আকাশ জুড়ে।
অনেক অনেক দিন আগে গ্রীস দেশের পাফোস নগরীতে এক রাজা ছিলেন। কেউ কেউ বলেন, তিনি ছিলেন সিনাইরাস, আবার কেউ কেউ বলেন তিনি ছিলেন থিয়াস। এখানে আমরা সিনাইরাসই বলবো। সময়টা তখন ট্রোজান যুদ্ধের আশেপাশে। রাজা সিনাইরাস প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যুদ্ধে পঞ্চাশটি যুদ্ধ জাহাজ পাঠাবেন, কিন্তু প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে পাঠালেন মাত্র একটি। সে যাই হোক, স্মার্না নামে তার একজন খুব সুন্দরী কন্যা ছিলেন। এতোই সুন্দরী ছিলেন যে, আশে পাশে তার নাম ছড়িয়ে পড়েছিলো। স্মার্নার মা, সেই দেশের রানী, একদিন গর্ব করে বলেই ফেললেন, “আমার মেয়ে স্মার্না দেবী আফ্রোদিতির চেয়েও সুন্দর!” আফ্রোদিতি এই কথা শুনলেন, এবং স্বাভাবিকভাবে মোটেই খুশি হলেন না। নিজেকে অপমানিত বোধ করলেন। ঠিক করলেন এই কথার প্রতিশোধ নিবেন।
গ্রীক মিথলজিতে জিউসের পর সবচেয়ে বর্নিল অলিম্পিয়ান হচ্ছেন আফ্রোদিতি। দেবতা থেকে শুরু করে মানুষ- সবাইকেই তিনি বিমোহিত করেছেন তার রহস্যময় চরিত্র দিয়ে। ভালোবাসার দেবী নিজেও অনেককে ভালোবেসেছেন, অনেকের ভালোবাসাও পেয়েছেন। আবার কখনো হয়েছেন ছলনাময়ী, প্রতিশোধপরায়না।
গত তিন বছর ধরে প্ল্যান করছি শিব চর্তুদশীর মেলার সময় চন্দ্রনাথ যাব। কিন্তু নানান ঝামেলার কারনে যাওয়া হয়ে উঠেনি। অবশেষে ঈদের পরের দিন চন্দ্রনাথ ধাম দর্শন করে আসলাম। সাথে বোনাস হিসাবে সীতাকুন্ড ইকোপার্ক। আমরা ছয়জন ঈদের দিন সন্ধ্যায় ফেনীতে এক বন্ধুর বাসায় উঠলাম। পরদিন ভোর ৬.৩০ টায় আমরা ৭ জন সীতাকুন্ডের উদ্দ্যেশে যাত্রা করলাম।
মেডুসা- গ্রীক মিথলজির এক আকর্ষণ। গ্রীক মিথলজির কোনো আলোচনাই মেডুসা ছাড়া শেষ করা সম্ভব নয়। টাইফোয়িয়াসের কথা মনে আছে? যার সাথে দেবতাদের বিশাল এক যুদ্ধ হয়েছিলো? সেই বিশাল দানব টাইফোয়িয়াস বিয়ে করেছিলেন অর্ধেক সাপ, অর্ধেক মানবী এচিডনে-কে। তাদের তিন মেয়ে ছিলো, যারা গর্গন নামে পরিচিত ছিলেন, এদের মধ্যে একজন ছিলেন মরণশীল, তিনিই হচ্ছেন মেডুসা। কেউ কেউ বলে থাকেন, মেডুসা প্রথমে গর্গন ছিলেন না, তিনি খুব সুন্দরী ছিলেন, তার বাবা মা ছিলেন ফোরকিস এবং কিটো।
দিকে দিকে রটে গেল হারু মাঝির বাঁশির কথা। আগে তো কেবল মাঝ নদীতে বাঁশি বাজাত। কখনো বর্ষার সন্ধ্যায় বা পূর্ণিমার রাতে একাকী লাগলে বাজাত। সেই বার যখন রাজার মন্ত্রী গ্রামে আসছিলেন, তখন মাঝ নদীতে তাঁর বজরার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল হারু মাঝির ডিঙি। তার ছেলে দাঁড় বাইছিল। মাঝি বোকাসোকা লোক। মন্ত্রীর বজরা দেখে কোথায় নৌকা থামিয়ে প্রণাম ঠুকবে আর সেবায় এগিয়ে আসবে, তা না। সে যেন এতবড় বজরাটা খেয়ালই করে নি এমন