৫ই মে, ২০১৩-তে ঢাকার মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া ঘটনাসমূহ সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় আমরা ভুলে যাবার আগে লিখে রাখাটা দরকার বলে মনে করছি।
(১)
কৌতূহল এবং বিতৃষ্ণা নিয়ে লক্ষ্য করলাম, বড় বড় বুজুর্গ মিডিয়ার উপসম্পাদকীয় অংশে ইদানীং ৫ মে দিবাগত রাতে পুলিশি অভিযানে মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনের সদস্যদের বিতাড়ন নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক ও তার বিশ্লেষণে লিপ্ত নানা বিজ্ঞ ব্যক্তি একটি কথা কৌশলে রটিয়ে দিচ্ছেন যে, এই ঘটনার পর সরকার কোনো প্রেসনোট জারি করেনি কিংবা কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
কথাটি মিথ্যা।
লেদ্রো হ্রদের নাম আমার পরিচিত অনেকে শুনে থাকলেও যায়নি বা যেতে পারেনি কোনদিন। যাবার একমাত্র রাস্তাটা অনেকেই চিনে …… ইতালির বিখ্যাত গারদা হ্রদকে না ছুঁয়ে বা না দেখে লেদ্রো উপত্যকায় পা ফেলার কোনও উপায় নেই। ঝামেলাটা ওখানেই, গারদা লেকের(lago di garda) বিশালতা আর এর চারপাশ ঘিরে গড়ে উঠা পর্যটন শিল্পের অত্যাধুনিক অবকাঠামো আটকিয়ে দিবে ছুটির আনন্দ অন্বেষণে ঘরছাড়া টুরিস্টকে। কে যাবে বলুন ৩৭০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের গারদা লেক ছেড়ে ওই ২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পুঁচকে লেদ্রো লেকে? আমি কিন্তু যাই, আমার মত যারা পাহাড় ঘেরা এক শান্ত উপত্যকায় একটু আপন করে পেতে চায় প্রকৃতিকে তারা গরমের ছুটিতে ভিড় করে লেদ্রো উপত্যকায়। শখের ট্র্যাকিং জুতোজোড়া আর কাঁধের ঝোলা ছাড়াও এবার সাথে থাকছে DIANA।
(প্রথম সাতটি পর্বে গ্রীক মিথলজি অনুযায়ী সৃষ্টিতত্ত্ব থেকে ডিওক্যালিয়নের প্লাবন পর্যন্ত ঘটনাপঞ্জী ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছিলো। গ্রীক মিথলজির এই লেখাকে আমি কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছি। সৃষ্টিতত্ত্ব ছিলো প্রথম ভাগ। দ্বিতীয় ভাগে থাকবে বিভিন্ন দেবতাদের গল্প- যা অষ্টম পর্ব থেকেই শুরু হচ্ছে। তৃতীয় ভাগে থাকবে বিভিন্ন ডেমিগডদের গল্প, চতুর্থ ভাগে বিভিন্ন বীর এবং অভিযানের কাহিনীসমূহ এবং পঞ্চম ভাগে থাকবে ট্রয়ের যুদ্ধ থেকে রোম নগরীর প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত। এই কাজে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, আমার জন্য এই সিরিজটা ধৈর্য সহকারে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া আর পাঠকদের জন্য হচ্ছে শেষ পর্যন্ত আগ্রহ ধরে রাখা। দেখা যাক, এই রাস্তার কোথায় শেষ হবে এবং শেষে কি আছে!)
দাম্পত্য জীবন- স্বামী-স্ত্রী দুজন মানুষ, একটি জীবন। মানুষ দুজন দুজনকে হয়ত কখনও দেখেনি, হয়ত দেখা হয়েছে, কথাও হয়েছে কিন্তু সে তো পার্কের গন্ডিতে- কিন্তু সেই মানুষটিই হয়ে যাচ্ছে জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত লাগে। নিজের বিয়ে হয়েছে- ভালোবাসি কাছের মানুষটিকে। তবুও অদ্ভুত লাগে।
মেলায় যাবেন? আরে, নানা, এক্সপো-টেক্সপো নয়। এ হল গিয়ে আপনার রাসমেলা। বাংলা অঘ্রান মাসের পূর্ণিমা তিথিতে শুরু হয়ে টানা পনের দিন। তারপর ভাঙা মেলা তো আছেই। না, ভাঙা মেলা থাক। আজ বরং একটা গোটা মেলার গল্প শোনাই। গল্প অল্পই আছে, সাথেথাক কাঁচা হাতের ক-খান হাতেগরম ছবি।
দিপু যেনো বিশ্বাসই করতে পারছিলো না! আজ এই পরিস্থিতিতে সে সন্ধ্যাকে দেখবে কখনো চিন্তাই করেনি। সন্ধ্যাও দিপুকে দেখে চমকে উঠলো। মুহূর্তটা ফ্রিজ হয়ে থাকলো কিছুক্ষন। দিপুই প্রথম প্রকৃতিস্থ হলো। সন্ধাকে এড়িয়ে ইমার্জেন্সী মেডিকেল অফিসারকে জিজ্ঞেস করলো রোগীর আত্নীয় স্বজন কেউ আছে কি না।
অনেকদিন একটা উপন্যাস টানা পড়ে শেষ করলাম- উইলিয়াম গোল্ডিং এর 'Lord of the Flies'। পড়তে পড়তে প্রথমত যেটা অনুভব করলাম সেটা হল সামাজিক বিজ্ঞানের (আরো বিশেষ করে বললে নৃবিজ্ঞানের) দীর্ঘ চার বছরের প্রশিক্ষণ আমার সাহিত্যপাঠের দৃষ্টিভঙ্গি ও ধরণকে অনেকটাই পালটে দিয়েছে, হয়ত বলা যায় সমৃদ্ধও করেছে। আগে যখন পড়তাম তখন কেবল শব্দের খেলা, লেখার শৈলী, চরিত্রের নিরিখে গদ্যের মাহাত্ম্য অবলোকন করতাম, তারও আগে স্রেফ নাম
বাংলা অনুবাদে ‘বন্দরের বাজার’ বললেই তো মনটা উল্লসিত হয়ে ঊঠে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের অনেক নৌবন্দরে ভুরিভোজের আনন্দময় অভিজ্ঞতা আছে। গোয়ালন্দ ঘাটের সেই ঝুপড়ি হোটেলে মধ্যরাতে ইলিশ মাছের ঝোলে মাখা মোটা চালের ভাত আর মাওয়া ঘাটের টমেটো মেশানো কাতল মাছের পেটি খাওয়ার সুখস্মৃতি দুই দশক পেরিয়ে গেলেও তো ভুলতে পারিনি আজও। মাছেভাতে এক বাঙালির জন্মভুমি থেকে সাত সমুদ্র আর তের নদী পেরিয়ে সুদূর মন্তেভিদেওতে গ্রীষ্মের এক মধ্যাহ্নভোজের অভিজ্ঞতা নিয়েই আজকের এই আয়োজন।
Mercado del Puerto মানে পোর্ট মার্কেট। অবস্থান একেবারে উরুগুয়ের রাজধানী মন্তেভিদেওর নৌবন্দরের মূল ফটকের উল্টোদিকে। কলোনিয়াল স্থাপত্যশৈলীর এই ভবনটি স্প্যানিশরা প্রায় দুই শতক আগে বানিয়েছিল প্রাতাহিক বাজার হিসেবেই। মাছ, মাংস, ফল, সবজি সবই কেনাবাচা হত সেইসময়। কালের বিবর্তনে এই ভবন আজ রূপান্তরিত হয়েছে নিরামিষীদের নরকে! ১০০% মেছো বাঙ্গালীও খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না এখানে গিয়ে! এই দুই শ্রেণীর বাইরে যারা আছে তারা সাদরে আমন্ত্রিত সপ্তাহের প্রতিটি দিন মধ্যাহ্নভোজের স্বর্গীয় সুখের অন্বেষণে!