পূর্বকথা
দূরবীন - http://www.sachalayatan.com/guest_writer/49844
ফাউ - http://www.sachalayatan.com/guest_writer/49897
ছাগলের লাদির প্রভাবে পরিবেশ দূষণের কারণে চরকির বাণিজ্য ফেল করে গেল। স্কুলে প্রথমার্ধের পর টিফিনের সময়ে টুকটাক মশলাদার খাবার-এর বড়ই অভাব এখন! স্কুলের উল্টোদিকের দোকান-এ, মালিকের নাম আজ আর মনে পড়ে না, কাঁচের বয়াম-গুলো কি যে মনোহর দেখতে! তাদের পেটের ভিতর থেকে কি যে মধুর স্বরে বস্তুরা সব ডাকাডাকি করতে থাকত! আহা!
জিউস যখন স্বর্গের একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে, সব দেবতাদের রাজা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছিলেন, সেই সময়ে পৃথিবীতে একজন মানুষ বাস করতেন, যার নাম ছিলো ডিওক্যালিয়ন। ডিওক্যালিয়ন ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ। কিন্তু তার বাবা ছিলেন অসাধারণ একজন!
কাম্পোফনতানা(campofontana)এক পাহাড়ি জনপদ যেখানে একাধিক গুচ্ছগ্রাম(contrada)মিলিয়ে সর্বমোট ১১২ জন মানুষের বসবাস। পাহাড়ের ঢালে ৫/৬টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠে এক গুচ্ছগ্রাম। জীবিকার তাগিদে এই পরিবারগুলি বংশ পরস্পরায় করে আসছে পশুপালন আর কৃষিকাজ। আদিম এই পেশায় নেই কোনও ধরাবাঁধা ঘণ্টাসূচী, শহুরে মানুষদের মতন উইকএন্ডের সকালে লেপমুড়ি দিয়ে বিছানায় একটু আড়মোড়া দেয়ার অবকাশ নেই কাম্পোফনতানাবাসির। দুধ ধোয়াতে উঠতে হবে বছরের প্রতিটি দিন ভোরের আলো না ফুটতেই।
শহরে হঠাৎ জলোচ্ছাস। তীব্র স্রোতে ভেসে যাচ্ছে অনেক কিছু। বাজারের জ্যান্ত মাছ, পাখিসুদ্ধ পাখির খাঁচা, রিকশা, টং দোকান...আরো অনেক কিছু। মানুষও ভেসে যাচ্ছে। তবে শহর হওয়ার কারণে মানুষ ভাসছে কম। কেউ স্থির বাসের ছাদে, কেউ একতলা একতলা বাড়ির ছাদে, কেউ গাছে, কেউ বা জানালার সানশেডের উপর আশ্রয় নিয়েছে। স্রোত আর মানুষের চিৎকারের শব্দ চারিদিকে। প্রকৃতির এই আচমকা স্ফুর্তিতে সবাই আতংকিত, ভীত এবং কিছুটা বিহ্বল।
মায়ের মন বড়ই অদ্ভুত, সে মা যদি গায়া হয়। টাইটান যুদ্ধে জিউস জয়ী হবার পর ক্রোনাসসহ অন্যান্য টাইটানদের টারটারাসে বিভিন্ন রকম শাস্তি দেন। গায়া চেয়েছিলেন তাঁর সন্তান সাইক্লোপস এবং হেকাটনখিরাসদের মুক্তি, তাই জিউসকে ক্রোনাসের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছিলেন, কিন্তু তিনি চাননি জিউস আবার টাইটানদের শাস্তি দিক! কারণ টাইটানরাও তো গায়ার সন্তান! তাই টাইটানদের শাস্তিতে ক্ষুদ্ধ গায়া তাঁর আরেক প্রজাতির সন্তান জায়ান্টদের আহবান করলেন। যীশুর জন্মের প্রায় চল্লিশ বছর আগে ওভিদ নামে এক রোমান কবি ছিলেন, তিনি লিখেছেন, গায়া তাঁর জায়ান্ট সন্তানদের আহবান করেছিলেন , “দেবতাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করো”।
না কোন আলাদা রাজ্য নয়। বরং বাংলা, মানে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই উত্তর দিকের জেলাগুলো নিয়ে অশোকস্তম্ভের ছাপমারা সরকারী দপ্তর কিংবা ঘেমো আম আদমির প্রাত্যহিক আলাপচারিতা – সবেতেই হাজির উত্তরবঙ্গ। প্রথমেই বলে রাখা ভালো, আজকের প্রবল গ্লোবাল ঝড়ে ভাসতে ভাসতেও যেখানে জন্মেছি, বড় হয়েছি, কাজকম্ম করে বেচে বর্তে আছি, মন ভালো লাগলে বা খারাপ লাগলে যে পথ, জনপদ বা পাহাড়ে ছুটে যাই বারংবার, একটু সফট কর্ণার থাকবে না
শেষ ট্রেকিং এ গিয়েছিলাম বছর দুয়েক আগে, সান্দাকফু, নেপাল-ইন্ডিয়ার বর্ডারে, পশ্চিম বঙ্গের সর্বোচ্চ চূড়া। সচলে লেখাও দিয়েছিলাম দু পর্ব। কিন্তু আলসেমি আর মেরুদন্ডের স্পন্ডালাইসিস রোগে আর লেখা হয়ে উঠেনি। এর পর বেশ কবারই হিমালয়ে যাওয়া হয়েছে কিন্তু ট্রেকিং করে নয়, পরিবার নিয়ে সাইট সিয়িং ধরনের। নিরাপদ দুরত্বে দাঁড়িয়ে পর্বতের দিকে তাকিয়ে আহা উহু করা। তাই অনেকদিন ধরেই প্ল্যান করছিলাম আরেকটি ট্রেকিংয়ের। ইচ্ছ
পৃথিবীর সব স্বৈরাচারী শাসকেরা যুগে যুগে তাদের রক্ষাকারীর বিরুদ্ধেই সবসময় খড়্গহস্ত হয়েছে। বোধহয় ব্যাপারটি এসেছে দেবতাদের কাছ থেকেই। যে জিউসকে টাইটান যুদ্ধে জয়ের জন্য টাইটান হয়েও প্রমিথিউস সাহায্য করেছিলেন, আরেকবার দেবী এথেনার জন্মের সময়ও জিউসকে সাহায্য করেছিলেন (এই ঘটনা পরবর্তীতে বলা হবে), সেই জিউসের নিকট হতেই প্রমিথিউস পেলেন অদ্ভুত এবং কঠোর শাস্তি, তাও সেটা মানবজাতিকে সাহায্য করার অপরাধে। হ
এই বিষাক্ত জিনিসটা আমাকে আর ছাড়ল না, নাকি আমি একে ছাড়তে পারছি না? ৯/১০ বছর বয়সে হাতেখড়ি। ১৯৯০-১৯৯১'র সময়, তখন একে জানতাম বিড়ি নামে। আমাদের এলাকায় তখন নেত্রকোণার বিনোদ বিড়ির খুবই প্রচলন। দুই টাকার এক বান্ডেল বিড়ি (বিড়ির প্যাকেটটা দেখতে গোলাকার হওয়ার জন্যই মনে হয় সবাই প্যাকেটের পরিবর্তে বান্ডেল বলত), এক বান্ডেলে ২৫ কাঠি বিড়ি। একটাকায় ১২ কাঠি বিড়ি। সেই সময়ে এক টাকা ছিল আমার দিনের হাত খরচ। যে সময় থেকে বিড়ি খাওয়া শুরু করলাম, তখন টাকাটা পেলেই প্রথমে ২৫ পয়সার বিড়ি (৩ কাঠি) কিনতাম। বাকি ৭৫ পয়সা স্কুলে খরচ করতাম। বিড়ি খাওয়ার যায়গাটা ছিল আমার কাছে খুবই আকর্ষনীয়, আমাদের বাসার সামনেই। আমাদের বাসার সামনের দিকে এক মিনিট হেটে গেলেই একটা দো'তলা বিল্ডিং, সেই বিল্ডিং'র পাশে একটা বেশ বড় টিনের গুদাম ঘর, মাঝখানে একজন মানুষ হেটে যাওয়ার মতন যায়গা। এই ফাঁকা যায়গাটার একপাশের মুখ টিন দিয়ে আটকানো ছিল বলে বেশ অন্ধকার ছিল। কোনমতে একবার ঢুকে গেলে কেউ দেখে ফেলার কোন ভয় নাই।
টাইটান ক্রোনাসের সময় মানবজাতির সোনালী যুগ ছিলো। টাইটান যুদ্ধে ক্রোনাসের পরাজয়ের সাথে সাথে সেই যুগের সমাপ্তি ঘটে। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হোন জিউস। জিউস তখনো তার ক্ষমতাকে পুরোপুরি নিষ্কন্টক করতে পারেননি। তাকে টাইটান যুদ্ধের পর আরো দুটি যুদ্ধে জড়াতে হয়- জায়ান্টদের সাথে এবং টাইফুনের সাথে। সেই দুটি যুদ্ধের আগে জিউসের ক্ষমতায় আসার প্রথম দিকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে মানবজাতির সৃষ্টি। আসলে সোনাল