মিথলজি শব্দটির আকর্ষন যেনো অনতিক্রম্য। ছোট থেকে বড়, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবার মধ্যেই মিথলজির প্রতি এক দুর্নিবার আকর্ষন আছে। মিথলজি মানে কি?
জেরিন দুপুর থেকেই আজ একটু অস্থির হয়ে আছে । এমন না যে রান্না করতে গিয়ে তরকারিতে লবন বেশি দিয়ে ফেলেছে , মারুফ অফিস থেকে এসে খেতে বসে ভ্রূ কুচকে অনুযোগ এর সুরে তার রান্নার একগাদা ত্রুটি বের করবে ! ব্যাপারটার সাথে সে অভ্যস্ত হয়ে গেছে !
বেশ ভালই দিন চলে যাচ্ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবাকে নিয়ে বাজারে যাই, বাবাকে চায়ের দোকানে বসায় রেখে আমার ঘুরাঘুরি শুরু হয়ে যায়। ৩০/৪০ মিনিট পর পর এসে দেখে যাই বাবা অন্য কোথাও যাবে কি না অথবা কোন কিছু লাগবে কি না?
(১)
সম্প্রতি পড়া বইগুলোর মধ্যে সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের “ভ্রমণ সমগ্র” বইটা নানা কারণেই ভালো লাগল। প্রথমত, সঞ্জীবের স্নিগ্ধ ও কখনো তীর্যক হাস্যরসাত্মক গদ্যশৈলী এবং দ্বিতীয়ত, সবুজ দ্বীপ আন্দামানের প্রকৃতি, জীবনসংগ্রাম এবং ইতিহাসের সাবলীল বর্ণনা। সংকলনটিতে রয়েছে দুটি গ্রন্থ, ১। আন্দামান। ভারতের শেষ ভূখণ্ড এবং ২। দানব ও দেবতা। আমার কাছে দুটো ভ্রমণকাহিনীই ভালো লেগেছে, তবে দ্বিতীয়টিকে একটু মেদবহুল বলে মনে হয়েছে। আক্ষেপের বিষয় আলোচিত কোন স্থানেই যাবার সুযোগ আমার ঘটেনি। বাংলাদেশের আর দশটা তরুণ পেশাজীবির মতোই আমার অর্থ এবং সময় দুটোরই ভীষণ টানাটানি। ভ্রমণের ক্ষেত্রে অর্থ একমাত্র শর্ত না হলেও অন্যতম তো বটেই। কাজেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর জন্য ভ্রমণ কাহিনী পাঠ এবং মানস-ভ্রমণ, বিলকুল বিনে পয়সায়!
১৮টা প্যাকেট, একটু আগেই গুনে দেখেছি। সামনের টেবিলটাতে সুন্দর করে সাজানো আছে। একটার উপর একটা করে তিন সারিতে। পাশে দুটো গোলাপ আড়াআড়ি করে রাখা। নিখুত।
আমার বেলা গড়ান ক্ষীণস্বর যেন
কিছুকিছু কাহিনীর গায়েপায়ে মাখা;
মেঘলা আকাশ, ভিজেডানা পাখি রোজ...
রোজ দিয়ে যেত নাড়া...
বছর কুড়ি আগে ঘুম ভেঙ্গে স্বপ্ন;
খেলাঘরে হাসিমুখে কেটেছে দিন,
ভেলা নিয়ে চলে যেত কোন বেলাতে...
জলকেলি, শরীরে ঘাসের প্রলেপ;
বিকেলের নেমে আসা শান্ত আঁধার-
স্নেহময় কবিতায় সব যেন ছিল;
পিছু ফিরে কেন যেন চোখদুটো ভিজে,
নীলরঙা ফটোগ্রাফ আজও ছুঁতে চায়,
বাদ সাধে সময়-বাধা;
৫। ক) অনুভূ কী? ১
খ) কেন বছরের একটা দিনেই অনুভূ হয়? ২
দুই দশক আগের কথা। বাসায় নিয়মিত রাখা হতো সাপ্তাহিক/পাক্ষিক বাংলা পত্রিকা। মেয়েদের জন্য আসতো সানন্দা। আমার রহস্য পত্রিকা আর বাবার বিচিত্রা পড়া শেষ হয়ে গেলে একটু চোখ বুলিয়ে নিতাম সানন্দার পাতায়। শেষ পৃষ্ঠায় থাকত কোনও বিশিষ্টজনের সাক্ষাৎকার গোছের এক নিয়মিত আয়োজন। এক লাইনের গৎবাঁধা প্রশ্নের মধ্যে একটির উত্তর খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তাম; ‘কি ভালো লাগে?পাহাড় না সমুদ্র?’ উত্তরটা পাহাড় হলে ভালো করে আবার দেখতাম সেই বিশিষ্টজনের ছবি, বড্ড আপন মনে হতো তাকে। তখনও তো পাহাড় বা সমুদ্র কোনটিই স্বচক্ষে দেখেনি কিন্তু এক দুর্দান্ত আকর্ষণ অনুভব করতাম গগনভেদী পাহাড়-পর্বতের ছবি দেখলে।