অতিথি লেখক এর ব্লগ

রোদ ধরা খেলা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২০/০৪/২০১৩ - ১০:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি গল্পকার নই। তবুও গল্প ঘোরে মাথার ভিতরে। কোনোটিই পরিণতি পায় না। অর্ধেক মূর্ত হয়ে বাকিটুকুর প্রার্থিতায় মাথাকুটে মরে। তাকে সঙ্গত দিতে আমিও সঙ্গি হই তার। তাই এ লেখাকে গল্প না বলে গল্প ভাবনার পরিণতি প্রত্যাশা বলাটাই ভালো। এটা একটা প্রচেষ্টা । দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝে এটা বেসুরো ঠেকবে হয়তো। মন্তব্য জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।

রোদ ধরা খেলা


বিউটিফিকেশান

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৯/০৪/২০১৩ - ২:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্যস্ত সমস্ত নগরীতে সকাল হয়েছে বেশ খানিকটা আগেই, শহর ঘুমায়না, শহর জেগে থাকে তার বাড়ন্ত সুসময়ের সন্ধিক্ষণে এমনকি তার ধংসাস্তুপের মর্মর ধবনি শোনার আগ পর্যন্ত সে জেগে থাকবে। সুতরাং শহরের ঘুম ভাঙ্গার প্রশ্নই ওঠে না, বরং এই বনসাই আর বারান্দার মানিপ্ল্যান্ট পরিবেষ্টিত শহরে পাখি বলতে যে কেবল কাক ই অবশিষ্ট আছে তা আশে পাশে তাকালে স্পস্টই বোঝা যায়। শহরের সবচে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তা প্রান বিবর্জিত আবার


বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৯/০৪/২০১৩ - ২:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


  • জামায়াত- শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ কর
  • যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত কর
  • সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ কর, আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াও
  • মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নাও, মুক্তিচিন্তার পথ খোলা রাখ,

বৈশাখী মেলায় কাজলাদিদির দাওয়াত ছিল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০৪/২০১৩ - ১০:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পয়লা বৈশাখে আমি তোমার সাথে মেলায় যাব। প্রথমে মাটির প্লেটে আমি পান্তা ইলিশ খাব। আমি জানি ইলিশে তোমার এলার্জি আছে। তাই তুমি খুব ঝাল মরিচ আর ঝাঁঝালো পেঁয়াজ দিয়ে পান্তা খাবে। মরিচ আর পেয়াজের ঝালে তোমার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়বে, আমি আমার শাড়ির সাদা আঁচল দিয়ে সে পানি মুছে দেয়ার সময় মিটিমিটি হাসবো। সেই দৃশ্য আমার বান্ধবী কাজলা তার মেঠো ফোনের হাই রেজোলেশন ক্যামেরা দিয়ে বন্ধী করবে। কাজলা সেই


কামরুলের ইন্টারভিউ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০৪/২০১৩ - ৯:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘরের বাতিটা নিভিয়ে তারাতারি শুয়ে পড়ল কামরুল। আগামীকাল তার ইন্টারভিউ আছে। এর আগেও সে দুটি ইন্টারভিউ দিয়েছে। কোনটাতে তার চাকরী হয়নি। শুয়ে শুয়ে ঘরের চালের দিকে তাকিয়ে সে ভাবছে পুরনো দিনের কথা। কত তারাতারি সময়গুলো চলে গেল। ভাবতেই অবাক লাগে। মশাড়ির ভিতর কয়েকটা মশা ভনভন করে উড়ছে। চাকরিটা পেলে একটা মশারি কিনতে হবে। ইতিমধ্যে মশারীতে কয়েকটি তালি মারা হয়ে গেছে। এই মশারি থাকা আর না থাকা একই কথা। চাকরি পেলে ত


'তুমি কেনো ঘষো, আমি তাহা জানি......'

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৭/০৪/২০১৩ - ৩:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২০০৭ সালে, বায়তুল মোকাররমের খতিবের কাছে গিয়ে ‘’তওবা’’ করে এসেছিলেন মতিউর রহমান, এককালের চীনপন্থি কমিউনিস্ট।

ধর্মানুভূতিতে আঘাতকারি একটি ব্যঙ্গচিত্র, প্রথম আলোর ‘’আলপিন’’ ক্রোড়পত্রে প্রকাশের দায়ে সে সময়ের আলপিন-সম্পাদককে চাকরিচ্যুত ও তাঁর সহকারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।


আমার "সাইঞ্ছে" পড়া জ্ঞান দিয়ে কিছু কথা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৭/০৪/২০১৩ - ১:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি তখনও স্কুলে ভর্তি হই নি। আমার সবার বড় বোন সেবার ক্লাস নাইনে উঠলো। তখন সবার কথা শুনে বুঝতে পারলাম যে, পড়ালেখা আসলে দুই প্রকার। যারা বেশি পড়ালেখা করে, তারা হয় "সাইঞ্ছে পড়ে" আর নয়তো "আর্সে পড়ে"। সাইঞ্ছে পড়ে মানুষ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আর "বৈজ্ঞানিক" হয়। আর যারা আর্সে পড়ে, তারা উকিল হয়, নইলে অফিসে চাকরি করে। যাই হোক, সেবার আমার বোন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আর বৈজ্ঞানিক হবার পথেই হাঁটলো, আর আমার মধ্যেও এই


অহর্নিশ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৬/০৪/২০১৩ - ২:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
আমাদের ঘরে রাতের বেলা কখনও আলো জ্বলে না।

সবই ঠিক আছে। সবার মত আমরাও সকালে উঠি, গোসলে যাই। খেয়ে-টেয়ে যে যার কাজে যাই, আবার ফিরে আসি। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় সন্ধ্যা হলেই। ঘরে আলো জ্বালানো হলেই মা চেঁচিয়ে বলেন, ‘আলো জ্বালাইল কে রে? কে জ্বালাইল? ওরে চোখ যে জ্বালা করে...’


লা মিজারেবল(২০১২) ও ব্যক্তিগত ভাবনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৫/০৪/২০১৩ - ৫:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত পরশু দেখলাম ‘লা মিজারেবল’, অনেকটা দেরি-ই হয়ে গ্যালো দেখতে তারপরেও তো দ্যাখা হয়েছে এটাই মূল ব্যাপার।


‘’বৃদ্ধকে দিয়ো না দায়িত্ব...’’

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৫/০৪/২০১৩ - ১০:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৫ বছর ধরে আমার মা ঢাকার একটি পরিচিত দৈনিক কাজ করতেন। ওই দৈনিকের প্রাসাদে প্রায়ই লেখা নিয়ে আড্ডা দিতে আসতেন একজন বয়স্ক মানুষ। হাতে একটা ছড়ি থাকতো, তাতে নিজেকে বেশ ভারি ও সম্ভ্রান্ত লাগতো মনে করে তিনি আত্মতৃপ্তি বোধ করতেন। পত্রিকার সাহিত্য-সাময়িকী বিভাগের লোকজন ও সম্পাদক তাঁকে খুব পছন্দ করতেন, তা নয়। কিন্তু তিনি একজন সাবেক আমলা, প্রাক্তন সিএসপি (এই তিনটি অক্ষরের প্রতি কোনো কিম্ভুত কারণে বাঙাল