অতিথি লেখক এর ব্লগ

হাই সাহেবের ভীমরতি ও বাংলাদেশের আমলাকুল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৪/০৪/২০১৩ - ১১:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।
হাসনাত আবদুল হাই বিষয়ে প্রথম থেকেই একটা তিক্ত ধারণা মনের ভেতর ছিল। একবার এক সাহিত্য পুরস্কারের অনুষ্ঠানে, হাই সাহেবের জুনিয়র একজন সহকর্মীকে কেন তার সামনের সারিতে বসতে দেওয়া হলো এই নিয়ে তিনি ভয়ানক ঝগড়া করে সেই কলিগকে নানাবিধ "....বাচ্চা...." টাইপের নানান চূড়ান্ত বাজে গালি দিয়ে চলে গিয়েছিলেন, যে ব্যক্তি সামান্য বসার আসন নিয়ে এইরকম করতে পারে, সে যে আসলে আস্ত একটা ছোটলোক তাতে কোনও সন্দেহ নাই। গালাগালির শিকার হয়েছিলেন যে সরল মানুষটি, তাঁকে আমি চিনতাম, তাঁর কাছে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির কথা শুনে দুঃখই লেগেছিল। পরে আরেকটি কান্ড জানতে পারি। হাই সাহেব "নভেরা" উপন্যাসটি লিখে খ্যাতিমান, আমাদের চেনাজানা অনেকেই এই উপন্যাসের ভক্ত। তো যাঁকে নিয়ে এই উপন্যাস রচিত, সেই অসামান্য শিল্পী নভেরা আহমেদকে ফ্রান্সে আমাদের খুব চেনা একজন সিনিয়র অভিনেতা বইটা পৌঁছে দিয়েছিলেন, নভেরা সেই বই একটুখানি পড়েই ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বলেছিলেন, "এই বইয়ের কথা যে বলবে বা এই বই যে সাথে নিয়ে আসবে সে আমার ঘরে ঢুকতে পারবে না, কেননা গোটা বইটাই অসত্য আর মনগড়া কথায় ভরা।" এবং, পরে বইটার কিছু তথ্য নিয়ে পরিচিত কিছু সূত্র ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে দেখেছি, কথা ঠিক, হাই সাহেব মনগড়া বাক্য লিখতে ওস্তাদ।


দুইটি বিভ্রান্ত খণ্ড

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৩/০৪/২০১৩ - ১১:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় গল্পকার শাহাদুজ্জামানকে

১।


নগরবাউল জেমস ও ব্যাক্তিগত ভাবনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১২/০৪/২০১৩ - ৯:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জেমস,নগর বাউল, গুরু, দ্য লিভিং লিজেন্ড,গড অফ বেঙ্গলি সাইকাডেলিক, তিনি অনেক নামেই খ্যাত। এই মানুষটা এবং তার সঙ্গীত আমার জীবনে আত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বলা যায় তিনি আমার সঙ্গীত ভুবনের প্রবেশের সিঁড়ি, যে সাইকাডেলিক, পিঙ্কফ্লয়েড, লেড জেপলিন পান করে বেঁচে আছি গুরু ছিলেন সেই সাইকাডেলিক এর প্রথম ধাপ। তার অর্থ এই নয় যে তিনি কেবল সাইকাডেলিক ই গেয়েছেন, বরং তিনি বিচরন করেছেন আধুনিক সঙ্গিতের প্রায় সকল শাখা


একটি পরমানুকাব্য

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১২/০৪/২০১৩ - ১০:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৭১সাল !
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রচন্ড স্বপ্ন নিয়ে বাংলার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ল। রহিম,করিম, সজল, সামছুও ছিল যুদ্ধে।

রহিমঃ "এই যে আমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লাম , সেটা কিন্তু শেখ মুজিবের নির্দেশেই তাই না ?"

করিমঃ "হ্যা, তো ?"

সজলঃ (ফ্যালফ্যাল করে তাকায়)

সামছুঃ " কি বলতে চাস , বুঝিয়ে বল ! "


কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা ও সমন্বয়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/০৪/২০১৩ - ১১:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে প্রাথমিক পর্যায়ে কওমী মাদ্রাসায় ছাত্র ভর্তির হার সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ২য়-৩য় শ্রেণিতে এবং ষষ্ঠ শ্রেনিতে। এসএসসি পাশ করে কেউ কওমী মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে এমন নজির খুব একটা পাওয়া যায়না। কওমী মাদ্রাসাকে মূল শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে এক করার মতো বিতর্কে যাবার মতো পরিপক্কতা আমার এখনও আসেনি। তবে প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু সমন্বয় নিয়ে লিখতে আগ্রহী।


প্যারাডক্স

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/০৪/২০১৩ - ১১:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখন জানি মানুষ কেন
মনের সাথে আপোষ করে
ভালবাসার রুমাল যখন
পড়ে থাকে , পাপোষ- ঘরে


প্রকৃতি ও জীবনের প্রয়োজনে নদীগুলো বাঁচিয়ে রাখতে হবে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/০৪/২০১৩ - ১১:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ছবিঃ মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান


হেকমত আলীর আত্বপোলদ্ধি ঃ একটি পারিবারিক চড় বদলে দিতে পারে সমাজ এবং দেশ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/০৪/২০১৩ - ১১:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শেলফের একটা বড় অংশ জুড়ে আধিপত্য বিরাজ করে আছে ধর্ম শিক্ষা, ইসলামের ঐতিহ্য, ইসলামি মুল্যবোধ, দীনের আলো মার্কা বিভিন্ন বই । টিউবলাইটের এই মৃদু আলোতেও তাদের সোনালী / রুপালী রং এর জলে খোদাই করা আরবী অক্ষরগুলো যেন দম্ভ সহকারে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। । এদের উপরেই ভাতৃত্ব্যসুলভ সৌহার্দে অবস্থান করছে হুমায়ুন আহমেদ, ইমদাদুল আর আনিসুলেরা । শেলফের একেবারে নিচের তাকে, টিভি স্ট্যান্ডের আড়ালে প্রায় ঢাকা পড়ে যাওয়া অংশ থেকে ধুলো বালি আর অযত্নের অত্যাচার সয়ে লাজুক ভাবে উকি দিচ্ছে হুমায়ুন আজাদ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আর গোটাকতক কবিতার বই । এই রাম রাজত্বে এরা যেন অনাকাংক্ষিত অসুর । লুকিয়ে থাকতে হয় অন্ধকারে ।


সে, আমি ও বৃষ্টি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/০৪/২০১৩ - ৯:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

ছোটবেলা থেকেই আমার বৃষ্টি খুব প্রিয়। কিন্তু আজকের বৃষ্টিটা খুব বিরক্ত লাগছে। ভাসির্টি থেকে বাড়ি ফিরছি। মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। ভাসির্টি যাওয়ার সময়ও রোদ ছিল অথচ এখন এই বৃষ্টি। ছাতাও নিয়ে আসিনি। বৃষ্টি থামা পযর্ন্ত অপেক্ষাও করতে পারছি না, বাসায় ফিরতেই হবে। বাসায় সময়মত না গেলে আমার খবর আছে। কারণ আজকে আমাকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে। এই নিয়ে সপ্তম পাত্রপক্ষ। কোনো পাত্রকেই আমার মায়ের পছন্দ হয় না। আমি বুড়ি না হওয়া পযর্ন্ত মনে হয় কোনো পাত্র পছন্দ হবেও না।


কুঞ্ছে যাও গো বাবু ?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১০/০৪/২০১৩ - ১০:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(এক ধরনের ছোটো গল্প আছে যেগুলো বুক পকেটে দু টাকার নোটের সাথে ভাঁজ করে রেখে দেয়া যায় সাবলীল, হুট করে সকাল বা বিকেলের এক কাপ চা এর সাথেই পড়ে ফ্যালা যায় অল্প সময়েই। এই গল্পগুলোকে আমি বলি 'পকেট গল্প' এটা সেরকম ই এক পকেট গল্প )