ইদানীং মুমিন সাহেব খুব পেরেশানের মধ্যে আছেন। কারণ উনি বেশ কিছুদিন হয় উনার ধর্মানুভূতি খুঁজে পাচ্ছেন না। ধর্মানুভূতি খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে পড়ার পরে বাধ্য হয়ে এলাকার বড় হুজুরের কাছে গেলেন। হুজুর সব শুনে বললেন আপনাকে প্রথমে তওবা করতে হবে, তারপর আমি একটা তাবিজ দিব সেটা ভিজিয়ে প্রতিদিন তিন গ্লাস পানি খাবেন। এভাবে সাতদিন খাওয়ার পর তিনটা ছাগল নিয়ে মাজারে এসে শিন্নি দিতে হবে। ছাগলের রঙ কালো হতে
১৯৯০সাল। পুরো দেশে তখন অচলাবস্থা। স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন তখন তুঙ্গে। সেই আন্দোলনে আমিও একজন সক্রিয় কর্মী। বয়সে কিশোর হলেও রাজপথে ছিলাম সক্রিয়। বাম ধারার রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত থাকায় নব্বুইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনের প্রতি আমার আগ্রহও ছিল বেশি। মাধ্যমিক পরীক্ষা (এসএসসি) শেষে ফলাফলের অপেক্ষায় থাকা আমি তখন জেলা শহর মৌলভীবাজার-এ থাকি। সার্বক্ষণিক শহরে অবস্থানের কারণে মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ সবকিছুতেই উপস্থিতি ছিল সরব।
আমাদের দেশে আমরা কিভাবে কিভাবে যেন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্যে বা মনের ব্যাকুলতা প্রকাশ করার জন্যে কিছু নির্দিষ্ট সময় বা মেয়াদকাল ঠিক করে ফেলেছি। সর্বজনবিদিত গ্রহণযোগ্য সময়সীমার আগে পিছে হয়ে মেয়াদত্তীর্ন হয়ে গেলেই আমাদের ভ্রূ কুঁচকে যায় আর মনে মনে ভাবতে থাকি- এই সময়ে এটা একটু কি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল নয় কি?
শহীদ রুমী স্কোয়াডে অনশন শুরু হওয়ার পরে মানুষজনের শাহবাগ যাওয়ার ইচ্ছা খুব বেশি দেখিনি । আমার এক বন্ধুর (নাম বলতে চাচ্ছি না) সাথে এগুলো নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করি অফিস থেকে ফেরার পরে ।
শহীদ রুমী স্কোয়াডের উদ্যোগে আয়োজিত আমরণ অনশনে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের আবেগের প্রতি আমার অকুন্ঠ শ্রদ্ধা। শ্রদ্ধা জানাই এই আবেগী তরুণগুলোর প্রতি। কিন্তু আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি একটি জাতীয় আন্দোলনে, একটি চেতনার যুদ্ধে আবেগ অন্যতম শক্তি হলেও তার সাথে প্রয়োজন বুদ্ধি-বিবেচনা-কৌশলের যথাযথ সমন্বয়।
আমার পত্রিকা পড়া শুরু হয় খেলার পাতা দিয়ে। এখন পর্যন্ত কোন পত্রিকা হাতে পেলেই খেলার পাতা উল্টাই। ক্রীড়ালেখকরা তাই অবশ্যই প্রিয় লেখকদের কাতারে থাকেন।
এর বেশি খুব একটা আশাও করিনি...
সময় সময়ের নিয়ম ভাঙ্গেনা,সময়ের পরিবর্তনে বিমূড় হয় স্থবিরতা আর চঞ্চলতার শেষ ঠাঁই হয় প্রয়াণে নয়ত মহাকালের অ্যালবামে।
তবে আমার দেয়ালের আয়তাকার কালো অংশটায় আধো আধো কাঁপাকাঁপা কোমল হাতের বানান ভুলে সমৃদ্ধ ছড়া-টা বোধ হয় সময়কে পাত্তা দিতে পুরোদস্তুর কৃপণ!
খুব সম্ভবত শেষ যে দিন-টায় ক্লাস হয়েছিলো সেদিন ছিলো এটার প্রকাশকাল।