ব্যাকগ্রাউন্ড:
১। "We the people" নামে whitehouse এর একটা ওয়েবসাইট আছে, যেখানে কি না লোকজন (মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক) পিটিশন করতে পারেন, এবং একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক স্বাক্ষর যোগাড় হলে whitehouse একটা অফিসিয়াল উত্তর দেয়। উত্তর প্রাপ্তির জন্য যেটা দরকার: To cross the second threshold and require a response, a petition must reach 100,000 signatures within 30 days.
২। শাহবাগের আন্দোলনকে সমর্থন জানাবার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে আহ্বান জানিয়ে একটা পিটিশন ওখানে দাখিল করা হয়েছে ১৩ই ফেব্রুয়ারী।
৩। এই লেখাটা পর্যন্ত (গত ৫ দিনে) এতে সাক্ষর পড়েছে প্রায় ১৫৫০০। এই হারে চললে উপরের ওই "থ্রেশহোল্ড ক্রস" করাটা কঠিন হয়ে যেতে পারে।
রাজীব হায়দার এর খুন হবার খবর জানার পর থেকেই গা কাঁপছে: আবার কি ১৪ই ডিসেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে? কিন্তু একটু চিন্তার পর মাথা একটু ঠান্ডা হয়েছে: আর একটা গণহারে বুদ্ধিজীবী হত্যার চেষ্টা ঠিক এখনই মনে হয় না করবে জামাত, এই চেষ্টাটা করা হবে শেষ আঘাত হিসেবে: ঠিক ৭১ এর মতই, হারাটা সুনিশ্চিত হবার পর। "হারা" মানে এ ক্ষেত্রে ধরে নিচ্ছি "নিষিদ্ধ হওয়া" (অথবা সাঈদীর ফাসী?)।
আমার বাবার নাম মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। প্রজন্ম চত্বরে ঘটে যাওয়া গণজাগরণের আগেই স্থীর হয়েছিল, বাবা ১২ই ফেব্রুয়ারী তারিখে পাবনা যাবেন সেখানে বই মেলা উদ্বোধন করতে। কিন্তু এরই মধ্যে শাহবাগ চত্বরে আমাদের নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বে শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশের "দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ"। আপনারা হয়ত জানেন আমার বাবার তীব্র মৌলবাদ ও শিবির-বিরোধী অবস্থানের কথা। বাবার এই অবস্থান বহু বছরের পুরনো। গণজাগরণ থেকে সৃষ্ট পরিস্থিতি থেকেই বাবা সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি পাবনার সরকারী এডওয়ার্ড কলেজে যাবেন এবং কলেজটিকে শিবিরমুক্ত ঘোষণা করবেন। এডওয়ার্ড কলেজ শিবিরের একটি শক্ত ঘাঁটি। আপনারা নিশ্চই জানেন পাবনা যুদ্ধাপরাধী-রাজাকার মতিউর রহমান নিজামীর নির্বাচনী এলাকা যেখানে সে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয়। কুখ্যাত রাজাকার মাওলানা সোবহানেরও বাড়ি এই এলাকাতেই। নির্বাচনে পরাজিত হলেও শিবিরের আধিপত্য পাবনায় কমেনি। এডওয়ার্ড কলেজকে 'শিবিরমুক্ত' ঘোষণা করলে পাবনার মানুষের মাঝে আরো সাহস সঞ্চারিত হবে, এমনটাই বাবা ভেবেছিলেন। আপনারা জেনে খুশি হবেন,বাবা তাই করতে পেরেছিলেন এডওয়ার্ড কলেজে ফেব্রুয়ারী ১২ তারিখ দুপুরে। সেদিন আমিও বাবার সাথে ছিলাম। সন্ধ্যায় পাবনার গণজাগরণ মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাবা পাবনাবাসীর উদ্দেশ্যে জামায়াত-শিবির-যুদ্ধাপরাধী-বিরোধী অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তার পরপরই আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হই। তখনই ফোনে খবর আসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাওলানা ভাসানী হলের ছাত্র আব্দুল মালেকের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অকাল মৃত্যুর দুঃসংবাদ।
আমরা দেখেছি ফেইসবুকের মাধ্যমে ছাগুরা কিভাবে দেশের মানুষের মাঝে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। ফেইসবুক ছাগুদের নিয়ে এখন আমরা অনেকেই সচেতন।এখন আরো গুরত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আমাদের সাবধান হওয়া দরকার।
ছাগুরা ফেইসবুক ছেড়ে এবার একত্রিত হচ্ছে 'টুইটার' এ, বিশ্ব মিডিয়ার কাছে ছড়িয়ে দিচ্ছে ভুল আর মিথ্যা সংবাদ। নিচের লিংক আর স্ক্রীনশট গুলো দেখলে ব্যাপারটা কিছুটা আচ করতে পারবেন।
লিরিক ৯
এই লাল মাখানো ভোরে
এই প্রজন্ম চত্তরে
এই ঘুম তাড়ানি রাতে
এই ঊর্দ্ধে তোলা হাতে
তুলছি যারা...
তুলছি যারা, তুলছ যারা
উঠছি কেঁপে দারুন অহঙ্কারে
এই লাল মাখানো ভোরে
দেশপ্রেম এর এক লেবাস পড়ে ছিলেন রাজা বেশ,
নতুন লেবাস দিতে হবে গায় এখন সময় শেষ।
এখনি সময়, পাল্টাতে হবে নাহলে যে আছে ভয়,
পাছে লোকে সব দেখে ফেলে, আর তুই রাজা(কার) কয়।
কোথায় পাব এমন পোশাক যা কিনা মানাবে গায়,
সবার গায়ে মলিন পোশাক, আমাকে কি শোভা পায়।
চেয়ে দেখি আজ আশে পাশে যারা পরে আছে সাধারণ,
দেশপ্রেমের এক পুরাতন পোশাক , যত আম জনগণ।
বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় আলোকসঞ্চারী প্রতিষ্ঠান, মানুষের মনের ভেতরকার অজ্ঞানতা দূর করে তাঁকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে বিকশিত করাই এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য। কিন্তু ইদানীং খেয়াল করছি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভরে যাচ্ছে ছদ্মসাম্প্রদায়িক উত্তরাধুনিক ধান্ধাবাজে। এমনই একজন নব্যরাজাকার পিয়াস করিম, যে কিনা আবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক হয়ে বসেছে!
এই লেখাটা লিখবো না ভেবেছিলাম। আজকের এই অভূতপূর্ব গণজাগরণের মূহুর্তেও যারা বিভিন্ন ধোঁয়াশার বিকিকিনিতে ব্যস্ত তাদের পথে আনার মতো কোন কথার যাদু আমার জানা নেই। এই স্বতঃস্ফূর্ত বাঁধ ভাঙ্গা গণজোয়ারে যারা রাজনীতির আবর্জনা খুঁজে পান, বা যারা এই গণস্রোতে নানা আবর্জনা মিশিয়ে এর প্রবাহকে আবদ্ধ করতে চান, অথবা যারা এই জোয়ারে কোন ভাবেই ভাসতে পারলেন না, এই অধমের সামান্য কথায় সেই হতভাগাদের ধ্যান-ধারণা বা মন
তৃতীয় বিশ্বের একটি মুসলিম দেশে কি হচ্ছে তা নিয়ে অনেক বিদেশীদের তেমন একটা আগ্রহী না হলেও এত বড় আন্দোলন দেখে পুরোপুরি উপেক্ষাও করতে পারেনা। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংহতি প্রকাশ, বিভিন্ন দুতাবাসের সামনে দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীদের একতা এবং সংহতি দেখে অনেকেই প্রশ্ন করে কি হচ্ছে তোমাদের দেশে?