শৈশব আর কৈশোরের ফেলে আসা মুহূর্তগুলো এই মধ্যবয়সে জানিনা কেন ফিরে ফিরে আসে আমার এই প্রবাসি জীবনধারায়। এক যুগ আগে ফেলে আসা রাজধানী ঢাকার ঐ শহুরে কোলাহল, মহল্লার ছেলেদের হুটোপুটি আর ফেরিওয়ালার ডাক শুনতে পাই আমি এই দূর পরবাসে। সত্য আমি জানি, দেশে ফিরলেও দেখা মিলবে না আর সেই শীলপাটা খোদাইকারিগরের। বহুজাতিক ব্রান্ডের গুড়ো মসলার প্যাকেটের সহজলভ্যতায় পেশা বদলিয়েছে শীলপাটা আঁকিয়ে কারিগর। কত যত্নের সাথেই না
দোকানদারের কাছে কাস্টমার মা বাপ। পত্রিকার কাছে বিজ্ঞাপন দাতা। বিজ্ঞাপন দাতা পত্রিকার সংবাদ বদলে দিতে পারে। বিজ্ঞাপনদাতা পত্রিকার উপর পেশাব করে দিতে পারে। আমি প্রগতির ধ্বজাধারী পত্রিকা, মুক্তিযুদ্ধের ধারকবাহক, কিন্তু রাজাকারও আমার উপর উপর পেশাব করে দিতে পারে যদি সে হয় কোটি টাকার বিজ্ঞাপনদাতা।
এক।।
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সূত্র থেকে জানা যায়, বহু বছর আগে পৃথিবীর মানব সভ্যতা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এই পৃথিবীতে এক সময় মানুষ শিল্প ও বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল। এর পর বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে যুদ্ধের কারণে সেই সভ্যতা বিলুপ্ত হয়- প্রাচীন পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা (যাকে তারা ঈশ্বর-আল্লাহ-ভগবান-গড ইত্যাদি নামে ডাকতো) নিহত হন।
তার বহু বছর পর পরম করুণাময়ী সর্বশক্তিময়ী ঈশ্বরী ঠিক করেন আবার মানবী সভ্যতার জন্ম দেবেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি প্রথম নারী এডা-কে তৈরি করেন এবং তাকে স্বর্গে বড় করে তুলতে থাকেন। এডা বড় হওয়ার পর তার খুব একা একা লাগতে থাকায় এডার ডান পাঁজরের হাড় থেকে ঈশ্বরী তৈরি করেন নতুন পৃথিবীর প্রথম পুরুষ ইভোকে। নতুন পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে জানা যায়, ইভো ঈশ্বরীর বিরুদ্ধাচারণকারী "শয়তানী"র প্ররোচণায় এডাকে জ্ঞান বৃক্ষের ফল খেতে উৎসাহ দেন। এতে ঈশ্বরী তাদের শাস্তি দিতে পৃথিবীতে নিক্ষেপ করেন এবং তা থেকেই পৃথিবীতে নতুন মানবীসভ্যতা গড়ে ওঠে।
[ব্রাজিলিয়ান লেখক পাওলো কয়েলহো বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় লেখদের একজন। তার লেখায় আছে মানুষকে বদলে দেয়ার যাদুমন্ত্র। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার যার মধ্যে আছে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের ক্রিস্টাল এওয়ার্ড, ফ্রান্সের লিজিয়ন দ্যা অনার ইত্যাদি। তার বিখ্যাত বই অ্যালকেমিস্ট আন্তর্জাতিক বেষ্ট সেলার ও বিশ্বের বহুল পঠিত বইগুলোর একটি। তার ক্ষুদে গল্পগুলো বিশ্বসাহিত্যে বিশেষ সংযোজন। কয়েক লাইনের এসব গল্পগুলো পাঠককে গভীর
সেন্ট মার্টিন। নীলাভ স্বপ্নের দ্বীপ। গত সপ্তাহে তিন বন্ধু মিলে গিয়েছিলাম সেন্ট মার্টিন। বাংলাদেশে এত সুন্দর একটা দ্বীপ আছে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। চারিদিকে শুধু নীল আর নীল। ওপরে নীল আকাশ, নিচে নীল জল। যেন একটা নীল স্বপ্নপুরী। এই নীল মোহনীয় রূপ ক্যামেরার ফ্রেমে ধরার অপচেষ্টা করেছি মাত্র।