৬-১২-১২ তারিখে কিঞ্চিৎ ছবি তুলিবার বাসনা লইয়া শাহবাগ এলাকায় গিয়াছিলুম। কিন্তু গিয়া পুরাই টাসকি…. হায় হায় ইহা আমি কোথায় আসিলুম !! এক বৎসর পূর্বেও তো এইখানকার অবস্থা এইরূপ ছিলো না। আমি কাহাদের ছবি তুলিব ?
‘সে আমাকে কথা দিয়েছে যে আমি যদি তাকে লাল গোলাপ দেই তবে সে আমার সাথে নাচবে’- কান্না ধরা কণ্ঠে কথাগুলো ভেসে আসছিল একজন তরুন ছাত্রের কণ্ঠ থেকে; ‘কিন্তু কোথায়- আমার বাগানে তো কোন লাল গোলাপ নেই’।
পাশেই একটি ওক গাছের উপরের বাসা থেকে নাইটিংগেল পাখি ছেলেটির এই কান্না ভেজা আকুতির কথা শুনছিল এবং গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে বাইরে তাকিয়ে সে বিস্মিত হল।
“হ্যাঁ, হ্যাঁ, স্যার, আজকের মধ্যেই ফার্নিচারগুলো আপনার বাড়ি পৌঁছে যাবে। ‘বেঘুন ফার্নিচারের’ জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছে, আপনার জন্য কিছু এক্সপোর্ট কোয়ালিটি ফার্নিচার আলাদা করে সরিয়ে রেখেছে তারা। আমরা হচ্ছি ওদের সবচেয়ে বড় ফান্ডিং পার্টনার, আপনি নিঃসন্দেহ থাকতে পারেন স্যার, ওদের সেরা জিনিসটাই দেবে আমাদের। আপনাকে তো ইন ফ্যাক্ট উপহারই দিতে চেয়েছিল ওরা, কিন্তু আপনি রাজী না হওয়াতেই স্পেশাল ডিসকাউন্টে....
দেশের টিভি চ্যানেল দেখা হয় না বলাই ভালো। মাঝে-মধ্যে একটু-আধটু। গতকাল অনলাইনে ঢাকার হরতালের খবর পড়ে খানকয়েক সচিত্র প্রতিবেদন দেখার আশায় জাগোবিডি.কম-এ ঢুঁ মারলাম। বেশ কিছু চ্যানেল ধরার বৃথা চেষ্টা করে অবশেষে মাহফুজ সাহেবের এটিএন নিউজ-এর বেলায় ভাগ্য 'সুপ্রসন্ন' হলো। দেখলাম টক শো চলছে। মুন্নী সাহার অতিথি দেশের দু'জন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। কিছুক্ষণ দেখার পর মালুম হলো এটাকে বরং মুন্নী'স শো বলা উচিত। বাক
"এটা অবধারিত হয়, বুদ্ধিজীবীরাই জাগিয়ে রাখেন জাতির বিবেক, জাগিয়ে রাখেন তাদের রচনাবলির মাধ্যমে, সাংবাদিকদের কলমের মাধ্যমে, গানের সুরে, শিক্ষালয়ে পাঠদানে, চিকিৎসা, প্রকৌশল, রাজনীতি ইত্যাদির মাধ্যমে জনগণের সান্নিধ্যে এসে। একটি জাতিকে নিবীর্য করে দেবার প্রথম উপায় বুদ্ধিজীবী শূন্য করে দেয়া। ২৫ মার্চ রাতে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল অতর্কিতে, তারপর ধীরে ধীরে, শেষে পরাজয় অনিবার্য জেনে ডিসেম্বর ১০ তা
টুসটাস করে কি যেন ফুটছে। আরে সাথে একটা গান চলছে ‘পাল যুগে এ এ এ...পাল যুগে এ এ এ’। ঘুম ভেঙ্গে গেল। জানালা দিয়ে এক টুকরো রোদ এসে পড়ছে গায়ে। শীতের সকালের রোদ। তাকিয়ে দেখি আমার ছোট ভাই কোত্থেকে যেন সাইকেলের চাকা মোড়ানো থাকে যেই ছোট ছোট ফোটকাওয়ালা প্লাস্টিক দিয়ে, সেটা নিয়ে ফোটাচ্ছে আর সুর করে পড়ছে, ‘পাল যুগে এ এ এ...পাল যুগে এ এ এ’। আমি ডাক দিলাম, ‘নিষাদ, কি করছ!’ সাথে সাথে ভদ্র মানুষের মত
সালেক খোকন
এক মুক্তিযোদ্ধার পায়ের ভেতর এখনো গুলি আছে। একচল্লিশ বছর ধরে শরীরের ভেতর বাসা বেঁধেছে সে গুলিটি। জোরে হাঁটতে কিংবা সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে গুলিটি কামড়ে ধরে মাংসের ভেতরটায়। যন্ত্রণায় তখন ছটফট করেন তিনি। পাকিস্তানিদের গুলি মুক্তিযোদ্ধার দেহে। এটা মেনে নেওয়া সত্যি কঠিন। তাই নীরবে নিভৃতে কেটে যাচ্ছে ওই মুক্তিযোদ্ধার জীবন।
প্রথমে খবরটা শুধু শুনেছিলাম, দেখা হয় নাই তখনো। শোনা আর দেখার মধ্যে যে একটা বিশাল পার্থক্য আছে সেটা বুঝলাম দেখার পর। সামনা সামনি দেখলে কেমন লাগতো সেটা ভেবে রীতিমতো ভয় পাচ্ছি। হ্যাঁ, আমি বিশ্বজিতের কথা বলছি। যখন এ লেখা লিখছি তখন থেকে ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগেও সে বেচে ছিলো। তার চোখে স্বপ্ন ছিলো, তার জীবনকে নিয়ে পরিকল্পনা ছিলো। হোকনা সে একজন দর্জির দোকানী, তাই বলে আপনার আমার চেয়ে কোনো অংশেই এগুলো কম ছিলোন
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইল জুড়ে উদ্বাহু নৃত্যে মাতে প্রাগৈতিহাসিক শ্বাপদেরা।
যদিও প্রকৃতি মুখরিত হয় পাখির কুজনে,
যদিও যথারীতি বয়ে চলে নদী জলের প্রাবল্যে;
এবং যদিও কৃষকের পদপাতে মথিত হয় ভূমি...
তথাপি ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইল ব্যাপি-
আমরা সম্পন্ন করি একটি অত্যাবশ্যাকীয় সৎকার।
নিদ্রাহীন আমরা, যাপন করি পুষ্পবিহীন আমাদের দীর্ঘ বসন্তটি।
রনি আতিক
৯/১২/২০১২