দেশে থাকতে মাসের শেষে পথে পথে ঠেলায় করে বাড়িবদলের হিড়িক দেখতে অভ্যস্ত ছিলাম। খুব অভিজ্ঞ ছিলাম না এ ব্যাপারে। এখন ঠেকে ঠেকে শিখেছি। সর্ব শেষ বদল দশ মাস ভাড়া বাড়িতে বসবাসের পর। মুভাররা যখন সব মালপত্র নিয়ে গেল, পুরোবাড়ি পরিস্কার করে দরজাটা বন্দ করে গাড়িতে ওঠার আগে বাড়ির সামনে বিদায় দিতে আসা এখানকার পড়শীদের বিদায় জানাতে এক বিষন্ন কাতরতায় মন ছেয়ে গেল। জীবনের একটি অংশের হাসি কান্নার সাক্ষি
আজ কলেজে যেতে একদম ইচ্ছা করছেনা রশিদ সাহেবের। শরীরটা ম্যাজম্যাজ করছে ঘুম ভাঙার পর থেকেই। শ্যামনগর বিদ্যাময়ী গার্লস কলেজের ইংরেজির শিক্ষক তিনি, সতের বছর যাবত এই কলেজেই শিক্ষকতা করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার দুই বছর পর এখানে জয়েন করেন। বয়স তখন তাঁর আটাশ। তাগড়া যুবক। বছর তিন শিক্ষকতা করার পর, বিয়ে করেন। ছাত্রীর বাবা-মা চেপে ধরেছিল। স্যার কে তাঁদের খুব ভাল
বৃষ্টি পড়তে পড়তে পড়তে পড়তে বিলের পানি বাড়ির পেছনের টিন ছুঁয়েছে। বৃষ্টির অবিরত ফোঁটায় বাঁকা টিনের গায়ে নাচছে পানি। আমার পাঁচ বছর বয়সী বুবু খুব হিসাবনিকাশ করে অ্যালুমিনিয়ামের খেলনা হাড়িপাতিলগুলো ছুঁড়ে মারছে পানিতে। দুলতে দুলতে হাড়িগুলো সারি বেঁধে চলে যাচ্ছে অজানার দিকে। আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে একবার বুবুকে দেখছি একবার খেলনা গুলোকে।
মৈথুনরতা বীচটার অভিব্যক্তিহীন মুখটা ভুলতে পারছে না শিরিন।
ব্যলকনিতে ইজি চেয়ারে দুলতে দুলতে স্ট্রীট লাইটের হলদে আলোয় অপার্থিব লাগছিল দৃশ্যটা।একটুও অশ্লীল নয়, বরং সৃষ্টি-তত্ত্বের একটা অঙ্কের নির্ভুল মঞ্চায়ন- মনোযোগ দিয়ে দেখল কতক্ষণ।
চাকরীটা হয়ে গেলো শুভর। ঠিক সে মুহূর্তে খুব সম্ভবত পৃথিবীতে ওর চেয়ে বেশী দরকার আর কারওই ছিলনা চাকরীটার। পাঁচ বছরের কন্ট্রাক্ট। ঠিক এক সপ্তাহের মাঝে জয়েন করতে হবে। হ্যা, ওরা প্রচুর টাকা দিবে। তবে
আপনারা হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন চেকবইয়ের হিসাব-নিকাশ আর স্মৃতিচারণ দুটো একসাথে করা খুবই কঠিন। মস্তিষ্কের দুর্গম এবং দুর্বোধ্য একটি অঞ্চল থেকে পর্যাপ্ত সিগন্যাল সংগ্রহের পর এই সংঘাতের কারণ খুঁজে পেয়েছেন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের কয়েকজন গবেষক।
প্রথম দুইদিন ভয়ে চুলাই জ্বালাইনি | দুধ, সিরিয়াল, পাওরুটি আর ফলমূল খেয়েছিলাম | সাথে আসিফ চিকেন নাগেটস ভেজেছিল | তৃতীয় দিনেই আমাদের বাঙালি মন ভাতের চাহিদা জানান দিল | আমার তখনো সময় ব্যবধানের সাথে ঘুমের সামঞ্জস্য হয়নি | বাংলাদেশের সকালের সময়ে (আমেরিকার রাতে) ঘুম থেকে উঠে দেখি আসিফ ভাত, বেগুন ভাজা আর ডিম অমলেট তৈরী করে খেতে ডাকছে | চোখে পানি চলে আসল, যাক ! ও কথা রেখেছে | পেট ভরে ভাত খেয়ে ভাবলাম আগামীকাল আমিও রান্নায় যোগ দিব | পরের দিনের দুজনে একসাথে চিংড়ি রান্না করলাম | লবণ বেশি হয়ে গেল, বাসায় বেল পেপারস (ক্যাপসিকাম) ছিল, মিলিয়ে দিলাম তাতেও কাজ হলো না | বেশিক্ষণ ধরে রান্না করার কারণে চিংড়ি কেমন যেন শক্ত হয়ে গেল | নিজের প্রথম রান্না করা খাবার খেতে আমি ব্যর্থ হলাম | পরে চিংড়ির প্যাকেট এ লেখা দেখেছিলাম এগুলো লবণ দিয়ে সিদ্ধ করাই ছিল | ইশ ! আগে যদি জানতাম !
এই ক্বীন ব্রীজ দিয়ে হাঁটতে গেলে একটা মজার ব্যাপার চোখে পড়বেই; ধনুকের মত বাঁকা ব্রীজকির উপর দিয়ে রিক্সা জাতীয় কিছু পার হতে গেলে চারপাশ থেকে কয়েকটা ছেলে ছোকরা কিংবা বয়স্ক লোক এসে রিক্সার কাছে এসে ভীড় জমাবেই, আর চেঁচিয়ে উঠবেঃ
"ঠ্যালা লাগবে, ঠ্যালা?"
নাহ! আমাদের আগেও কখনো ঠ্যালা লাগে নি, আজও লাগবে না। কারণ, বরাবরের মত আজকেও আমরা বেশ কয়েকজন হেঁটে এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত পাড়ি দিচ্ছি।
১.
একজন রানি এত সাধারণ হতে পারেন! কি সাদামাটা বেশভূষা! গায়ে দামী কোন অলংকার পর্যন্ত নেই! গরীব দেশের রানি হলেও না হয় একটা কথা ছিল। শম্পা তন্ময় হয়ে তাকিয়ে থাকে টিভির ক্ষুদে পর্দাটির দিকে। তার দুচোখ থেকে ঠিকরে বেরুচ্ছে বিস্ময় রশ্মি! ঝরে পড়ছে মুগ্ধতা!