নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে হামলা পরিকল্পনার জন্য এফবিআই দ্বারা প্ররোচিত হওয়ার পর গত ১৭ অক্টোবর গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশী নাগরিক রেজওয়ানুল আহসান নাফিসকে নিয়ে এদেশে আলোচনা-জল্পনা-কল্পনার অভাব নেই। বিভিন্ন মহল নিজস্ব অবস্থান অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টিকে অবলোকন ও পর্যালোচনা করার প্রচেষ্টায় তৎপর রয়েছেন। যারা নিজেদেরকে সেকুলার মুক্তমনা বলে প্রকাশ করতে সর্বদা আগ্রহশীল থাকেন ত
আছোঁয়া
---শাশ্বত স্বপন
প্রতিদিন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মা কি যেন মন্ত্র টন্ত্র পড়ে মাথায় ফুঁকে দেন। আমি হাসি। আসলে মা’রা পারেও।সব সময়ই মা আতঙ্কে থাকেন এই বুঝি কিছু হল, কোন দাঙ্গা শুরু হল। মা’র ভাষায় আমরা সংখ্যালঘু। মা’কে কত বোঝাই, তোমার বাবা এই দেশের জন্য প্রাণ দিয়ে গেছেন, তোমার আবার কিসের ভয়? তুমি আমার বন্ধু গুলাকে দেখনি? আমাকে দিনে একবার না দেখলে, খোঁচা না দিলে এগুলার পেটের ভাত হজম হয়?
বাংলাদেশের ভূ রাজনৈতিক প্রভাব মাপতে গিয়ে আমরা নিজেদের গুরুত্ব কে একটু বেশি ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে হিসেবে করি বলে আমার মনে হয়। স্পেসিয়ালি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ এর সম্পদ এবং ভৌগোলিক অবস্থান হিসাব করে বাংলাদেশ কে নিয়ে বিশাল একটা পাঁয়তারা করে বেড়াচ্ছে বলে অনেকে বিশ্লেষক ধারনা দিয়ে থাকেন। বাস্তবতা হচ্ছে ভুরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অন্তত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমাদের কোন বেইল নাই।
কেন একটু আলোচনা করে দেখা যাক।
পৌনপুনিক
--------------------- প্রখর-রোদ্দুর
যোগী হলে হয়তো অবিরাম শব্দটি যথার্থ হতো
তবু প্রায়; বিলক্ষণ,
রাতের নির্জনতায় বিশুদ্ধ কর্পূর জ্বলে
তপ্ত পাপের অনলে।
ঝিম ধরা কোন দুপুরে টুকরো মেঘ এলো মেলো ভাসে যেমন
একাকী চিলের দিকে তাকিয়ে -
বিলাসী অনুভব ভর করে চুলচেরা নাগরিক জীবনে।
কাকচক্ষু জলে ক্ষুদ্র পোকাদের চলাফেরায়
নিস্তরঙ্গ স্থিরতায় যৎ সামান্য ঢেউয়ের আলিঙ্গন হলেও
এক একটি স্যুটকেসে পার্থিব জীবনের স্মৃতির টুকরো টাকরাকে গুছিয়ে, একই নামের, গায়ে গতরে একই মানুষ, যখন নুতন দেশে বসত গাড়ে, তখন বাড়ী, কর্মস্থল, ব্যাংক একাউন্ট, ঠিকানা বদলে যায়, বদল হয় জীবন বোধের, ভিন্ন আঙ্গিকে জীবন যাপন। জাত, বিশ্বাস, বর্ন, ভাষাগত কারনে নুতন দেশে সংখ্যা লঘুর পরিচয়ে পরিচিত হওয়া। সংখ্যালঘু… … এ বড় যাতনার, অসহায় মানুষের মনকে প্রতিদিন খুবলে খুবলে খায়। প্রাত্যহিক দিন গুলি যাও কাট
নীলক্ষেতের রাস্তার পাশের দোকান থেকে ‘উইজডোম অফ বোনস’ বইটা কিনছিলাম। হঠাৎ চোখ পড়ে গেল ‘ইস্পাতে’র (How the steel was tempered) ওপর। সাথে সাথে মনে প্রচন্ড ক্ষোভ জেগে উঠলো । রাগের চোটে হাতে একটা বই নিয়ে মুচড়ানো শুরু করেছিলাম। আর দোকানদার মামা না ঠেকালে হয়ত ঝাপিয়েই পড়তাম ‘ইস্পাতে’র ওপর।
বেশি বেশি লেটুস খেয়ে ফেললে নাকি অনেক ঘুম পায়। ঘুমিয়ে ত্যানা ত্যানা হওয়ার অবস্থা হয়।
আমার অবশ্য লেটুস খাবার পর কখনোই সেরকম লাগেনি। তবে আমি তো আর খরগোশ না। ফ্লপসি বাচ্চারা কিন্তু লেটুসের এই ঘুমপাড়ানি প্রভাবটা থেকে রেহাই পায়নি একদম। তারা ঠিকই ঘুমিয়ে কাদা হয়ে গিয়েছিলো।
সেই গল্পটাই আজকে তোমাদের বলি।