আমাকে আমার সংসার থেকে তাড়ানো কতই সহজ। ‘তুই বিদায় হ, এখানে আর চেহারা দেখাবিনা।’ এটুকুই যথেষ্ট।
কোথায় যাব? পানিতে পড়বনা, সে জানে। ঢাকা শহরে আমার বাবার নিজের একটা ফ্ল্যাট আছে। সেখানে অ্যাটাচড বাথ একটা রুম আমার জন্য সারাজীবনই আছে। বিয়ের পর আব্বু এসি লাগিয়ে দিয়েছেন। জামাই এসে মাঝে মাঝে থাকবে।
১.
দরজার কাছে যেতেই মা আবার দৌড়ে আসল। একটু আগেই কিন্তু বিদায় নিয়েছি!
- বাবা, তুই কিন্তু ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করবি।
- হুমম।
- প্রতি শনিবার রাতে আমাকে ফোন দিবি।
- আচ্ছা।
- সারা সপ্তাহ কি কি করলি সব বলবি।
- পিঠা গুলো তোর রুমমেটদের দিস।
- তাহলে আমি কী খাব? (মাকে খেপানোর জন্য বললাম)
- ধুর আমি তো বেশি করে দিয়েছি!
আমার কেন জানি মনে হয় আমার স্ত্রীর মানসিক সমস্যা আছে । কিছু মানসিক সমস্যা থাকে না ,যা বাইরে থেকে খুব্ একটা সপষ্ট নয়, কিন্তু খুব সর্ন্তপনে খেয়াল করলে ঠিক ই চোখে পড়ে।
১।
শুক্রবার দুপুরে শিশুমেলার কাছে রাস্তা পার হওয়ার সময় থমকে দাঁড়াতে হল। ডিভাইডারের উপরে নোংরায় মাখামাখি হয়ে একটা বাচ্চা ছেলে পড়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছিল মৃত! কত হবে বয়স? ১২ বা ১৩! শরীরে হাড় আর চামড়া ছাড়া কিছু অবশিষ্ট নেই। কি হয়েছিল ছেলেটার? চুরি করতে গিয়ে মার খেয়েছে? কিন্তু তাহলে তো এতক্ষণে পুলিশের নিয়ে যাওয়ার কথা! কাছে গিয়ে বুঝতে পারলাম এখনো বেঁচে আছে। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে না বেশিক্ষণ থাকবে।
বউ পালনে আমি যে সিদ্ধহস্ত, তা বলবো না (অবশ্য বউ পালনে কেই বা কবে সিদ্ধ হস্ত হতে পেরেছে?), তবে চিন্তা করে দেখলাম, যারা এখন শিশু পালন করছে, তারা শিশু পালন নিয়ে লিখবে (যেমন তাসনীম ভাই), আবার যাদের টিন এজ বাচ্চা আছে, তারা টিন এজারদের সমস্যা নিয়ে লিখবে, যারা প্রেম করছে, তারা গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড/রিলেশনশীপ নিয়ে লিখবে, তাই চিন্তা করে দেখলাম, নব্য বিবাহিত স্বামী কিভাবে তার বউ পালন করবে, তা নিয়ে কিছু এক
ব্লগে লেখালেখি করেন এমন এক ছোটবোনের সাথে গতকাল কথা হচ্ছিল, তিনি এখনকার খিচুড়ি মার্কা বাংলার প্রচার ও প্রসার নিয়ে উদ্বিগ্ন। চেষ্টা করছেন নিজে সম্পূর্ণ শুদ্ধ বাংলায় কথা বলা ও লেখা শুরু করবেন এবং ধীরে ধীরে অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করবেন। আমি উনার উদ্দেশ্যকে শ্রদ্ধা করি। দেশের বাইরে থাকার কারণে আমি নিজেও এই দোষে দোষী। তবে উনার চিন্তাটা আমার ভেতরে কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আপনাদের মতামত জানার জন্য ব্লগে
ভূমিকা: বর্তমানে ভারত উপমহাদেশে বিরাজমান সংস্কৃতির মতই এর ইতিহাসও অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। সময়ের পথ ধরে, ইতিহাসের নানা চড়াই উৎরাই পার হয়ে অখণ্ড ভারত উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে তৈরি হয়েছে আধুনিক কালের দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সমূহ। মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাস জুড়ে রয়েছে বিদেশী শক্তির আগ্রাসন, পরাধীনতা ও সাম্রাজ্যবাদ। মূলত ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের পরে থেকেই এই উপমহাদেশ বিদেশী শাসকদের অধীনে চলে যায়। প্রথমে মুঘলরা এবং পরে
‘মায়ের সাথে প্রথম দেখা’ বাক্যটি পড়েই অনেকে হয়তো ভাবছেন এটা আবার কেমন কথা? জন্মের পর পরই তো মায়ের সাথে প্রতিটি সন্তানের প্রথম দেখা হয়। কিন্তু আমাদের ব্যাপারটা একটু ভিন্ন। জন্মের পরও আবার দীর্ঘ সময় পার করে মায়ের সাথে প্রথম দেখা হয়েছে আমাদের।
চায়ের কাপে চুমুক দিয়া কুদ্দুস আলী বললেন,“বুঝলা আনিস,তোমাগো সংগঠনে নাম না দিলে আর চলেনা,সংগঠন কইরা আজকাইল তুমি ফাকিস্থান নিয়া কি সুন্দর কইরা গুছাইয়া কথাবার্তা কও।আমার দিলে ফাকিস্থান কিন্তু ফাকিদের পক্ষে কথা কইতে গেলেই খালি পাকাইয়া যায়।কি যে করি!!”