চন্দন যদি সেই মুহূর্তে কিছু না বলে অন্যান্য সময়ের মতো চুপ করে থাকতো ,তাহলে হয়তো এখন এই রাতে অফিস থেকে ফিরে তাকে শুকনো মুড়ি চিবোতে হতো না। গতকাল ছিল ছুটির দিন। ছুটির দিনে রূপা সাধারণত ওর মার বাসায় থাকে। বেছে বেছে গতকালই কেন জানি ও ওর মার বাসায় যায়নি। সারাদিন ঘরের সব জিনিসপত্রকে একবার উত্তরমুখী করেছে তো আরেকবার দক্ষিণমুখী করেছে। কোনো জিনিসপত্র একই ডেকোরেশনে টানা একমাসের বেশি থাকতে পারেনা । এগুলোর চি
ম্যামের হাতে ডাস্টার ছিলো ছুড়ে মেরেছে
উঃ বড্ড লেগেছে।
রাজ্জাক সাহেব একজন লেখক। বড় মাপের কিছু নন, মাঝারি মানের হয়তোবা বলা চলে। প্রতিযোগিতার বাজারে প্রকাশকদের ফরমায়েশি লেখা লিখেই একরকম টিকে আছেন। এ এক গুণ তাঁর স্বীকার করতেই হয়; কখনও বাংলা টেক্সট বইয়ের নোট লেখা, কখনও সংবাদপত্রের সাহিত্য পাতার জন্য চটুল প্রেমের উপন্যাস, আবার কখনও ছোট্ট মণিদের মন রাঙাতে রূপকথার মনভুলানো গল্প, সবকিছুতেই সমান দক্ষতায় হাত চলে তাঁর!
জেফরি আর্চারের পরিচয় মূলত একজন থ্রিলার লেখক হিসাবে। সারাবিশ্বে তার লেখা বইয়ের প্রচুর জনপ্রিয়তা এবং কাটতি রয়েছে। এর বাইরে তার আরেকটি উল্লেখযোগ্য পরিচয় তিনি একজন প্রাক্তন বৃটিশ রাজনীতিক এবং এমপি- ইংল্যান্ডের টোরি পার্টির। আর্চারের বইয়ের আলোচনায় এই বিষয়টি বিবেচনায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
ফেসবুকে আমি বেশ কিছু প্রগতিশীল আর মুক্তমনা তরুণকে সাবস্ক্রাইব করি। বিভিন্ন বিষয়ে তাদের উক্তি এবং মন্তব্য আমাকে উদ্দীপ্ত করে। বাম ধারায় বিশ্বাসী এই যুবকদের মন্তব্যে ব্যাপক লাইক এবং শেয়ার পরে, আমি নিজেও দেই। কিন্তু বিপত্তিটা ঘটে যখন তারা মাওবাদ আর কমিউনিজম সম্পর্কে পোষ্ট গুলো দেন। হতাশ হয়ে দেখি, আমাদের প্রগতিশীলদের শ্রেণী মুক্তির ধারনা এখনো কৈশোরের রোমান্টিকতার স্টেজ পার হয়নি।
অনন্ত জলিলের পরের ছবির শেষ দৃশ্যঃ তার বন্দুকে গুলি এক কিন্তু শত্রু দুই। এক নম্বর শত্রু ইউটিউবে ভিডিও আপ্লোডকারি আর অন্যজন সুজন চৌধুরী, যে কিনা তার ভুরিওলা কার্টুন একেছিল। এখন যদি সে একগুলিতে দুই শত্রুকে খতম করতে চায় তাইলে তার রজনিকান্তের বলাকা ব্লেড থিওরি ছাড়া উপায় নাই!!
আমার আগের লেখাটি অনেকেই বোঝেননি। এ থেকে দুটো অনুসিদ্ধান্ত পেতে পারি। এক, লেখাটি বিরাট হাই থটের; দুই লেখাটি একেবারেই লো-থটের। প্রথম বক্তব্য সত্য হওয়া কঠিন, কেননা আমার বয়স হয়েছে। বয়স্ক রমণীর ক্ষেত্রে হাই-হিল যেমন হাস্যকর না হলেও কৌতুহল-উদ্দীপক, বয়স্ক পুরুষের বেলাতেও হাই-থট সন্দেহজনক। তবে দ্বিতীয়টি সত্য। কেননা, কেউ কেউ একটু একটু বুঝেছেন বলে মনে হলো, মানে বল এতোটাই লো-তে এসেছে যে- এটা ক্যাচ না ড্রপ ক্যাচ তা নিয়ে আম্পায়্যার বেশ চিন্তিত। যাই হোক- পুরোনো দিনের গান গেয়ে লাভ নেই; শখ করে আঙ্গুরীবালা কিনলেও শোনা হয় আসলে লেডি গাগা। তাই আলোচনা সামনে বাড়ুক।
এমনিতেই হুমায়ূন আহমেদ এর চলচ্চিত্র নিয়ে একটা বাড়তি আগ্রহ থাকে তারপরে আবার এটা তাঁর শেষ চলচ্চিত্র। সুতরাং ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ নিয়ে আগ্রহ এবং প্রত্যাশার পারদ দ্রুতই উপরের দিকে উঠছিল। মুক্তির দিনে বিকেলে বন্ধুদের নিয়ে বলাকায় গিয়ে বিফল মনোরথ হয়ে ফিরতে হল। কারণ আর কিছুই না, আমার মতো আরও অনেকেই মুখিয়ে ছিল সিনেমাটির জন্য; ফলাফল বিশাল লাইন এবং হাটিকেট পরিস্থিতি। এরপর গতকাল হুট করেই নেয়া সিদ্ধান্তে
[justify]পরদিন সকালবেলা আমরা সবাই নয়টা বাজে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুত কিন্তু বের হতে পারছি না বাসা থেকে। এতদিন হোটেলে থাকার কারণে কিছু বুঝা যায় নাই, কিন্তু এখন সবাই হা করে ডিয়েগোর কাণ্ড দেখছে। সে সকাল আটটা থেকে “আই অ্যাম রেডি, আই অ্যাম রেডিইইইইইইই” করে চিল্লাছে, কিন্তু তার সাজ শেষ হচ্ছে না!
মাইনুল এইচ সিরাজী
-------------------
“শোনো ম্যানেজার, আমার একটু মোফাশশের সাহেবের ফেভার দরকার। শুনলাম ওনার সাথে নাকি তোমার দহরম-মহরম!”
“তা ঠিক স্যার। আপনি তো ভালোই জানেন, আজকাল শুধু সম্পর্ক দিয়ে কাজ হয় না। আমার প্রমোশন, পোস্টিং ইত্যাদির জন্য ওনাকে অন্যভাবে বশে আনতে হয়েছিল।”
“আরে বোকা এই অন্যভাবেটাতে আমার বিস্তর নলেজ আছে। তুমি লিংকটা করে দাও।”