উৎসর্গঃ যারা মমতা আর ভালোবাসা মিশ্রিত হৃদয়ের শুদ্ধতম আবেগ নিয়ে লতিফুল ইসলাম শিবলী’র কথামালাগুলো সুরবিন্যাস, যন্ত্রসঙ্গীত ও কণ্ঠের যাদুকরী সম্মোহনে ছড়িয়ে দিয়েছে শহর থেকে গ্রামে . . . আলোক বার্তা নিয়ে প্রতিটি অন্ধকার প্রকোষ্ঠে।
বিষাদগ্রস্ত বিষণ্নমুখ
শুণ্য চোখের দৃষ্টি ।
হাহাকার রব মুছে দেয় সব
শেষরাতে নামা বৃষ্টি ।
নিঠুর জীবন নিঠুর ধরণী
কাঁটাবেধা খালি পা ।
বৃথা আক্রোশ অসহায় রোষ
নোনা ঘামে ভেজা গা ।
কত বেদনায় অশ্রুসজল
ক্ষীণ হয়ে আঁখি দৃষ্টি
তবু যত ক্ষোভ মুছে দেয় সব
শেষরাতে নামা বৃষ্টি ।
দিগন্তপানে মিলেছে অতীত
মধুময় সব স্মৃতি ।
আজ সেই পথে একলা পথিক
পথই তার সমব্যথি ।
"ধুরো হালার, আগেই বলছিলাম এইসব করে কোনো লাভ হবেনা, কাজের সময় দেখবা একটারেও পাওয়া যাবেনা, এখন বুঝো!!"
২০০০ সালের গ্রীষ্ম, ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, দুপুর ১২ টা। প্রবল ঝমঝম বৃষ্টিতে, আমরা আশ্রয় নিয়েছি পাশের মেডিক্যাল গেটের যাত্রী ছাউনিতে। আকাশ কালো আর মেঘে ঢাকা, আমাদের ৪/৫ জনের মুখও আকাশের মতই। আমরা এসেছি আমরণ অনশনে বসতে।
ঘুমকাতুরে এক বালকের বাবা ভোর থেকে তাকে ডেকেই যাচ্ছে কিন্তু বালকের তাতে কোন রা নেই। একটু পরে বালকের বাবা প্রমাণ করলেন শুধু শ্রবণ করাই কানের একমাত্র কাজ নয় বরং এটির উপযুক্ত ব্যবহার করে মানুষকে ঘুম থেকেও ওঠানো যায়। বালক চোখ ডলতে ডলতে ওয়াশ-রুমে যায় এবং হাড় কাঁপানো শীতে গরম পানি দিয়ে রগড়ে রগড়ে গোসল করে। গোসল শেষে তাকে পাঞ্জাবী পায়জামা পড়ান হয় এবং বালকের বাবা তার গায়ে আতর মেখে দেয়। তারপর পি
ফ্রান্সের তেরঙ্গা পতাকার তিন রং, নীল,সাদা আর লাল যার অর্থ যথাক্রমে লিবার্টি, ইকুয়ালিটি আর ফ্রেটারনিটি...এই তিন রঙ নিয়ে পোলিশ পরিচালক কিয়েস্লোস্কি তৈরি করেন তার কালজয়ী ট্রিলজি থ্রি কালারস, যার প্রথমটি “ব্লু”।
প্রতি ঈদে SMS এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করাটা এখন রীতিমত রেওয়াজ হয়ে গেছে। শুধু ঈদেই নয়, পহেলা বৈশাখ, বন্ধু দিবস, ভালবাসা দিবস সহ সব বিশেষ বিশেষ দিনে দূরের এবং কাছের প্রিয় মানুষগুলোকে SMS দিতে আর তাদের কাছ থেকে SMS পেতে ভালোই লাগে। এই SMS গুলো বিভিন্নটা বিভিন্ন স্বাদের। আজকের আয়োজন বিভিন্ন স্বাদের এইসব SMS নিয়ে।
কিছু SMS আছে রম্য ধাঁচের। যেমনঃ
১.
আমাদের দেশে পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে বর্তমানে যে গ্রেডিং সিস্টেম চালু আছে তাতে একজন ছাত্রের ফোর্থ সাবজেক্টে/ ঐচ্ছিক বিষয়ে (অ্যাডিশনাল সাবজেক্ট) প্রাপ্ত গ্রেড পয়েণ্ট থেকে ২ বিয়োগ করে যা থাকে সেই পয়েণ্টটা বাকি বিষয়গুলোতে প্রাপ্ত মোট গ্রেড পয়েণ্ট গুলোর সাথে যোগ করা হয়। তারপর গড় করে, দেয়া হয় গ্রেড পয়েণ্ট এভারেজ বা জিপিএ। উদাহরণ দিয়ে বলি, তাহলে জিনিসটা বুঝতে সহজ হবে।
ক
একটা গোটা রাত জেগে থাকার ভারী অবসাদ আর সকালে তেল চুপচুপ পরোটা আর ভুনা গরুর মাংসের ভূরিভোজন-পরবর্তী ঝাঁঝালো ঢেকুর-এই দুইয়ের সাথে লেপ্টে রইল সকালবেলার আলস্য জড়ানো অথচ টান্ টান্ কামেচ্ছা-আমার সংক্ষিপ্ত বাস যাত্রাটা এই তিনের ঘোরে ঢুলুঢুলু কেটে যেতে পারত। কেটেছিলোও কিছুটা;বেশ আয়েশি একটা অবশতা। কিন্তু আচমকাই ছিঁড়ে গেল এই ত্রিকোন ঘোর। সামনে তাকিয়ে দেখি চলমান জেগে উঠতে থাকা শহরটাকে আগলে কে যেন বসে আছে। একটা মেয়ে। কাঁধের উপর ছড়িয়ে থাকা চুল থেকে উঠে আসছে একটা অভিজাত করপোরেট সুবাস;সদ্য স্নানের ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত পানির বিন্দু চারপাশে ছড়িয়ে দিয়েছে এক আবেশী মৌতাত। বুকের অনুমোদিত উপরি অঞ্চল-অবধি নগ্ন সুন্দরীর ছবি সাঁটা সাবানের ভুরভুরে গন্ধটাও পেলাম।সব মিলিয়ে একটা ঘন জমে থাকা মাদকতা যেন। এইসব চটকে ঘুম ঘুম আমেজটা ছিঁড়ে গেলেও বাইরের বাস্তবতা ঘাড়ে চেপে বসতে পারেনি তখনো।
অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের অডিও জগতের জনপ্রিয় কিছু ব্যান্ড অ্যালবাম নিয়ে পোষ্ট দেব ভাবছিলাম। ভাবনা আর কাজে পরিণত করে ফেলার মধ্যে ফারাক অনেক। প্রায়ই আমার ভাবনাগুলো ভাবনাতেই স্বীমাবদ্ধ থেকে যায়। এই ভাবনাটাও তেমন-ই। তবে, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে প্রকাশিত মিউজিক অ্যালবামগুলো এবং এর বাজার কাটতি দেখে একসময়ের একনিষ্ঠ শ্রোতা-ভক্ত হিসেবে বুকে হাহাকারের মাতম জেগে উঠলো কেন যেন!
হে বঙ্গ! ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন/তা সবে (অবোধ আমি!) অবহেলা করি/পরধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ/পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি …