১.
'ডোন্ট ওরি'- গিন্নীকে এই কথাটা হাজারখানেক বার বলার পর এখন আর নিজেরই বিশ্বাস হয়না বানরের। দিন আনি দিন খাই টাইপের দিন ভালই চলছিল - এর মধ্যে গিন্নী এলেন, বান্দরের বান্দর বাচ্চা দুটোও এল। কিভাবে যেন দিন ও পড়ে গেল। যা যোগাড় হয় তাতে চারটা পেট ভরেনা। সেভিংস নেই, সিকিউরিটি নেই, চুলায় আগুন জ্বলে না, গিন্নী কথা বলেনা। 'অমন বানরের মত মুখ বানিয়ে আছ কেন?'- জিজ্ঞাস করতেই হাজার চুলার আগুন বের হয় কিছু আগের বন্ধ মুখ থেকে।
এই আবুল-ই সেই আবুল,অতঃপর পদত্যাগ,তাহলে আগে করলে কী হতো?
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ
আজ আমার সব আছে
শুধু ভালোবাসা ছাড়া।
আমি আমার ভালোবাসা ফেলে এসেছি
রৌদ্রজ্জ্বোল করতলে
জীবনের বিন্যস্ত সজ্জা ছেড়ে
পলাতক কাপুরুষের মতো
আমি পালিয়ে এসেছি
জীবনের আলোকিতো চৌকাঠ পেরিয়ে।
উৎসর্গ--জনৈক স্কুল শিক্ষককে,যিনি একদিন বড় মুখ করিয়া বলিয়াছিলেন_____
বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সবচাইতে চমৎকার জায়গা যেখানে সংকীর্ণতা নেই,সীমাবদ্ধতা নেই,কুসংস্কার নেই,অসহায়ত্ব নেই-আছে শুধু জ্ঞান,প্রজ্ঞা আর সৃষ্টিশীলতার অনুশীলন ও পরিচর্যা।
মান জলপ্রপাতে একদিন ( আইভরি কোস্ট টুকিটাকি -২)
- কি হল দু টাকা ফেরত দিলেন না?
- নতুন নাকি এই লাইনে? ভাড়া জানেনে না? পেপার-টেপার পড়েন? তেলের দাম কত জানেন? দু-টাকা ফেরত? অ্যা! মামাবাড়ীর আবদার পাইচেন,তাই না?
- এই ভদ্র ভাবে কথা বল। কালকেই তো গেলাম আট টাকায়, ভোলানাথে। একদিনেই দু-টাকা বাড়ীয়ে দিলি?
- ভদ্রতা শিখাবেন না, বুঝলেন? কোন বাসে কত ভাড়া নিতেছে, এইখানটায় ওগুলা আলাপ মারবেন না, বুঝচেন? না পোষাইলে নামেন গিয়া যান।
ক্লাসরুমে একবার হঠাৎ স্যার দাড় করালেন পেছনের বেঞ্চের সবাইকে।ক্লাশ নিশ্চুপ।স্যারের হুঙ্কার “কি ব্যাপার???সারাক্ষন পিছে বসে বসে কথা বল।আমি কি করলে তোমরা তোমাদের কথা রেখে আমার কথা শুনবা???”।
"চল বদলে যাই" কথাটা নতুন কিছু নয়| বহুবার এটা নিয়ে কথা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে, এমনকি টক-শো বাদ যায়নি বলেই আমার বিশ্বাস| আমি আমার প্রেক্ষাপট থেকেই ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তা করছি| চারপাশে আমি কি দেখছি, আমার চারপাশের মানুষগুলো কেমন, তারা কি ভাবছে, কি বলছে তা নিয়েই শুরু করতে চাই| প্রথমে বলে নেই আমার বয়স যেহেতু ২৪ এর কোঠায় আমি নিজেকে তরুণ বলতে পারি| আর আমাদের বর্তমান অবস্থা সাপেক্ষে তরুনদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে
হুমায়ূন স্যার চলে গেছেন অন্যভুবনে গত পরশু। সমগ্র জাতি শোকাহত। আমাদের প্রাণপ্রিয় কথার জাদুকর আর তাঁর কথার জাদুতে কোটি কোটি ভক্তকে বিমোহিত করবেন না। হিমু পাগলামী করবে না, মিসির আলী রহস্য খুঁজবে না, আমরা তাঁর বই পড়ে বা ছবি দেখে চোখের জলে ভাসবো না। তাঁর কলম থেমে গেছে। কিন্তু আমাদের জীবন থামেনি। সামনে আমাদের এগিয়ে যেতেই হবে। তাঁর এই মৃত্যু শোকের সাগরে ভাসানোর সাথে সাথে আমাদেরকে একটু খানি সচেতন হবার