১.
পশ্চিমাকাশ সূর্যহীন। হালকা লাল কমলা আভা। উর্ধ্বমুখে আকাশ পানে তাকালে নীল আকাশের পটে ধরা পড়ে ছোট ছোট কালো রঙ্গের পাখির ঝাঁক। অনেক উপর দিয়ে অস্থিরভাবে উড়ছে। কিচির মিচির তীব্র শব্দ তুলে ঘরে ফিরছে তারা। আজকের দিনের জন্য সব কাজ শেষ। নীড়ে ফিরে চোখ বুজবে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে।
আমার বড়দের(!) বই পড়ার শুরুটা হুমায়ূন আহমেদকে দিয়েই।সেও অনেক ছোট্টবেলায়।খুব ছোটবেলার অনুভূতিগুলো সাধারণত খুব প্রকট হয়। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।মনের একটা বিশাল অংশ জুড়ে দীর্ঘদিন হুমায়ূনপ্রভাব ছিল।এখনো কি নেই?তার ভালবাসার গল্পগুলো পড়ে ভালবাসার যে ধারণা হয়েছিল,আজো তা অটুট।তার নাটকগুলো থেকে শিখেছিলাম কিভাবে নির্লিপ্ত বাক্যের জোরালো প্রয়োগ ঘটানো যায়!
ভালোবেসে যদি সুখ নাহি
তবে কেন মিছে ভালোবাসা।
মন দিয়ে মন পেতে চাহি,
তবে কেন মিছে এ দুরাশা।
পৃথিবীতে যেদিন হাঁটতে শিখে ছিলাম সেদিন কে যেন মন্ত্র পড়ে ফুঁ দিয়ে বলেছিলো – “ ছুটতে থাক বাবা! ছুটতে থাক!”। সেদিন থেকে ছুটছি, কিসের নেশায় ভাবা হয়নি কখনো।
মাঝে মাঝে যখন পেপারে স্কুলের ভর্তির লাইন দেখি অথবা ছোট্ট শিশুকে বাগের ভারে কুঁজো হয়ে হাটঁতে দেখি তখন ছেলে বেলার কথা মনে পরে যায়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম না হয়ে যেন নম্বর পাওয়ার প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠানের নাম।
ম্যা বি আই লাইক ক্যাটস্
আমি আগে কখনও ডায়েরি লিখিনি। আজ লিখতে বসলাম, সেটাও আমার একটি বন্ধুর কথা শুনে। সকালে ঘুম থেকে উঠে, ব্রেকফাস্ট সেরে বাজারে বেরিয়ে পড়লাম। বাজারে শাক্-সবজির দামও বেশ বেড়েছে।
আলু = ১৫ টাকা (প্রতি কিলো)
বেগুন = ৪০ টাকা (প্রতি কিলো)
কাঁচা লঙ্কা = ১৫ টাকা (১০০ গ্রাম)
কাকরল,টমেটো,বরবটি = ১০ টাকা (৩০০ গ্রাম)
গল্পটির প্রথমাংশে বিপুল পরিমান মুদ্রন প্রমাদ থাকায়, প্রথমাংশটি এখানে জুড়ে দিলাম এবং নামটা কল্পবিজ্ঞান থেকে পরিবর্তন করলাম
সাইফের কাহিনী
অফিসের মেসেঞ্জার ইসলাম ভাইকে যখনি ব্ল্যাক কফি আনতে বলি একবারে আনতে পারেনা। প্রথমবারে দুধ-চিনি মিশিয়ে আনবে, বলবে 'অহ! ভুইলা গেছি', অথবা শুধু চিনি মিশিয়ে বলবে 'খাইয়া ফালান, এরম তিতা জিনিস মাইনষে খায়।' আজ সকালেও তাই হয়েছে। গলার ভেতর থেকে তিতকূটে একটা স্বাদ মুখকে বিস্বাদ করে রেখেছে। অফিসে কাজের চাপও খুব বেশি। তাই বিষে বিষক্ষয় পদ্ধতি। ঘনকালো তেতো কফির মগে চুমুক দিতে দিতে কাজ করেছি। সমস্ত অনুভূতিকে ভোঁতা করার একটা ব্যর্থ চেষ্টায়।
সাইফের কাহিনী
কাস্টমার সার্ভিসে চাকরি করা সব'চে খারাপ দিক কোনটা- বলা মুস্কিল। সারাক্ষণ দাত বের করে থাকা আর ক্লায়েন্টদের হাস্যকর আব্দার শুনে না হাসা - এই দুটোই আমার কাছে সমান কষ্টকর মনে হয়। তবে না হাসাটাই বোধহয় বেশি কঠিন। অদ্ভুত বৈপরীত্য কাজ করে মানুষের জীবনে। একই সাথে হাসা এবং না-হাসা দুটোই কঠিন।
শুভ জন্মদিন তোমায় মাহদিন
দেবদাসের আত্মা