যারা জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য সময় কোন না কোন কলোনিতে কাটিয়েছেন তাদের এই লেখাটা না পড়ার জন্য অনুরোধ করছি, কারণ ‘কলোনি’ শব্দটা শোনার সাথে সাথে তাদের মনে এতো বেশী স্মৃতি ভীর করা শুরু করবে, যে সেই স্মৃতির ঢেউ বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আমার এই সামান্য লেখাটা খড়কুটোর মতো ভাসিয়ে নিতে পারে। আর যাদের জীবনে কখনো কলোনিতে থাকার সুযোগ হয় নি তাদেরকেও এই লেখাটি না পড়ার জন্য অনুরোধ করব কারণ এটা তাদে
রাগের মাথায় ভারী গ্লাসটা ছুঁড়ে মারতে গেলেন। অঞ্জনী ওঠা চোখ দুটো ক্রোধে টকটকে লাল।
পেছনে মা বসে ছিলেন , " কি করছ তুমি ? " কণ্ঠে সীমাহীন আতঙ্ক।
ছোঁ মেরে বাবার হাত থেকে কেড়ে নিলেন গ্লাসটা , " পাগল হয়ে গেলে নাকি!"
কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন।
থমথমে , গরম পরিবেশ । পর্দা ঢাকা ঘরে আলো ঢুকতে না পেরে বাতাসটাও গুমোট। বদ্ধ একটা ঘরোয়া গন্ধ চারিদিকে।
শুধু একজনই নির্বিকার । ঘটনার আকস্মিকতায় স্তব্ধ।
ক্ষমাকরো বৃষ্টি পারছিনা আজ বাসতে তোমায় ভালো
__________________________________প্রখর-রোদ্দুর
[১]
বোশেখ এসে কড়া নাড়ছে স্মৃতির দরজাটা একটু খুলি?
আকু’র একটা বদঅভ্যাস আছে। সে যাকে তাকে , যখন তখন, যেখানে সেখানে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে। প্রশ্নটা হল, বলেন তো এখন বাংলা কত সাল চলছে? যাকে প্রশ্নটা করা হল, সে প্রথমে একটু হকচকিয়ে যায়। তারপর বিস্তর ভেবেচিন্তে হয়ত উত্তরটা দিতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই নিরাশ হতে হয় আকু কে। কারন সে সঠিক উত্তর পায় না।
পর্ব-১ এ নদী খনন কি এবং কেন প্রয়োজন এ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ পর্বে থাকছে বাংলাদেশের নদী খননের বিবেচ্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা।
আলোচনায় যাওয়ার আগে নদী খননের প্রকারভেদ একটু জেনে নেই। নদী খনন মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে।
প্রারম্ভিক এবং প্রধান খনন (ক্যাপিটাল ড্রেজিং)
রক্ষণাবেক্ষন খনন (মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং)
এখন সারা বাংলাদেশ জুড়ে চলছে বৈশাখকে বরণের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই কালবৈশাখী ঝড় নতুনের কেতন ওড়াতে শুরু করেছে। সব ধর্মের, সব গোত্রের, সব শ্রেণীর মানুষের ভিতর বয়ে যাচ্ছে উতল আনন্দ হিল্লোল, শুরু হয়েছে নববর্ষ উদযাপনের মন মাতানো মহড়া। আস্তে আস্তে একটু একটু করে এগিয়ে আসছে পান্তা-ইলিশ-ঢাক-ঢোল-নাচ-গানে মাতোয়ারা হওয়ার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।
১.
বাবলুর জন্মের সময় আম্মা মারা যান।
চুয়েট বন্ধ প্রায় একমাস হতে চলল। গত একমাসে ধরে ভার্সিটিতে কোন উপাচার্য নেই, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নেই, উপ-উপাচার্যও নেই – উপাচার্য নেই তাই ক্লাসও নেই। ক্লাস নেই, তাই ছাত্ররাও নেই। আমরা সবাই রাজা আমাদের এই ‘নেই’ এর রাজত্বে।
ভূমিকা
আমি বিজ্ঞানী রণক্লান্ত, আমি সেইদিন হব শান্ত, যবে ...। নাহ, আমার শান্ত হবার কোন উপায় সত্যিকারের বিজ্ঞানীরা রাখেন নাই। তারা অক্লান্তভাবে বিজ্ঞান চর্চা করে যাচ্ছেন, আর আমার মত বিজ্ঞানের মুগ্ধ দর্শক, পাঠক, উপকারভোগীকে অশান্তিতে রেখে চলেছেন। সেই অশান্তি আমি সচলায়তনে ছড়িয়ে দিতে চাই।
সচলায়তন পড়ি অনেক দিন ধরে, কিন্তু অনেক ব্যাপারেই কম জানি আর বুঝি বলে অংশ গ্রহন করতে সংকোচ হয়। ভুলভাল কিছু বলে বসলে বিজ্ঞ সচলরা কিভাবে তুলা ধুনে দেন, তা তো রোজই দেখি। আগেকার দিনে শুনেছি দূত রাজার দরবারে ঢুকে বলত, ভয়ে বলব না নির্ভয়ে। আমারও তাই সচলায়তনের কাছে জিজ্ঞাসা, ভয়ে লিখব না নির্ভয়ে। ভয়ে ভয়ে একটি লিখা দিচ্ছি, জানি না ছাপা হবে কি না। যদি ছাপা হয়, আরও একটি লিখব। সেটি ছাপা হলে আরও একটি। সেটি ছাপা হলে ... এভাবে চালিয়েই যাব। তারপর সেইদিন হব শান্ত, যবে ...।