অতিথি লেখক এর ব্লগ

ঢাকাবাসী বয়স্ক তরুণের স্বীকারোক্তি - ১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৩/২০১২ - ৯:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চাকরিজীবী দুই বন্ধু যখন আড্ডা দেয়, তখন কি নিয়ে কথা বলে? বিশেষ করে ঢাকা শহরের দুই বন্ধু, যারা সবসময় দেশের অন্য সব এলাকার তরুণদের ঈর্ষার কারণ হয়ে থাকে। কারণ কি – কারণ আর কিছুই না, সবকিছুই ঢাকায় আছে। মানুষের আকাঙ্খিত সব সুযোগসুবিধা, পড়াশোনা, চিকিৎসা, শিল্পসাহিত্য, বিনোদন, বইমেলা, নববর্ষ – এমনকি সরকার নামক জিনিসটাও ঢাকাতে থাকে। পত্রপত্রিকা আর টিভির সবকিছু ঢাকাকেন্দ্রিক, বাকী বাংলাদেশ মাঝের কিছু পাতা অথবা “এখন দেখবেন অন্যান্য সংবাদ” এ হালকাভাবে জায়গা পায়। আরও জ্বালা আছে – সুন্দরী, হৃদয়বিদারক সৌন্দর্যের অধিকারী রমণীকুলও ঢাকাতে থাকে। এসব দেখে স্বাভাবিকভাবে ঢাকার বাইরের তরুণরা বড্ড মনকষ্টে থাকে (কোন এককালে আমিও সেই দলভুক্ত ছিলাম)। কিন্তু এখন আমি হাড়েহাড়ে টের পেয়েছি, ঢাকায় থাকার কি যন্ত্রণা। রাঁধার মতো বলতে ইচ্ছা করে – ওরে কৃষ্ণ, তুমি যদি বুঝতে রাঁধা হওয়ার কি জ্বালা, কি যন্ত্রণা।


বসন্তে আমার রমনা অথবা "ঝরা পাতা গো"

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৩/২০১২ - ৪:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢাকা শহরে আমার তিনবছর পূর্ণ হয়েছে। প্রথমদিকে রাস্তা পার হতে পারতামনা, সহায় হয়ে রাস্তার পাশে দাড়ঁইয়ে থাকতাম আর করুন চোখে ফুটওভার ব্রীজ খুঁজতাম। আর না পেলে এক দৌড়!


যে গল্পের শেষ নেই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৩/২০১২ - ১১:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অজপাড়া গাঁয়ে থাকি আমি। সন্ধ্যায় হারিকেন আর কুপির আলোয় আলোকিত হয় গ্রামের প্রতিটি পরিবার। রাতের নির্জনতা এখানে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে গভীর হয়। শিয়ালের দল হুক্কাহুয়া শব্দে লুকোচুরি খেলে গম ক্ষেতের আড়ালে। বাতাসে লুটোপুটি খেয়ে বাঁশ ঝাড়ে একটি আরেকটির উপর আছড়ে পড়ে সৃষ্টি হয় আদি ভৌতিক শব্দ। ঝিরি ঝিরি হাওয়ায় ভর করে ভেসে আসে হুতুম পেঁচার ডাক। ভোরে মুয়াজ্জিনের আহবান ও পাখির গানে জনপদ জেগে উঠে। আলো আধারীতে মাটির ক


ব্লগর ব্লগর

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৩/২০১২ - ৯:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিগত বছরের কাজের হিসাব এবং এই বছরে কি কি কাজ করতে হবে, সেটা নিয়ে ম্যানেজারের সাথে ঘন্টা দু'যেক বৈঠক। গতবছরের হিসেবে সবই সবুজ বাত্তি। তারপরও ম্যানেজারের ভাবসুলভ কিছু কিন্তু বলতেই হবে ভেবে উনি আমার কিছু নেগেটিভ ব্যাপার উল্লেখ করলেন। প্রথম কিন্তু, আমার জার্মান ভাষার উপর অদক্ষতা। উত্তরে বল্লাম, ঐটা এই জনমে আমাকে দিয়ে হবে না। দ্বিতীয় কিন্তু, আমি মিটিংয়ে কথা (আর্গুমেন্ট) কম বলি। উত্তরে হেসে পাল্টা প্রশ্


স্কুলঃঃঃ মন ছুটে যায়...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৩/২০১২ - ৮:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটা খবর পড়ে ভালই লাগলো। সরকার সংসদে বলছে বাংলাদেশে এখন ৯৯’৪৭ শতাংশ বাচ্চা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। কিন্তু এটা কততুকু সত্য সেটা নিয়ে একটু সন্দেহ আছে। আশেপাশের অবস্থা দেখে তেমন টি মনে হয় না। তবুও আশাবাদি হতে ভাল লাগে, ১০০ শতাংশ হলে আর ভাল লাগত। এবারের সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল টা অবশ্য আশাপ্রদ......।


আমাদের শহরে একটি কালো রেলগাড়ি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৩/২০১২ - ২:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ভোরবেলা পুকুর ঘাটে এসে মধুসূদন বাবু হকচকিয়ে গেলেন।


আশাবাদের আসা যাওয়া আর তার বিশুষ্ক প্রলাপ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৮/০৩/২০১২ - ৬:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আশাবাদ বিষয়টি যখনি মাথায় আসে তখনি মনে ভেসে ওঠে অমর চলচ্চিত্র ‘দি শশাঙ্ক রিডেম্পশন’ এর কথা। এর প্রথম দিকটাতে একবার বলা হয় -”Hope is a dangerous thing. Hope can drive a man insane.” আর শেষদিকে বলা হয়- “hope is a good thing maybe the best of things. And no good thing ever dies.


আমজনতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৮/০৩/২০১২ - ৬:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার মোবাইলটার অসুখ হয়েছে। হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেছে, থাবড়া মেরেও অন করা যাচ্ছে না। দেয়ালের সাথে কয়েকবার বাড়িও মেরেছি।
আমি চকবাজারে অলি খাঁ মসজিদের সামনে একটি সার্ভিসিং এর দোকানে গেলাম। ডাক্তার বললেন, 'বাপরে বাপ, দেইখা তো মনে হইতেসে এই মোবাইল কিনসেন মোঘল আমলে! এত দিন চালাইলেন ক্যামতে?'
আমি কাঁদো কাঁদো হয়ে বললাম, 'ভাইজান, আমার এই দুঃসময়ে মশকরা লইয়েন না। কী করতে হবে বলেন।'


মৌমাছি ও শামুক সমাচার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০৩/২০১২ - ১০:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শামুক আর মৌমাছির সাথে কি কোন মিল থাকতে পারে? খুঁজে দেখা যাক ।


‘জ্বীনের বাদশা আসেন’ --- বেগুন চালান

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৬/০৩/২০১২ - ১১:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মফস্বলের আলো আঁধারির মধ্য গল্প বলার আত্বীয় স্বজন থেকে দূরে, মোটামুটি পাড়া-পড়শীদের সাথেই বড় হয়েছি আমরা, অত্যন্ত বাস্তববাদী মায়ের তিক্ষ্ণ নযরদারীর মধ্য। শহুরে নীতি নিয়মের মধ্যে বড় হওয়া আমাদের চেনা জানার সীমানা ছোট হলেও কল্পনার জগতটা কিন্ত সমৃদ্ধ ছিল, গল্পের বই এর কল্যানে। রহস্যময় জগতের মতই আকর্ষনীয় ছিল কুচ কুচে কালো বেড়াল, সাপ, পেঁচা, বাদুর সাঁঝের আধারে বন্ধুদের কাছে শোনা সেই ‘তেনাদের’ গল্প। এমনিতেও বাস্তবের কিছু ঘটনার ব্যাখ্যা অনেক সময়ই রহস্যময় রয়ে যেত ঐ আমলে। আজকের এ লেখাটা স্মৃতি থেকেই ঐ রকমের একটি লেখা।