পরীক্ষার চাপে ঘাড় ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে। অথচ একটু যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে, এতটুকু সময়ও নীলার হাতে নেই। সব টিচারদের ধারণা, যে যেটা পড়ান সেটা ছাড়া স্টুডেন্টদের আর অন্য কোন সাব্জেক্টই থাকতে পারে না। ফলাফল - সবগুলো পরীক্ষা একসাথে পড়েছে। অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ুয়া নীলা বেচারী কোনটা ছেড়ে কোনটা পড়বে, কোন দিশা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্টের বই খুলে বসেছে।
‘উঁহুরে... মরার মশা!’’
দু’দিন আগে আমার ঘুম আসছিলনা রাত চারটা পর্যন্ত, সময় কাটছিল একটা চিন্তায় মগ্ন হয়ে, যা আমাকে ঘুমের বদলে আরো সজাগ করে রাখছিল. উত্তেজনা কাজ করছিল আমার মধ্যে. আমি মনে মনে এরকম একটা বাংলা লেখা লিখে যাচ্ছিলাম, ফেসবুক কিম্বা ছদ্ননামি ব্লগের জন্য. আমি স্বপ্ন দেখছিলাম একটি মৌন আন্দোলন এর. একদমই অহিংস একটি আন্দোলন, একটি গণ জাগরণ.
ভালোবাসার গান
মূলঃ এ্যান স্যাক্সটন
অনুবাদঃ কল্যাণী রমা
[justify]ঠিক দুপুর দুটো সতেরো মিনিটে অফিস জুতোর ভেতরে পায়ের আঙ্গুল গুলো আচমকা নেচে উঠলো। মাথা ঘুরিয়ে চারপাশ পরীক্ষা করতে করতে আবার কন্ট্রোল+এফ৫ চেপে কম্পাইল করতে দিলাম। বড় বস দেখি খুব মন দিয়ে অবিশ্বাস্য গতিতে একটার পর একটা কলা খেয়ে যাচ্ছে। ছোটবস খুবই আন্তরিকতার সাথে আরেক টিমমেট কে রিটেইল বিজনেস লজিক বুঝাচ্ছে। পৃথিবীতে একমাত্র সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারদেরই মনে হয় আদার বেপারী হয়েও জাহাজের খবর রাখত
[justify]
তুমি শালা একটা ফেইলিউর। পরীক্ষায় ফেইল না করলে কি হবে, পুরা জীবনটাই তোমার ফেইলে ভর্তি।
শীতের সকালে মফস্বলে যা যা থাকার কথা মোটামুটি সব-ই আছে, নেই শুধু ঠান্ডা আর কুয়াশা। আমারই ভাগ্য খারাপ। উত্তরবংগ আসার আগে কতো জল্পনা কল্পনা করলাম- কাপড় চোপড় এর বস্তা নিয়ে। কতো সংশয়! ভাগ্যিস, শেষ পর্যন্ত আলসেমির জয় হয়েছিল, না হলে এখন শুধু শুধু গরম কাপড় গুলো টানতে হতো।
স্রষ্টা বড়ই নিষ্ঠুর, মনে মনে ভাবি আমি। নয়ত আমার গতকাল কেনা ছোট্ট লাল গাড়িটা, চাপ দিলেই যেটা দৌড় দেয়, ইদুরের চেয়েও জোরে দৌড়াতে পারে সেটা, এত তাড়াতাড়ি হারায় কিভাবে? আর গেল কোথায় ওটা? খাট, ড্রেসিং টেবিল, শো-কেস কোন কিছুর নিচেই তো খোজা বাদ দেই নি!স্রষ্টা নামক না দেখা অস্তিত্বের প্রতি প্রবল একটা অভিমান জমা হয় আমার।
সবার নিজের ভেতরেই রয়েছে একটি নিজস্ব মানুষ। সে মানুষটি কখনো হয়ে যায় খুব কঠোর, কখনো কোমল। কখনো খুব যৌক্তিক, কখনো যুক্তিহীন শিশুর মত। যেন একের ভেতরে বহু। একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব, আচরণ, ভাবনা ইত্যাদিতে প্রভাব ফেলে তার বাবা-মায়ের ব্যক্তিত্ব, আচরণ, ভাবনা, পরিবেশ, চারপাশের মানুষ। ব্যক্তি তার নিজের মধ্যে এর প্রত্যেকটিকে ধারণ করে। একটু সময় নিয়ে ভাবলেই নিজের মধ্যে খুঁজে পাবেন আপনার বাবা-মায়ের গুণগুলো বা দো