আজ সকালে একটা আর্টিকেল পড়লাম, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধঃগমনের স্বরুপ তুলে ধরা হয়েছে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড এক সময়ের উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ থেকে আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে কলঙ্কে পরিণত হয়েছে। কোনো র্যাঙ্কিংয়েই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ৫০০-র ভেতরেও খুঁজে পাওয়া যায় না। শিক্ষকদের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি, ছাত্রদের চাঁদাবাজিসহ সব কিছুই হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ে, শুধুমাত্র পড়ালেখা ছাড়া। যখন আমাদের উচিত এ থেকে পরিত্রাণের উপায় খোঁজা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আবার তার পুরনো অবস্থান ফিরিয়ে দেয়ায় সচেষ্ট হওয়া, তখন আমাদের একাংশ ওই নোংরা রাজনীতিতে হাত মেলাচ্ছে আর বাকিরা বালিতে মুখ গুঁজে আকাশপানে পশ্চাৎ তুলে দিয়ে অদৃষ্টকে দুষছে।
১.
ক্রমে চারিদিকে রাষ্ট্র হইয়া গেল Bridgeমোহন অবশেষে গ্রামে আসিতেছেন।
রিকশা থেকে নামতেই ভালোমতোই একটা ধাক্কা খেল রবিন। তাকিয়ে দেখে একটা ফুল বিক্রেতা মেয়ে। ধাক্কার চোটে মেয়েটার হাতের ফুলগুলো রাস্তায় ছড়িয়ে গেছে।
বাসা থেকে বেরিয়ে রবিন রিকশায় উঠেছে। রিকশাঅলার সঙ্গে টুকটাক কথা বলা ওর স্বভাব। সে জানতে চাইল, চাচা বাড়ি কোথায়?
অনেক দূরে বাবা। কুড়িগ্রাম।
বাড়ি যান না?
যাই। দুই ঈদে।
কে কে আছে বাড়িতে?
কয়েক দশক দেখেছি আমি
একাত্তরের যুদ্ধ দেখেছি আমি টান টান যৌবনে
কাতারে কাতারে বুলেট খেয়েছিলো সোনার বাংলা
হিন্দু-মুসলিম কেউ বাদ যায়নি।
রক্ত জমাট বেঁধে আটকে গিয়েছিলো ড্রেন
রক্ত জমাট বেঁধে এক সময় কালো হয়।
মাথায় লাল-সবুজ এঁকে বিশ্বাস ভর করে
ঝাপিয়ে পড়েছিলাম অস্ত্র হাতে,
বন্ধুরা শহীদ হয়ে গেলো চোখের সামনে।
নরকের থেকেও ভয়ঙ্কর আগুনের পুরে গেলো বাংলা।
পেছন ফেরা
মাঝে মাঝে প্রচন্ড শীতে জমে যাই।
ভেতরে ঢুকতে থাকি ক্রমাগত
ব্যাগ্র হয়ে খুঁজি, হারিয়ে ফেলা পথ
ভুল পথে টেনে নেয় ভায়োলিন সুর
মনস্তাপে পুড়ি বার বার,
পেছন ফেরা হয়না আমার।
সিলেবাস বা কারিকুলাম ডিজাইনে একজন শিক্ষকের ভূমিকা খুবই গুরুত্তপূর্ন। আমি যখন ছোট ছিলাম, আমাদের শিক্ষক/শিক্ষিকারাই আমারা কি পড়ব, কিভাবে পড়ব তা ঠিক করে দিতেন। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই একটি পাঠ পরিকল্পনা থাকে এবং তা মানা হয়। হয়ত ছোটখাট কিছু অদল-বদল হয়। কিন্তু মূল পরিকল্পনা একই থাকে। মুলত এই পাঠ পরিকল্পনা দেশের মূল শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে মিলিয়েই করা হয়।
প্রতিদিন গুম খুন ব্যথা লাগে কার না?
বাধাহীন সন্ত্রাস আর না আর না ।
রাষ্ট্রটি পেয়েছি যুদ্ধে ও রক্তে
তবু কেন হাহাকার শুনি প্রতি ওক্তে।
রাজনীতিবিদ যত বাটপার ভণ্ড
দুর্নীতি ক্ষমতার মোহে তারা অন্ধ।
সুখ নেই কথাতে সুখ নেই কাব্যে
সুখ আছে কর্মে, সামাজিক সাম্যে।
[justify]দড়াম্ ॥
চড়ুই পাখি
মুরাদুল ইসলাম
খুব ছোটবেলায় আমি এবং আমার ভাই যখন ক্লাস থ্রি ফোরে পড়ি তখন আমাদের বাসার ভেন্টিলেটরের ফাকেঁ একজোড়া চড়ুই পাখি বাসা বাঁধে।ভেন্টিলেটরের এক ভাঙা অংশ দিয়ে ভিতরে ঢুকে শুকনো খড় পাতা দিয়ে তৈরী করে তাদের বাসস্থান।
দাদী বললেন চড়ুই পাখির বাসা সৌভাগ্যের লক্ষণ।
[ চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের ১৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ]
“ যাবেন? আইস ফ্যাক্টরী রোড, কলেজিয়েট স্কুল?” “ যাব।” “কত?” থতমত খাই। এইদিনও তো মনে হয়, বাসা থেকে ১০টাকায় যেতাম। মনটাকে একটু পিছনে ফেরাই। এসএসসি পরীক্ষার পরও আট বছর হয়ে গেল । সময় এভাবে পালিয়ে যায় কেন? বুকের ভেতরটা কেমন যেন ফাঁকা হয়ে যায়।