নাচুঁনে বুড়ি আমি আগেই ছিলাম। বহু কষ্টে নিজেকে গৃহবন্দী করে রেখেছিলাম গত ৪টা বছর। কিন্তু তারেক অণু-র ঢোলের বাড়িতে আর সাম্লাতে পারলাম না নিজেকে। তাই তেহজীব যখন বলল যে বলেন কই যাবেন, সব খরচ আমার তখন আর না করতে পারলাম না। অনেক বার ঠিক করার পরেও বিরিশিরি যাওয়া হয়ে উঠেনি এর আগে। তাই গত ১ ডিসেম্বর ২০১১ সকাল বেলা রওনা হয়ে গেলাম ক্যামেরা হাতে। এটি সেই এলোমেলো ভ্রমণেরই গল্প।
একঃ
অনেক্ষণ ধরে বসে আছি এই হাসপাতালে, একাকি। নাহ, আরো অনেক মানুষই আছে। কিন্তু আমি যোগাযোগহীন। হয়ত ভাষার জন্য, হয়তবা বয়স বা বর্ণ, অথবা আমি নিজেই। পাখি গুলো কথা বলতে থাকে। খুব সুন্দর চড়ুই এর মত দেখতে অনেক গুলো পাখি। আটকে আছে দুটো দেয়ালের মাঝখানে। এখানে আসা বৃদ্ধ রোগিদের বিনোদনের জন্য। আমিও এসেছি এক বৃদ্ধকে নিয়ে। আমার বাসার কাছেই থাকেন তিনি। আমেরিকার এই ছোট গ্রামে অল্প কয়টি বাঙালির আমরা এই দুই জন।
[justify] মোরগ মার্কার উপর সিলটি বসানোর ঠিক আগ মুহূর্তে পরিমন বেওয়া মারাত্মক ধান্ধায় পড়ে গেল। গোলাপি রঙের কাগজে ছাপানো মেম্বারদের জন্য নির্ধারিত ব্যালট পেপার। ব্যালট পেপারের একেবারে নিচে বাম দিকে মোরগ মার্কা ছাপানো থাকবে, ভোট কেন্দ্রে ঢোকার আগে পূব পাড়ার সাবেক মেম্বার জমির শেখ খুব ভালো মতো শিখিয়ে পড়িয়ে দিয়েছে তাঁকে। ছাপ মারার কালি মাখানো সিলটি যেন অন্য কাগজ বাদ দিয়ে মোরগ মার্কাতেই প্রথম ছোঁয়ায়, সে
ইউএসবি আর ফ্রি ডাউনলোডের যুগে টাকা দিয়ে সিডি কিনে গান শোনাকে অনেকে পাগলামো বলবেন,বা আদিখ্যেতাও বলতে পারেন! কিন্তু আমি এই পাগলামি বলেন,বা আদিখ্যেতা,এই কাজটা করে বেশ মজা পাই! কয়েকদিন আগে যেমন কিনে আনলাম জয় শাহরিয়ারের নতুন অ্যালবাম "এখনই..."।গত কোরবানির ঈদে অ্যালবামটি বাজারে আসার খবর শুনেই বেশ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম। বাজারে আসার কয়েকদিন পরেই কিনে ফেললাম...।
রাতে পড়তে এসে টেবিলে বসে বসে ভাবছি আর করিমের সাথে মাঝে মাঝে নিচুস্বরে কথা বলছি। বলে নেয়া ভাল আব্দুল করিম আমার খালাতো ভাই। ছোটবেলা থেকেই আমাদের বাসায় থেকে পড়াশোনা করতো। আমরা একই ক্লাসে পড়তাম। গাট্রাগোট্রা ধরনের ছেলে। পড়ার টেবিলের এক পাশে বসতাম আমি এবং অপর পাশে ও বসতো। আমাদের কোয়ার্টারে ছিল দুটি রুম সাথে একটি ছোট আকারের রুম, তার মধ্যে একটিতে আমরা দুজন এবং অপরটিতে বাকি সবাই থাকতো। পড়তে বসেই করিম কিছুক্ষন খুব উৎসাহের সাথে পড়তো, আধাঘন্টার মতো এবং তার পরেই মাথা ঢুলতে ঢুলতে বইয়ের উপর পড়ে যেত। আম্মা পাশের রুম থেকে হঠাৎ বলতো “তোরা পড়তাছস নাকি?” আমি আম্মার ভয়ে ওকে মাঝে মাঝে ধাক্কা দিতাম আর ও ধড়মড়িয়ে উঠে আবারো পূর্বের জায়গা থেকে পড়া শুরু করতো। মাঝে মাঝে আড়মোড়া ভেঙ্গে এমন ভাব করতো যেন কয় ঘন্টা যাবৎ পড়ছে! অথচ একমাত্র আমিই জানি সে কয়েকঘন্টা পড়েও বার বার একই জায়গায় ঘুরে ফিরে আসতো। কোন কিছু মনে রাখতে পারতনা।
বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়টি হল 'বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি।'এ নিয়ে চলতি বছরেই তৃতীয় বারের মতো পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। প্রথম ধাপে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ২ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১৬.৭৯ শতাংশ বাড়িয়ে ৩ টাকা ২৭ পয়সা এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩ টাকা ২৭ পয়সা থেকে ১৪.৩৭ শতাংশ বাড়িয়ে ৩ টাকা ৭৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ১ ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয় ধাপে আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে বর্ধিতমূল্য কা
জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যখন এক পা দু পা করে ধীরে ধীরে ইমিগ্রেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম, খুব ইচ্ছা করছিল একবার পেছনে ফিরে দেখি স্বচ্ছ কাচের ওপাশ থেকে যারা আমার গমনপথের দিকে তাকিয়ে আছে তারা কে কি করছে। মিনিট খানেক আগে হাসিমুখে সবাইকে বিদায় দিয়ে তখনো আমার মনে হচ্ছিল এ বছরের অস্কার বিজয়ী অভিনেতাও মনে হয় আমার মত ভাল অভিনয় করতে পারে নাই। আমি বুঝতে পারছিলাম যে প্রতিটা পদক্ষেপে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে
অনেক দিন যাবতই ভাবছি এই যান্ত্রিক জীবনটা ছুড়ে ফেলে কদিন একটু সুতো ছেড়া ঘুড়ির মতো হারিয়ে যাবো। দুই বন্ধুকে ফোন দিয়ে প্রস্তাব দিলাম। এক চাচাশশুরকে ধরে বিনা পয়সায় সরকারি বিশ্রামাগারের ব্যবস্থাও করে ফেল্লাম।।অনেক দিন ঝিকঝিক রেলগাড়ি চড়া হয়না, তাই যুদ্ধ করে টিকিট কাটলাম কমলাপুর থেকে। যাত্রার আগের দিন বন্ধু মিনমিন করে বলে দোস্ত বউ ছাড়া যইতে পারুমনা!!
মনে করুন আপনার চেনা জগতের পাশাপাশি এমন একটি জগৎ রয়েছে, যেখানে ঠিক আপনার মতই ঠিক আরেকজন রয়েছে? ১ অথবা এমন কি হতে পারে যে আমাদের এই পৃথিবীর মতই আরেকটি পৃথিবীর অস্তিত্ব আছে? ঠিক ধরেছেন, আমি প্যারালাল ইউনিভার্সের কথাই বলছি।