জীবনের প্রথম কয়েকটি গ্রীষ্ম কেটেছে আমাদের বাগানে; রুক্ষ ধূসর কাঠের বেড়ায় গাল ঠেকিয়ে সতর্কভাবে মাথাটা নামিয়ে উপভোগ করতাম প্রতিবেশি'র বাগানের মাধুর্য্য।
এ এক বেহেশত! আলতো ছাঁটের মনোরম ঘাস; পৃথিবীর তামাম রং নিয়ে প্রস্ফুটিত ফুল;রৌদ্রস্নাত শুভ্র মূর্তি; চকমকে পাথর বিছানো বক্রাকার পথের শেষে ঝলমলে সাদা বেন্চি; যেখানটায় বসে তুমি মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির আবেশে মোহাবিষ্ট হতে পারো।
আজকের প্রানীটি দেখতে বাদামী রঙের, তুলনামূলকভাবে ছোট-খাট, নিশাচর এবং স্তন্যপায়ী।১ এই প্রানীটি সবার কাছেই বেশ পরিচিত। প্রানীজগতে এর সুখ্যাতি রয়েছে 'সিভিল ইঞ্জিনিয়ার' হিসাবে। এটি আর কেউ নয়, স্বয়ং বীভার মহাশয়। কানাডা ও উত্তর আমেরিকায় এদের বাস। এক সময় সারা পৃথিবীতেই এদের ইঞ্জিনিয়ারগিরির প্রমান পাওয়া যেত, কিন্তু চামড়ালোভী কিছু মানুষের নিধনযজ্
উপপদ্য হলো হাবীব কাইউমের অলসমস্তিষ্কপ্রসূত ছড়া। উপ+পদ্য।
পূর্বে যাহা সের কিনিতাম
এখন কিনি পোয়া;
পূর্বে যাহা পান করিতাম
এখন শুঁকি ধোঁয়া।
হাবীব কাইউম
জাগো প্রসঙ্গঃ
"তুই কি ছাত্র??"
এই বলে হাতে পত্রিকাটা নিয়ে ছিঁড়ে ফালি ফালি করে ফেলেছিলেন পিতৃদেবতা, বেশ সিনেমাটিক ভঙ্গিতেই। অনেকক্ষণ ধরেই চুপচাপ থেকে যেভাবে গুমরে গুমরে উঠছিলেন তাতে বেশ একটা বিপদ যে আসন্ন তা বুঝতে পারছিলাম, কিন্তু ব্যাপারটা যে এতোটা সিনেমাটিক হবে তা ধারনাও করতে পারি নাই। কোথায় চোখেমুখে ফিটিয়ে তুলার দরকার ফাঁসির আসামীর মত অনুতাপ, সেই জায়গায় ভুরভুরিয়ে কোত্থেকে যেন রাজ্যের হাসি পেয়ে গেলো। হাসি চাপতে চাপতে মনে করছিলাম কবে কোন সিনেমাতে এমন চমৎকার নাটকীয় দৃশ্যটা দেখেছিলাম। ভাগ্যিস সে মুহূর্তেই পিতৃদেবতা অনুধাবন করতে পারলেন পরীক্ষার আগের দিন নির্বিকার চিত্তে বইপত্র ছেড়ে পত্রিকায় মনোনিবেশকারী ধর্মবিমুখ ছেলের মস্তিষ্কের অসারতা, আর তাই সে যাত্রা অল্পের উপর দিয়েই বেশ বেঁচে গিয়েছিলাম।
শাহিদা বেগমের বয়স ষাটের কাছাকাছি ।তিনি থাকেন তার বড় ছেলে শিহাবের সঙ্গে ঢাকা শহরের এক বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে ।যদিও তার মন পড়ে থাকে ছোট্ট গাঁয়ে,যেখানে তিনি সংসার শুরু করেছিলেন অনেক বছর আগে।কিন্তু সংসারটা ঠিকমতো গোছাতেও পারেননি।হঠাৎ এক সড়ক দুর্ঘটনা স্বামীকে তার কাছ থেকে কেড়ে নেয়।তখন ছেলেটির বয়স ছয় আর মেয়েটি দুই বছরের ।সেই থেকে তার একলা চলার সংগ্রাম শুরু ।রাতদিন খাটা খাটনি করেছেন ছেলেমেয়ের জন্য ।
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ
ঘুমের ভিতর কিংবা বাইরে আঁধার কেবল--
মেয়ে কি তুই আমার ধ্রুবতারা হবি?
তোর নিশানায় অমরাবতীর পথে যেতাম!!
'দোস্ত, সুস্মিতার নাম্বার দে তো'- তৌহিদ বলে।
'কি রে, তোর না রাত্রি আছে, ওইটার কি হবে?' সিগারেটের ছাই ফেলতে ফেলতে হাসিব জিজ্ঞেস করল।
'ধুর, বেশীদিন কিছু ভাল্লাগে না।'- তৌহিদের উত্তর।
টাকলু দাদুর মাথায় কবে
উঠেছিল ঝড়,
চুলের সাথে ছাড়াছাড়ি
হল ঝড়ের পর।
পেছন দিকে দুচারটা চুল
সামনে বিরাট টাক,
মাথা তো নয়, স্টেডিয়াম
খেলতে দিচ্ছে ডাক।
টাক-ডুমা-ডুম বাজনা বাজাই
হাসি-নাচি-গাই,
টাক বাজানো ভীষণ মজা,
কোথায় এমন পাই!
দাদু বলে, চকচকে টাক
বুদ্ধি বেড়ে হয়,
আমি বলি, চকচকে হোক;
কিছু টিনএজার পোলাপাইন মনের আনন্দে একটা ফাউন্ডেশনের ভলান্টারিতে নেমে গিয়েছিলো জিনস্ আর টি শার্ট পড়ে। মাথামোটা মহলে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেলো। ব্যপারটা এতো শত আলোচনার দাবী রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ কিনা সে তর্কে না যাই, কিন্তু শেষপর্যন্ত যেটা হলো, সমস্ত নিন্দা আর গালিগালাজের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হলো মেয়ে ভলান্টিয়ারগুলো। দেশাত্মবোধ, মহৎ উদ্দেশ্য, জাগ্রত চেতনা এতসব ব্যপারের গভীরতার সাথে খাপ খাইয়ে নিজেদের