"a city is a place where a small boy, as he walks through it, may see something that will tell him what he wants to do his whole life." - Louis I Kahn
১।
সালেক খোকন
‘কুটিবাড়ী থেকে নৌকায় করে আমরাও মানপুরে নিয়ে আসি আটটি পরিবারকে। বাকিরা বিভিন্নভাবে চলে যায় বিভিন্ন জায়গায়। লুট হয় অস্ত্র। কিছু অস্ত্রসহ নৌকায় ওঠে হাবিলদার নাজিম উদ্দিন, কাঞ্চন, রিয়াজ, হালিমসহ অনেকেই। তাদের আশ্রয় দিই মানপুর স্কুলে। গ্রামবাসী পালা করে তাদের জন্য পাঠাতে থাকে খাবার।
কালকে সকালে প্রফেসর আর রিসার্চ গ্রুপের সাথে মিটিং। সাধারনত অন্যান্য দিন বিকেলে ক্লাস থাকে বা ল্যাবে যায় বিধায় ভোরের দিকে ঘুমিয়ে দুপুরে উঠি, কিন্তু বাই-উইকলি মিটিংয়ের আগেরদিন রাতে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাই। আজও তাই হত, কিন্তু ঘুমানোর আগে হঠাৎ করে ইচ্ছে হল ফেইসবুকে একটা ঢু মারি। তাতেই বিপত্তিটা হল। হঠাৎ চোখে পড়ল ‘জাগো’ নামের ফাউন্ডেশন নিয়ে একটা নোট এবং একটা স্ট্যাটাসে। স্ট্যাটাসের নিচে দেয়া লিংকে ক্লি
আজকের জীবটির নাম হলো অল্ডারফ্লাই (Alderfly)।
ঢাকা শহরে ডাস্টবিনের আশে-পাশে জ্যামে বসে থেকে মাছি দেখে যারা অতিশয় বিরক্ত হয়ে ভাবছেন এটা নিয়ে লেখালেখির আবার কি হলো? তাদের জন্য বলছি এর নামের সাথে fly থাকলেও এরা আসলে মাছি নয়।
প্রথম পরিচ্ছেদ
সফলতা সবারই আসে, কারো আগে কারো কিছুটা পরে। কিন্তু কেউই শেষ পর্যন্ত বসে থাকে না-গতি একটা হয়েই যায়। কিন্তু সফলতা বলতে আমরা যদি কেবলই টাকা কামানো, লোক দেখানো বাহাদুরি বুঝি নিজেকে ছোট করে দিয়ে তবে আমার আপত্তি আছে। জানি আমার আপত্তিতে খুব বেশি কিছু যায় আসে না, যে সমাজ ও লোকলজ্জায় নিজেকে প্রশ্ন করতে ভয় পায়, নিজেকে চিনতে ভয় পায়, কেবল অন্যের কথায় চলে তথাকথিত প্রতিষ্টীত হতে চায় সে যদি একটুকও নড়ে বসে তাহলেই আমি সার্থক।
আমার আগের লেখাটিতে অদ্ভুত এক আর্চার ফিসের কথা লিখেছিলাম। আর এপর্বে অদ্ভুত এক দাবী নিয়ে হাজির হতে চাই।
সালেক খোকন
‘বড়গ্রাম ক্যাম্প থেকে একদিন ডেকে পাঠানো হয় আমাকে। যেতে হবে আঙ্গিনাবাদ ক্যাম্পে। সেখানে সবাই জড়ো হই। ক্যাপ্টেন রনজিৎ শিং উচ্চকন্ঠে জিজ্ঞেস করেন, ‘কে কে দেশের জন্য জীবন দিতে পারবে ?’ সবার প্রথমে হাত ওঠে আমার। সেদিন দেশের জন্য আত্মাহুতি দিতে প্রস্তুত ১৫০ জন যোদ্ধাকে নিয়ে তৈরি করা হয় বিশেষ একটি দল। চলে কয়েক দিনের বিশেষ ট্রেনিং। সুবেদার মেজর শহীদুল্লাহ ট্রেনিং দেন সবাইকে।
আর্চার ফিস (Archerfish) খুব মজার (!) একটি মাছ। মজার বলতে খেতে মজা সেটা অবশ্য বলিনি , এর খাদ্য সংগ্রহ করা পদ্ধতিটির কথা বুঝিয়েছি!! ধরাযাক একটা জলজ উদ্ভিদের উপর একটা পোকা বসে আছে। এই মাছটি আস্তে আস্তে গিয়ে মুখ দিয়ে 'পুচুৎ' করে পানি ছুড়ে মারে। পোকাটির গায়ে লেগে ওটা পানিতে পরলেই এরা খপ করে মুখে ঢুকিয়ে খেয়ে নেয়।
ধ্যাড়ধেড়ে একঘেঁয়ে জীবনটায় আর রসকষ বলে কিচ্ছু অবশিষ্ট নেই। সব পেয়ে বসা রস ছাড়া এই কষটে জীবনে একটু আনন্দের খোরাক যোগায় এমন ঘটনাও বিরল। টিভির মেগা সিরিয়ালের মত মিঠেহীন চুইংগাম চিবানোর মতই দিন-রাত পার করতে করতে ত্যাক্ত হয়ে অবশেষে ঘর ছাড়ার স্বিদ্ধান্ত নেয় শান্ত। বাবা-মা ব্যাস্ত শত কাজে। তাকে সময় দেবার সময় তাদের নেই। প্রয়োজনও বোধ করেনা হয়তো ছেলে বড় হয়ে গেছে ভেবে। ভাল রেজাল্ট করা নামি-দামী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলের তো বন্ধুর অভাব হবার কথা নয়!