ভাদ্র-আশ্বিনের এই এক ঝামেলা। এই ঝমাঝম বৃষ্টি, এই রোদ্দুর।
অন্যদের কি হয় জানিনা, তবে বৃষ্টি হলেই আমার মন ভিঁজে যায়, বলা ভাল ভিঁজেই থাকে। স্যাঁতস্যাঁতে পিছল উঠোনের শ্যাওলার মতন গন্ধ ছুটছে মনে হয়। ভাল্লাগেনা’ ভাবটা এতো প্রকট হয় যে মাঝে মাঝে নিজের উপরেই রাগ লাগে।
‘আরে! বর্ষাকালে বৃষ্টি হবেনা তো কি হবে…?'
প্রতি বছর একবার অতি ব্যাস্ত ছেলে মেয়েরা তাদের হাইটেকের চাকরির ডেডলাইন এর ফাকেঁ বাবা মায়ের সাথে মিলিত ছুটিতে সময় কাটায়। এবার সবার গন্তব্য ভ্যাংকুভার। আমরা সেখানে যাবার আগেই মেজ মেয়ে প্রযেক্টের শেষে ম্যাক্সিকো থেকে, মেজ জামাই নিউ ইয়র্ক থেকে, বড় মেয়ে অটোয়া থেকে গিয়ে আমাদের অপেক্ষায়। সকাল দশটার ফ্লাইটে আমরা অটোয়া থেকে যাত্রা শুরু করলাম। সংগে ঘরে বানানো প্রচুর কাবাব, সিঙ্গারা, মোগলাই পরাটা, রান্নাকরা ক
কিছুদিন আগে এক বন্ধুর সাথে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। আসলে সদ্য পড়া একটা বই থেকে কিছু যুক্তি তুলে ধরে আমি নিজেকে খুব জ্ঞানী জ্ঞানী দেখানোর চেষ্টা করছিলাম আর কি। তো আমার বন্ধু আমার যুক্তির সাথে ঠিক এটে উঠতে পারছিল না। এ সময় তার সাথে থাকা একটা অল্প বয়সী মেয়ে হটাৎ বলে বসল আপনি কি জানেন ডাক্তাররা ব্যাবস্থা পত্রে RX কেন লেখে?
নূরী, ফেলী, বিউটীর মত শেফালী এই লাইনে আছে বহুদিন হয়ে গেল। তা প্রায় ছয় বছর তো হবেই। এই কাজে ঝামেলার শেষ নেই। ঝাকে ঝাকে গাও-গেরাম থেকে মেয়েছেলে এই শহরে এসে দিশে হারায়ে ফেলে। ভিড়ে যায় গতর খাটানির ব্যবসায়। গতরে যার যত চেকনাই, তার আয় রোজগার ততো বেশী। তবে শেফালী এই কামে বেশী দিন থাকতে চায় না। বড্ড বেশী ঝামেলা হয় আজকাল। পুলিশ বাবাদের অত্যাচার তো আছেই, তার উপর দিন দিন ভাগীদারদের সংখ্যা যেভাবে ব
সন্ধ্যা সাড়ে ছটার কিছু পর। ল্যাপটপ বন্ধ করে সব গুছিয়ে নিচ্ছি। অদুরেই বসা একজন স্ক্যান্ডেনেভিয়ান কলিগ। হঠাৎ দেখলাম তার চেয়ারটা কেমন যেন দুল খাচ্ছে, বললাম ইউ আর শেকিং, প্রবাবলি আর্থ কোয়েক। এরপর দুজনেই কিয়ৎক্ষন অপেক্ষা করলাম ভেবে যে আর সব বারের মত দরজা পর্যন্ত যেতে যেতে থেমে যাবে। কিন্তু না এ যে দুলেই যাচ্ছে। অতএব আর অপেক্ষা না করে ল্যাপটপ টেবিলে রেখেই মোবাইলখানি নিয়ে সিড়ি ভেঙ্গে নেমে এলাম গ্রাউন্ডে।
(ছবিঃ কাযিমিরেয পি'হস্কি)
ব্যাকরণের ক্লাসে এসে
রিতা আপা বলে,
এক নিয়মে সকল পড়া
কেমন করে চলে?
কাশ্যপ মুনির দুই পত্নী। একজন দিতি: দৈত্যমাতা; অপরজন অদিতি: দেবমাতা। দেবমাতা অদিতি অধিকতর রূপবতী। দিতি গুণবতী বটে, তবে স্বর্গলোকে রূপই আসল। সেহেতু অদিতির পুত্রদিগকে মর্ত্যলোক দেবতা হিসাবে শ্রদ্ধা, পূজা, ইত্যাদি করিয়া মাথায় করিয়া রাখে। দিতির পুত্রদিগকে বলা হয় দৈত্য, তাহাদের প্রতি মানবকূলের অপরিসীম ঘৃণা। কাশ্যপের এক পুত্র কাশ্যপেয়— উহাকে মর্ত্যলোকে মানবজাতি সূর্যদেব আখ্যায়িত করে। দেবহেতু বোঝা স
অনেকেই সঙ্গীত ব্যাপারটাকে একটা নেহাতই তামাশা বলে ঠাউরান। নইলে অন্য যেকোন বিষয়ে অনধিকারীগণ অনভিপ্রেত মন্তব্য করলে বিদগ্ধ-সমাজ তেড়ে মারতে যান; কিন্তু গান-বাজনার ব্যাপারে দেখি এক আশ্চর্য গা সওয়া ভাব। এ ব্যাপারে যে কেউ তার বালখিল্য মতামত সুধীসমাজে পেশ করবার অধিকারী!