অতিথি লেখক এর ব্লগ

শেষ বেলার গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৮/০৯/২০১১ - ৭:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পদার্থ‌বিজ্ঞানে নিঊটন যে গতি সম্পর্কি‌ত তৃতীয় সূত্রটি দিয়েছেন সেটা মানুষের মনের উপরও ক্রিয়া করে কিনা এ ব্যাপারে গবেষণা প্রয়োজন । এই যেমন আমার জীবনে আমি বহুক্ষেত্রে এটার প্রমাণ পেয়েছি । হয়তো কোন বিজ্ঞানী এই ব্যাপারে ভবিষ্যতে এই ব্যাপারে আমাদেরকে জানাবেন কিন্তু আমি এটা অনুভব করতেসি প্রতিনিয়ত ।


রাজাকার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৮/০৯/২০১১ - ৭:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্বপ্নে এক মুক্তিযোদ্ধার সাথে বর্তমানের এক তরুণের দেখা। প্রথমজনই কথা শুরু করলেন।

-রাজাকার কারা?
-একাত্তরে যারা রাজাকার দলের সদস্য ছিল তারা।
-রাজাকাররা কি ঘৃণ্য?


বইকেনা এবং একজন স্কুল শিক্ষক

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৮/০৯/২০১১ - ৬:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক, অনেক ছোটবেলার কথা । ১৯৯৪ সাল । তখন আমি বগুড়া জিলা স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র । বাসা ছিল কানছগাড়ী নামের একটা জায়গায় । ঠিক দুষ্টের শিরোমণি লঙ্কার রাজা না হলেও একেবারে কম ছিলাম না । আশেপাশের বেশ কয়েক বাসার সমবয়সী পিচ্চিদের নিয়ে মোটামুটি একটা বড় গ্রুপ ছিল যাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এলাকার বড় মানুষদের ভাল লাগার কোন কারন ছিল না ।


ডিজুস যুগের ব্যাপার-স্যাপার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৭/০৯/২০১১ - ২:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলা সাহিত্যের যুগ অনুযায়ী আধুনিককাল শুরু হয়েছে ১৮০১ সাল থেকে। তবে গ্রামীনফোন ডিজুস সিম বেশ আগে আনলেও ডিজুস যুগ হিসেবে একটা যুগের সূচনা খুব বেশীদিনের নয়। বছর দুই ধরে এই যুগের নাম হয়ত আড্ডা মাতাচ্ছে, তার বেশী তো অবশ্যই নয়। তা এই যুগে ঢাকা শহরে বৃষ্টি হোক বা না হোক, বন্যায় শহর তলিয়ে যায় যায় অবস্থা; আর তা হচ্ছে প্রেমের বন্যা। হায়রে প্রেম; সবার এমনি সন্দেহ বাতিক হয়েছে যে ছেলে মেয়ে মাইল খানেক দূরত্বে


এবং একটা লম্বা ছুটি!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৬/০৯/২০১১ - ৯:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি অর্ক। ক্লাস ফাইভে পড়ি। ফাইনাল পরীক্ষার পর লম্বা ছুটি। আমি আর মা গ্রামে এসেছি। এবার মামা বাড়ি। প্রতিবার এই সময়টা দারুণ কাটে। বাবা আসলে আরও মজা হতো।


আমার বই পড়া, আমি এবং আমার হুমাহূন আহমেদ…

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৫/০৯/২০১১ - ৯:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শৈশবে আমার বাচন যন্ত্রটিতে কিছু ঝামেলা ছিল। কথা বলা শুরু হতেই বোঝা গেল, এই মেয়ে ‘ত’ ততিয়ে কথা বলে। যেমন বাবার নাম জিজ্ঞেস করা হলে জবাব দেই, ‘তায়েত তালোয়াল’ (জাহেদ সারোয়ার)। প্রথম দিকে এটা নিয়ে বিশেষ কেউ চিন্তিত না হলেও স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর ঝামেলার ব্যাপারটা বোঝা গেল। আমার তোতিয়ে কথা বলাটায় অন্যরা মজা পেতে শুরু করেছে। বড়রা তো আদর করার ছলে হাসি ঠাট্টা করতোই, ছোটরাও ভেঙ্গানো শুরু করলো। মনে


স্মৃতিপাঠে বিদ্যাপীঠঃ আদর্শলিপির লিখনশৈলী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৪/০৯/২০১১ - ৩:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]জড়োতা বলে যে জটবাঁধানো জবড়জং ব্যাপারস্যাপার আছে বস্তুর ক্ষেত্রে তা আমরা কম বেশি সবাই জানি। পদার্থের জন্মদোষে দুষ্ট এই গুণটা হলো, বস্তু অত্যন্ত বস্তুনিষ্ঠ হয়ে যে অবস্থায় আছে, নিতান্ত বাধ্য বা বাধাপ্রাপ্ত না হলে সেই সুব্যবস্থার কোনো দুরবস্থা করতে চায় না নিজে থেকে। অর্থাৎ যা স্থির আছে সে খামাখা কখনো অস্থির হবে না। যে ঘোরার উপরে আছে, বলপ্রয়োগ সাপেক্ষে ঘোর না কাটানো পর্যন্ত সে বেঘোরেই ঘুরতে থাকবে। এরকম সুলিখিত সংবিধান পড়েছিলাম বিজ্ঞান বিষয়ে স্কুল-কলেজ-এমনকি ভার্সিটিতেও। কিন্তু এই জড়োতার উল্টোপিঠেও আর এক জড়োতা আছে, যাকে বলে কোনো কিছু না করার বা আলসেমির জড়োতা। আর এইটা এখন আমার দৈনন্দিন জীবনজুড়ে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। পরম শূন্য উষ্ণতার মতো যদি পরম শূন্য জড়োতা বলে কিছু থেকে থাকে তবে আমি নিশ্চিত, তা এখন আমকে জাপটিয়ে জড়িয়ে রেখেছে। আমার এই লেখাতেও অবধারিতভাবে সবাই বৈচিত্র্যহীন জড়োতার বিচিত্র সব উপকরণ রয়েছে যা বিষম বিরক্তির উদ্রেক কোনোরূপ জড়োতা ছাড়াই করতে পারে।


ভাইভা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/০৯/২০১১ - ৯:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তোমার নাম কী?
তোমার বাবার নাম কী?
একটা ছড়া বলতো?
একটা গান গাও তো?

ছোট্টবেলায় আমাকে পেলেই সবাই এইসব প্রশ্ন করার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে যেত। আর আমিও একদম রেডি থাকতাম গান গেয়ে বা ছড়া আবৃত্তি করে সবার প্রশংসা পাবার জন্য। সব প্রশ্নের উত্তরই যে পারতাম তা নয়। মাঝে মাঝে বাবার নামটা ভুলে যেতাম। এভাবেই চলছিল আমার দিনগুলো।


আমি যামুনা। আমার ইচ্ছা।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ১০:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২ দিন আগের কথা।
-হ্যালো।
-হ্যালো, আমি নিশু।
-সুন্দরী! তোমার খবর কি?
-সুন্দরী! যাক শেষ পর্যন্ত তুমি আমাকে সুন্দরী বললা।
-সুন্দরী বলছি নাকি? বুল অয়ে গেচে। এই বুলের কুনু কমা নেই। আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম সুন্দরীর বান্ধবী। তোমার সেই ‘অপ্সরা’ বান্ধবীর খবর কি?
-অই ব্যাটা। ঠিক হবি কোনদিন? নাকি লুল প্রজাতী হয়ে যাচ্ছিস?


[ কবিতার অপমৃত্যু ]

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ১০:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতি রাতে একটি করে কবিতা আত্মহত্যা করে আমার বারান্দায় ।
আমার ভাবনা গুলোকে যখন আমি
কবিতার খাতায় বন্দী করতে পারিনা,
তখন ভাবনাগুলো আমার অজান্তে
সুসজ্জিত হয়ে কবিতায় রুপ নেয় ।
তারপর আমার বারান্দায় ফুলগাছটির ডালে ঝুলে আত্মহত্যা করে ।

আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি,
কবিতার মৃতদেহ পড়ে আছে আমার বারান্দায় ।
বিকৃত অবস্থায় ।

সে কবিতার চেহারা আমি মনে করতে পারিনা