জোয়ান বুড়ো
গায় বেসুরো
একটি কথাই বলে,
কালে কালে
এ কোন তালে
পোলাপানে চলে?
এইচএসসি পর্যন্ত নিজেকে খুব ভাগ্যবান ভাবতাম, ছোট থেকেই প্রতিটা ঈদে এত আনন্দ ছিল, এত ভাল লাগত, কিন্তু এর পরে আজও তেমন আনন্দ পাই না। আগেও যে খুব মজার কিছু করতাম তা নয়, কিন্তু তখন সবই এত বেশি ভাল লাগত, সব কিছুর জন্যই একটা প্যালপিটেশন ছিল। এখন যেন কোনও কিছুতেই আনন্দ নেই।
ধুকধুক করে কিসের যেন শব্দ হচ্ছে। সে চমকে ওঠে, একটু ভয় ভয়ও করে। এদিক ওদিক নড়াচড়ার চেষ্টা করতেই সে বুঝতে পারে পুরোপুরি ডুবন্ত অবস্থায় আছে সে। সামনে বা পিছনে যাবার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত সে শান্ত থাকে। কিন্তু শরীরকে কোনভাবেই আয়ত্বে আনা যাচ্ছে না, শরীরটা ঘুরেই যাচ্ছে, ঘুরেই যাচ্ছে। ধুকধুক শব্দটা মনে হচ্ছে তার ভেতর থেকেই আসছে। আতংকে চেঁচাতে চায় সে, কিন্তু কার উদ্দেশ্যে চেঁচাবে? সে আসলে কে?
- কী করিস?
- পড়ে আছি।
- কোথায়?
- বিছানায়।
- বিছানায়?
- ব্যাচেলর আবার শুয়ে থাকে নাকি?
- তুই একটা বাঁদর!
- এই কদিনেই মানুষ থেকে বাঁদর বানিয়ে দিলি? যাক, হাতে একটা সুযোগ এসে গেল?
- মানে?
- মানে, বাঁদরে নানা রকম দুষ্টুমি করবে। ওটা তার স্বভাব। দোষ দেওয়া যাবে না কিন্তু?
- মেরে ঠাং ভেঙে হাতে ধরিয়ে দেব। খুব বাড় বেড়েছে, না?
[justify]নগর পরিবহনের আর জনপথগুলোর অবস্থা বেহাল কি সুহাল তা নির্নয় করা আমার লেখার উদ্দেশ্য নয়। এই নগরে চলতে গিয়ে আমার কি হাল হয়েছে তাই বিবেচনায় আনতে চেষ্টা করব। এ নগরটা বড়ই আজিব, তারচেয়ে আজিব এই নগরের মানুষগুলা। এরা প্রতিনিয়ত আমারই মত কসরত করে যাচ্ছেন কিন্তু এদের কোন ক্লান্তি নাই। রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে, মাইলের পর মাইল হেটে, রিক্সা, বাস, সিএনজি, ক্যাবের পেছনে ছুটেও এনারা
সানাই বাজছে। বড় বড় সাউন্ড বক্স বসানো হয়েছে বাড়ির সিঁড়িত, ছাদে, লনে। এত জোরে শব্দ হচ্ছে আশেপাশের সব বাড়িগুলোর মানুষ আজকের রাতে ঘুমাতে পারবেনা জানি। এটাও জানি, কেউ কিছু মনে করবেনা। আজকে এটা বিয়ে বাড়ি, আমার বিয়ের আয়োজন চলছে এখানে।
সময় নদীর পাড়ে দাড়িয়ে অদ্ভতসব ভাবনা ঘিরে ধরে। কতো দীর্ঘ সময় মানুষেরা হেটেছে। সেই কেনিয়ার ওমা নদীর তীর থেকে ভারতের শিপ্রানদী হয়ে মেঘনার অববাহিকায়। প্রায় ২০ লাখ বছরের পরিভ্রমণ। এগুলো ভাবলে এক ধরনের আচ্ছন্নতা ঘিরে রাখে। সেই ঘোরে আমি শীতলক্ষ্যা হয়ে পদ্মামেঘনার সঙ্গমস্থলের দিকে যেতে থাকি। ক্রমশ এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলে উপনীত হই। গভীরভাবে তাকানোর চেষ্টা করি জীবন ও জগতের দিকে।
[justify]রোবায়েত ফেরদৌস
প্রিয় পাঠক, আপনারা জানেন বাংলাদেশে গেলো কয়েক বছরে সড়ক দুর্ঘটনা জ্যামিতিক হারে বেড়েছে। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় আমরা হারাচ্ছি প্রিয়জনদের। একটি মৃত্যু একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না। কোনো কোনো মৃত্যু পুরো দেশের জন্যই অপূরণীয় ক্ষতি। গত ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ, বাংলাদেশের আধুনিক সম্প্রচার সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ মিশুক মুনীরসহ পাঁচ জন নিহত হন। এর আগে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০ জন শিশু নিহত হয়।
১.
তারেক মাসুদের মৃত্যুর পর সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে প্রত্রপত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। টেলিভিশনে প্রচুর কথা বলা হয়েছে। ঘরে বাইরে অফিসে আদালতে বাসে কারে পার্কে ফুটপাতে ফুচকা চায়ের দোকানে, কথা-কথা। প্রচুর শব্দ ব্যবহৃত হয়ে গেছে। যারা দেশসমাজভাবনায় বিভোর, তাঁরা বোধকরি কলম ঘষে কলাম লিখতে গিয়ে সবচেয়ে বেশী সবচেয়ে ভারসম্পন্ন কথাগুলো বলে ফেলেছেন।
২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে আমরা তিন বন্ধু (এবং কলিগ) ট্রেকিং এ (জয় করেছি বলতে কিঞ্চিত লজ্জা হচ্ছে) গিয়েছিলাম পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ চূঁড়া সান্দাকফু হয়ে কাঞ্চনজংঘার খুব কাছে ফালুট পর্যন্ত। বিগত কয়েক বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের কেওকারাডং সহ ছোট বড় নানা পাহাড় ঘুরে নিজেদের বেশ কেউকেটা মনে হচ্ছিল আর তাই সিদ্ধান্ত নিলাম এবার সিরিয়াস একটা ট্রেকিং করতে হবে। সে লক্ষেই বেশ কিছুদিন ওয়েবসার্ফিং করে শেষ পর্যন্ত ঠিক