পরিচয় করিয়ে দেই, এই হল আমাদের আঙ্কেল স্যাম (আমেরিকার সরকার)। তার খরচাপাতি অনেক। প্রতিবছর চার ট্রিলিয়ন ডলারের মত। কিন্তু আঙ্কেলের ইনকাম বছরে মাত্র দুই ট্রিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। এই ঘাটতি মেটানোর জন্য তিনি আমাদের মতই মানুষের কাছে ধার করেন। তার এই ধারের টাকার তিনি একটা লোভনীয় নাম দিয়েছেন – ‘বন্ড’। এই বন্ডগুলো ব্যাংক, বিনিয়োগকারী এমনকি বিদেশী সরকারও (যেমন চীন) কিনতে পারে। কিন্তু মানুষ কেন তার এই বন্ড কিনবে? কারণ এর সাথে তিনি এই বন্ডের ওপর প্রতিবছর একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের সুদ দেবেন।
আমার পিতা -
একজন মৃত্যুপ্রিয় মানুষ ছিলেন।
তিনি তাঁর মৃত্যুকে আকাঙ্খা করতেন -
হারিয়ে যাওয়া, কোন এক প্রেমিকার মতো।
কিন্তু যেদিন,
তিনি তাঁর প্রেয়সীর সাথে মিলিত হলেন -
আমার বুকের ভেতরটা কেমন যেন ফাঁকা হয়ে গেলো।
আমার পিতা -
একজন স্বতঃস্ফূর্ত মানুষ ছিলেন।
তিনি সমবেত মানুষ পছন্দ করতেন,
কোলাহলে নিজেকে মুখর রাখতে সক্ষম ছিলেন।
অথচ যেদিন আমাদের আঙিনায়
ব্রিটেনের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ, লুটতরাজঃ সরল সমীকরণ
একটি অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুকে ঘিরে ব্রিটেনের বড় বড় শহড়গুলোতে যে ভয়াবহ বিক্ষোভ, লুটতরাজ সংঘটিত হল তার নানাবিধ কারন অনুসন্ধান করা হচ্ছে। সামাজিক, অর্থনৈতিক, জাতিগত বৈষম্য, উপযুক্ত শিক্ষা এবং কর্মসন্থানের অভাব ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু, অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর, তরুণদের বিক্ষোভ এবং এর নামে আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার এরকম প্রবল উৎসাহের পেছনে আর কি যুক্তি থাকতে পারে, ইংলেন্ডের মত একটি উন্নত সমাজে?
গত প্রায় একবছরে মধ্যপ্রাচ্য সহ বেশ কিছু দেশে স্বৈরশাসক সরকারদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগনের ব্যাপক বিক্ষোভ এবং আন্দোলন চলছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা সফলও হয়েছে।
ধর্ম ও বিজ্ঞান সব সময়ই পরস্পর বিরোধী। একটি কখনো আরেকটিকে স্বীকার করতে চায় না। ধর্মের মূল ভিত্তি হচ্ছে অদেখা কাল্পনিক বস্তুতে বিশ্বাস, বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি হচ্ছে তত্ত্ব, পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও যুক্তিতে।
ধর্ম ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আমি তাই বিজ্ঞানকেই সমর্থন করি।
আমরা আবার উত্তেজিত হয়ে উঠেছি । এবার আমরা হারিয়েছি আমাদের এমন দু জন বুদ্ধিজীবী কে যাদের স্থান অপূরণীয় । আমাদের এই উত্তেজনা কিছুদিন চলবে তারপর আমরা আবার ঝিমিয়ে পরবো। আমাদের আসলে কিছুই করার নেই। এমন করে এক একটি ঘটনা ঘটবে আমরা উত্তেজিত হয়ে চেঁচামেচি করবো । তারপর কিছু দিন পর উত্তেজনা প্রশমিত হলে নিজের কাজে বাস্ত হয়ে পরব । আবার কিছু ঘটবে আবার চেঁচাব । আমন করে আবার, আবার বারবার । আমাদের চোখের সামন
আমি ওদের দেখেছিলাম একেবারে
কাছ থেকে, হৃদয়ের অতি কাছ
হতে ছুয়ে দিয়েছিলাম ওদের গভীর কালো ভেজা চোখ ।
শীর্নকায় পাঠকাঠির মত হ্যাংলা আর নিষ্পাপ
প্রানময় শরীর গুলোর সাথে আমি অনেক খেলেছি হাডুডু আর কানামাছি ।
হুজুরের নিঃস্পৃহ চোখ
পেরিয়ে প্রয়াশই ধরতে গিয়েছি কতযে লাল নীল প্রজাপতি
ওরা জানত ঐশী ছোঁয়ায় ওরা আলোকময় হয় অহর্নিশ
আমিও অবাক চোখে দেখতাম __
তূর পাহাড়ের নুর ভর করেছে ওদের ছোট্ট শরীরময়
(১)
[justify]সে যখন বলল, ‘তোকে না পেলে এই যে আঠারো তলা বিল্ডিংটা, এর ছাদ থেকে পড়ে মরব’। উপরে চোখটা রাখতেই মনে হচ্ছিল উঁচু ভবনটার মাথাটা যেন আকাশ ছুঁয়েছে। কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে প্রশ্ন করলাম, ‘আমার জন্য মরতে পারবি তুই?’ উত্তরে সে বলেছিল যে এর চেয়ে বেশী করার থাকলে তাই করবে। একটা অন্ধকার পাক খেয়ে গেল মনে তাকে ছাড়া আমার পৃথিবীর কথা ভেবে। ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে বললাম,‘ তুই মরে গেলে কি আমি বেঁচে থাকবো? আমিও চলে যাব এক সাথে’। অজানা আশংকায় হাতটা চেপে ধরে সে আমার। তারপর অনেকক্ষন দু’জনের কোন কথা হয়নি। বৃষ্টির ফোটা গায়ে পড়তেই সম্ভিত ফিরে আসে দু’জনেরই। রিকসার হুডটা মাথার উপর তুলে দিতে বাধ্য হলাম। পলিথিনে মোরা আমরা দু’জন যেন একটা ছোট ঘরে বন্ধী। প্রবল বৃষ্টি ভাসিয়ে নিচ্ছে আমাদের চারদিক। দিনটার কথা মনে আছে খুব। এখন থেকে তের বছর আগের এক ২৫ শে শ্রাবন দুপুরবেলা।
অপ্রত্যাশিত জন্ম নয়, তাই বোধয় বেড়ে উঠায় আয়োজনের ত্রুটি ছিলনা কোথাও। পূর্ন স্বাধীন আর মুক্তমন তৈরির যাবতিয় চর্চার সুযোগ সেই ছোট্টটি থেকেই পাওয়া । আরও অনেকের মতোই ভুল প্রথম প্রেম এবং সঠিক সময়েই সম্মানজনক বিচ্ছেদ। জীবনের এইপর্যন্তকে আমি দীঘিযাপন হিসেবে চিহ্ণিত করি।
কয়েকদিন আগে স্যার যখন বায়োইনফরমেটিক্স ক্লাস এ কৌলিতত্ত্ব শব্দটা বললেন আমি খুব অবাক হয়েছিলাম।একবছর ধরে আমি যেই বিষয় নিয়ে পড়ালেখা করছি তার বাংলা প্রতিশব্দ জানিনা ভেবে একটু লজ্জাও লাগছিলো।ওইদিন স্যার যখন জেনেটিক্স( এখানে বলে রাখা ভাল যে কৌলিতত্ত্ব হচ্ছে জেনেটিক্স এর বাংলা প্রতিশব্দ)এর বাংলা জানতে চেয়েছিলেন তখন আর সবার মত আমিও জিনতত্ত্বই বলেছিলাম।একবার ও মনে হয়নি যে জিন শব্দটাও তো ইংরেজি,এটারও কোন বাংলা অর্থ থাকতে পারে।আসলে এতবছর থেকে এই শব্দটাই শুনে আসছি বলে হয়ত আসল বাংলা প্রতিশব্দ জানার কৌতূহলও কখন হয়নি।