অতিথি লেখক এর ব্লগ

কোন্ এক একাকিনী যেন, তারি পানে নির্জন একাকী!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০১/০৮/২০১১ - ৩:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোটবেলার একটা কথা মনে পড়ছে। ছোটভাইয়ার টাইফয়েড হয়েছিলো। ঢাকার হাসপাতাল থেকে আমরা যখন বাসায় ফিরে যাই বাহন ছিলো ট্রেন। বাবা আমাদের জন্য যাত্রাপথের খাবার কিনতে ট্রেন ছাড়বার ঠিক আগে আগে স্টেশনে নেমেছেন। ট্রেন ছাড়ার প্রায় সময় হয়ে গিয়েছে, ট্রেনের গেইট লক করে দেয়া হয়েছে, গার্ড এসে একবার পাশ দিয়ে ঘুরে গেছে। আমি ঠাঁয় তাকিয়ে আছি গেটের দিকে। টেনশনে আমার ঘাড় ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে। বুক ধড়ফড় ক


প্রায়শ্চিত্ত...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ৩১/০৭/২০১১ - ৪:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি যখন বাড়িটাতে ঢুকছিলাম, আমার ভীষণ খারাপ লাগছিল। আমি কিছু স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করতে পারছিলামনা, আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল, হাত কাঁপছিল, মনে হচ্ছিল যেকোনো সময় মাথা ঘুরে পড়ে যাব। এগুতে ভয় পাচ্ছিলাম,এতদিন যে ভয়ে আমি এই মুহূর্তটার মুখোমুখি হয়নি তা আবার মনে চলে আসল, আর দৌড়ে পালানোর অদম্য ইচ্ছাটাকে আমি কোন মতে চাপা দিলাম।


দুঃখী মানুষের গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ৩০/০৭/২০১১ - ১০:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছেলেটির বয়স মাত্র ১৪ বছর।এই বয়সেই তার জীবনের উপর নেমে এসেছে স্থবিরতা। একটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা হারিয়ে ও আজ অনেকটা জড় পদার্থই হয়ে গেছে।জীবনের উপর এই বৈরিতায় ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।মাঝে মাঝে ওর মনে হয় ধান ক্ষেতে পোকা মারার জন্য ওর মা আলমারির মধ্যে যে বিষ রেখে দিয়েছে তার থেকে কিছুটা খেয়ে সারা জীবনের জন্য ঘুমিয়ে যেতে।কয়েক বার বিষের শিশিটা নিয়ে নেড়েচেড়ে ও দেখেছে কিন্তু খেতে পারেনি।একটা জায়গায় ও আটকা


এভাবেই ভালোবাসা হয়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ৩০/০৭/২০১১ - ১২:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পৃথিবী মত্ত নয়,পৃথিবী নিমজ্জিত–ভালোবাসার সুগন্ধী প্লাবনে।
পালাবার পথ সবখানেই থাকে।
অনুভূতির মিছিল হামলে পড়ে ক্রমশ নুয়ে পড়া সুড়ঙ্গের জালে।
অভিজ্ঞ সোনালি পাখি তীক্ষ্ণ চোখে খোঁজে অচেনা আঁধার বৃক্ষ।
কখনো ফোটেনি তাতে অধীরতম ফুল ।
ভালোবাসা ছাড়েনা একজোড়া ডানা বসিয়ে দেয় মানুষের ঘাড়ে ।
আলো এবং ফুল সংক্রান্ত স্থবিরতায় আক্রান্ত মানুষকে পৌঁছে দেয়
কোন না কোন সুড়ঙ্গের প্রবেশদ্বারে।

তুকমুবিল


অন্য জগত

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ৩০/০৭/২০১১ - ২:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মেডিকেল সেন্টারের দোতলার বারান্দার কোনাটায় রকের মত জায়গাটাতে বসলেই অনেক দুর পর্যন্ত দেখা যায়। অবশ্য বড় সীমানা প্রাচীরটার কারনে খুব কাছাকাছি কোন কিছু দেখতে পাওয়া না গেলেও দুরের আকাশটা আর ওখানে উড়তে থাকা পাখিদের দেখতে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে লুব্ধকের। বেশ দুরে কয়েকটা চার-পাঁচ তলা বিল্ডিং থাকলেও এগুলোর ছাদে কখনই কেউ ওঠেনা বিকেলে। মাঝে মাঝে ভাবতে ভালো লাগে, যদি কোন পরী দাঁড়ায় একটা ছাদে আর ডাক দ


এমন যদি হতো

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৭/২০১১ - ৯:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একবার চোখ বুজে ভাবো দেখি সিনটা
রাস্তায় যানজট নাই পুরো দিনটা
হুট-হাট রাতে আর হচ্ছিনা অন্ধ
লোডশেডিং এর দৌড় একেবারে বন্ধ ।
উৎকোচ ঘুষ দিতে হবে না আর কিছুতে
থেমে যাবে ভাঙচুর ছোট ছোট ইস্যুতে ।
দলে দলে কোন্দল হানাহানি ধ্বংস
এই সব কাজে কেউ নিচ্ছেন অংশ ।
মানবতা প্রতি প্রাণে তাই সবে ব্যস্ত
কল্যাণ কাজে লোকে এক মনে ন্যস্ত ।
অসহায় দুস্থের সেবা হবে লক্ষ্য


অজগর

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৭/২০১১ - ৯:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক,
বাঁ হাতে এগোলেই আরেকটা গলি। দাঁড়িয়ে একটু দম নেয় রঞ্জু। হাতের কাগজটায় লেখা বাড়ির নাম্বারটা আরো একবার দেখে নেয়, ৭৭/সি। অসীম ধৈর্য্য রঞ্জুর। প্রায় পয়তাল্লিশ মিনিট ধরে বাড়িটা সে খুঁজছে। গলি তস্য গলি ঘুরে ঘুরে পায়ে ব্যাথা ধরে গেছে। সেগুনবাগিচা এলাকাটিতে সে তার জন্মের পর আজ প্রথম এসেছে। জীবনের ছাব্বিশ বছরে তার এই এলাকাটিতে আসবার প্রয়োজন পড়েনি। অথচ ঢাকায় জন্ম- বড় হয়েছে রঞ্জু। ঢাকার কিছু কিছু জায়গার নাম শুনলেও খাবি খেতে হয় রঞ্জুকে, জীবনে নামটাও শোনেনি! অবশ্য মুখে কখনো প্রকাশ করেনা সে তার এই অজ্ঞানতার কথা। যদিও বা মাঝে মাঝে বন্ধুদের আড্ডায় বা কোনও কারণে মুখ ফষ্কে কিছু বের হয়েই যায়, তখন গলার রগ ফুলিয়ে ঝগড়া করে, ‘দুনিয়ার সব জিনিস চিনতেই হবে, সব জায়গার নাম মুখস্ত করে রাখতে হবে এমন নিয়ম করা আছে নাকি সংবিধানে?’ যতই রগ ফোলাক রঞ্জু, মনে মনে একটু খিঁচে থাকে ঠিকি নিজের অনেক অজ্ঞানতায়। আজকে যেমন ঢাকা শহরের মধ্যে অসংখ্যবার শোনা জায়গাটায় এসে খাবি খাচ্ছে ঠিকানা খুঁজে বের করতে।


দিবা রাত্রি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৭/২০১১ - ৯:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তুমিঃ রাত ফুরুতেই স্বপ্নটা ভেংগে গেল, জানালার পাশে এসে দাড়ালো ভোর।

আমিঃ রাত হচ্ছে আমার স্বপ্নসংগীনি, রাতের সাথেই আমার জেগে থাকা।

তুমিঃ কাল ভোরে শিশির এর উপর যখন হাঁটতে ছিলাম, তুমি আমায় এমন করে জড়িয়ে ছিলে কেন?

আমিঃ এখানে ঝিঁঝি পোকার অত্যাচার নেই, আমার কথাগুলু অদ্ভূত নিরবতায় হারিয়ে যায়।


তেল-গ্যাস চুক্তিঃ আমি বিরোধী, আমি নিজেকে "এগনোস্টিক" বলতে পারি না

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৭/২০১১ - ৯:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তেল-গ্যাস ইস্যুতে ভেবছিলাম "এগনোস্টিক" এর অবস্থানে থাকবো কিন্তু আমার এক বন্ধুর সাথে কালকে রাতে কথা বলার পর থেকে আমার অবস্থানকে নতুন করে ভেবে দেখার প্রয়জোন পড়লো। ভাবার পরে ফলাফল টা হল আমি নিজেকে কোনভাবেই "এগনোস্টিক" বলতে পারছি না। কিন্তু কেন?


কাব্যের একদিন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৭/২০১১ - ৯:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিশিকবি অদ্য
ভাবিতেছে সদ্য।
তৈরীতো হয়নি
কবিতার বয়নি।
তবুও ভাবখানা
আল্লাদে আটখানা।
কলমের নিবখানি
ভাবে রাজরাণি।
করিবে প্রসব
কাব্যের রসদ।