দৃষ্টিহীন দৃষ্টি বাড়িয়ে প্রতিদিন, ছুঁয়ে থাকি এইসব স্বাভাবিক শহর।
উদ্বুদ্ধ হই প্রায়শই তোমার চোখে তরলতা, শব্দে পক্ষপাত অনুভব করে।
বাকিটা সময় কাটে নিমগ্নতায়, জলাবদ্ধ জানালায় বসে
আমাকে ঠেস দিয়ে রাখা পচনশীল কাঠে হাত বুলিয়ে;
নদীদের লিখে রাখা গোপন কথা স্বশব্দে অনুমান করে।
পথভুলে হঠাৎ হাজিরা দেয়া স্বপ্নজড়িত ভয়ংকর আশ্রয়
এখন নিয়মিত ধেয়ে আসে চেতনার মধ্যবিন্দু লক্ষ্য করে।
আদৌ কোন নামের প্রয়োজন নেই
---------------------------- প্রখর রোদ্দুর
এভাবে বসে থাকলে হবেনা বুঝলে? এ তোমাদের পৈত্রিক বাড়ি তা আমিও মানি; তারও চেয়ে বড় কথা এ বাড়ি আমার আর তোমার মায়ের হাতেই গড়া তাই তোমাদের থেকে আমার মায়া কোন অংশে কম নয়। কিন্তু...... বলেই থেমে গেলেন তিনি। ঘরের এক কোনে বড় ছেলে আর আরেক কোনে মেজ বউমা পাতলা আদ্দির পঞ্চটা ভাঁজ করতে করতে তার কথা শুনছিলো। শোবার ঘরের কোথাও কোথাও পলেস্তরা খসে গেছে। দেখলে অনেকটা দগদগে ক্ষত চিহ্নের মতোই লাগে কার্নিশে জমে ওঠা শেওলার ঘরবসতি গুলো।
বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক সংষ্কৃতি বর্তমানে গড়ে উঠেছে তা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যে লুটেরা শ্রেণীর চরিত্র পূর্নাঙ্গভাবে ধারন করেছে এ কথা আজ নির্মম সত্য। দূর্নীতি আজ সমাজে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের শ্রেণী চরিত্র মূলতঃ একই হলেও এটা ঐতিহাসিক সত্য নয়। বিভিন্ন ধারার সবচেয়ে লুটেরা শ্রেনীর লোকগুলো সামরিক ও বেসামরিক আমলা ও মধ্যস্বত্বভোগী মধ্যবিত্ত সাম্রাজ্যবাদের দালাল বুদ্ধিজীবিদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের শুরু থেকেই সংগঠিত হয়েছে। এরাই অগনতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার রূপকার, ধারক ও বাহক যা এদের শ্রেণী চরিত্র টিকিয়ে রাখার জন্য চরমভাবে অপরিহার্য। এরাই কৌশলগতভাবে সর্বহারা, শ্রমজীবি ও কৃষক ইত্যাদি নিন্মবর্গীয় শ্রেণী থেকে দালাল সৃাষ্টি করে এবং এইসব দালালদের অর্থনৈতিক শ্রেনী-উত্তোরণ ঘটায়। এসব দালালের মাধ্যমেই সাম্রাজ্যবাদী নেটওর্য়াক নিন্মবর্গীয় মানুষের উপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক শৃঙ্খল তৈরির মাধ্যমে শোষনমূলক এক অসম অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বহমান রেখেছে।
জীবনে কখন্ও বড় স্বপ্ন দেখিনি যে ভবিষ্যতে এটা হব সেটা হব।সময় আর ঘটনাপ্রবাহ যেদিকে আমাকে ধাবিত করছিল ওদিকেই আমি ছুটছিলাম।স্কুল-কলেজের দুরন্ত সময় পেরিয়ে যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সম্মুখীন হলাম বুঝতে পারলামি এই অসম্ভব প্রতিযোগীতার জন্য আমি প্রস্তুত না।যাই হোক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমি,নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে পাত্তা দেই বা না দেই মধ্যবিত্ত মানসিকতা জিইয়ে রাখতে হবে।দেশব্যাপী
সাংঘাতিক রকমের কৌতুহলবিমুখ
অবিশ্রান্ত, আবাদি আর উদ্ভিদময়
দিনগুলো একের পর এক কেটে গেলে পর
হঠাৎ করে লক্ষ করি আমার সমস্ত অব্যাবহৃত
নিরাকার, অলৌকিক, রমনঅযোগ্য, বায়বীয়
মস্তিষ্কজাত উদ্বাস্তু শব্দগুলো,
ক্রমশ নির্জীব হয়ে পড়ছে, যেগুলো
বিভিন্ন কবিনেশন পারমুটেশনে সাজিয়ে,
অর্থহীন এবং একই সাথে শীল্পগুনমানবর্জিত
একটি শব্দের শরীর গঠন করলে, অত্যন্ত সংকোচে
হলেও তাকে হয়ত কবিতা নাম দেওয়া যেত।
প্রার্থনার শক্তি ও সামর্থে আমি মোটামুটি আস্থাশীল। আমার মনে আছে, বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সাথে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে এসে গোটা বাঙালীর সমস্ত আবেগ আর ভালোবাসা যেন কেন্দ্রীভূত হয়েছিলো ১১টি দামাল ছেলের মাঝে। নিজের অজান্তেই আমরা সবাই সেদিন এই ছেলেগুলোর জন্য প্রার্থনা করেছিলাম। চোখের জলে হয়তো ভিজে গেছি আমরা, কিন্তু শেষ বলটি না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রার্থনা করে গেছি। বাংলাদেশ ফুটবল দলের জন্য কিংবা দেশীয় কোন ক্ল
অনেক আক্রোশ নিয়ে লিখতে বসেছি। কি লেখা বেরুবে জানি না। তবে সবাইকে জানানো দরকার। ঢাবির প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রকে পুলিশ ডাকাত বানিয়ে, মেরে হাত ভেঙ্গে, পায়ের টেন্ডন ছিঁড়ে দিয়ে, সারা শরীর থেঁতলে দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের বিখ্যাত শিক্ষকগণ বারবার অনুরোধের পরও একটা ফোন পর্যন্ত করতে পারেননি থানায়।
আমার ওই তিনটে বিকেল আমি ফেরত চাই
সেই স্পর্শগুলো'
যা ছুঁয়েছিল তোমার চোখ চিবুক ঠোঁট।
চাই, সেই ভেঙ্গে পড়া মূহুর্তগুলোও,
যেখানে নিজেকে হারিয়েছিলাম তোমার
শক্ত পেশীতে - আঙ্গুলে।
ওই ঘ্রানটাকেও ফেরত চাই
যা ছিল আমার বুকে -
যে এখন নিরুদ্দেশ ক্রমাগতঃ অবহেলার অভিমানে ।
অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছি লিছু লেখার। লিখে টিখে পোস্ট করি
(একটি মানবতা মূলক পোস্ট)
আম বোঝাই করে ব্যস্ত রাস্তা ধরে ছুটছে দুটি পিকআপ। একটির যাত্রীরা বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডায় হিহি করে কাঁপতে কাঁপতে উড়ে যাচ্ছে, আরেকটি পিকআপের অদম্য তরুণেরা রোদের তাপে ঘেমে-নেয়ে একাকার। একটি পিকআপ চলছে চট্টগ্রামের পথে, অন্যটি ঢাকার রোদজ্বলা রাস্তায়। উদ্দেশ্য একটাই—পথশিশুদের আম খাওয়ানো। যে তরুণেরা একই পিকআপে যাচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই কিন্তু একে অপরকে আগে থেকে চেনেন না। সবাই একটা ফেসবুক গ্রুপের সঙ্গে জড়িত। গ্রুপটির নাম ‘আমরা খাঁটি গরিব...’। সূত্র
সমুদ্রবিলাস!!
-- তানিম এহসান
১.
অসীম শূন্যতা তোমার!!
এতোটাই যে,
আমার যা কিছু শূন্যতা
সব ভেসে গেলো,
চলে গেলো তোমার আঁচলে;
এই দু’চোখের কোলে শূন্যতার বৃষ্টি ঝরেছিলো!
দু’চোখ সেই জল ধরে রেখেছিল দুঃখেরও বিলাসে,
সেই জল তীব্র বিগ্রহ আবেগে ঝরেনি।
আর সাগর!
কত সহজেই না জেনে নিলে তুমি
আমার দু’ফোটা ইতিহাস!!