খবরের কাগজে আজকাল অকাল মৃত্যুর খবর দেখলে আগের মতন আর গা শিরশির করে না। স্নায়ুতন্ত্রও বোধহয় বিরক্ত; কত আর প্রতিক্রিয়া দেবে? যখন খবরের কাগজে পড়ি যে চার বছরের শিশু জিহাদকে অপহরণকারীরা পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে, তখন হয়তো মূহর্তের জন্য থমকে যাই, অস্ফূট স্বরে ‘ইশ’ বলি, কিন্তু পরের মিনিটেই অন্য খবরে চোখ রাখি। যখন পড়ি শাশুড়ি-বউয়ের ঝগড়ার সময় মায়ের কোল থেকে ছয়-মাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে আছড়ে ফেলে হত্যা করা হয়েছে, তখন শিউরে উঠি, কিন্তু পরক্ষনেই দীর্ঘশ্বাস ফেলি এই মনে করে যে গ্রামে এমন কত আরো ঘটনা ঘটছে যা হয়তো খবরের কাগজে জায়গাও পায় না। এটাই বাস্তবতা হিসেবে মেনে নেই। যারা পত্রিকা পড়ি তাদের কাছে এসব সচারচর ঘটনা, এতটাই যে খবরের প্রথমটুকু পড়তে পড়তে শেষটা অনুমান করে ফেলতে পারি। বারবার একই ধরণের নিষ্ঠুর ঘটনাগুলো পড়তে পড়তে আজকাল খুব অবাকও হই না, মেনে নেই, মেনে নিতে হয়। অভিযোজন বা পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়া তো শুধু মানব ধর্ম না, অস্তিত্ব রক্ষার জন্য জীবজগতের নিয়ম। রাতে শান্তিতে ঘুমানোর জন্যই আমাদের স্নায়ু সুচতুরভাবে অনুভূতিগুলোকে ভোঁতা করে দেয়।
দু'টি রাস্তার সংযোগস্থলে এসে আমি যখন অপক্ষোকৃত অচেনা রাস্তাটি বেছে নিলাম তাতেই তুমি ক্ষেপে গেলে । আমাকে আনস্মার্ট মনে হল তোমার। গো ধরলে একলা চলার। তারপর থেকে একটি বার ফিরে তাকালে না পেছনে। আমার ছেলেকেও নিয়ে গেলে সাথে ।
অমিতাভ দেব চৌধুরী
অনেকখানি সুদূর যখন একটুখানি নিকটের কাছে এসে বসে থাকে
তখনই,গানের জন্ম হয় ৷
তোমার মনে হবে,যেন ইরান থেকে আফগান সীমানা পেরিয়ে
অসংখ্য কাটাকুটির বলিরেখা- ছাওয়া বৃদ্ধ কাঁটাতার সাঁতরে
ওই গান,পাক-প্রহরীর ঘুমচোখ এড়িয়ে
দাঁড়িয়ে পড়েছে তোমার এই
শ্যামল নদীতীরের পারে মাঝির লোমহর্ষে ।
অনেকখানি গান যখন একটুখানি পাথরের কাছে এসে বসে থাকে
তখনই,ঝর্নার জন্ম হয় ।
কনোকো ফিলিপসের সাথে চুক্তি-- স্বার্থের পেছনের স্বার্থ
ভেবেছিলাম পাশ কাটিয়ে যাবো, কোন কিছুই লিখবো না। কিন্তু সচলে লেখা প্রকাশের লোভেই হোক আর নিজের ভেতরের ভাবনাগুলো অন্যের সাথে শেয়ার করার তাগিদেই হোক কিছু একটা লেখার লোভ সামলাতে পারলাম না।
সংবিধানে বেশ অনেকখানি কাটাছেড়া আর জোড়াতালি হল আওয়ামী সরকারের ক'বছরে। ৫ম সংশোধনী বাতিল দিয়ে শুরু, আর শেষ পর্যন্ত নতুন করে ১৫তম সংশোধনী। সংবিধান কতটা সাংঘর্ষিক হল, সেই আলোচনা তো চলছেই, কিন্তু আরো একটা বিষয় আমাকে ভাবাচ্ছে। আওয়ামী লীগ কি সংবিধানে একটা ব্যাকডোর তৈরী করল? অসাংবিধানিক শক্তির আসার পথকে রুদ্ধ করল, নাকি অন্য কোন অশুভ শক্তির পথ খুলে দিল?
(অনেকটাই যদি-কিন্তুর মালা গাথা, আজাইরা ভাবার মত অলস মাথা না থাকলে মাফ করবেন প্লিজ...)
আজ ঢাবি তে দেখি কতগুলো টোকাই একটা সভা করতেসে। মানে আলোচনা সভা আর কি। ভাব টা এমন তারা আলোচনা কথাটার মানে বোঝে! কৌতূহল নিয়ে শূনতে গেলাম ব্যাটারা বলতে চায় কি। শুনে তো আমার হাসতে হাসতে পেত খারাপ হওয়ার মত অবস্থা। তারা নাকি দেশপ্রেমিক!
ইদানিং মোটাসোটা বই দেখলেই ভয় পাই । তাই খুজে খুজে দোকান থেকে একটা চিকন বই বের করলাম । শিরোনাম – “বিষয়ঃচলচ্চিত্র” সত্যজিৎ রায়ের লেখা চলচিত্র সমালচনা। বইটি পড়ে যেটা মনে হলো - কিছু বিষয় স্থির কিম্বা চলমান দুটি ক্ষেত্রে সত্য । যেমন- বিষয়বস্তু যেমনই হোকনা কেন দশর্ককে সেটা বোঝানোর ক্ষেত্রে যে ভাষা ব্যাবহার করা হয়, ক্যামেরার সাথে সাথে কম্পোজিশন, কালার এবং আধুনিক টেকনোলোজি সেই ভাষা প্রকাশে সাহায্য
যিশু মহমমদ
কিছুক্ষণ আগে No One Killed Jessica ছবিটা দেখা শেষ করলাম। ছবিটি যারা দেখেননি বা এর কাহিনী সম্পর্কে যারা জানেন না, তাদের জন্য বলছি - ছবিটিতে জেসিকা নামের একজন মেয়েকে হত্যার পরের কিছু ঘটনা দেখানো হয়েছে যেখানে হত্যার ঘটনার সময় চাক্ষুষ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও হত্যাকারীর বাবা একজন ক্ষমতাশালী এমপি হওয়ার কারণে অর্থ ও ক্ষমতার দাপটে ঘটনার চাক্ষুষ সকল সাক্ষী আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়, যার ফলে জেসিকার হত্
সংশয়ে কামনা
- প্রখর রোদ্দুর
রেবতী তোর মাতাল ঝড় এ
কালকে যতো ডাল ভেঙ্গেছি
পাখির বুকে শিমুল বীজে
বাধ মানেনি ব্যাধ পুড়েছে
আক্রমণের সংগোপনে
জবার আগুন তারায় ফুটে
বৃন্ত খোঁড়ার লেপ তোষকে
উষ্ণ আদর আঁচল পাকে
ঘুমিয়ে থাকা জন্তুটাকে
ডাকাত হওয়ার মন্ত্র দিলি।