আমাদের দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের লিখন শৈলী দেখে আমি বরাবরই মুগ্ধ হই। সহজ কথাকে তারা এমন জবরদস্ত ভাষায় ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে লেখেন, যে আমার মত নির্বোধের পক্ষে তার মর্মার্থ উদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পড়ে। এদিকে আমার জ্ঞানত্ষ্ণা প্রবল। কী লিখলো, তার অর্থ উদ্ধার করতে না পারলে আমি অস্বস্তিবোধ করি। বন্ধুমহলে যারা একটু জ্ঞানীগুণী আছেন, তাদেরকে তখন আমি জ্বালাতন করা শুরু করি। এই টার্মটা বুঝায়ে দে, ঐ কন্ডিশনটা বুঝায়ে দ
নীলিমা,
অনেক দিন পর আজ আবার তোমায় চিঠি লখতে ইচ্ছে হলো।
আজ একটি বিশেষ দিন। গুছিয়ে তোমাকে চিঠি লেখা কেমন জানি কঠিন হয়ে ঠেকছে।
প্রথম প্রথম তোমায় কিছু লিখতে গেলে সব কিছু কেমন এলোমেলো হয়ে যেত।
খেই হারিয়ে ফেলতাম আমি। অনুভূতির ব্যাকরণগুলো কেমন বিব্রত দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে থাকত।
সত্যি বলতে কি - আজো আমি অবিকল আগের মতই। তোমার ভাষায় - 'একদম ছেলেমানুষ তুমি' !
তোমার খুব প্রিয় তিনটি শব্দ বল...।।
- বৃষ্টি ,
একাকীত্ব
আর নীরবতা ।
আজও তোমার কথায় একটা উদাসী ভাব !
আচ্ছা ,তোমার কি স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগেনা??
-না ।
একসময় লাগতো,
যখন লাল-নীল,সাদা-কালো অনেক স্বপ্ন দেখতাম ।
একদিন হঠাৎ করে কেঁদে কেঁদে ,স্বপ্ন গুলি কোথায় যেন হারিয়ে গেল ।
আমি ওদের আর খুঁজে পাইনি ।
ওরা কেন জানি ,কোথায় জানিনা, হারিয়ে গেল ।
গল্পঃ মৃত্যুচ্ছা পর্ব-১
গল্পঃ মৃত্যুচ্ছা পর্ব-২
তখন যেন পৃথিবীর আর সবকিছুকে আমি ভুলে গেলাম। যেন আমি পৃথিবী, তপুকে সূর্য করে প্রদক্ষিণ করছি। যা কোনদিন হবে না ভেবেছিলাম, তা-ই হল। আমি প্রেম সাগরে শুধু হাবুডুবুই খেলাম না, একদম ভেসে গেলাম। প্রেমিক-প্রেমিকাদের যেসব জিনিসগুলো আমার বিরক্তিকর লাগত, আমি ঠিক তাই-তাই করতে লাগলাম। প্রতি ঘন্টায় ফোন করে তপুর সাথে কথা বলা, তপু আমার প্রতি একটু অমনোযোগী হলেই মন খারাপ করা, একটু তীব্র স্বরে কথা বললেই কেঁদে চোখ ভাসানো, রাতে তপুর সাথে কথা না বললে অস্থিরতায় ঘুমাতেই না পারা, সকালে উঠে তপুর গলাই প্রথমে শুনতে চাওয়ার ইচ্ছা—সে এক কঠিন তালিকা যা বলে শেষ করা যাবে না। আরেকটা ব্যাপার যা না বললেই নয় তা হল, আমি নিবিড়ভাবে তপুর পছন্দ-অপছন্দগুলো নিজের করে নিলাম।
তোমাদের ব্যালকনীটা-
রোজ ভেসে যায় রোদে..
এক কোণে একলা বসে;
হয়তো হঠাৎ উচ্ছাসেতে,
উঠছো হেসে..
জানো কি?
হয়তো,
অন্য কোথাও..
তোমায় ভেবে;
রাঙিয়ে মন,
মন খারাপের রঙে..
আনমনা কেউ;
দেখছে হঠাৎ,
যায় জলে চোখ ভেসে..।।
বিষণ্ণ বাউন্ডুলে
দহন সমুদ্রের শেষে
এল মেয়েদের চুম্বনের মতো নরম বৃষ্টি
সে রাতে তুমি বললে চোখ বন্ধ কর
দগ্ধ চোখ দুটোকে আর খুজে পাইনি,
হৃদয়ের হলদে পান্ডুলিপিটা কেঁটে
কখন যে নিশিকুটুম স্বপ্ন বুনেছিল
এক মুঠো প্রেমের সৌরভে
অনুভূতির আঙুলও জানেনি।
এখন সূর্য চোখ খুললেও
আচমকা
জীবনকে রাত্রির মতো নিঝুম মনে হয়।
অথচ ঘুম খুজতে গিয়ে দেখি
ঘুম গুলো ডানা মেলে উড়ে গেছে
পাখি নয়
মনের পালকে নখ ডুবানো
কখনো হেসে খুন করো আমায়, কখনো খেলাচ্ছলে। এমনি চলে গেছে বছরের পর বছর, তবু কেন যেন তোমায় ছাড়া থাকতে পারি না। তোমায় ছোট করে দেখতাম কোন কালে? কখনোই না। কিন্তু তুমি বলছো দেখতাম? নিশ্চয়ই, তবে দেখতাম হয়তো। আমার বাবা-মা কখনো কষ্ট দিয়েছে তোমায়? কি জানি, বাবা-মা তো, তুমি তো তাদের মেয়ের মতোই। তবু বলছো তোমায় তারা কষ্ট দিতো?
রুমানা মনজুরকে চিনলাম এক বিভীষিকাময় ঘটনার মাধ্যমে তবু অনুপ্রেরণা খুঁজে নিলাম যে সংসার করেও উচ্চশিক্ষার পথে হাঁটা যায়। জ্ঞানের প্রয়োজন ,অন্বেষণ ও অর্জন সেতো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। রুমানার মতো শিক্ষিত, সুন্দরী, মহা সহনশীল, ধৈযশীল, যোগ্য জীবনসঙ্গী পেয়েও অভাগা হাসান সাঈদ তার কদর বোঝেনি,এ তার ব্যর্থতা। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক- তা আমি সারা দেশের মানুষের সাথে সুর মিলিয়ে বলবো । কিন্তুy অন্য একট
সব তারা নিভে গেলে
আকাশে আকাশে
আকাশের দেশে
শোন নাই বন্ধু তুমি
আলো তবু থাকে
হাওয়ায় বাতাসে ছবি আকেঁ
একে যায় অগনন §ৃতি;
মানুষেরা নাকি ভালোবেসে তারা হয়!!
- তানিম এহসান
আমার কিছু গল্প ছিল।
বুকের পাঁজর খাঁমচে ধরে আটকে থাকা শ্বাসের মত গল্পগুলো
বলার ছিল।
সময় হবে?
এক চিমটি সুর্য মাখা একটা দু'টো বিকেল হবে?
গল্পগুলো বলব তোকে।
যেসব গল্প হয়নি বলা তুমুল শোকে,
অথৈ হাসির ধুম প্রলাপে,
যন্ত্রবদ্ধ নগর-চাপে,
যেসব গল্প বুকের মাঝে ফেনিয়ে ওঠে
বলতে গিয়ে আটকে থাকে গলায়,ঠোঁটে,
মুখ ও চোখে,
গল্পগুলো বলব তোকে।
এক পাহাড়ের পাথর চাপা কান্নাজমা গল্প ছিল,