ফুরায় নিরর্থক গল্পদের আয়ু
মৈথুন প্রিয় সময় পথ হাঁটে চোখের নৈরাশ্যে
স্বপ্নের শরীর জুড়ে মুঠো মুঠো শূন্যতার ধূলো
প্রেমিক বিকেলগুলো ক্রমশ রক্তাক্ত আজ সন্দেহের কাঁচে ।
আলগা হয়ে এলে বৈকালিক এস্রাজের সুর
স্মৃতির সেতারে কাঁদে টুং টাং বাউল কষ্ট,
পাতাদের রক্তে রাঙা শ্রীময়ীর দাঁতের চুমুক
চৌকস রাত্রি জমায় রোমশ পেরেকের আঙুলে।
তবু আজও মগজের মৃত ক্যানভাসে
১.
টিভির ওপর রাখা ছিল পিএস-২ টা। ঘরে ঢুকেই খালা দৌড়ে গেল সেটার কাছে। হ্যাচকা টানে কর্ড, প্লাগ সব ছিড়েখুড়ে সেটিকে বুকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে খালা চিৎকার করে আর্তনাদ শুরু করল, 'এইটাই আমার সুপ্ত, এইটাকে কেউ আমার কাছ থেকে নিতে পারবা না।' ঘরে উপস্হিত কারো কোন ভাষা নেই, এর থেকে মর্মন্তুদ কোন দৃশ্য কি পৃথিবীতে কেউ দেখেছে কখনো?
২.
ঠিক করেছি সচল হবো। খুব ভেবে চিন্তে নেয়া সিদ্ধান্ত যে তা না। কারেন্ট চলে গিয়েছিলো। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড় হচ্ছিলো। খুব ঝগড়া শেষে, মেয়েটা যেমন শেষমেশ কাদতে শুরু করে, তেমন বৃষ্টি। ঝড়ের সময় জানালা খুলে দিয়েছিলাম। আগের চার ভাগে’র কপাট কপাট ওয়ালা কাচে’র জানালা, এখনকার থাই গ্লাস এর জানালা না যে ঝা করে খুলে ফেলা যায় একপাশ। তারই একটা খুলে ছিলাম। জানালা’র গুলো ঠেকিয়ে রাখার জন্য হুক এর মতো ছিলো একসম
ইয়ে, মানে একটা ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করি, শেষ কবে ঘুষ দিয়েছিলেন? মানে ইচ্ছায়, অনিচ্ছায় কিঞ্চিত তেলপানি দেয়া লেগেছিল? পাসপোর্ট করার সময়? বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিল সামলানোর জন্য? কলেজের সার্টিফিকেট ইংরেজী করার সময়? বাড়ি সংক্রান্ত কোন কাজে রাজউকে? নাকি বছরশেষে ইনকাম ট্যাক্সের ঝামেলা ভদ্রলোকের মত মেটানোর জন্য আপনার ট্যাক্স লইয়ার আপনাকে বলেছিল আপনার ট্যাক্স এত টাকা, আমার ফী এত টাকা আর এই টাকার ভেতরে জান ছুটানোর জন্য ট্যাক্স অফিসের খরচ এত টাকা?
কিছু দিন আগে টেলিভিশনে একটি অনুষ্ঠান দেখার সময় একটি মুঠোফোন কোম্পানীর বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। বিজ্ঞাপনটি ছিল এইরকম----একটি ছেলে চোখ কচলাতে কচলাতে ঘুম থেকে উঠলো, দাঁত ব্রাশ করল তারপর কম্পিউটারের সামনে বসলো। বসে ফেসবুক ওপেন করে নোটিফিকেশন দেখলো, মন্তব্য করলো এরপর বন্ধুদের সাথে chat করা শুরু করলো। একটু পর তার মুঠোফোনে রিং বেজে উঠলো এটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে তার ক্লাসের সময় হয়ে গেছে। এটা দেখে সে যারপরনা
'দুইটা টাকা দেন গো স্যার', হঠাৎ তন্দ্রাটা চটে যায় মামুনের। জ্যামে প্রতিদিনই আটকে থেকে বাসে বসে বসে ক্লান্তিতে তন্দ্রা মতো এসে যায়। আজ যেন সেটা একটু বেশিই।
'দুইটা টাকা দেন গো স্যার, লেবুগুলা নিয়া যান, মিষ্টি লেবু'
আফ্রিকায় সন্ধ্যা
- সুমাদ্রি শেখর।
নির্দিস্ট দিনের স্নিগ্ধ সকালে,
সাজানো শয্যায় এই হাস্পাতালে,
ভয়ে ভয়ে ইস্টনাম, হটাৎ নিঝুম,
ঔষধের সেই বোধহীন ক্লান্তির ঘুম।
অপরাহ্ণ সুসমিতো
স্টেশনে নামতেই টিকেটের সাথে স্টেশনের নামটা আবারো মিলিয়ে নিলাম । ভুরঘাটা । পুরানো ভাঙ্গাচোরা আদ্দিকালের এক স্টেশন,বাংলাদেশের আর পাঁচ দশটা রেল স্টেশনের মতোই । চারিদিকে পান বিড়ি পান শব্দের আনাগোনা । ভাবছি বেরিয়েই রিক্সা নেব । আপাতত সার্কিট হাউজ । সার্কিট হাউজে পৌঁছে চমৎকার এক গোসল,তারপর ধোঁয়া ওড়ানো ভাত,আহা,তারপর লম্বা এক ঘুম । এরকম ভাবতে দারুন এক আবেশ লাগে । এক পা সামনে বাড়াতে হঠাৎ পেছন থেকে কে যেন আমার ডাক নাম ধরে ডাক দিল । অবাক হয়ে গেলাম । এই অচেনা জায়গায় কে আবার আমার নাম ধরে ডাকে । পেছন ফিরে তাকাতেই দেখি অচেনা এক মানুষ । বিবর্ণ,বিভৎস পোশাক । ডান হাতের অর্ধেকটা নেই । প্যান্ট ময়লা,হরেক রঙের তালি । ফুল হাতা জামা,ডান হাতের অর্ধেক নেই বলে হাতাটা ঝুলছে । আমি তো অবাকে থ’ । ওই জায়গাটায় ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম । কে এই শ্রীমান ? একদম আমার ডাক নাম ধরে ডাকল ।
হুজুরদের গল্প ৩
হুজুরদের গল্প ৪
তাবলীগ পর্ব
[justify]